ফেসবুক
স্কুইড গেম: বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা নেটফ্লিক্স অরিজিনাল কোরিয়ান ওয়েব সিরিজ
বিশ্বব্যাপী কোরিয়ান পপ-কালচারের জোয়ারে সাম্প্রতিক সংযোজন নেটফ্লিক্স অরিজিনাল কোরিয়ান ওয়েব সিরিজ স্কুইড গেম। সপ্তাহের সর্বাধিক দেখা টিভি-শো, সর্বাধিক স্ট্রীম করা ওয়েব প্রোগ্রাম, সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সর্বাধিক আলোচিত বিষয় এই রেকর্ডগুলো এখন সব স্কুইড গেম-এর দখলে। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যসহ মোট ৯০টি দেশে টিভি-শোগুলোর তালিকায় শীর্ষস্থানটি ধরে রেখেছে এই কোরিয়ান ভাষার টিভি সিরিজটি। গ্যাংনাম স্টাইলের দশক পেরোতে না পেরোতেই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বিটিএসের পাশে রাজকীয় আবির্ভাব ঘটেছে স্কুইড গেম-এর। চলুন, সাম্প্রতিক চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী এই ওয়েব সিরিজটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেই।
নেটফ্লিক্স অরিজিনাল স্কুইড গেম-এর আদ্যোপান্ত
চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর নেটফ্লিক্স থেকে সারা বিশ্বে মুক্তি পায় দক্ষিণ কোরিয়ার এই টিভি সিরিজটি। থ্রিলারধর্মী এই ড্রামা সিরিজটির চিত্রনাট্যে ও পরিচালনায় আছেন হোয়াং-ডং-হিউক।
ডিস্টোপিয়ান সময়ের প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত সিরিজটির নামকরণ করা হয়েছে কোরিয়ান বাচ্চাদের একটি গেম থেকে। গেমটিতে জেতার জন্য একটি দল মেঝেতে আঁকা স্কুইড-এর মাথায় তাদের পা রাখার চেষ্টা করে। অপরদিকে আরেকটি দল চেষ্টা করে তাদেরকে স্কুইড-এর নকশাটির কাছ থেকে দূরে রাখার।
পড়ুন: অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে জেমস বন্ড মুভি ‘নো টাইম টু ডাই’
ড্রামাটিতে দেখানো হয় ৪৫৬ জন খেলোয়ার প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয় ৪৫.৬ বিলিয়ন ওন মূল্যের পুরস্কারের জন্য।
অন্যদিকে প্রতিযোগিতাটির মূল উদ্দেশ্য থাকে পশ্চিমা মহারথিদের বিকৃত আমোদপ্রমোদের খোরাক। ক্রমান্বয়ে গেমটি যখন প্রত্যেক খেলোয়ারকে পরস্পরের বিরুদ্ধে ধাবিত করে তখন খেলোয়াররা বুঝতে পারে তারা আটকে গেছে মরনপণ এক গোলকধাঁধায়।
সিরিজটিতে অভিনয় করেছেন পার্ক হেই-সু, লি জুং-জেই, উই হা-জুন, ও ইয়ং-সু, জুং হো-ইয়েন, হিউ সুং-তেই, কিম জু-রাইয়ং এবং অনুপম ত্রিপাঠি।
পড়ুন: মুন্সিগিরি: চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে অমিতাভ রেজা’র আরেকটি অসামান্য চলচ্চিত্র
সাইরেন পিকচার্স ইন্ক.-এর প্রযোজনায় এখন পর্যন্ত টিভি-শোটির ৯টি পর্বের একটি সিজন দেখানো হয়েছে।
কোরিয়ান ওয়েব সিরিজ স্কুইড গেম-এর জনপ্রিয় হয়ে ওঠা
স্কুইড গেম-এর জনপ্রিয় ওঠার পেছনে অন্যতম কারণ হলো ৩৭টি ভাষার সাবটাইটেল ও ৩৪টি ভাষার ডাবিং সংস্করণ। এই সুবাদে অসহায় প্রাপ্তবয়স্কদের বাচ্চাদের খেলায় জেতার চিত্রনাট্যটি বেশ ভালোভাবেই গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে দর্শকদের কাছে। তাছাড়া খেলার খুটিনাটি দিয়ে পুরো ড্রামাটাকে অতিরঞ্জিত না করায় সিরিজপ্রেমীরা চরিত্রগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে পেরেছে। আর এভাবেই টিভি-শোটি বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্রের নাটকীয়তা দিয়ে দর্শকদের মনে রেখাপাত করার চেষ্টা করেছে এবং এই চেষ্টা কতটুকু সফল হয়েছে তা বোঝা গেলো যখন প্রিমিয়ারের তিন সপ্তাহের মাথায় সামাজিক মাধ্যমে সিরিজটির ফলোয়ার ১৩ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেল।
বন্ধ হয়ে যাওয়া পরিসেবা পুনরুদ্ধার করেছে ফেসবুক
বিশ্বব্যাপী ফেসবুকের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন মেসেঞ্জার,ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেটওয়ার্ক বিভ্রাট থাকার পর পরিসেবাটি সোমবার রাতে পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ফেসবুক।
ফেসবুক একটি পোস্টে বলেছে,‘আমরা আমাদের অ্যাপস এবং পরিসেবার অ্যাক্সেস পুনরুদ্ধার করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং এগুলো সক্রিয় হয়েছে তা জানাতে পেরে খুশি।’
আরও পড়ুন: আসছে ফেসবুকের বিকল্প দেশি সোশ্যাল মিডিয়া ‘যোগাযোগ’
বিভ্রাটের সময় ফেসবুক বলেছিল,‘দুঃখিত,কিছু সমস্যা হয়েছে। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা এটি ঠিক করে নেব।এসময় ইনস্টাগ্রাম একটি ‘ফাইভএক্সএক্স সার্ভার ত্রুটি’ দেখিয়েছে।
টেকক্রাঞ্চের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিএনএস (ডোমেইন নেইম সার্ভার) ব্যর্থতার কারণে বিভ্রান্তিটি হয়েছিল।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রযুক্তি প্রতিবেদক রায়ান ম্যাক একটি টুইটে বলেন,‘শুধু ফেসবুকের পরিসেবা এবং অ্যাপই জনসাধারণের জন্য বন্ধ নয়,এর অভ্যন্তরীণ সরঞ্জাম এবং যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মগুলিও বন্ধ রয়েছে,এবং কেউ কাজ করতে পারছে না।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে জানা যাবে নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের খোঁজ
মুক্তি পেলেন ঝুমন দাশ
পুলিশের দায়ের করা তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় ছয় মাস কারাগারে থাকার পর ঝুমন দাশ মুক্তি পেয়েছেন। হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার পর তার বিরুদ্ধে ওই মামলা করে পুলিশ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট থেকে তাকে জামিনের আদেশ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান ঝুমন দাশ আপন।
জানা গেছে,মঙ্গলবার বিকালে সুনামগঞ্জ আদালতে জামিনের আদেশ আসে। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিননামা দাখিল করলে আদালত জামিনে মুক্তির আদেশের কাগজ কারাগারে পাঠায়। সন্ধ্যায় ওই জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছালে কারাগার থেকে মুক্তি পান ঝুমন দাশ।
আরও পড়ুন: ঝুমন দাশের জামিন আদেশ বৃহস্পতিবার
এ সময় কারাগার থেকে বেরিয়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ঝুমন দাশ।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ১৬ মার্চ শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাশের ফেসবুক আইডি থেকে হেফাজত ইসলামের সাবেক নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে সমালোচনা করে কথিত ফেসবুক স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় হেফাজত ইসলামের সমর্থকরা ১৭ মার্চ হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮ বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করে। গ্রামের পাঁচটি মন্দিরও ভাংচুর করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় ১৬ মার্চ ঝুমন দাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়। মামলাগুলো তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে নারী নির্যাতন কমেছে:পিআইবি মহাপরিচালক
এ ঘটনায় হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের মামলার প্রধান আসামী ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াসহ অধিকাংশ আসামি আদালত থেকে আগেই জামিন পেয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার নুরশেদ আহমেদ ভূ্ইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক সবুর কারাগারে
থটস অফ শামস: মজার সব চরিত্রে এককভাবে অভিনয়কারী প্রতিভাবান কন্টেন্ট নির্মাতা
সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে অভিনব ও ফ্রেশ কন্টেন্ট নির্মাণ বাংলাদেশে নতুন নয়। কিন্তু এর উপর ভিত্তি করে ক্যারিয়ার গঠনের ধারণাটি একই সাথে চমকপ্রদ ও সম্ভাব্যতার প্রশ্নের যোগান দিচ্ছে। তাই বিশ্বমানের এই ক্যারিয়ারের সাথে বাংলাদেশ কেবল মানিয়ে নিতে শুরু করেছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই ইউটিউব ও ফেসবুকে কন্টেন্ট নির্মাণের মাধ্যমে সফলতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে। থটস অফ শামস তেমনি একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ, যেটি মজার সব ভিডিওর মাধ্যমে ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
আজকের ফিচারটি এই থটস অফ শামসকে কেন্দ্র করেই।
বাংলাদেশি নারী ইউটিউবার শামস-এর ব্যক্তি জীবন
থটস অফ শামস-এর নেপথ্যের মানুষটি সবার নিকট শামস নামেই পরিচিত; পুরো নাম শামস আফরোজ চৌধুরী। কাছের প্রিয়জনরা তাকে প্রভা নামে ডাকে।
আরও পড়ুন: হৈচৈ বাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম: বিশ্বজুড়ে বাঙালির কোটি প্রাণের স্পন্দন
কুমিল্লার মেয়ে শামস ২০০৯-এ এইচএসসি’তে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বিবিএ’তে ভর্তি হন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে গ্রাজুয়েশন শেষ করে ২০১৩ সালে একটি বেসরকারি ব্যাংকে যোগ দেন ইন্টার্নীর জন্য।
২০১৮তে এই মেধাবী ছাত্রী এমবিএ সম্পন্ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কর্মজীবনের শুরুতে শামস একটি বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
কন্টেন্ট নির্মাণ এবং দাম্পত্য জীবন একসাথে শুরু হলেও দুটোর কোনটাই পরস্পরের জন্য কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি শামসের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: রেহানা মরিয়ম নূর: কানের সম্মানজনক তালিকায় বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
শামসের কন্টেন্ট নির্মাতা হয়ে ওঠার গল্প
এমবিএ চলাকালে বিসিএস ও ব্যাংকে চাকরীর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকেন শামস। একের পর এক জবের জন্য আবেদনের পরেও কোথাও থেকে আশানুরূপ কোন সাড়া আসছিলো না। বরং প্রতিটি ইন্টারভিউ থেকে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছিলো।
বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে কর্মরত অবস্থায় নিজের কাজের সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছিলেন না। এভাবে বাংলাদেশের চাকরীর চিরাচরিত দৌরাত্ম্যে জড়িয়ে গিয়ে ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ হতাশায় পড়ে যান শামস।
২০১৭ এর ২৩ আগষ্ট থটস অফ শামস নামে ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেখানে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন। একদিন হঠাৎ চিন্তা আসে যে, লেখা কন্টেন্টগুলো নিয়ে ভিডিও বানালে কেমন হয়! এই ভাবনা থেকেই নিজের লেখা কন্টেন্টগুলোতে দারুণ হাস্যরস মিশিয়ে ভিডিও বানাতে শুরু করে দেন। ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি থটস অফ শামস টাইটেল দিয়ে খুলে ফেলেন একটি ইউটিউব চ্যানেল।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহার শীর্ষ ১০ জনপ্রিয় বাংলা নাটক
শামস বর্তমানে ৪৩০ হাজার গ্রাহকের ইউটিউব চ্যানেল এবং ২.৩ মিলিয়ন ফলোয়ার-এর ফেসবুক পেজ-এর মালিক।
রামু বৌদ্ধমন্দির ও পল্লীতে হামলার ১০ বছর, থমকে আছে বিচারকার্য
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে গুজবের জের ধরে কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৯ বছর পূর্ণ হয়ে ১০ বছরে পদার্পন করলো আজ। সাক্ষীদের সাক্ষ্যদানে অনীহায় থমকে আছে ঘটনার বিচারকার্য। ঘটনার বিচার কার্য শেষ করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সম্প্রীতি অটুট থাকুক এমনটাই দাবি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের।
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তম বড়ুয়া নামের এক বৌদ্ধ যুবকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পবিত্র কোরআন অবমাননার একটি ছবি ট্যাগকে কেন্দ্র করে রামুতে সংঘটিত হয় ভয়াবহ ঘটনা। রাতের অন্ধকারে রামুতে ১২টি বৌদ্ধ বিহার, ৩০টি বসতঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দুস্কৃতিকারীরা। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে একইভাবে উখিয়া ও টেকনাফে আরও ৭টি বৌদ্ধ বিহার ও ১১টি বসতঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘটনার পর পরই সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ বিহার ও ঘরবাড়ি নতুন ভাবে পুণনির্মাণ করে দেয় সরকার। সরকারি পৃষ্টপোষকতায় নির্মিত এসব বৌদ্ধ বিহার ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে দুটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর: গ্রেপ্তার ১
এঘটনায় ১৯ টি মামলা দায়ের হলেও একটি মামলা আপোষে নিস্পত্তি হয়। এজাহারভুক্ত ৩৭৮ জনসহ অজ্ঞাত আরও ১৪/১৫শ জনকে অভিযুক্ত করে ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৮টি মামলায় ১০২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের আবাসিক ভিক্ষু ও কক্সবাজার বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু জানান, ঘটনার ৯ বছর পার হয়ে গেছে। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে মামলার প্রথমদিকে যে গতি ছিল তা ভাটা পড়েছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে অনেকে স্বাক্ষ্য দেয়ার ক্ষেত্রে আর এগুতে চায় না। সবকিছু যেন ঠিক হয়ে গেছে এমন ভাব সবার। যার দরুন মামলার কার্যক্রম থমকে আছে। রাষ্ট্রপক্ষ ও ভুক্তভোগী স্বাক্ষীদের মধ্যে সমন্বয় করে মামলার সুরাহা হবে বলে আশা করেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এ ধর্মীয় গুরু।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুর
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর(পিপি) ফরিদুল আলম জানান, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল ১৯টি। এরমধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে ১৮টি মামলা করেন। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে অপর একটি মামলা করলেও পরবর্তীতে বিবাদীদের সঙ্গে আপোষনামায় নিষ্পত্তি হয়। বিচারাধীন ১৮টি মামলায় আদালতে স্বাক্ষী না আসায় বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘসূত্রিতা। তবে সাক্ষীদের উপস্থাপনের মধ্যদিয়ে সব মামলা নিস্পত্তি করে সংশ্লিষ্ট অপরাধিদের বিচার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে রাতের আঁধারে আগুনে পুড়ে ছাই কালী মন্দিরের মূর্তি
‘বয়স হলো আমার’ দিয়ে ‘বেসবাবা’ সুমনের প্রত্যাবর্তন
জনপ্রিয় বাংলাদেশি গায়ক, গীতিকার, সঙ্গীতজ্ঞ এবং রক ব্যান্ড 'অর্থহীন' এর ফ্রন্টম্যান সাইদুস সালেহীন খালেদ, যিনি 'বেসবাবা' সুমন নামেই বেশি পরিচিত, তার নতুন একক ‘বয়স হলো আমার’ দিয়ে সঙ্গীতে আবারও একটি গৌরবময় প্রত্যাবর্তন করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তার ইউটিউবে চ্যানেল মুক্তি পায় গানটি।
থাইল্যান্ড এবং দুবাইয়ে দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা গ্রহণ শেষে ‘সুখ একটি পছন্দ এবং জীবন সুন্দর’ এই স্লোগানে এই গানটি নিয়ে ফিরে আসেন তিনি।
বেসবাবা সুমনের লেখা ও সুরে, গানটিতে একক গিটারবাদক এবং সংগীত প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন গিটারবাদক মহান ফাহিম। সুমনের ছেলে আহনাফ সালেহীনও তার শিসের সুরে গানটিতে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অর্থহীন ব্যান্ডের সুমন ও তার ছেলে করোনায় আক্রান্ত
গানটি এবং এর পেছনের আবেগময় যাত্রা বর্ণনা করে সুমন বুধবার তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন-‘গানটিতে কোন একক বেইস সোলো নেই, কোনো ভয়ংকর লিড নেই। মহানের খুব সুন্দর বাজানো অ্যাকোস্টিক গীটারের উপর নির্ভর একটি গান এটি।এটি আমার ধীরে ধীরে বয়স বেড়ে যাবার গান, এটি আমার গত দুই বছরের প্রায় পঙ্গু হয়ে বিছানায় পরে থাকার গান,এটি আমার অন্ধকারে ডুবে যাবার গান, এটি আমার রাতের পর রাত প্রচন্ড ব্যাথায় চিৎকার করার গান, পরিশেষে…এটি আমার সব বাঁধা অতিক্রম করে আলোয় ফিরে আসার গান। ‘হঠাৎ দেখি, এ জীবনটা যে নতুন গানে, মুচকি হাসে…মুচকি হাসে’।
সুমনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ ‘বেসবাবা সুমন’ এবং ইউটিউব চ্যানেল ‘বেসবাবা সুমন অ্যান্ড অর্থহীন’ -এ মুক্তি পেয়েছে, ‘বয়স আমার হলো’। গানটির মিউজিক ভিডিও শুট করা হয়েছে বান্দরবানে।
মিউজিক ভিডিওটি সুমন নিজেই পরিচালনা করেছেন, আর বান্দরবানের সুরম্য ও নির্মল প্রকৃতির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন আরেক জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ‘বে অব বেঙ্গল’ এর ভোকাল বখতিয়ার হোসাইন।
সুমন চিকিৎসার জন্য ১১ মার্চ ব্যাংককে যান এবং তাকে সমিতিজ সুখুমভিত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর জার্মানিতে মেরুদণ্ডের অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনি ভ্রমণ করতে পারেননি।
তিনি গত বছর সেপ্টেম্বরে ছেলে আহনাফের সাথে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছিলেন।
২০১১ সালে তাঁর পাকস্থলীর ক্যান্সার ধরা পড়ে। দীর্ঘ যুদ্ধের পর তিনি ২০১৩ সালে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তবে, কয়েক বছর ধরে তাকে বিদেশে একাধিক অপারেশন এবং চেক-আপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানসপটে সালমান শাহ ও কিছু বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি বনে যাওয়া
২০১৭ সালে ব্যাংককে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডে ব্যাপক আঘাত পান সুমন। তাঁর সর্বশেষ উপস্থিতি ছিল ২০২০ সালে জয় বাংলা কনসার্টে।
‘বয়স হলো আমার’ এর পর, তিনি নতুন একক বাদ দেবেন এবং আগামী মাসে অর্থহীনের প্রত্যাবর্তন ট্র্যাকটি সম্পূর্ণ করবেন।
ঝুমন দাশের জামিন আদেশ বৃহস্পতিবার
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাশের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত আগামী বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
ঝুমনের করা জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখ রাখেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এনটিভির সাংবাদিক আবু তৈয়ব গ্রেপ্তার
হাইকোর্টে ঝুমনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, নাহিদ সুলতানা ও আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগে সুনামগঞ্জের শাল্লা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন ঝুমন।
১৬ মার্চ ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগ তুলে ১৭ মার্চ নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চালানো হয়। তার আগে ১৬ মার্চ রাতে ঝুমনকে আটক করা হয়। তাঁকে ১৭ মার্চ ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সেদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার রুহুল আমিনের জামিন
গত ২২ মার্চ শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় গত ২৩ মার্চ ঝুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৩০ মার্চ তাঁকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
এই মামলায় ঝুমন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন চাইলে তা ১৮ জুলাই নামঞ্জুর হয়। এরপর দায়রা আদালতে জামিন চান ঝুমন, যা ৩ আগস্ট খারিজ হয়। তারপর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন ঝুমন। এই আবেদনের ওপর আজ শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চান ড. কামাল হোসেন
মোদির সাবেক মন্ত্রী বাবুল এখন মমতার দলে!
জনপ্রিয় বলিউড গায়ক বাবুল সুপ্রিয় শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন মন্ত্রীসভা থেকে বাদ পড়ার মাত্র দুই মাস পর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন।
৫০ বছর বয়সী এই সংসদ সদস্য ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পঞ্চম নেতা, যিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা
পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় পার্টির সদর দপ্তরে একটি ছোট অনুষ্ঠানে মমতার ভাতিজা ও তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক ব্যানার্জী সুপ্রিয়কে পার্টিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান।
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পরপরই সংবাদমাধ্যমকে সুপ্রিয় বলেন, ‘যদি আপনার সুযোগ আসে, আপনার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত এবং আমি এটা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: মোদির মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল, ৪৩ নতুন মন্ত্রী
গত জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির মন্ত্রিসভার রদবদলের সময় প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে বাদ পড়েন। এর এক মাস পর সুপ্রিয় ভারতীয় রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘আমি চলে যাচ্ছি, বিদায়। যদি আপনি সামাজিক কাজ করতে চান, তাহলে আপনি রাজনীতি না করেই এটি করতে পারেন। আসুন আগে নিজেকে একটু সংগঠিত করি এবং তারপর…… ।’
আওয়ামী ঘরানার হাজারো অ্যাক্টিভিস্ট সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন,`মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী আহমেদরা সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য বিদেশে অ্যাক্টিভিস্ট নিয়োগ করেছেন। এদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সুপ্রচার আরও জোরালো হবে। তখন এ অপপ্রচারগুলো মাঠে মারা যাবে।’
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ থেকে বলা হচ্ছে, প্রচার-প্রচারণার জন্য ও অপপ্রচার রোধে এক লাখ অ্যাক্টিভিস্ট নামানো হবে। এ বিষয়ে বিএনপি বলছে, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ এবং লেখনি সেন্সর করার জন্য এক লাখ অ্যাক্টিভিস্ট নিয়োগ করবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সকল অ্যাক্টিভিস্ট কাজ করবে। এখনও হাজার হাজার অ্যাক্টিভিস্ট আমাদের দলের বা ঘরোনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকটিভ আছে। সেগুলোকে সমন্বয় ঘটিয়ে যাতে একসাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে, সে কথা বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যারা এসব কথা বলে, তাদের আসলে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম কিভাবে চলে, সে সম্পর্কে ধারণা নেই। এখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাক্টিভিস্ট কাজ করবে, কার কন্ঠ কে রোধ করবে?’
ইউটিউবে যে পরিমাণ অশ্লীল কন্টেন্ট দেখানো হয়, একই সঙ্গে রাষ্ট্রসহ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোও হয়। সেগুলো বন্ধ করার কোন সুযোগ আছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলোর সার্ভিস প্রোভাইডার হচ্ছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বা অন্যান্য যেসকল প্লাটফর্মে দেখানো হয়, সে সকল কর্তৃপক্ষ। তাদেরকে বলা হয়। অনেক ক্ষেত্রে সাড়া পাওয়া যায়, অনেক ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না।’
আরও পড়ুন: ফখরুল সাহেবের মুখে গণআন্দোলনের ডাক শোভা পায় না: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আরও জোরালো ব্যবস্থা যাতে নেয়া যায়, সেজন্য আমরা সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে আলোচনায় আছি। অনেকটা এগিয়ে এসেছে, আমরা আশায় আছি। সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুকসহ অন্যান্য প্লাটফর্মকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে তাদের অফিস খোলার জন্য। বাংলাদেশে যখন এ সকল কোম্পানি নিবন্ধিত হবে, তখন বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এ সমস্ত কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া অনেকটা সহজ হবে। এ ধরনের কন্টেন্ট সরানো বা বন্ধ করার ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলো দূর হবে।’
নেত্রকোণায় জাপা নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্ট, গ্রেপ্তার ১
নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার আজাদের বিরুদ্ধে একটি ফেইসবুক আইডি থেকে ‘ধমীয় অনুভূতিতে আঘাত, মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ’ পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন উপজেলা জাপা সভাপতি।
মামলার প্রেক্ষিতে জসিম উদ্দিন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত জসিম উদ্দিন উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের গোজাখালীকান্দা গ্রামের শমেস আলী মিস্ত্রীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় সভা চলাকালে আ.লীগের অফিসের মেঝে ধসে আহত ৭
গত শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার গোজাখালীকান্দা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট জাপা নেতা ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার আজাদ বাদি হয়ে জসিম উদ্দিনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পূর্বধলা থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এসআই নিহত
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত জসিম উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার আইডি থেকে পূর্বধলা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার আজাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ এবং ধমীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার মতো পোস্টও দিয়েছিল। যার ফলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।