৪ জনে বিয়ে
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৪ জনের উপস্থিতিতে হিন্দু বিয়ে
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জে কঠোর লকডাউনে মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছিল সনাতন ধর্মালম্বী এক তরুণীর বিয়ে। বাড়ির সামনে বিশালাকৃতির গেইট। চারদিকে জমকালো লাইটিং, ঢাক-ঢোল, গান-বাজনার সাথে নৃত্য।
এক কথায় মহা ধুমধামের সাথে চলছিল বিয়ের আনন্দ। চলমান আনন্দের মধ্যেই বুধবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। তার উপস্থিতিতে যেন সবকিছু বিষাদে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বিয়ে : বর ও কনে পক্ষকে জরিমানা
এদিকে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিয়ের লগ্ন শুরু হবে। বাড়ির অনতিদূরে বর পক্ষ চলে এসেছে। তাই বিয়ে বন্ধ না করে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাৎক্ষণিক বন্ধ হয় ঢাক-ঢোলসহ নৃত্যসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান ও জনসমাগম। খুলে ফেলা হয় বিয়ের গেটসহ অন্যান্য ডেকোরেশন।
অবশেষে, বর ও কনেসহ মোট চারজনের উপস্থিতিতে কনের নানার বাড়ি হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ধড্ডা গ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ঘরের মধ্যে সম্পন্ন হয় এই শুভ বিবাহ।
বর-কনের স্বজনরা জানান, কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার অমল চন্দ্রের মেয়ে রুপালীকে (১৮) (ছদ্দনাম) হাজীগঞ্জের ধড্ডা তার নানার বাড়িতে এনে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। আর বর হাজীগঞ্জের উচ্চঙ্গা গ্রামের হারাধনের ছেলে কমল দাস।
আরও পড়ুন: ৩৫০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে রেকর্ড গড়লেন বেলকুচির ইউএনও
লকডাউনের মধ্যে এমন আয়োজন করে বিয়ের খবর পেয়ে তাই পুলিশ নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিয়ের সকল আয়োজন বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি বর-কনেসহ চারজনের উপস্থিতিতে বিয়ের দেয়ার নির্দেশনা দেন বর-কনের অভিভাবকদের।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমেনা আক্তার ইউএনবিকে বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিয়ের রীতিতে লগ্ন একটা বড় বিষয়। তাই লগ্ন ঠিক রেখে ঘরের মধ্যে বিয়ের কাজ সম্পন্ন এবং চলমান কঠোর লকডাউনে জনসমাগমসহ অন্যান্য আয়োজন বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছি।’
এ সময় হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. মাসুদ মুন্সী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাকির হোসেন লিটুসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে