গুলাব
রাতে ভারতে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ আরও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। ফলে এটি আজ রাতে (২৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উত্তরাঞ্চল এবং উড়িষ্যার দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হনতে পারে বলে দেশটির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
গুলাবের প্রভাবে প্রতিবেশী বাংলাদেশে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
ভারতীয় আবহাওয়া অফিস আজ সকালে জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘গুলাব’। পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য উড়িষ্যা এবং প্রতিবেশী দক্ষিণ-পূর্ব রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশে ৯৫ কিলোমিটার বেগে বাতাসের গতিতে আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়া অফিস এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ‘গুলাব’ উত্তর-পশ্চিম এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে গোপালপুরের প্রায় ২৭০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্ব এবং কলিঙ্গপত্তনমের ৩৩০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান করছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’: সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত
স্থানীয় জনগণকে সহায়তা করার জন্য ইতোমধ্যে উভয় রাজ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) মোতায়েন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে ভারতীয় রেলওয়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করেছে।
বাহিনীর প্রধান সত্য নারায়ণ প্রধান স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উড়িষ্যায় ১৩টি এবং অন্ধ্রপ্রদেশে পাঁচটি এনডিআরএফ টিম মোতায়েন করা হয়েছে। দুটি রাজ্যের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী বেশ কিছু মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’
এদিকে, রবিবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রায় ৬২ কিলোমিটার দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলো ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ
অক্টোবরে আবার টিকা রপ্তানি শুরু করবে ভারত
৩ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’: সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ আরও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
রবিবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রায় ৬২ কিলোমিটার দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
উত্তাল বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
পড়ুন: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত, পিরোজপুরে নিরাপদ আশ্রয়ে মাছ ধরার ট্রলার
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার
৩ বছর আগে