মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের ৪ পুরস্কার অর্জন
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধারাবাহিক উদ্ভাবনের স্বীকৃতি স্বরূপ বার্সেলোনায় চলমান মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি)-এ চারটি পুরস্কার অর্জন করেছে হুয়াওয়ে।
পুরস্কারগুলো হলো- গ্লোমো’র ‘বেস্ট মোবাইল ইনোভেশন ফর ইমার্জিং মার্কেটস’, ‘ফাইভজি ইন্ডাস্ট্রি চ্যালেঞ্জ’, বেস্ট মোবাইল টেকনোলজি ব্রেকথ্রু’ এবং ‘বেস্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’।
হুয়াওয়ের পরিবেশবান্ধব, সহজ ও সম্প্রসারণশীল রুরাললিঙ্ক উদ্যোগের জন্য জিএসএমএ’র কাছ থেকে গ্লোমো’র ‘বেস্ট মোবাইল ইনোভেশন ফর ইমার্জিং মার্কেটস’ পুরস্কার পেয়েছে।
উদ্ভাবন ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সিনারিওভিত্তিক নেটওয়ার্ক সমাধানে হুয়াওয়ের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ হুয়াওয়েকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনায় এবারের মতো পর্দা নামল মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের
অন্যদিকে, জিএসএমএ’র ফাইভজি হাবের সঙ্গে গ্লোমো’র ‘ফাইভজি ইন্ডাস্ট্রি চ্যালেঞ্জ’ পুরস্কার অর্জন করে হুয়াওয়ে, মিডিয়া ও চায়না মোবাইল।
সম্পূর্ণরূপে ফাইভজি দ্বারা সংযুক্ত খাতসংশ্লিষ্ট সবচেয়ে বড় প্রকল্পের জন্য এ স্বীকৃতি দেয়া হয়।
হুয়াওয়ে এর এফডিডি বিমফর্মিং সিরিজের জন্য জিএসএমএ গ্লোমো ‘বেস্ট মোবাইল টেকনোলজি ব্রেকথ্রু’ পুরস্কার অর্জন করে। এ অ্যাওয়ার্ড বিশ্বব্যাপী মানসম্পন্ন আলট্রা-ওয়াইডব্যান্ড, প্রিসাইস মাল্টি-অ্যান্টেনা বিমফর্মিং ও গ্রিন ডেভেলপমেন্টে হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতির স্বীকৃতিস্বরূপ।
এছাড়াও, নিজেদের উদ্ভাবনী পণ্যের মাধ্যমে আরও কার্যকরী ফাইভজি নেটওয়ার্ক নির্মাণের মাধ্যমে ম্যাসিভ-এমআইএমও (মাল্টিপল-ইনপুট মাল্টিপল-আউটপুট) এ যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখার জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ হুয়াওয়ের মেটাএএইউ সিরিজের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে জিএসএমএ’র গ্লোমো’র ‘বেস্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ পুরস্কার দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে অপোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোল্ডেবল স্মার্টফোন ফাইন্ড এন২ ফ্লিপ
বাজারে ১০০ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট ক্যামেরার অপো রেনো এইট টি
১ বছর আগে
বার্সেলোনায় এবারের মতো পর্দা নামল মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের
‘ফাইভজি ও ডাটা পরিচালিত অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় যুক্ত হোন’-এই আহ্বানের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার স্পেনের বার্সেলোনায় শেষ হয়েছে এ বছরের মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস।
শেষ দিনেও মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সেন্টারে বিপুল ভিড় ছিল বিভিন্ন দেশ থেকে আসা টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও প্রযুক্তিপ্রেমীদের।
শেষ দিনে বিশ্বের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন এবং মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের আয়োজক জিএসএমএ’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফাইভজি ও ডাটা পরিচালিত অর্থনীতির যাত্রায় বিশ্ব অর্থনীতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান ছয় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
সমাপনী বক্তব্যে জিএসএমএ-এর চেয়ারম্যান হোসে মারিয়া আলভারেজ প্যালেট লোপেজ বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশেরই উচিত এখন ফাইভজি ও ডাটা নির্ভর সমাজ ও অর্থনীতির উপযোগী হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করা। কারণ, এ যাত্রায় কারও পিছিয়ে পড়ার অর্থ হবে নিজেদের অর্থনীতির অগ্রগতির উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে আটকে রাখা।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনা মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস: ফাইভজি বিপ্লবের ভবিষ্যত সম্ভাবনা প্রদর্শন টেলিকম জায়ান্টদের
তিনি আরও বলেন, এবারের আয়োজন বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ, এই কংগ্রেস থেকেই ফাইভজি ও ডাটা নির্ভর আগামী অর্থনীতির গতিময় যাত্রা শুরু হল। আগামী এক বছরের মধ্যেই সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় লক্ষণীয় পরিবর্তন আনবে ফাইভজি ও ডাটা প্রযুক্তি।
চলতি বছরের শেষেই কমপক্ষে ১০০ কোটি মানুষ ফাইভজিতে যুক্ত হবে। হয়তো এখন যা প্রত্যাশা করা হচ্ছে বছর শেষে সেই সংখ্যা আরও বেশি কিংবা দিগুনও হতে পারে। ফাইভজি ও ডাটা প্রযুক্তির অগ্রগতির গতি আগের প্রযুক্তির চেয়ে অকল্পনীয় বেশি হবে।
তিনি বলেন, জিএএসএমএ’র রিপোর্ট অনুযায়ী ফাইভজি ২০২৯ সালের মধ্যেই বিশ্বের প্রভাবশালী প্রযুক্তিতে পরিণত হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৮৫ শতাংশ মানুষ ফাইভজিতে যুক্ত হয়ে যাবে। ২০২৩ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী ফাইভজি সংযোগ ১৫০ কোটিতে পৌঁছাবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংযোগের পরিমাণ কমপক্ষে ৫০০ কোটি হবে।
আলভারেজ বলেন, ফাইভজি ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে আরও ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার (এক হাজার বিলিয়ন) যোগ করবে এবং প্রতিটি সেক্টরকে যুক্ত করবে। বিশেষ করে নাগরিক পরিষেবা ও শিল্প উৎপাদন খাতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখবে ফাইভজি। সার্বিকভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান ছয় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের পাঁচটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন
জিএসএমএ চেয়ারম্যান বলেন, ফাইভজি ও ডাটা নির্ভর প্রযুক্তির অর্থনীতিতে যুক্ত হতে ছোট-বড় সব দেশকেই এ বছরের মধ্যেই প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ, ফাইভজি প্রযুক্তির বিকাশের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রস্তুতি না থাকলে ডাটানির্ভর স্মার্ট অর্থনীতির বিপুল সম্ভাবনা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। আর সেটা কোনো দেশের ক্ষেত্রে ঘটলে তা পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতির অগ্রযাত্রার উপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ কারণে ডাটা নির্ভর সমাজ ও অর্থনীতিতে কারও পিছিয়ে পড়ার কিংবা রাখার সুযোগ নেই।
জিএমএমএ চেয়ারম্যান ছোট অর্থনীতির দেশগুলোকে ফাইভজি ও ডাটানির্ভর সমাজ এবং অর্থনীতির জন্য প্রস্তুত করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
২০২৪ সালে বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে ২৬ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কোন দেশে?
১ বছর আগে
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের পাঁচটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন
শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের জন্য গত ২৮ জুন থেকে ১ জুলাই বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত হওয়া মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) পাঁচটি পুরস্কার পেয়েছে।
এ বছর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) গ্লোবাল সিস্টেম ‘২০২১ গ্লোবাল মোবাইল (জিএলওএমও)’ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে। হুয়াওয়ে পাঁচটি ক্ষেত্রে অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। এগুলো হলো: ‘বেস্ট ইনোভেশন ফর কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি’, ‘আউটস্ট্যান্ডিং মোবাইল কন্ট্রিবিউশন টু দ্য ইউএন এসডিজিস’, ‘বেস্ট মোবাইল ইনোভেশন ইন ইমার্জিং মার্কেটস’, ‘বেস্ট মোবাইল ইনোভেশন ফর দ্য কানেক্টেড ইকোনমি’, এবং ‘বেস্ট মোবাইল ইনফ্রাস্ট্রাকচার’।
আরও পড়ুন: চীনে গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার উদ্বোধন করল হুয়াওয়ে
১৯৯৬ সালে জিএসএমএ গ্লোবাল মোবাইল (জিএলওএমও) অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করে। এ অ্যাওয়ার্ড প্রদানে বিচারক প্যানেলে থাকেন আড়াইশ’র বেশি বৈশ্বিক বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা। মোবাইল খাতে সর্বোচ্চ সম্মান হিসেবে এ অ্যাওয়ার্ড বিবেচনা করা হয়।
হুয়াওয়ে ফাইভজি নেটওয়ার্ক সল্যুশনের ওপর ভিত্তি করে কোভিড-১৯ এর জন্য টেলিমেডিসিন সমাধান নিয়ে আসে চায়না-জাপান ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল। অ্যাওয়ার্ডের এ বছরের সংস্করণে হুয়াওয়ের ফাইভজি সল্যুশনকে জিএসএমএ জিএলওএমও ‘বেস্ট ইনোভেশন ফর কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি’ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। হুয়াওয়ের এ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উল্লেখিত হাসপাতালের সেবাদানের মানোন্নয়নে সহায়তা করেছে; পাশাপাশি, চীনের ৫ হাজার হাসপাতালকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নত সেবার জন্য বিকাশ থেকে অ্যাওয়ার্ড পেল হুয়াওয়ে
এ অ্যাওয়ার্ড অর্জন নিয়ে হুয়াওয়ের ডিআইএস প্রোডাক্ট লাইনের প্রেসিডেন্ট মারভিন চেন বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবাখাতে ফাইভজি’র বিস্তৃত পরিসরের ব্যবহার আমরা লক্ষ্য করেছি। বৈশ্বিক মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তায় এবং ফাইভজি প্রযুক্তির নানা সুবিধা ব্যবহারে, ফাইভজি অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে স্বাস্থ্যসেবাখাতের সংশ্লিষ্টদের সাথে নিরলস কাজ করে যাবে হুয়াওয়ে।’
এছাড়াও, বর্তমানে পুরো বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব প্রত্যক্ষ করছে। আর এমন সময়, রেইনফরেস্ট কানেকশন (আরএফসিএক্স) ও হুয়াওয়ের ‘ন্যাচার গার্ডিয়ান’ প্রকল্প প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষায় এবং বন উজাড় প্রতিরোধে ইতিবাচক অবদান রেখেছে। এর স্বীকৃতিস্বরুপ এ প্রকল্প জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অবদান রাখার জন্য জিএসএমএ ২০২১ জিএলওএমও অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।
আরও পড়ুন: পেটেন্ট মালিকানায় রেকর্ড গড়ল হুয়াওয়ে
মানুষের ডিজিটাল জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের ধারণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি উন্নত বিশ্ব নির্মাণে ধারাবাহিকভাবে এর রাজস্ব নতুন করে ডিজিটাল সমাধান উদ্ভাবনের গবেষণায় বিনিয়োগ করছে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ের সে লক্ষ্যপূরণে এ অর্জনগুলো প্রতিষ্ঠানটির জন্য জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
৩ বছর আগে