উপপরিদর্শক (এসআই)
তদন্ত করতে এসে ধর্ষণ, বিচার না পেলে আত্মহত্যার হুমকি!
মামলার তদন্ত করতে এসে বাদীর মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধার ফুলছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল হক। এ অভিযোগে আদালতে মামলাও হয়েছে। পুলিশের হুমকিতে ভুক্তভোগী ওই নারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।
শনিবার তিনি গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করে এসআইয়ের শাস্তি দাবি করেছেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা বর্তমানে রংপুরের মিঠাপুকুর থানায় কর্মরত আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই নারী অভিযোগ করেন, তার বিধবা মা সোনাভান বেওয়া ২০২১ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জমিজমা নিয়ে ফুলছড়ি থানায় আটজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে ২৪ অক্টোবর রাতে মামলার তদন্ত করতে আসেন ফুলছড়ি থানার এসআই শামসুল হক ।
চরাঞ্চলের নিধুয়া পাথারের মধ্যে বাদীর বাড়িতে ঢুকে ঘর থেকে তার মা ও ছোট ভাইকে বের করে দিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে কু-প্রস্তাব দেন। এক পর্যায়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। পরদিন ভুক্তভোগী নারী থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আহম্মেদকে ঘটনাটি জানান। কিন্তু ওসি তাদের অভিযোগের কোন সুরাহা না করে থানা থেকে বের করে দেন।
এ ঘটনার পর ১১ ডিসেম্বর তদন্তের কথা বলে এসআই শামসুল হক ভুক্তভোগী নারীকে বালাসীঘাটে ডাকেন। সেখানে তার খালার বাড়িতে আবারও ধর্ষণ করেন। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ওষুধ প্রয়োগে তার আড়াই মাসের বাচ্চা নষ্ট করেন এসআই শামসুল। এতে ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনার পর গত ৯ জানুয়ারি গাইবান্ধা পুলিশ সুপার বরাবরে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: মা-মেয়েকে ধর্ষণ: গাইবান্ধায় ৩ জিনের বাদশার যাবজ্জীবন
ইতোমধ্যে অভিযুক্ত এসআই শামসুল হক ফুলছড়ি থানা থেকে বদলি নিয়ে রংপুরের মিঠাপুকুর থানায় যোগ দেন। থানায় কোন প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগী নারী গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা করেন (নং ১২)।
দীর্ঘদিনেও পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল হকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ওই নারী গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ধর্ষণের দ্রুত বিচার না পেলে তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন।
এ ব্যাপারে ওসি কাওসার আহম্মেদ জানান, ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবহিত নন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
২ বছর আগে
অবশেষে রানা প্লাজা ধস মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
সাভারের রানা প্লাজা ধসে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের সাড়ে পাঁচ বছর পর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুইয়ার আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী সাভার থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ।
আদালত মামলার পরবর্তী সাক্ষগ্রহণের জন্য আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন।
২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং সাক্ষ্য গ্রহণের আদেশ দেন। কিন্তু মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অধিকাংশ আসামি উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল নিষ্পত্তির পর আজ মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এ মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা কারাগারে রয়েছেন। জামিনে আছেন বাকি ৪০ আসামি।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ভবনের নিচে চাপা পড়েন সাড়ে পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেন প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ধস : ৮ বছরে কেমন আছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ৩ পরিবার
ভয়াবহ ওই ভবন ধসের ঘটনায় সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটিজনিত অভিযোগ এনে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১ জুন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় মোট ৫৯৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, রানার বাবা আব্দুল খালেক, রানার মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কমিশনার হাজি মোহাম্মদ আলী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক (আর্কিটেকচার ডিসিপ্লিন) এ টি এম মাসুদ রেজা, প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসাইন, সাভার পৌরসভার মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেল, সাভার পৌরসভার সাবেক টাউন প্ল্যানার ফারজানা ইসলাম, লাইসেন্স পরিদর্শক মো. আব্দুল মোত্তালিব, পৌরসভার সাবেক সচিব মর্জিনা খান, সাবেক সচিব মো. আবুল বাশার, ফ্যান্টম এপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, নিউ ওয়েব বটমস লিমিটেডের এমডি বজলুস সামাদ ও ইথার টেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান।
২ বছর আগে
বিশ্বনাথে জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার
সিলেটের বিশ্বনাথে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমীর ও খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে বিশ্বনাথ পৌরশহরের পুরানবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের বিয়য়টি নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলক দাশ বলেন, গ্রেপ্তারের পরই নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ, ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথ উপজেলার গন্ধারকাপন গ্রামে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাস্টার এমাদ উদ্দিনের বাড়িতে অনুষ্ঠিত এক গোপন বৈঠক (উপজেলা মাসিক বৈঠক) থেকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদসহ বিশ্বনাথ উপজেলা জামায়াতের শীর্ষ ১৭ নেতাকে আটক করে পুলিশ।
এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আসামি করা হয় উপজেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমীর ও খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকীকে। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলসহ ১০ নেতাকর্মী আটক
জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবি এলডিপি প্রধানের
৩ বছর আগে