সাঁকো
বিশ্বনাথে সাঁকো থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
বিশ্বনাথে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাঁশের সাঁকো পার হওয়ার সময় পা পিছলে পানিতে পড়ে ছয় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের টিমাইগড় গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত রিয়া ওই গ্রামের আরশ আলীর মেয়ে ও স্থানীয় হাজী আরশদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যুথিকা ভট্টাচার্য জানান, ওইদিন প্রথম শিফট ছুটির পর দুপুর ১২টায় বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির পাশে থাকা বাঁশের সাঁকো পার হচ্ছিল রিয়া। এ সময় অসাবধানতাবশত পা পিছলে পানিতে পড়ে ডুবে মারা যায় সে।স্থানীয় ইউপি সদস্য সফিক মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ডুমুরিয়ায় চুলে কালার করার রং খেয়ে শিশুর মৃত্যু
২ বছর আগে
বাঁশের সাঁকোই ৩০ হাজার মানুষের ভরসা
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বারো মাসিয়া নদীর ওপর নড়োবড়ো বাঁশের সাঁকোয় ছয়টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা। প্রায় ৪০ বছর ধরে তারা এভাবে নদী পারাপার করে আসছে। জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বারো মাসিয়া নদীর ওপর নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করেছে গ্রামের মানুষ।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে এবার মিলল সাড়ে ছয়শ’ বছর আগের তৈজসপত্র!
সাঁকোর পশ্চিম পাড়ে রয়েছে পশ্চিম কান্তাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝাউকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর গোরুকমন্ডপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ফয়জুল উলুম মাদরাসা, গোরুকমন্ডপ কমিউনিটি ক্লিনিক। পূর্ব পাশে রয়েছে পশ্চিম ফুলমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাওডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালার হাট আর্দশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নাওডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও পশ্চিম ফুলমতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিক। নদীর দুপাশে গ্রামগুলোর যোগাযোগের সংযোগস্থল হওয়ায় এ সাঁকো দিয়ে হাজারও মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। এতে হরহামেশাই দুর্ঘটনা ঘটে।
রোগী থাকলে দুর্ভোগের মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষদেরকে ভোটের সময় জন প্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে আসলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। এমন অভিযোগ দু’পারে মানুষের। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কান্তাপাড়া, ঝাউকুটি চরগোরুক, পশ্চিম ফুলমতি, জামাকুটি ,কলাবাগা গ্রামের অধিবাসীরা। মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভাবনা থাকলেও প্রধান বাধা এ বারো মাসিয়া ইন্দুর ঘাটের বাশেঁ সাঁকো। নিজের চাহিদায়মতে চাঁদা সংগ্রহ করে বাঁশের সাকোঁটি তৈরি করা হয়েছে।
নাওডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজ দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুর মোহাম্মদ আলী বলে, ‘এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। একবার পা পিচলে পড়ে আহত হয়েছি। এখানে একটা ব্রিজ হলে ভালোই হতো।’
আরও পড়ুন: লাল বাঁধাকপি চাষ: বদলে দিয়েছে কৃষক বেলালের ভাগ্য
পশ্চিম ফুলমতি গ্রামের মীর হোসেন বলেন, ‘একটি সেতুর অভাবে ৪০ বছর ধরে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছি। সুস্থ মানুষ সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ছেন, অসুস্থদের অবস্থা বলার মতো নয়। বেশি সমস্যা হয় প্রসূতিদের নিয়ে। জন প্রতিনিধিরা কথা দিয়ে ভোট নেন। ভোট পার হলে তারা আর খোঁজ রাখেন না।’
২ বছর আগে
৫০০ পরিবারের একমাত্র ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো!
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার হোসেনপুর তালুকদার বাড়ির সংলগ্ন কুচয়া খালের ওপর প্রায় ৫০০ পরিবারের একমাত্র ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি। বর্তমানে সেটিও ভেঙে যাওয়ায় চলাচলকারী গ্রামবাসীর জীবন দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসী বহুদিন ধরে একটি সেতু নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করে ক্লান্ত। আর এভাবেই কেটে গেল তিন যুগ, আজও সেতু নির্মাণের কোন ব্যবস্থা হয়নি।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় দীর্ঘ তিন যুগ ধরে এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওই খাল পারাপারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। সাঁকোটির পশ্চিম পাশে হাফেজিয়া মাদরাসা, এতিমখানা ও মসজিদ থাকায় শিশুদের ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হতে হয়। এছাড়া অসুস্থ রোগীকে সাঁকো পার করতে দুর্ভোগের সীমা থাকেন না।
আরও পড়ুন: দেবে গেছে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক, জনদুর্ভোগ চরমে
৭ নং দক্ষিণ কচুয়া ইউনিয়নের (ইউপি) সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘দীর্ঘ বছর যাবৎ এলাকাবাসীর চাঁদায় স্বেচ্ছাশ্রমে এই বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করে লোকজন চলাচল করছেন। বর্তমানে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ার কারণে চলাচল প্রায় বন্ধই হয়ে গেছে। অনেক সময় জরুরি মুহূর্তে পানিতে সাঁতার কেটে পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা।’
তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল বলে এতো দিন শিক্ষার্থীদের খুব একটা সুবিধা হয়নি। কিন্তু এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। তাই শিক্ষার্থীরা নিরাপদে চলাচল করার জন্য এলাকাবাসীকে নিয়ে পুনরায় সাঁকোটি নির্মাণের জন্য কাজ করছি।’
ইউপি সদস্য বলেন, ‘আমি কয়েকবার সেতুটি নির্মাণের জন্য কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিডি) অফিসকে অবগত করছি। উনারা সেতু নির্মাণের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
আরও পড়ুন: ওয়াই সেতু নির্মাণে রাঙ্গামাটির বিচ্ছিন্ন দুই দ্বীপবাসীর স্বপ্নপূরণ
গ্রামবাসীর দাবি, সরকারি উদ্যোগে সেতুটি নির্মাণ করা হলে তিন হাজারের বেশি মানুষ উপকৃত হবে। তাই সরকারিভাবে জনস্বার্থে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে সরকারের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।
হোসেনপুর গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধ শফিকুল ইসলাম তালুকদার ও সানা উল্লাহ তালুকদার বলেন, আমাদের ভোগান্তি কেউই দেখতে আসেন না। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয় না। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের প্রশ্ন, এই ভোগান্তি কবে শেষ হবে?
আরও পড়ুন: কোটিপতি ছেলের বাসায় আশ্রয় হলো না মায়ের
একই গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, এই বাঁশের সাঁকোটি গ্রামের লোকজন কষ্ট করে নির্মাণ করে থাকেন। কিন্তু বর্ষার মৌসুম আসলে তাদের একমাত্র চলাচলের সাঁকোটি পানিতে ভেসে যায়। এরপর চলাচলের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের।
কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, জনস্বার্থে এখানে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে।
৩ বছর আগে