বেনাপোল বন্দর
বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন দখলে নিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারত বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার একদিন পর বন্দরে পণ্য লোড-আনলোড ও আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক নেতারা ও বহিরাগত একটি দল সোমবার সকালে বন্দর এলাকায় শতাধিক শক্তিশালী হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনার পর বন্দরে আমদানি রপ্তানি ও লোড-আনলোড বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শ্রমিককে মারধর, বেনাপোল বন্দরে লোড-আনলোড বন্ধ
এবিষয়ে ৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ জানান, বর্তমানে শ্রমিকরা বন্দরে শান্তির সঙ্গে কাজ চলছে কিন্তু একটি পক্ষ তা ভালোভাবে না নিয়ে ষড়যন্ত্র করে বন্দরের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছে। এ ঘটনায় সোমবার বন্দরে লোড-আনলোড ও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে শ্রমিকরা পুরোদমে কাজ শুরু করেছে।
এব্যাপারে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, সোমবার বন্দরের দখলকে কেন্দ্র করে বন্দরে দুটি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বন্দরে লোড-আনলোড ও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকে। মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দু’দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, সোমবার বন্দরে বোমাবর্ষণের ঘটনায় থানায় ৩৬ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে এবং ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি গতরাতে বন্দর এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকারসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও ৪টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল বন্দরের শ্রমিক ইউনিয়ন দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় দূর্বৃত্তরা প্রায় শতাধিক বোমাবর্ষণ করে। এতে পুলিশসহ সাত জন শ্রমিক আহত হন।
বেনাপোল বন্দরে বোমা হামলায় আহত ২০, বাণিজ্য স্থগিত
যশোরের বেনাপোল বন্দরের হ্যান্ডলিং কার্যক্রম দখল নিতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় পথচারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার বন্দরের শ্রমিক সংঘটনের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ দিকে এ ঘটনার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ পণ্য খালাশ প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে।
বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ঠিকাদার অহিদুজ্জামান অহিদ জানান, একদল দুর্বৃত্ত বন্দরের সামনে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে অন্তত ২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত বন্দর কর্মী ইমরান হোসেনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে নির্মাণাধীন ভবনের পাশে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তিনি অভিযোগ করেন, ‘রাশেদ বাহিনীর লোকজন বন্দরে বোমা হামলা চালিয়েছে।’
বন্দর হ্যান্ডলিং চুক্তি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
নাভারন পুলিশের ‘ক’ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জুয়েল ইমরান জানান,পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে রাশেদ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে।’
এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শ্রমিককে মারধর, বেনাপোল বন্দরে লোড-আনলোড বন্ধ
শ্রমিককে মারধর, বেনাপোল বন্দরে লোড-আনলোড বন্ধ
বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে বন্দর হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের এক শ্রমিককে মারধরের অভিযোগে বন্দরে লোড আনলোডসহ সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা।
সঠিক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে রবিবার সকাল থেকে থানার সামনে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: দু’দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দরের হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহম্মেদ জানান, সাজেল নামে আমাদের এক সর্দার গত শুক্রবার রাতে পুটখালী ইউনিয়নের রাজাপুর বাজারে চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এসময় পুটখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল গফফারের ছেলে ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন পাশের হাটখোলা বাজারে সাজেলকে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা বন্দরে লোড আনলোড কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। এছাড়া এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে বেনাপোল পুটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল গফফার বলেন, গেল ইউপি নির্বাচনের আগে শ্রমিক সাজেল আমার ছেলেকে মারধর করে আহত করে। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে আমার ছেলে সাজেলকে বাজারে ডেকে নিয়ে চড় থাপ্পড় কিলঘুসি মারে। পরে এ নিয়ে আলোচনা করে মীমাংসা করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: পরিচয়পত্র জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে ২য় দিনের মতো আমদানি বন্ধ
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুঁইয়া জানান, গফফার চেয়ারম্যানের লোকজন বন্দরের সাজেল নামে এক শ্রমিককে মারধর করার অভিযোগে শ্রমিকরা বন্দরে কাজ বন্ধ রেখেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দু’দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় টানা দুই দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম ফের শুরু হয়েছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুই দফা ফলপ্রসু বৈঠকে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয় তারা।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে বন্দর ব্যবহারকারী পাঁচ সংগঠনের কর্মীরা কাজে যোগদান করেন। ফলে বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
গত ২ মার্চ ভারত থেকে বন্ড লাইসেন্সের (শুল্কমুক্ত) মাধ্যমে আমদানিকৃত ডেনিম ফেব্রিক্সের দুটি চালান বহনকারী ভারতীয় ট্রাকের মধ্যে লুকিয়ে আনা প্রায় অর্ধকোটি টাকার আমদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিল, বিস্ফোরক দ্রব্য, সিগারেট, কারেন্ট জাল শাড়ি, থ্রি-পিসসহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ দিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
এ ঘটনায় বেনাপোলের সিএন্ডএফ শিমুল ট্রেডিং এজেন্সি ও আইডিএস গ্রুপ নামে দুটি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পরে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী শামসুল ইসলামের নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করা হয়।
ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আটকের দাবিতে ৩ মার্চ সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যসহ সব ধরনের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় বন্দর ব্যবহারকারী পাঁচটি সংগঠন। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লাইন্সেস পূর্ণবহাল ও মামলা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় তারা।
বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃক দুটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানিসহ কাস্টমস ও বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দরের পণ্য লোড আনলোড।
রবিবার সন্ধ্যায় কাস্টমস, বন্দর বেনাপোল সিএডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি, বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ও ট্রাক মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক ফলপ্রসু হওয়ায় সোমাবার থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয় তারা।
আরও পড়ুন: পরিচয়পত্র জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে ২য় দিনের মতো আমদানি বন্ধ
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, আমাদের সঙ্গে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের সমস্যাগুলো অনুধাবন করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করার আশ্বাস দেয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম আগের ন্যায় চলবে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাজের গতি বাড়ানোর জন্য কাস্টমসের সকল কর্মকতা,কর্মচারীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বনগাঁসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ১০৮টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনের কারণে ভারতে সরকারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন সে দেশের সরকার। নিরাপত্তার স্বার্থে রবিবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য লোড আনলোডসহ কাস্টমসের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলছে। স্বাভাবিক আছে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল।
বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, আমাদের বনগাঁসহ পশ্চিমবঙ্গের ১০৮টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিএন্ডএফ মালিক, কর্মচারি, হ্যান্ডলিং শ্রমিক, ট্রাক চালকরা সকলে তাদের নিজ নিজ এলাকায় ভোট দিবেন বলে আজ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম হবে না। নির্বাচন শেষে সোমবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, পেট্রাপোল বন্দর থেকে তাদেরকে জানিয়েছেন রবিবার তাদের পৌরসভার নির্বাচন হওয়ার কারণে আমদানি রপ্তানি সংক্রান্ত কোন কার্যক্রম হবে না। আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকায় দুই বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শতশত পণ্য বোঝায় ট্রাক। সোমবার থেকে পুনরায় বেনাপোল পোট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি চালু হবে।
তিনি আরও জানান, বনগাঁসহ পশ্চিমবঙ্গে পৌরসভা নির্বাচন থাকায় ভারত সরকার আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন। সরকারি ছুটি থাকায় আজ এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা শিকদার জানান,
দুই দেশের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি রবিবার ভারতে নির্বাচনের কারণে দুই দেশের মধ্যে বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। তবে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকগুলো বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস করে খালি ট্রাক ফিরে যেতে কোন বাধা নেই। বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কার্যক্রম ও পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক আছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ভারতে নির্বাচনের কারণে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য খালাস প্রক্রিয়াসহ লোড আনলোড প্রক্রিয়া স্বাভাবিক গতিতে চলছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমসে ৬ মাসে ৫০৯ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি
বেনাপোলে ওয়ারেন্টভুক্ত ৯ আসামি গ্রেপ্তার
পরিচয়পত্র জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে ২য় দিনের মতো আমদানি বন্ধ
ভারতের পেট্রাপোলে পরিচয়পত্র নিয়ে জটিলতায় দ্বিতীয় দিনের মতো বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত আমদানি বন্ধ ছিল।
এর আগে একই দাবিতে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। নানা সমস্যায় দু‘দিন পর পর এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: এক মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বুদ্ধদেব বিশ্বাস বলেন, এতদিন আমরা সংগঠনের পরিচয়পত্র নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানির কাজ করে আসছিলাম। হঠাৎ করে গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিএসএফ থেকে বলা হয় ভারতীয় কাস্টমস, বন্দর, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ও ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ স্বাক্ষরের পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এ কারণে শনিবার আট ঘণ্টা রপ্তানি বন্ধ থাকে। পরে এক বৈঠকে আলোচনার পর আবারও বাণিজ্য চালু হয়। তারা আমাদের সোমবার পর্যন্ত সময় দেয়। কিন্তু দু’দিনের মধ্যে চারটি সংস্থা থেকে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করাও কঠিন। এ কারণে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে পেট্রাপোল বন্দরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিএসএফ সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেয় পরিচয় ছাড়া কোনো ভারতীয় ট্রান্সপোর্ট ও সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা বন্দরে প্রবেশ করবে না। এতে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা বিঘ্ন ঘটায় শনিবার আট ঘণ্টা ভারত থেকে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের সমঝোতা বৈঠক শেষে বিকাল ৪টার দিকে আবারও বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: রাজস্ব ফাঁকি রোধে বেনাপোল বন্দরে কঠোর অবস্থান কাস্টমস কর্তৃপক্ষের
তিনি জানান, সোমবার আবারও একই দাবিতে আমদানি বন্ধ করে দেয় ভারতীয় ট্রান্সপোর্ট শ্রমিকরা যা মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে এখনও বলবৎ রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার বলেন, ‘এটা ভারতের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এরপরও আমদানি-রপ্তানি সচল রাখতে আমরা পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি।’
তুলাবোঝাই ট্রাকে কীটনাশক, ৭ কোটি টাকার চালান আটক
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানিকৃত তুলাবোঝাই ট্রাকে কীটনাশকসহ অন্যান্য চোরাই পণ্য আমদানির অভিযোগে ৭ কোটি টাকা মূল্যের একটি ‘র কটোনের’চালান আটক করা হয়েছে।
বন্দরের ভারতীয় ট্রাক টার্মিনাল থেকে রবিবার রাতে পণ্য চালানটি আটক করে কাস্টমস কর্মকর্তারা।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড ভারত থেকে তুলা আমদানি করেন। পণ্যচালানটি ১৭টি ট্রাকে করে আমদানি করা হয়। যার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার রোটাস ড্রেসইসফাস কোম্পানি লিমিটেড। পণ্যচালানটি বন্দরে প্রবেশের পর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কমিশনার আ. আজিজের নির্দেশে ডাক্লুবি ৫১-৫৪৩৮ নাম্বারের ভারতীয় ট্রাকটি আটক করেন যুগ্ম কমিশনার-১ আব্দুর রশিদ মিয়া।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন কড়াকড়িতে বেনাপোলে যাত্রী যাতায়াত কমেছে
পরে পণ্যচালানটি আইআরএমের ডেপুটি কমিশনার অনুপম চাকমার নেতৃত্বে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে ঘোষণা বহির্ভুত কীটনাশক, তামাক ও সবজির বীজ পাওয়া যায়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমনা সজন জানান, একটি বহিরাগত চোরাচালানী চক্র ভারতীয় তুলোর ট্রাকে এসব পণ্য তুলে দিয়েছে। মালের মধ্যে মিথ্যা ঘোষণার কোন পণ্য পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেছে ভারতীয় ট্রাকের মধ্যে। এ দায় দায়িত্ব কেবল ভারতীয় ট্রাক চালাককেই নিতে হবে। এ ঘটনায় আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কোনভাবেই জড়িত নয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১২০ মেট্রিক টন বিস্ফোরক আমদানি
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জনান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বৈধ আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে কাস্টমস সব সময় ট্রেড ফেসিলিটিশন নীতি অবলম্বন করে আসছে। কিন্ত অবৈধ আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কাজ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় কাস্টমস একটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে। দি কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং রুলস ২০০২ অনুযায়ী লাইসেন্সটি সময়িক বাতিল করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
চার মাসে বেনাপোল রেলপথে আয় ৮ কোটি ২৬ লাখ
চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম, বন্দরের পণ্য রাখার জায়গার অভাব ও পেট্রাপোল পার্কিং সিন্ডিকেটের কারণে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ট্রেনে করে পণ্য আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর তাই গত চার মাসে রেলপথে এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিন টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। রেলের ভাড়া বাবদ আট কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম ২ চালান বেনাপোল বন্দরে
বেনাপোল রেলওয়ে সূত্র জানায়, জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে ভারত থেকে বেনাপোলে পণ্য বহন করে রেলওয়ে এ টাকা আয় করেছে। আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস পণ্য, পেঁয়াজ, আদা, মরিচ, হলুদ, ধানবীজ, গম, চিনি, মেশিনারিজ পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, স্থলপথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের বনগাঁ কালিতলা ট্রাক পার্কিং সিন্ডিকেটের কাছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে পড়েছিলেন। সিরিয়ালের নামে ট্রাক প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করত। করোনার শুরুতে এ ধরনের প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। এতে আমদানি খরচ বেড়ে যায়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত বছর ৪ জুন থেকে রেলে সব ধরনের পণ্যের আমদানি বাণিজ্যের অনুমতি দেয় সরকার।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, খরচ সাশ্রয় আর নিরাপদ হওয়ায় দিন দিন ব্যবসায়ীরা রেলপথে বাণিজ্যে ঝুঁকতে থাকেন। আগে মাসে চার থেকে পাঁচটি ওয়াগনে পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে প্রতিদিন কার্গো রেল, সাইডোর কার্গো রেল ও প্যার্সেল ভ্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারও রাজস্ব আয়ে লাভবান হচ্ছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বর্তমানে রেলপথে সব ধরনের পণ্য আমদানি সচল রয়েছে। এতে গত বছরের তুলনায় এ বছর আমদানি বেড়েছে। পাশাপাশি রেল খাতে সরকারের চারগুণ বেশি রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, সড়কপথে আমদানিতে নানা হয়রানির কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ট্রেনে পণ্য আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। ভারতের পেট্রাপোলে চাদাঁবাজি, অনিয়ম-দুর্নীতি ও যানজটের জন্য বিশেষ সুবিধা পাওয়ায় দুই দেশের ট্রেনে পণ্য আমদানি বেড়েছে। যার কারণে চলতি বছরের চার মাসে আট কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সড়ক পথে স্থলপথের সাথে পাল্লা দিয়ে রেলপথেও পণ্য আমদানি হচ্ছে। তবে বন্দরের রেল ইয়ার্ড না থাকায় পণ্য রাখতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এরই মধ্যে বন্দরে দুটি রেল ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বেনাপোল থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইনের সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেল পথে বাণিজ্য আরও বাড়বে। আগে রেলপথে পাথর ও জিপসাম-জাতীয় পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে গার্মেন্ট, কেমিকেল, খাদ্যদ্রব্যসহ সব ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা চার দিন বন্ধের পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আবার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। ছুটি শেষে ইতোমধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগদান করেছেন।
শনিবার সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। বেনাপোল বন্দর দিয়ে শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ১৮৭ ট্রাক মালামাল আমদানি হয়েছে এবং রপ্তানি হয়েছে ৫৫ ট্রাক মালামাল।
বেনাপোল বন্দরের কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মামুন জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১২ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে চার দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল।
শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য। দু’দেশের মধ্যে চার দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান,দুর্গাপূজার ছুটিতে বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য চার দিন বন্ধ ছিল। এ সময় কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। শনিবার ছুটি শেষে আবারও দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়েছে। বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা ছুটিতে গিয়েছিলেন সবাই কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা যেন বন্দর থেকে আমদানি-রপ্তানি করা পণ্য দ্রুত খালাস নিতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দেশের অর্থনীতি সচল ও পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে করোনাকালীন আমদানি-রপ্তানি পণ্য ছাড় করাতে কাস্টমস হাউস যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪ দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোল বাণিজ্য কার্যক্রম
মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন: বেনাপোলে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ
রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম ২ চালান বেনাপোল বন্দরে
রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম ২ চালান বেনাপোল বন্দরে
রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম দুই চালান মঙ্গলবার বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে। দু’জন আমদানিকারকের ৪৫০ মেট্রিক টন সিমেন্ট মর্টারের দুটি চালান কলকাতা থেকে ছেড়ে ওই দিন রাতে বেনাপোল বন্দরে আনলোড করা হয় বলে কৃর্তপক্ষ জানিয়েছে।
বুধবার পণ্য চালানটি খালাশ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে আসবে।
বন্দর কৃর্তপক্ষ জানান, দ্রুত ও কম খরচে পণ্য আমদানি করা যায় বিধায় সড়ক পথের পরিবর্তে রেল পথে পণ্য আমদানিতে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। ইনল্যান্ড ওয়ার্ল্ড লজেসটিক ছাড়াও এ পথে আরও দুটি পার্সেল ভ্যান ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেলে পণ্য পরিবহন করছে।
আরও পড়ুন: ভারতের উপহার `লাইফসাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স’ বেনাপোল বন্দরে
ইনল্যান্ড ওয়ার্ল্ড লজেসটিকের ইন্দো-বাংলা ট্রেড ম্যানেজার অনুস্কর জানান, বাংলাদেশে প্রথম তারা রেল যোগে আমদানি পণ্য পরিবহন করছেন। রেলে ২০ কেজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিমাণের পণ্য পরিবহন করতে সক্ষম তারা। পরিবহনে খরচও অনেক কম পড়বে। বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকটের কারণে সপ্তাহে একদিন কলকাতা থেকে রেলযোগে পণ্য নিয়ে আসবেন তারা। বন্দরে পণ্য রাখার জায়গা বাড়লে সপ্তাহে সাত দিনই তারা পণ্য পরিবহন করবে।
ইনল্যান্ড ওয়ার্ল্ড লজেসটিক পার্সেল ভ্যানের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী আব্দুল লতিফ জানান, রেলে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন করে পার্সেল ভ্যান যুক্ত হওয়ায় দ্রুত ও কম খরছে রেলপথে পণ্য আমদানি বাড়বে। তবে বন্দরে সক্ষমতা বাড়ালে পার্সেল ভ্যানে আমদানি বাড়বে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আজ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্র্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, সড়ক পথে বেনাপোল বন্দর দিয়ে একটি পণ্য চালান আমদানি করতে ২০ দিন সময় লাগে। বেনাপোলের ওপারে বনগাঁ কালিতলা পার্কিং এ সিন্ডিকেটের কাছে আমদানি বাণিজ্য জিম্মি হয়ে পড়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, কলকাতা থেকে পণ্যবোঝাই ট্রাক কালিতলা পার্কিংয়ে ২০ দিন পর্যন্ত সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। প্রতিদিন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ট্রাক প্রতি ২ হাজার টাকা করে ক্ষতি গুনতে হয়। ফলে সময়মতো পণ্য আমদানি করতে না পারায় দেশের শিল্প-কলকারখানাসহ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। রেলে পণ্য আমদানিতে দিনের দিন কলকাতা থেকে পার্সেল ভ্যান বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে হঠাৎ করে জরুরি অক্সিজেন আমদানি বন্ধ
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, রেলের পার্সেল ভ্যানে পণ্য আমদানি হওয়ায় দ্রুত ও কম খরচে পণ্য আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। ফলে আমদানি বাণিজ্যে গতি ফিরে আসবে। দিনের রাজস্ব দিনে আদায় করা সম্ভব হচ্ছে। আমদানি বাড়লে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। বর্তমানে বন্দরে জায়গা স্বল্পতার কারণে প্রতিদিন রেলের পার্সেল ভ্যান আসতে পারছে না।