পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনে বর্ধিত তহবিল চায় ঢাকা: জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরোসির সঙ্গে বৈঠকের সময় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা অর্থাৎ এর প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য বর্ধিত তহবিলের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তাদের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মোমেন বলেন, প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা যত শিগগিরই সম্ভব বাস্তবায়িত হওয়া উচিত।
এসময় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি এ বিষয়ে তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা এবং রোহিঙ্গা শিশুদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষা প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফেরত যায়নি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জবাবে সাধারণ পরিষদের সভাপতি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের ভূমিকার উচ্চ প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান বাংলাদেশ ও আইওএম-এর
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের তথ্যমতে, এ সংকট কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন সাধারণ পরিষদ সভাপতি।
সাবা কোরেসি সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অসাধারণ নেতৃত্ব, জিডিপির প্রবৃদ্ধি, কোভিড মোকাবিলাসহ বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সাধারণ পরিষদের সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে মোমেন দুটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
এগুলো হলো- ‘এসডিজি বাস্তবায়ন রিভিউ’ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্ট আয়োজন এবং সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন এর আওতাধীন উন্নয়নশীল দেশসমূহের অর্থ, পররাষ্ট্র ও উন্নয়ন মন্ত্রীদের সমন্বয়ে একটি ফোরাম প্রতিষ্ঠা’।
বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তহবিল ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টটির আয়োজন করা হলে তা এসডিজি’র বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা এবং তহবিল ঘাটতি মোকাবিলায় ফলপ্রসু ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া, সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন (এসএসসি) এর আওতায় মন্ত্রী পর্যায়ের উক্ত ফোরাম এসএসসি’র বিষয়ভিত্তিক আলোচনাকে আরও এগিয়ে নিতে একটি চমৎকার প্লাটফর্ম তৈরি করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাধারণ পরিষদের সভাপতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাব দুটিকে স্বাগত জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কোভিড-এর মধ্যেও বাংলাদেশের জিডিপির উচ্চ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এছাড়া তিনি কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।
এছাড়া সুবিধাজনক যে কোনো সময়ে সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বোঝা বাংলাদেশকে একা বহন করতে হবে না’
জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক
জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া এর সঙ্গে বৈঠককালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের পিস অপারেশনে সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স (কিউআরএফ), বেজ্ ডিফেন্স কন্টিনজেন্ট, পদাতিক কন্টিনজেন্ট এবং পুলিশ কন্টিনজেন্ট পদায়নের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান আব্দুল মোমেন।
এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ থেকে সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা; বিশেষ করে ফোর্স কমান্ডার নিয়োগের জন্যও আহ্বান জানান এবং নারী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা পুর্নব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জরুরি: গুয়েন লুইস
সংঘাতপূর্ণ দেশসমূহে টেকসই শান্তি বিনির্মাণে বাংলাদেশের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও উত্তম অনুশীলন কাজে লাগানোর অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার এবং শান্তিরক্ষী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন-এর ২৬তম বার্ষিক কনফারেন্স-এ অংশগ্রহণের জন্য আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রুয়াকে আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রুয়া বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের কর্তব্যপরায়ণতা, দায়িত্বশীলতা ও পেশাগত দক্ষতার ভূয়সী প্রসংশা করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ হতে সুদানের আবেইতে পদাতিক ব্যাটালিয়ন প্রেরণ, মালিতে আমর্ড্ হেলিকপ্টার এবং কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স কন্টিনজেন্ট মোতায়েন, মধ্য আফ্রিকায় হাতপাতাল ইউনিট প্রেরণ এবং কঙ্গোতে এক্সপ্লোসিভ অর্ডিনেন্স ডিস্পোজাল (ইওডি) কন্টিনজেন্ট মোতায়েনের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ভবিষ্যতে আরও অধিক নারী শান্তিরক্ষী মোতায়েনসহ জাতিসংঘের সার্বিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে অবদান রেখে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রুয়া।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বিনিয়োগ করতে হবে: ইফাদ প্রধান
শিনজো আবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যোগদান
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত শিনজো আবে’র অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিয়ে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জাপানের টোকিও-এর নিপ্পন বুদোকানে অনুষ্ঠিত জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত শিনজো আবে’র রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন অংশগ্রহণ করেন।
অন্ত্যষ্টিক্রিয়ার এ অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আয়োজক কমিটির সভাপতি ফুমিও কিশিদাসহ জাপানের অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উপস্থিত বিদেশি অতিথিরা শ্রদ্ধাবেদীতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের মাধ্যমে শিনজো আবের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের মাধ্যমে প্রয়াত শিনজো আবে’র প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের জন্য শাওনের আত্মত্যাগ স্মরণে বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে দুই দেশ বেশ কয়েকটি সহযোগিতা চুক্তি সই করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ৭৭তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নিউইয়র্কে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজারতোর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিস্তারিত না জানিয়ে ইউএনবিকে বলেন, ‘বাংলাদেশ সফরে আসবেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী। উক্ত সফরে সমস্ত অমীমাংসিত চুক্তি সই হবে।’
পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সফরের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ জানিয়েছে, হাঙ্গেরি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা ১৪০ থেকে বাড়িয়ে ২৪০ করেছে।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের সফরে ভারতের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে হাঙ্গেরি।
এ বছরের জুনে ড. মোমেন হাঙ্গেরির পুনরায় নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বিশেষ বার্তা হস্তান্তর করেন।
এ বছর প্রধানমন্ত্রী অরবানের বাংলাদেশ সফর নিয়ে কাজ করছেন দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে সফরসঙ্গী দলে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশি কর্মী নেবে মলদোভা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মলদোভায় বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তারা বাংলাদেশি শ্রমিক নিতে রাজি হয়েছেন।
শনিবার ইউএনবিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রথম ব্যাচে ২৮ বাংলাদেশি শ্রমিককে মলদোভিয়ান ভিসা দেয়া হয়েছে।
তারা একটি অ্যালুমিনিয়াম উইন্ডো তৈরির কারখানায় কাজ করবে এবং আরও ৪০জন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান মোমেন।
এক দশকেরও বেশি আগে মলদোভা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর আয়োজিত নৈশভোজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের অনুমোদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি: নিউইয়র্কে মোমেন
বাংলাদেশ তার কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে প্রস্তুত: নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ তার অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন এবং এ ক্ষেত্রে নিম্ন আয়ের দেশগুলির জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে দাবী করেন।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান (জিএপি) মিনিস্ট্রিয়ালের উদ্বোধনী অধিবেশনে ড. মোমেন এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী অতিমারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও মোকাবিলা (পিপিআর)-এর জন্য বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে সম্প্রতি গঠিত ফিনান্সিয়াল ইন্টারমিডিয়ারি ফান্ড গঠনের এর উদ্যোগটিকে স্বাগত জানান এবং এ তহবিল কার্যকরভাবে স্বাস্থ্যখাতের চলমান বিভিন্ন বিনিয়োগের সমন্বয়কের ও পরিপূরকের ভুমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এছাড়াও তিনি একটি প্লেবুক তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। যেখানে দেশগুলো ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য হুমকির ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত থাকবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন,স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো ও বতসোয়ানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. লেমোগাং কোয়াপে যৌথভাবে কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান মন্ত্রী পর্যায়ের সভা আয়োজন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মিয়ানমারের গোলাবর্ষণ ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’: নিউইয়র্কে মোমেন
যার লক্ষ্য হচ্ছে, কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা বজায় রাখতে ও শক্তিশালী করতে অংশীদারদের একত্র করা।
জাপান, সৌদি আরব ও থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মহাপরিচালক বৈঠকে অংশ নেন।
এছাড়া ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ভারত, নরওয়ে, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও এতে যোগ দিয়েছিলেন।
এসময় ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ ব্যববস্থাপনায় অসাধারণ সাফল্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এই সাফল্যের মূলে রয়েছে জীবন রক্ষার পাশাপাশি জীবিকার সংস্থান অব্যাহত রাখা, অতিঝুঁকিপূর্ণদের জন্য বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা করা এবং লাগসই প্রনোদনা প্রদানের মাধ্যমে অতিমারির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির দ্রুত পুনর্গঠন নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত সময়সূচি: মোমেন
টিকা ও অন্যান্য কোভিড সামগ্রী সহজলভ্য করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে গঠিত ও পরিচালিত অ্যাক্ট-এ এবং কোভ্যাক্স এর মতো বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মগুলোর প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত বহুপক্ষীয় উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
কোভিড অতিমারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখনও শেষ হয়ে যায় নি মনে করিয়ে দিয়ে তিনি টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিকাকে ‘বৈশ্বিক গণ পণ্য’- হিসেবে ঘোষণা করা এবং বৈষম্য ছাড়াই সকল দেশের মাঝে বিতরণের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসারে জানা যায়, সভা শেষে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ এবং অগ্রগতির রূপরেখা সম্বলিত একটি যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়।
বিবৃতিতে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের ৬ টি মূল কর্মপরিকল্পনার আলোকে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের হালনাগাদ অগ্রগতি এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সমন্বয় বাড়াতে বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয়।
এছাড়া, মহামারি চূড়ান্তভাবে মোকাবিলায় অবশিষ্ট পদক্ষেপ সমূহ গ্রহণ করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের স্বাস্থ্য হুমকি প্রতিরোধ করতে আরও উন্নত ও কার্যকরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাঠামো তৈরিতে গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের অংশীদারদের সমন্বিত প্রয়াস চলমান রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরও পড়ুন: র্যাবের অনুমোদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি: নিউইয়র্কে মোমেন
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে বিশ্ব শান্তির ওপর গুরুত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার বিকালে (নিউইয়র্ক সময়ানুযায়ী) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব নিয়ে তার ভাষণ দেবেন।
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশটি শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়। আমরা বলব যে সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলব যে কোনো ধরনের সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার সর্বোত্তম উপায় হল সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ সমাধান।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তার (প্রধানমন্ত্রী) বক্তব্য জলবায়ু সমস্যাও তুলে ধরবে। তিনি এর সাথে যোগ করেন, বাংলাদেশ আশা করে যে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ীরা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকারদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব ভাগ করে নেবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বহুপাক্ষিকতা প্রচারেরও আহ্বান জানাবেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতিতে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বে শীর্ষ সফল দেশগুলোর একটি হয়ে ওঠার ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্যের কথাও প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে ভূমিহীনদের ঘর উপহার দিচ্ছে। আমরা মানুষকে একটি বাড়ি ও একটি জীবন দিচ্ছি। আমরা বিশ্বকে দেখাব যে আমরা বেশ ভালো কাজ করেছি।’
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান যারা নিউইয়র্কে ৭৭তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে এসেছেন তাদের সম্মানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিতে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন।
হোটেল লোটেতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিস্টার ও মিসেস বাইডেন তাকে (শেখ হাসিনা) অনুষ্ঠানস্থলে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাইডেনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে তিনি দুই নেতার আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
আরও পড়ুন: সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের আরও বেশি যুক্ত করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘পরে আমি প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি উত্তর দিলেন হ্যাঁ আমরা আলোচনা করেছি...আমি তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’
মোমেন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চেয়েছেন এটি কি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তার প্রথম অংশগ্রহণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী উত্তর দিয়েছেন যে এটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তার ১৮তম অংশগ্রহণ।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকট কাটিয়ে উঠতে বিশ্বব্যাপী সংহতি প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
নিউইয়র্কে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
র্যাবের অনুমোদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি: নিউইয়র্কে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর কিছু উচ্চপদস্থ ও সাবেক কর্মকর্তার অনুমোদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশকে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বাংলাদেশ সরকার বারবার তার কারণ জানতে চেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখনও তারা সঠিক ও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি। তাই আমরা জানি না। এছাড়া বিভিন্ন দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের অভ্যাস রয়েছে। সুতরাং, এটা তাদের ব্যাপার।’
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দিল্লির সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশে সন্ত্রাস দমনে র্যাবের প্রশংসা করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান হামলার পর দেশে আর কোনো সন্ত্রাসী নেই। এটাই ছিল শেষ।’
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করছেন।
আরও পড়ুন: র্যাব ইজ আ ব্র্যান্ড নেম ফর পিস: শাহরিয়ার
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে খুশি হব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিবিসিসিআই নেতাদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল আব্দুল মোমেন বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই) নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি রবিবার সকালে লন্ডনের মারিয়ট হোটেলে বিবিসিসিআই নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে জনশক্তি, যা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করা সম্ভব। কিন্তু এ জন্য প্রয়োজন দেশের জনশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা।
তিনি এই খাতে প্রবাসী বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে ক্যাটারিং সেক্টরে দক্ষ জনশক্তির প্রচুর চাহিদা পূরণে দেশে ক্যাটারিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ ছাড়াও দেশের স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বিনিয়োগের জন্য ও প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।
পড়ুন: সিবিএএ গঠনে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান রেনু’র এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে প্রবাসীদের বিদ্যমান দুর্দশা বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের যাত্রীদের অতিমাত্রায় হয়রানি লাঘবে সরকার পদক্ষেপ নেবে। মন্ত্রী শিগগিরই বিমানের কার্গো সুবিধা চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কথাও উল্লেখ করেন।
বিবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান রেনু ছাড়াও চেম্বারের ডিজি এএইচএম নূরুজ্জামান, ফাইন্যান্স ডাইরেক্টর আতাউর রহমান কুটি, বিবিসিসিআই’র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এডভাইজার এমিরেটাস শাহাগির বক্ত ফারুক, সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বশির আহমদ ও ডিরেক্টর এন্ড এডভাইজার শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মন্ত্রী বিবিসিসিআই’র চিপ পেট্রন। বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে লন্ডনে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শোকবইয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষর
সিবিএএ গঠনে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য জনসম্পৃক্তির পাশাপাশি অর্থনৈতিক কূটনীতির একটি কার্যকর মাধ্যম হিসেবে কানাডা বাংলাদেশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (সিবিএএ) গঠনকে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিবিএএ এর নির্বাহী পরিষদের (এক্সকো) সভাপতি খোরশেদ খাস্তগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সিবিএএ-এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন মহাপরিচালক (পাবলিক ডিপ্লোমেসি) তৌফিক হাসান, মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়) এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী এবং সিবিএএর সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ এজাজ মোহাম্মদ, এক্সকো সদস্য কাজী মঈনুর রহমান এবং এহতেশাম জিলহান বিন সেলিম।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে সফরসঙ্গী দলে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাক্ষাতে সিবিএএ এক্সকো প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার পূর্ববর্তী হাইকমিশনার বেনোইট প্রেফন্টেইন ২০১৯ সালে সিবিএএ প্রতিষ্ঠাকালে এর পূর্ণ সমর্থন জানান এবং তাঁর সাথে সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ছিলেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদ, নরওয়েজিয়ান ন্যাশনাল ও গ্রামীণ ফোনের সাবেক সিইও মাইকেল ফোলি এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক খোরশেদ খাস্তগীর।
প্রতিনিধি দলটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আরও জানায়, সম্প্রতি সিবিএএ কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর ২৮ ধারার অধীনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়ার পর রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ (আরজেএসসি) কর্তৃক নিবন্ধিত হয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও কানাডার হাইকমিশনাররা প্রয়োজনমত নির্দেশনা প্রদান করে এক্সকোর সম্মানিত কো-চেয়ার হিসেবে কাজ করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং ডিজি (পাবলিক ডিপ্লোমেসি) কে সিবিএএ এর সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন যাতে এই ধরনের একটি পূর্ণ সম্ভাবনাময় প্ল্যাটফর্মের জন্য পারস্পরিক যথোপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে এক্সকো প্রতিনিধিদল পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার নতুন হাইকমিশনার লিলি নিকোলস এবং বাংলাদেশের সিনিয়র সচিব (বাণিজ্য) তপন কান্তি ঘোষের সঙ্গে সৌজন্য আলোচনা করেন। সিবিএএ এক্সকোর অনারারি কো-চেয়ার হাইকমিশনার নিকোলস ও সিবিএএ গঠনকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশে তার মেয়াদকালে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।
আরজেএসসির সাথে সিবিএএকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এক্সকো প্রতিনিধিদলকে অভিনন্দন জানিয়ে তপন ঘোষ সিবিএএ এর সাথে একসাথে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাছাড়া এ প্লাটফর্মের কার্যকর ব্যবহারে সব ধরনের সমর্থনের আশ্বাস দেন যাতে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও উন্নত হয়।
সিবিএএ কানাডাকে মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য পছন্দের গন্তব্য হিসেবে আরও বেশি প্রচার করার লক্ষ্যে একটি শেয়ার্ড কমিউনিটি তৈরি করতে মানুষের সাথে যোগাযোগের জন্য আরও বেশি লোককে উৎসাহিত করতে চায়।
সিবিএএ এক্সকো প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকায় অবস্থানরত কানাডার হাইকমিশন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ইনকর্পোরেশন চলাকালীন সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানায়। বাংলাদেশ ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে উচ্চ আশাবাদ ও সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল