অগ্নি নিরাপত্তা
'ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা অভিযানের নামে হয়রানি' অভিযোগ রেস্তোরাঁ মালিকদের
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা রেস্তোরাঁগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে এই অভিযানকে ‘লোক দেখানো ও হয়রানি’ বলে অভিযোগ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিকরা।
বেইলি রোডের আগুনের পর ধানমন্ডি গুলশান, খিলগাঁও, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় একই রকম অনিরাপদ পরিবেশে ভবনজুড়ে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলার বিষয়টি আলোচনায় আসে।
এদিকে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির অভিযোগ, এসব অভিযানে সমন্বয় নেই। সরকারি সংস্থাগুলো যে যার মতো অভিযান চালাচ্ছে। চলমান এসব অভিযানকে ‘হয়রানি’ ও ‘লোক দেখানো অভিযান’ বলে দাবি করেছেন তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ইউএনবিকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর বিচ্ছিন্ন অভিযান কাম্য নয়। এসব অভিযান তো নিয়মিত পরিচালনা করার কথা ছিল। সমস্যা সমাধানে সমন্বিত অভিযান প্রয়োজন। অন্যথায় এ ধরনের অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।’
কোনো ভবন ত্রুটিপূর্ণ থাকলে রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্টদের দায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওইভাবে ভবনে অভিযান হলে আগে তো রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ভবন মালিকের গ্রেপ্তার হওয়ার কথা। ওই অবৈধ ভবন ভাড়া নিয়ে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলা মালিক এরপর আসবে। কিন্তু ভবনে ত্রুটির দায়ে তাদের গ্রেপ্তার না করে একজন রেস্টুরেন্টকর্মীকে গ্রেপ্তার বা আটক করা অন্যায়। কেননা তারা এই প্রক্রিয়ার কোনো অংশই নয়। তাদের বলির পাঁঠা বানিয়ে দায়ীদের বাঁচিয়ে দেওয়ার এটা একটা প্রক্রিয়া।’
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
এ বিষয়ে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও আমাদের কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। বর্তমান সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাই। তার কাছে আমরা বিষয়টি জানাতে চাই। উনি যদি মনে করেন আমরা দোষী তাহলে আমরা সব বন্ধ করে দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি অবশ্যই আছে। তাই বলে কি সব বন্ধ করে দেওয়া লাগবে? সব সেক্টরের ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, তার মানে তো এই নয় যে, সব বন্ধ করে দেবেন। এসব অভিযান লোক দেখানো। আসল জায়গায় কেউ হাত দেয় না। এই ব্যর্থতার দায় কেউ নেবে না। আমরা মালিক সমিতি হিসেবেও ব্যর্থ হয়েছি।’
অভিযানে কতটি রেস্তোরাঁ বন্ধ করা হয়েছে জানতে চাইলে মহাসচিব বলেন, এখন পর্যন্ত ঢাকায় ৪০টি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একটি রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন সংস্থার ১২টি লাইসেন্স থাকার পরও সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানের মাধ্যমে জুলুম করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: ৪ জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
দেশে কতগুলো রেস্টুরেন্ট আছে এবং কর্মসংস্থান সংখ্যা কত হবে চাইলে তিনি জানান, বর্তমানে দেশে ৪ লাখ ৮১ হাজার রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখানে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২ কোটি মানুষ এ পেশার ওপর নির্ভরশীল।
ইমরান হাসান বলেন, এই ক্ষতি আমরা কীভাবে পোষাব। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ধরে আমরা যে ইমেজ তৈরি করেছি, সেটি নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।
হয়রানি না করে টাস্কফোর্স গঠন করে রেস্তোরাঁ ব্যবসা চালু রাখার ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
রেস্তোরাঁ সেক্টরে এই প্রথম এত বড় দুর্ঘটনা হয়েছে। তবে এটিই শেষ দুর্ঘটনা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে সবাইকে একটি নীতিমালার আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের দায় সরকারকে নিতে হবে: সংসদে চুন্নু ও রেজাউল
এদিকে গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদে অননুমোদিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে অভিযান কার্যক্রমে সমন্বয়হীনতা নিয়ে অভিযোগ করেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
তিনি বলেন, সরকারের কোন সংস্থা গিয়ে কোন ভবন ভাঙবে, তা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে।
জাপা মহাসচিব আরও বলেন, এক ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে দোকান ভাঙেন। আরেকজন গিয়ে বলছেন বন্ধ করেন। এতে করে এলোপাতাড়ি হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এটা না হয়, তার জন্য দায়িত্বশীলদের সমন্বিতভাবে ধীরস্থিরভাবে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে সমন্বয়হীনতার অভাবে আবারও সমস্যা হবে।
রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা ইউএনবিকে বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা তৈরি করা হবে। চিহ্নিত ভবনের প্রবেশমুখে ঝুঁকিপূর্ণ নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগও বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, রাজউক ভবন নির্মাণে অনুমোদন দিলেও, এরপর সেখানে ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিসের সনদ, কলকারখানা অধিদপ্তরের সনদ নিয়ে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করতে হয়। তাই রাজউক চাইলে একা এখানে কিছু করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মানায় অগ্নিকাণ্ডে এত হতাহত: মেয়র তাপস
৭ মাস আগে
নারায়ণগঞ্জে দুটি রুফটপ রেস্টুরেন্টে অভিযান
নারায়ণগঞ্জে চাষাঢ়ায় দুটি রুফটপ রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়েছে সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিস।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত শহরের চাষাঢ়া বঙ্গবন্ধু সড়কের সমবায় মার্কেটের টপ ফ্লোরের লা ভিস্তা রেস্টুরেন্ট ও পাশের মেডিনোভা হাসপাতাল ভবনের টপ ফ্লরের চাঁদের পাহাড় রেস্টুরেন্টে এ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় অসঙ্গতি পেয়ে প্রতিষ্ঠান দুটিকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় রেস্টুরেন্টগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অভিযান সংশ্লিষ্টরা।
অভিযানে অংশ নেওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোস্তফা জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এলাকায় যেসব ভবন আছে, বিশেষ করে যেসব ভবনে একাধিক খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে বা যেখানে অগ্নিকাণ্ডের কোনো ধরনের আশঙ্কা আছে সেগুলো চেক করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এই অভিযানে সহযোগিতা করছে।
তিনি বলেন, দুটি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানই নিয়ম বহির্ভূতভাবে টপ ফ্লোরে করা হয়েছে। এমনকি তাদের কাছে ভবনের নকশাও নেই।
অগ্নিঝুঁকির বিষয়ে ডা. মোস্তফা বলেন, একটা ভবনের জরুরি বহির্গমণ পথ সেটি সব সময় সচল থাকার কথা। আগুন নেভানোর জন্য যেটা ফায়ার হাইড্রোলিক সেটা বেশিরভাগ স্থানে অচল। ভবনে অগ্নিনিরাপত্তাজনিত কোনো ব্যবস্থা আমরা দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, খাবার পরীক্ষা করে দেখা যায়, খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার সংরক্ষণ করা হচ্ছে, মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরউদ্দিন জানান, তাদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে তবে স্ট্রাকচারের বাইরে যেসব রুফটপ আছে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাঁদের পাহাড় ও লা ভিস্তা দুটি প্রতিষ্ঠানেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না বলে আমরা তাদের সতর্ক করেছি।
অভিযানে সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আলমগীর হীরন, ফুড অ্যান্ড স্যানিটেশন অফিসার শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৭ মাস আগে
অগ্নি নিরাপত্তা: ঢাকার অভিজাত এলাকার রেস্টুরেন্টগুলো কতটা নিরাপদ?
রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত ধানমন্ডি, গুলশান ও বনানী এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট। যেগুলোর বেশিরভাগই করা হয়েছে বহুতল ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকার বেশির ভাগ রেস্টুরেন্টে নেই অগ্নি নিরাপত্তা। লিফট ও একটি সিঁড়ি ছাড়া জরুরি বহির্গমনে আর কোনো সিঁড়িও নেই অধিকাংশের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বেইলি রোডের ঘটনায় মানুষের মধ্যে এখন একটি আতঙ্ক কাজ করছে।
আরও পড়ুন: রেস্টুরেন্টে খেতে লাগবে ভ্যাকসিন কার্ড: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ধানমন্ডি-গুলশান-বনানীর বিভিন্ন এলাকায়ও যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এমন বহু রেস্টুরেন্ট। অগ্নি নিরাপত্তা লাইসেন্স ছাড়া বছরের পর বছর চলছে এসব রেস্টুরেন্ট। আবাসিক ভবনগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা ও রেস্টুরেন্টগুলোতে খেতে আসা অনেকেই বলছেন, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনার মতো অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্ক আছে ধানমন্ডি-গুলশান-বনানী এলাকাতেও। আগে থেকে ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব এলাকার প্রায় প্রতিটি অলিগলিতে রয়েছে ক্যাফে ও রেস্টুরেন্ট। কিছু ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে রেস্তোরাঁ। এসব ভবনের প্রায় পুরোটাই কাচে ঘেরা। ফলে, বাইরে থেকে ভেতরে আলো-বাতাস ঢোকার কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে কাচ ভাঙা ছাড়া ভেতরে পানি দেওয়ারও কোনো উপায় নেই।
এসব ভবনে ছোট পরিসরে সিঁড়ি রয়েছে। ওই সিঁড়ি দিয়ে জরুরি বহির্গমনের সুযোগ খুব কম। কারণ সিঁড়িগুলোতে হয় বিভিন্ন মালামাল রাখা, নয়তো রেস্টুরেন্টগুলোর ভেতর থেকে সিঁড়িতে যাওয়ার গেট বন্ধ থাকে। সেক্ষেত্রে রেস্টুরেন্টগুলোতে কখনো আগুনের ঘটনা ঘটলে রেস্টুরেন্টে খেতে আসা মানুষ বুঝতেই পারবে না সিঁড়ি কোনদিকে আছে।
গুলশানে বসবাসকারী ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান ইউএনবিকে বলেন, ‘বেইলি রোডের ঘটনার পর গুলশান-বনানী এলাকায় রেস্টুরেন্টেগুলোতে পরিবার নিয়ে যেতে চাইলে আতঙ্ক কাজ করছে। কোন রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটি আছে বা নেই আমাদের জানা নেই।’
একই ভাবে বনানীতে বসবাসকারী আরেক ব্যবসায়ী দিদারুল হক সানি ইউএনবিকে বলেন, ‘বেইলি রোডের ঘটনার পর আপাতত রেস্টুরেন্টে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ অগ্নি নিরাপত্তা এখন বড় একটি ইস্যু। গুলশান-বানানী এলাকায় রেস্টুরেন্টে নেই ফায়ার সেফটি।এ বিষয়ে রাজউক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সঠিকভাবে তদারকি করলে সব রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটি মানতে বাধ্য হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ইউএনবিকে বলেন, ‘ধানমন্ডি-গুলশান-বনানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিটি অলিগলিতে রয়েছে ক্যাফে ও রেস্টুরেন্ট। কিছু কিছু ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে রেস্টুরেন্ট। এসব ভবনের প্রায় পুরোটাই কাচে ঘেরা। ফলে, বাইরে থেকে ভেতরে আলো-বাতাস ঢোকার কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে কাচ ভাঙা ছাড়া ভেতরে পানি দেওয়ারও কোনো উপায় নেই।’
আদিল বলেন, বেইলি রোডের ঘটনার পর মানুষের মধ্যে একটি আতঙ্ক কাজ করছে। বেইলি রোডের মতো আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনি ব্যবস্হা নিতে হবে। না হলে আবার আরেক জায়গায় আগুনের ঘটনা ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, বেইলি রোডের মতো ধানমন্ডি, গুলশান ও বনানী এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট। এসব রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটি আছে কি না রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রেস্টুরেন্টের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
ড. আদিল বলেন, ‘বহুতল ও বিশেষ ব্যবহারের ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার এলার্ম এগুলো ছিল কি না তা তদারকি করা প্রয়োজন। ভবনের সেফটি অডিট করানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’
‘অনেক ভবন নিয়ম অনুযায়ী ২টি সিঁড়ি রাখলেও ফায়ার বহির্গমনের সিঁড়িটা অনেকে গুদামঘর হিসেবে ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে জরুরি বহির্গমনের সিঁড়ি অন্য কোনো কাজে বা উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিরৎসাহিত করতে হবে।’
অনেকেই ভবনের ব্যবহার পরিবর্তন করে অ-আবাসিক ক্যাটাগরিতে ফেলে। এই “অ-আবাসিক” নাম ব্যবহার করে আবাসিক ভবন বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে বলে জানান অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।
এ বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা ইউএনবিকে বলেছেন, বেইলি রোডের মতো যেন আর ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। সেসব রেস্টুরেন্টে ফায়ার সেফটি নেই সেগুলো আমরা ব্যবস্হা নেব। ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করতে কাজ করছি।
চেয়ারম্যান বলেন, যেসব আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। আবাসিক ভবনের নামে অনুমোদন নিয়ে সেখানে রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলা হয়েছে, অথচ তাদের বাণিজ্যিক অনুমোদন নেই। এ বিষয়ে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, রাজউক থেকে নকশা অনুমোদন নেয় একভাবে আর বিল্ডিং করে নকশা বহির্ভূতভাবে। আবাসিক ভবন বাণিজ্যিক ব্যবহার করছে অনুমোদনের বাইরে। এসব বিষয়ে যখনই নজরে আসছে তখনই ব্যবস্হা নিচ্ছি। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে জানা যায়, রাজধানীতে রাজউকের আওতায় ৫ লাখ ১৭ হাজার ভবন রয়েছে। এর মধ্যে অনুমোদন রয়েছে ২ লাখের। অনুমোদিত ভবনের মধ্যে ৯০ শতাংশ নকশার বিচ্যুতি ঘটিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এক টাকার রেস্টুরেন্ট!
৭ মাস আগে
নৌযানের অগ্নি নিরাপত্তায় আরও সচেতন হোন: নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ডিজি
অভ্যন্তরীণ নৌযানের অগ্নি নিরাপত্তায় আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজধানীর সদরঘাটের সুন্দরবন-১৬ লঞ্চে অনুষ্ঠিত অভ্যন্তরীণ নৌযান ও জাহাজের অগ্নি নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও শিপ সার্ভেয়ার মো. মঞ্জরুল কবির।
মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম বলেন, নৌযানের অগ্নিসংযোগ হলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হয়। একটি বাণিজ্যিক জাহাজের সরঞ্জামাদির বেশিরভাগ দেশের বাইরে থেকে আনার ফলে ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: নৌ-পথের নিরাপত্তায় পদ্মা-মেঘনায় বিশেষ অভিযান
তিনি আরও বলেন, জাহাজের অগ্নি নিরাপত্তার ব্যাপারে জাহাজ পরিচালনাকারীরা অবহিত থাকলে খুব সহজে ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব।
জাহাজ পরিচালনাকারীদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার আহ্বান করে তিনি বলেন, এসব প্রাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা জাহাজের অগ্নি নিরাপত্তার ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে এবং দুর্ঘটনা কমাতে সহায়তা করবে।
কর্মশালাটিতে প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে ঢাকা বন্দরের ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলাম নৌযান ও জাহাজের অগ্নি নিরাপত্তাবিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: নৌ দুর্ঘটনা রোধে বাল্কহেড নিয়ন্ত্রণসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দাবি জাতীয় কমিটির
বিমান ও নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: আইনমন্ত্রী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আগামী দিনের ‘শোকেস’ মন্ত্রণালয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত ছাড়াই চলছে বহুতল ভবন নির্মাণ
ঢাকাসহ সারা দেশের সব নগর কেন্দ্রে অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপেক্ষা এবং বিল্ডিং কোড না মেনে ১০ থেকে ১২ তলা পর্যন্ত উঁচু ভবন নির্মাণ করায় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।
এছাড়া সংকীর্ণ রাস্তার ঠিক পাশে উঁচু ভবন নির্মাণ আগুনের ঝুঁকি বাড়ায়।
জরুরি পরিস্থিতিতে ভারী যন্ত্রপাতিসহ ফায়ার সার্ভিসের যানবাহনের যাতায়াত বা প্রবেশকে সীমাবদ্ধ করার ফলে আরও বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে এবং ধ্বংস হয়।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাতা ও ব্যবহারকারীদের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ইউএনবিকে বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে বহুতল ভবনের নির্মাণের ক্ষেত্রেও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা এবং অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন সমূহকে অবজ্ঞা করে বহুতল ভবনের নির্মাণ ও ব্যবহার চলছে।
এছাড়া এ সকল ভবনে অগ্নিসহ বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ঢাকাসহ সারা দেশের নগর এলাকায় ব্যবসায়ীক লাভকে বাড়ানোর অসদুদ্দেশ্য বিকল্প সিড়ি ও নির্গমন পথ, ফায়ার লিফট, ফায়ার ডোর, ফায়ার ডিটেক্টর, ফায়ার স্প্রিংক্লার, ফায়ার সাপ্রেশন সিস্টেম প্রভৃতি অগ্নি নির্বাপণ সিস্টেমের যথাযথ ব্যবস্থা না করেই বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
পরবর্তীতে কোন ধরনের অকুপেন্সি সনদ ছাড়াই এই ভবনগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সারা দেশের ভবন নির্মানে যথাযথ মানদণ্ড ও অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড এর প্রস্তাবনা অনুযায়ী বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি অনতিবিলম্বে গঠন করে তার কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এছাড়া মানুষের জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে বহুতল ভবনসহ নগরে অগ্নি ও দুর্যোগজনিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডেভেলপার ও ভবন মালিকদের দায়বদ্ধতায় নিয়ে আসবার পাশাপাশি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সকল নগর সংস্থাসমুহকে জবাবদিহিতায় আনা প্রয়োজন।
এর পাশাপাশি বহুতল ভবনের সংজ্ঞায়নে অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ফায়ার সার্ভিসের আইনকে প্রাধান্য দিয়ে ইমারত ও নির্মাণ সংক্রান্ত বিধিমালাসমূহের প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা দরকার।
আদিল বলেন, পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের বর্ষপূর্তির সময়ই গুলশান এলাকার বহুতল আবাসিক ভবনের ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আমাদের নগর এলাকায় অগ্নিদুর্যোগে প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কার বিপরীতে আমাদের ভবনসমূহের অভ্যন্তরীণ অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার সীমাহীন দুর্বলতা ও নগর সংস্থাসমুহের সার্বিক পরিকল্পনা, প্রস্তুতি, নজরদারি ও আইনের প্রয়োগের দুর্বলতার বিষয়টি গুরত্ব সহকারে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, রাজধানীর বনানীতে এফআর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডের পর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সরেজমিন তদন্তের পরে বহুতল ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ভবন মালিক ও ডেভেলপারদের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল সেগুলোর বাস্তবায়ন সঠিকভাবে করা হয়েছিল কিনা সেটাও নিশ্চিত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: উঁচু ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশের নগর এলাকাতেই অত্যন্ত সরু রাস্তার পাশেই ১০ থেকে ১২ তলা বা ততোধিক উচ্চতার বহুতল ভবন নির্মাণ মানদণ্ড বা অগ্নি নিরাপত্তা ব্যতিরেকেই গড়ে উঠছে। এমনকি সম্প্রতি ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রণয়ন এর সময়েও ছোট রাস্তার পাশে, যেখানে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী প্রবেশে অক্ষম, সেসব রাস্তায় বহুতল ভবনের নির্মাণ অনুমোদনের দাবীতে অনেক গোষ্ঠী ও মহলকে সরকারের ওপর প্রবল চাপ তৈরি করতে দেখা গেছে। এমনকি ফায়ার সংক্রান্ত দেশের বিদ্যমান আইনে সাততলা ভবনকে বহুতল ভবন হিসাবে বিবেচনা করা হলেও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, ২০০৮ এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড, ২০২০ -এ ১০ তলা ভবনকে বহুতল হিসেবে বিবেচনা করবার ফলে সাততলার ওপর অনেক ভবনেই অগ্নি নিরাপত্তা ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
তুরস্ক-সিরিয়ার সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্প দুর্যোগে ব্যাপক প্রাণহানির কারণে আমাদের নগরসমূহের ভূমিকম্পসহ সার্বিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতির ব্যাপক ঘাটতির বিষয়গুলো সাম্প্রতিক সময়ে জোরালোভাবে আলোচিত হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ড সহ অতীতের নগর দুর্যোগের ফলে গঠিত তদন্ত কমিটির সমূহের সুপারিশ সমূহ আমরা কেন বাস্তবায়ন করতে পারিনি, সেই বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্ববহ।
এছাড়া নগরে মানুষের জীবনের নিরাপত্তাকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দেয়ার নীতিমালা থাকলেও অদৃশ্য কারণে সেই প্রস্তাবনাসমূহের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না বলে আমি মনে করি।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, ভবন নির্মাণ করতে সবাই চাই কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কেউ টাকা খরচ করতে চায় না। নিরাপত্তায় বিনিয়োগ করতে হবে। আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ফায়ার সেফটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। শিশু বয়স থেকে ফায়ার সেফটির বিষয়ে সচেতনতা তৈরির বিনিয়োগ করতে হবে।
এছাড়া কারিকুলামে এ বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। ফায়ার সেফটির বিষয়ে প্রশিক্ষণাগার তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ভবন নির্মাণের সময় গৃহীত ফায়ার সেফটি প্ল্যানের শর্ত বাস্তবায়ন করা। ভবনের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট প্রদানের আগে অগ্নিনিরাপত্তা শর্ত মানা হয়েছে কি না, এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মতামত গ্রহণ এবং শহরজুড়ে হাইড্রেন্ট ব্যবস্থা স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: সিউলে অগ্নিকাণ্ডে ৬০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
এছাড়া ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করে ভবন নির্মাণ করলে ঝুঁকি কম থাকবে।
রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা ইউএনবিকে বলেন, ফায়ার সেফটি ছাড়া কোনো ভবন নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয় না। রাজউক থেকে ভবন নির্মাণের অনুমতি নিয়েও অনেকে বিল্ডিং বিধিমালা মানছে না ফলে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আমরা রাজউক থেকে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আমাদের মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।
এছাড়া রাজউক থেকে অনুমোদনের পর এখন থেকে যে ভবনগুলো হবে সেগুলোতে ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করতে হবে।
১ বছর আগে
উঁচু ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সবাইকে উঁচু ভবন নির্মাণের সময় অগ্নি ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল প্রোগ্রামে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি বলেন,যে কোনও উঁচু ভবন নির্মাণের সময়, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে আমরা ধীরে ধীরে উদ্ধার সরঞ্জামও সংগ্রহ করছি।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫০ বছর এবং আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন এবং কক্সবাজারের মুক্তিযুদ্ধ মাঠ থেকে দর্শকরা যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আগুন ও অন্যান্য দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে কাজ করছে, এটি ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষকেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের নিজেদেরই কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। যখনই আপনি ঘরবাড়ি, অফিস বা ব্যবসায়িক স্থাপনা নির্মাণ করবেন, তখন আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আগুনের ঘটনা, ঘূর্ণিঝড় বা বন্যা হতে পারে। সুতরাং, আপনাকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে হবে এবং আগাম চুক্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাতা ও ব্যবহারকারীদের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে