পুলিশের দায়ের করা তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় ছয় মাস কারাগারে থাকার পর ঝুমন দাশ মুক্তি পেয়েছেন। হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার পর তার বিরুদ্ধে ওই মামলা করে পুলিশ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট থেকে তাকে জামিনের আদেশ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান ঝুমন দাশ আপন।
জানা গেছে,মঙ্গলবার বিকালে সুনামগঞ্জ আদালতে জামিনের আদেশ আসে। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিননামা দাখিল করলে আদালত জামিনে মুক্তির আদেশের কাগজ কারাগারে পাঠায়। সন্ধ্যায় ওই জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছালে কারাগার থেকে মুক্তি পান ঝুমন দাশ।
আরও পড়ুন: ঝুমন দাশের জামিন আদেশ বৃহস্পতিবার
এ সময় কারাগার থেকে বেরিয়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ঝুমন দাশ।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ১৬ মার্চ শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাশের ফেসবুক আইডি থেকে হেফাজত ইসলামের সাবেক নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে সমালোচনা করে কথিত ফেসবুক স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় হেফাজত ইসলামের সমর্থকরা ১৭ মার্চ হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮ বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করে। গ্রামের পাঁচটি মন্দিরও ভাংচুর করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় ১৬ মার্চ ঝুমন দাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়। মামলাগুলো তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে নারী নির্যাতন কমেছে:পিআইবি মহাপরিচালক
এ ঘটনায় হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের মামলার প্রধান আসামী ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াসহ অধিকাংশ আসামি আদালত থেকে আগেই জামিন পেয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার নুরশেদ আহমেদ ভূ্ইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক সবুর কারাগারে