যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন দখলে নিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারত বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার একদিন পর বন্দরে পণ্য লোড-আনলোড ও আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক নেতারা ও বহিরাগত একটি দল সোমবার সকালে বন্দর এলাকায় শতাধিক শক্তিশালী হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনার পর বন্দরে আমদানি রপ্তানি ও লোড-আনলোড বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শ্রমিককে মারধর, বেনাপোল বন্দরে লোড-আনলোড বন্ধ
এবিষয়ে ৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ জানান, বর্তমানে শ্রমিকরা বন্দরে শান্তির সঙ্গে কাজ চলছে কিন্তু একটি পক্ষ তা ভালোভাবে না নিয়ে ষড়যন্ত্র করে বন্দরের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছে। এ ঘটনায় সোমবার বন্দরে লোড-আনলোড ও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে শ্রমিকরা পুরোদমে কাজ শুরু করেছে।
এব্যাপারে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, সোমবার বন্দরের দখলকে কেন্দ্র করে বন্দরে দুটি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বন্দরে লোড-আনলোড ও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকে। মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দু’দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, সোমবার বন্দরে বোমাবর্ষণের ঘটনায় থানায় ৩৬ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে এবং ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি গতরাতে বন্দর এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকারসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও ৪টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল বন্দরের শ্রমিক ইউনিয়ন দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় দূর্বৃত্তরা প্রায় শতাধিক বোমাবর্ষণ করে। এতে পুলিশসহ সাত জন শ্রমিক আহত হন।