ইংরেজি
টোফেল পরীক্ষার নিবন্ধন করবেন যেভাবে
উচ্চশিক্ষায় ইংরেজি ভাষা দক্ষতা যাচাইয়ের একটি প্রমিত নিরীক্ষণ ব্যবস্থা টোফেল বা টিওইএফএল; পূর্ণরূপ টেস্ট অব ইংলিশ অ্যাজ এ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ। ১৯০টিরও বেশি দেশের ১১ হাজারেরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রধান যোগ্যতা হিসেবে মূল্যায়ন করা হয় এই পরীক্ষার ফলাফল। এই পরীক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ন এবং বিশ্ব জুড়ে এর পরিচালনার নেপথ্যে থাকা সংস্থাটির নাম এডুকেশনাল টেস্টিং সার্ভিস (ইটিএস)। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ভিত্তি ইটিএস টোফেল স্কোর প্রস্তুত করে, যার মেয়াদ থাকে ২ বছর। এই স্কোর সরাসরি ইটিএস-এর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। চলুন, উচ্চশিক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টোফেল পরীক্ষার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
টোফেল পরীক্ষার নিবন্ধনের পূর্বে যা জানা জরুরি
নিবন্ধনের মাধ্যম
ইটিএস-এর ওয়েবসাইট (www.ets.org/)-এর পাশাপাশি এই নিবন্ধনের জন্য রয়েছে টোফেল অ্যাপ- মাইটোফেল। এটি বিনামূল্যেই পাওয়া যাবে অ্যাপেলের অ্যাপ স্টোর বা গুগল প্লে’তে। তবে অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনটি শুধুমাত্র কেন্দ্রে যেয়ে সশরীরে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। টোফেল আইবিটি (ইন্টারনেট-বেইজড টেস্ট) হোম সংস্করণ কিংবা কাগজ সংস্করণের জন্য অবশ্যই ইটিএস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে।
পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ
টোফেল আইবিটি পরীক্ষা সপ্তাহে ৬ বার অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কোনো একটি অনুমোদিত কেন্দ্রে যেয়ে অথবা উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে ঘরে বসেও এই টেস্টে অংশ নেওয়া যায়।
আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
এছাড়া টোফেল এক বছরে ৫০ বারেরও বেশি অনুষ্ঠিত হয়। তাই শিক্ষার্থীরা যতবার খুশি পরীক্ষা দিতে পারেন। তবে প্রথম অ্যাপয়েন্টমেন্টের ১২ দিনের মধ্যে টোফেল রিটেক দেওয়া যায় না।
পরিবর্তনযোগ্য সময়সীমা
পরীক্ষা কেন্দ্র এবং তারিখ সংক্রান্ত যাবতীয় হালনাগাদকৃত তথ্য ইটিএস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এগুলো যে কোনো সময় বিভিন্ন কারণে পরিবর্তন হতে পারে। তাই অ্যাপয়েন্টমেন্টের সর্বশেষ অবস্থা যাচাইয়ের জন্য নিয়মিত ইটিএস অ্যাকাউন্ট চেক করা জরুরি। অনেক ক্ষেত্রে সব পরীক্ষার তারিখে সব কেন্দ্র খোলা থাকে না।
পরীক্ষার সঠিক দিনক্ষণ নির্ধারণ
পরীক্ষার দিন থেকে প্রায় ৬ মাস আগে নিবন্ধন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সাধারণত পরীক্ষার তারিখের স্লটগুলো খুব দ্রুত পূর্ণ হয়ে যায়। তাই কাঙ্ক্ষিত তারিখ ও কেন্দ্র পেতে যত শিগগিরই সম্ভব নিবন্ধন করা উচিত। বিশেষ করে পরীক্ষার দিন থেকে প্রায় ৪ মাস আগে নিবন্ধন করলে পছন্দের স্লট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরো পড়ুন: রোমানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
পরীক্ষার তারিখগুলো এমনভাবে নির্ধারণ করা উচিত যেন তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক আবেদন বা সময়সীমার কমপক্ষে ২ থেকে ৩ মাস আগে পড়ে।
টোফেল নিবন্ধন ফি
বর্তমানে নিয়মিত টোফেল অনলাইন নিবন্ধন ফি ২০৫ মার্কিন ডলার বা প্রায় ২৪ হাজার ৯৩ টাকা (১ মার্কিন ডলার = ১১৭ দশমিক ৫২ বাংলাদেশি টাকা)। নিয়মিত নিবন্ধন পরীক্ষার ৭ দিন আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরেও নিবন্ধন নেওয়া হয়, তবে তা বিলম্বিত নিবন্ধন হিসেবে গ্রাহ্য হয় এবং তার জন্য অতিরিক্ত ৪০ মার্কিন ডলার (প্রায় ৪ হাজার ৭০১ টাকা) ফি দিতে হয়। পরীক্ষার দিনের ঠিক ২ দিন আগে এই বিলম্বিত নিবন্ধনও বন্ধ হয়ে যায়।
প্রয়োজনীয় যোগাযোগের নাম্বার
নিবন্ধনসহ টোফেল সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায় সরাসরি চ্যাট করার জন্য https://auto.proctoru.com/chat/ -এই লিংকে যেতে হবে। এছাড়া সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য রয়েছে ফোন নাম্বার: ১-৬০৯-৭৭১-৭১০০।
আরো পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
টোফেল পরীক্ষার নিবন্ধন পদ্ধতি
ইটিএস-এ অ্যাকাউন্ট তৈরি
নিবন্ধনের আগে প্রথম কাজ হচ্ছে ইটিএস পোর্টালে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা। এর জন্য সরাসরি চলে যেতে হবে www.ets.org/mytoefl-লিংকে। অতঃপর ইউজার নেম, ই-মেইল ঠিকানা, এবং কয়েকটি নিরাপত্তামূলক প্রশ্নোত্তর সেট করতে হবে। পরবর্তী পর্যায়ে প্রদানকৃত ই-মেইল ঠিকানায় সেই ইউজার নেম ও একটি অস্থায়ী পাসওয়ার্ডসহ একটি বার্তা পাঠানো হবে। এই নাম ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার পরে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে বলা হবে। এখানে নিজের পছন্দমতো একটি পাসওয়ার্ড সেট করার মাধ্যমেই সফলভাবে অ্যাকাউন্ট তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে।
নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি প্রদান
অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে প্রার্থীর ইটিএস আইডি তার মাইটোফেল হোমে প্রদর্শিত হবে। এবার নিবন্ধনের স্ক্রিনে এই আইডিসহ প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্যসহ বিভিন্ন বিবরণী চাওয়া হবে। এখানে বিশেষ করে (*) তারকাচিহ্ন বিশিষ্ট ঘরগুলো নির্ভুলভাবে পূরণ করা জরুরি। এখানে প্রার্থীর নামের বানান অবশ্যই তার পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড)-এর সাথে হুবহু মিল থাকতে হবে। সঙ্গত কারণেই নিবন্ধন ফর্ম পূরনের সময় পাসপোর্ট ও এনআইডি কার্ড সঙ্গে রাখা অপরিহার্য। সব তথ্য দেওয়া হয়ে গেলে প্রার্থীর প্রোফাইলে তার প্রত্যেকটি প্রদর্শিত হবে।
পরীক্ষার দিনক্ষণ ও কেন্দ্র নির্ধারণ
এ অংশে টোফেল কেন্দ্র ও তারিখ নির্বাচন করতে হবে। স্ক্রিনে প্রদর্শিত তারিখগুলোর পরে পরীক্ষার নির্দিষ্ট কেন্দ্রগুলোর তালিকা দেখাবে। যে কোনো কেন্দ্রের ওপর ক্লিক করলে নির্বাচিত তারিখের জন্য সুনির্দিষ্ট সময়সূচিগুলো দেখা যাবে।
আরো পড়ুন: অস্ট্রিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও স্কলারশিপসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
স্কোর পাঠানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম লিপিবদ্ধ করা
টোফেল স্কোরের প্রাপক হিসেবে সর্বোচ্চ ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম অন্তর্ভূক্ত করা যায়। এই অন্তর্ভূক্তির শেষ সময় পরীক্ষার আগের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত। এরপরে অতিরিক্ত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যুক্ত করার জন্য ২০ মার্কিন ডলার (প্রায় ২ হাজার ৩৫১ টাকা) করে ফি দিতে হবে। সেই সময়ের পরে ইতোমধ্যে লিপিবদ্ধকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম পরিবর্তন করা বা সম্পূর্ণ মুছে ফেলা যাবে না।
বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোডগুলো ইটিএস-এর ওয়েবসাইটেই (www.ets.org/toefl/test-takers/) পাওয়া যায়।
সংযুক্তি আপলোড ও নিবন্ধন রিভিউ
এখানে উল্লেখকৃত তথ্যাবলির সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় শনাক্তকরণ নথিপত্র আপলোড করতে হবে। সেই সাথে একটি ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারও উল্লেখ করা জরুরি।
আরো পড়ুন: চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষা: পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
নিবন্ধন ফি পরিশোধ
এটিএস-এ সর্বাধিক গৃহীত পরিশোধের মাধ্যমগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড। ভিসা, মাস্টারকার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস এবং ডিস্কভার-এর মতো ডুয়েল কারেন্সি কার্ডগুলো দিয়ে নিবন্ধনকরণ চলাকালেই অনলাইনে ফি প্রদান করা যায়।
নিশ্চিতকরণ ই-মেইল
সবশেষে নিবন্ধন সফলভাবে সম্পন্ন হলে প্রার্থীর ইটিএস অ্যাকাউন্টে পরীক্ষার তারিখ ও কেন্দ্রের বিবরণসহ একটি বার্তা পাঠানো হবে।
পরিশিষ্ট
সর্বসাকূল্যে, অনলাইনে টোফেল পরীক্ষার নিবন্ধন ব্যবস্থাটি নিরবচ্ছিন্ন হওয়ায় তা যথেষ্ট সহজ, এবং বেশ সাবলীলতার সাথেই তা সম্পন্ন করা যায়। পছন্দমতো পরীক্ষার দিনক্ষণ ও স্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৪ মাস আগে নিবন্ধন করা উচিত। অবশ্য নানা কারণে যে কোনো সময় পরীক্ষার কেন্দ্র ও সময় পরিবর্তন হতে পারে। তাই ইটিএস প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত সর্বশেষ নোটিশগুলো নিয়মিত চেক করা অপরিহার্য। পরবর্তীতে প্রয়োজনে রিশিডিউলের বিকল্প থাকলেও আগে থেকে একটি সুষ্ঠু কর্মপরিকল্পনা নিয়ে প্রতি পদক্ষেপে অগ্রসর হওয়া উচিত। কেননা একটি কাঙ্ক্ষিত স্কোর নির্বিঘ্ন ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
৪ মাস আগে
মায়ের মতো মাতৃভাষাকেও ভালোবাসতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেছেন, আমরা দেশমাতাকে যেমন ভালোবাসি, তেমনি ভাষাকেও ভালোবাসতে হবে। বাংলা ভালোভাবে শিখতে ও ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, ভাষার বিকৃতি যেন আমরা না করি। কমপক্ষে আরেকটি ভাষা শিখি। ইংরেজি ভাষা সারা বিশ্বে চলে, সেই ভাষা অন্তত শিখব।
আরও পড়ুন: নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে গুজবে কান দিবেন না: দীপু মনি
আর কেউ যদি তৃতীয় ও চতুর্থ ভাষা শিখো, তাহলে তো কথাই নেই। সারা পৃথিবীর দরজা তোমার জন্য খোলা।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন অলিম্পিয়াড ২০২২ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ভাষার শেখার পাশাপাশি তোমাদেরকে আইসিটিও শিখতে হবে। আইসিটিও কিন্তু এখন স্বাক্ষরতার অংশ। এক সময় আমরা শিখতাম ক, খ, এ বি সি এবং এক দুই তিন।
কিন্তু এখন আইসিটির বর্ণমালা শিখতে হচ্ছে। পাশাপাশি তোমাদেরকে বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং সূক্ষ্ম জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে।
দীপু মনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছিলাম। আজকে তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পন্নোয়ন দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছি। আগামী দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।
তার জন্য স্মার্ট নাগরিক লাগবে, আর সেই স্মার্ট নাগরিক হবে তোমরা। তার জন্য তোমাদেরকে সে গুণাবলী অর্জন করতে হবে।
তিনি ছেলে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমি আশা করি তোমরা ছেলেরা নিজেদেরকে এমনভাবে গড়ে তুলবে, যাতে তোমরা নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। তুমি যেমন মানুষ, একজন নারীও মানুষ। কাজেই তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাস, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, হাজীগঞ্জ পাইলট সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদ।
আরও পড়ুন: অনেক নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস নেই: দীপু মনি
তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটাকে পচিয়ে ফেলেছে বিএনপি: দীপু মনি
১ বছর আগে
ইবি উপাচার্যের সঙ্গে তুরস্কের প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
তুরস্কের চানকিরি কারাতেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বুধবার ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অফিসের কনফারেন্স রুমে তারা এ সাক্ষাৎ করেন।
তুরস্কের প্রতিনিধিদলে সদস্যরা হলেন- ড. সারকান কোলডাস, ড. ইফেহান উলাস ও এইস নূর।
এসময় ইবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো.আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আতাউর রহমান, আইআইইআর-এর পরিচালক ও ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহা. মেহের আলী, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে যৌথ গবেষণা, ক্রেডিট ট্রান্সফার এবং গবেষণাগার উন্নয়নে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ গত ২৮ মে থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ এবং পরিসংখ্যান বিভাগের সঙ্গে শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ বিনিময় কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৫০ টাকায় কম্পিউটার বিক্রি, ইবির সেই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
ছাত্রাবাস থেকে ইবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
ইবির ইংরেজি বিভাগের নতুন সভাপতি ড. মেহের
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগের নতুন সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মেহের আলী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম আগামী তিন বছরের জন্য তাঁকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আতাউর রহমান।
শনিবার দুপুর ১২টায় বিভাগীয় সভাপতির কক্ষে অনুষ্ঠিত এক দায়িত্ব-হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় ও সদ্য বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ড. সালমা সুলতানার সভাপতিত্বে দায়িত্ব হস্তান্তর ও গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, বিভাগের অধ্যাপক ড শাহাদাৎ হোসেন আজাদ, অধ্যাপক ড. মিয়া মো. রাশিদুজ্জামান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ড. মেহের আলী এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন এ্যান্ড রির্সাচের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয়দের হামলায় ইবির সাত শিক্ষার্থী আহত, প্রতিবাদে বিক্ষাভ
ইবির শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ১২ ডিসেম্বর
২ বছর আগে
আমাদের প্রাথমিক, মাধ্যমিক শিক্ষা ও প্রসঙ্গ কথা
দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৩২টি স্কুলকে সরকারিকরণ এবং বেশ ক’টি নতুন সরকারি স্কুল নির্মাণের পরও ২০১৯ সালের নভেম্বরের হিসাব অনুযায়ী দেশে মাধ্যমিক স্তরের সরকারি স্কুলের সংখ্যা মাত্র ৬৬৫টি। ১৯৯০ সালের পর গত তিন দশকে ছাত্রীদের শিক্ষার হার আনুমানিক ৫ গুন বেড়েছে। ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ বালিকা। বর্তমানে দেশে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা নামমাত্র বাধ্যতামূলক এবং কেবলমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবৈতনিক। তবে ভর্তি ফি, পুনঃভর্তি ফি’র চাপমুক্ত নয়।
স্বাধীনতার পর দেশে প্রাইমারি স্কুলের সংখ্যা ছিল ৩২ হাজারের বেশি, মাধ্যমিক ৬ হাজারের কম। বর্তমানে মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রাইমারি পাশ করার পর এখন প্রায় ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে হাইস্কুলে ভর্তি হচ্ছে যা আশাব্যাঞ্জক। যেখানেই পড়ুক, সব শিশু যেন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেষ করে সেটা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে আরও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেষ না করলে কাঙ্খিত ভিত্তি নির্মিত হবে না। সেই লক্ষ্যে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে সৃদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রবেশদ্বারকে সুগম করতে হবে। সেক্ষেত্রে বাণিজ্য/কলা/বিজ্ঞান ইত্যাদি বিভাজন উচ্চমাধ্যমিক খেকে কার্যকর হওয়াই বাঞ্ছনীয়। এর বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক ভাবনা চিন্তা আশার পালে হাওয়া দিচ্ছে।
মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাত্র ৬৩ শতাংশ সরকারি স্কুলে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। বেসরকারি স্কুলের লেখাপড়ার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের অভিভাবক। ভর্তিতে অনিয়ম, যথেচ্ছ মাসিক বেতন, ভর্তি ফি, পুনভর্তি ফি সহ নানাবিধ অনৈতিকতার চর্চা শিক্ষার কাঙ্খিত সুন্দর পরিবেশকে ব্যাহত করছে, আহত করছে। নানাবিধ কোটার আবর্তে ভর্তি প্রক্রিয়া বাণিজ্যমুখীতার চোখ রাঙাচ্ছে, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার মানও প্রশ্নবিদ্ধ।
শিখন সংকট:
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে শেখার চাইতে পরীক্ষায় পাশ এবং উচ্চতর গ্রেড অর্জন মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্নপত্র মাথায় রেখেই স্কুলের পড়াশোনা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে। হাত বাড়ালেই নোটবই আর পা বাড়ালেই কোচিং সেন্টারের খাঁড়াতো আছেই। শঙ্কা ও হতাশার ব্যাপার হচ্ছে জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থীই জিপিএ-এর মানে জানে না! ক্লাস সেভেনে পড়া শিক্ষার্থী ‘আমি ৭ম শ্রেণিতে পড়ি’ এই বাক্যের ইংরেজি অনুবাদ জানে না। আবার অনেকে অনুবাদ শব্দের অর্থই জানে না! যোগ্য শিক্ষকের অভাবই এর অবশ্যম্ভাবী কারণ।
চারপাশে নিম্নমানের কিন্ডারগার্টেন নামের প্রাথমিক স্কুল ছড়িয়ে রয়েছে। মুনাফা অর্জনই এসব প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীদের মূল লক্ষ্য। টেনে টুনে গ্র্যাজুয়েট এবং উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক (অধিকাংশ শিক্ষিকা) দিয়েই এসব স্কুলের পাঠক্রম পরিচালিত হয়। শিক্ষকদের বেতন ১৫০০-২০০০ টাকা! শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়িয়ে ওনারা কোনভাবে পুষিয়ে নেন। এর পরিণাম ভয়াবহ হতে বাধ্য।
ইংরেজি না জানলে কিছুতেই আর চলবেনা এই স্লোগানে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে আমরা ছুটছি ভার্সন নামের আকর্ষণে। আর সেই সুযোগে সহজে মুনাফা অর্জনের বাণিজ্যে ঝটপট নেমে পড়েছেন চতুর বেনিয়া সম্প্রদায়। হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে আমরা পতঙ্গসম ঝাঁপিয়ে পড়েছি সন্তানকে ইংরেজির আলোয় আলোকিত করবো আশায়, যে মানের শিক্ষক বাংলা ভাষাই ঠিকমতো জানেন না, তিনি কি ইংরেজি শেখাবেন? ভুল উচ্চারণের ভুলভাল ইংরেজি শিখতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা মাতৃভাষা বাংলাও ভুলে যায়। ওরা এখন বাংরাজী ভাষায় কথা বলে!
কিন্ডারগার্টেন ও ইংলিশ ভার্সন স্কুলের ডামাডোলে একটু একটু করে গুছিয়ে নিতে থাকা বাংলা মাধ্যম স্কুল শিক্ষার্থী সংকটে মুখ থুবড়ে পড়ে। অনেক স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে মানসম্মত বাংলা মাধ্যম স্কুলের সংকট দেখা দেয়। সরকারি স্কুলেও শিক্ষার্থী সংকুলান হয় না।
শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে শুরু হয় সৃজনশীল পাঠদানের। চমৎকার সংযোজন। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সামর্থ্য যাচাই করার সুযোগ পায়। কিন্তু এই পদ্ধতির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের অপ্রতুলতার কারণে এর সুফললাভ ব্যাহত হচ্ছে।
এবার মূল বিষয়ে আসা যাক। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা যার জন্য ১৯৫২ সালে প্রাণ দিয়েছেন ভাষা শহীদেরা। একাত্তরে ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছে ত্রিশ লাখ শহীদ। অথচ সর্বস্তরে বাংলাভাষার প্রচলন নীরবে চোখের জল ফেলছে।
এমনটা হলে পরে:
চর্চার ক্ষেত্রে বাংলাভাষাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরার লক্ষ্যে দেশজুড়ে মানসম্মত বাংলা মাধ্যম স্কুল স্থাপন এখন সময়ের দাবি। বানান এবং উচ্চারণের প্রতি যত্নশীল হওয়ার বিকল্প নেই। নির্দিষ্ট সংখ্যক বানানের জন্য নম্বর কর্তনের বিষয় বিবেচনা করলে কেমন হয়? উচ্চারণ, বানান, শিক্ষাদান পদ্ধতি ইত্যাদি সকল বিষয়ে শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণদান নিশ্চিত সুফল বয়ে আনবে।
লেখক: কবি ও শিশু সাহিত্যিক গোলাম কুদ্দুস চঞ্চল
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
আরও পড়ুন: শিক্ষা কাঠামো আধুনিক হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রমে ছেলে-মেয়েরা আনন্দের মধ্যে পড়াশোনা শিখবে: দীপু মনি
ডেঙ্গু বান্ধব অসহায় ঢাকা!
৩ বছর আগে