তুর্কি
তুর্কি দূতাবাস-গ্যালারি কসমস আয়োজিত 'স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন’
বাংলাদেশের স্বনামধন্য কয়েকজন শিল্পীর শিল্পকর্ম নিয়ে 'স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন'-শীর্ষক এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে যৌথভাবে গ্যালারি কসমস ও ঢাকায় অবস্থিত তুর্কি দূতাবাস।
শনিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর বারিধারা কূটনৈতিক অঞ্চলে তুর্কি দূতাবাসে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
আটজন বাংলাদেশি শিল্পী এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। সেখানে আটজন শিল্পীর প্রত্যেকের বিভিন্ন মাধ্যমে তৈরি তিনটি অনন্য কাজ প্রদর্শন করা হয়েছে। শিল্পীরা হলেন- আবদুস শাকুর শাহ, কনক চাঁপা চাকমা, মোহাম্মদ ইকবাল, আনিসুজ্জামান আনিস, অনুকূল মজুমদার, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, আজমীর হোসেন ও সৌরভ চৌধুরী।
প্রদর্শনীতে এই শিল্পীদের মোট ২৪টি শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছে।
দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনসহ দেশ-বিদেশের শিল্প অনুরাগী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন কসমস ফাউন্ডেশনের পরিচালক দিলশাদ রহমান।
এই উদ্যোগের প্রশংসা করে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বলেন, ‘গ্যালারি কসমস আয়োজিত ‘স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন’- শিল্প প্রদর্শনীতে আমি আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাতে চাই। এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা আমাদের জন্য আনন্দের। কসমস গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাসুদ খান এবং কসমস ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর মিসেস দিলশাদ রহমানকে ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের সহযোগিতার প্রস্তাবের জন্য।’
আরও পড়ুন: গ্যালারি কসমসে শুরু হলো আর্টক্যাম্প ‘স্প্লেন্ডার্স অব বাংলাদেশ’
১ বছর আগে
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ-তুর্কিয়ে বিজনেস ফোরাম গঠিত
১১টি বাংলাদেশি ও ছয়টি তুর্কি কোম্পানি একত্রিত হয়েছে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার, সংযোগ ত্বরান্বিত ও সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ করতে নতুন বাংলাদেশ-তুর্কিয়ে বিজনেস ফোরাম (বিটিবিএফ) প্রতিষ্ঠা করেছে।
উদ্ভাবনী ব্র্যান্ডিং ও অংশীদারিত্ব গড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও তুরস্ককে কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্য একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম হতে চায় সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ-তুর্কিয়ে বিজনেস ফোরাম।
সম্প্রতি ঢাকায় তুর্কি দূতাবাস আয়োজিত এক সভায় বিটিবিএফ গঠন করা হয়।
শুক্রবার দূতাবাস জানায়, বিটিবিএফ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সাংস্কৃতিক মিথষ্ক্রিয়ার জন্য সহযোগিতা বাড়াবে এবং বাংলাদেশ ও তুর্কিয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নে একটি অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ভাইস চ্যান্সেলর রুবানা হক বিটিবিএফের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন এবং এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ইসি অব বোর্ডের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন কাসেম খান কো-চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ড. মোমেনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
কাজী ফার্মস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও এমডি কাজী জাহেদুল হাসান বিটিবিএফের ডেপুটি চেয়ারপার্সন এবং ইউনাইটেড আয়গাজ এলপিজি লিমিটেডের সিইও এরকুমেন্ট পোলাত বিটিবিএফের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বিটিবিএফের অন্যান্য প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা হলেন- বিএসআরএমের চেয়ারম্যান আলীহোসেন আকবরআলী, স্কয়ার গ্রুপের প্রধান অংশীজন অঞ্জন চৌধুরী, বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আবুল খায়ের লিটু, কসমস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও এমডি এনায়েতুল্লাহ খান, সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও ও এমডি মোহাম্মদ হানিফা মোহাম্মদ ফাইরোজ, ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডি মঈনুদ্দিন হাসান রশিদ, এমএম ইস্পাহানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমডি মির্জা সালমান ইস্পাহানি, আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান এসকে নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশে তুর্কি এয়ারলাইন্সের কান্ট্রি ম্যানেজার এমরাহ কারাকা, আরসেলিকের টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন ডিরেক্টর হাকান আলতিনিস্ক, এনকেওয়াই আর্কিটেক্টস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সের প্রশাসনিক ও আর্থিক বিশেষজ্ঞ মেহমেত ইলদিজ, ইপিআইকে হোল্ডিংয়ের নির্মাণ সমন্বয়ক মুহাম্মদ চাগরী উনাল এবং এলসিওয়াইকিকির কান্ট্রি ডিরেক্টর ওজগুর তুর্ক।
বিটিবিএফের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়ার পর ড. রুবানা হক বলেন, ‘এই ফোরামটি যেন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার, সংযোগ ত্বরান্বিত ও সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ করে।’
বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ওয়ার্কিং গ্রুপের মাধ্যমে কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য বিটিবিএফ শিগগিরই আইনিভাবে গঠিত হবে।
বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা বিকাশের জন্য সংগঠনটির সচিবালয়ের মধ্যে একটি গবেষণা ও ডেটা সেলও গঠন করা হবে।
বিটিবিএফের সদস্যপদ ও নেতৃত্ব কাঠামোতে জেন্ডার সমতা উৎসাহিত করা হবে।
২ বছর আগে
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে তুর্কি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফা ওসমান তুরান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করে আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
রবিবার সকাল ১১টায় তুরস্ক দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন কামাল বুরাক তেমিজেলের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত তুরান বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে পৌঁছান এবং সেখানে ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ‘রুদ্ধদ্বার’ বৈঠক করেন।
পরে বৈঠকে উপস্থিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের নির্বাচন, মানবাধিকার, আইনের শাসন এবং আরও কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’
বাংলাদেশের নির্বাচন ও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তুর্কি রাষ্ট্রদূতেরা কী বলেছেন জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, এটি একটি গোপনীয় বিষয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈঠকে আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা তাদের অবস্থান তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন ডেনমার্কের রাজকুমারী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা প্রকাশ্যে যা বলি তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা আমাদের অবস্থান উপস্থাপন করেছি। এখানে লুকানোর কিছু নেই…বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলার নেই কারণ সবাই জানে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।’
তিনি আরও বলেন, তারা দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত করার বিষয়েও আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেছি।
খসরু বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুরস্ক একটি দূরদর্শী উদ্যোগ নিয়েছে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোয়ান কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছিলেন।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরার জন্য তুরস্কের প্রশংসাও করেন খসরু।
এর আগে গত ১৭ মার্চ বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার একই স্থানে ফখরুলের সঙ্গে দুই ঘণ্টা ‘রুদ্ধদ্বার’ বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে মার্কিন প্রতিবেদনের মান নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন
বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতির প্রশংসায় মার্কিন অ্যাম্বাসেডর
২ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের নির্দেশ এরদোয়ানের
কারাগারে থাকা তুর্কি ব্যবসায়ী ও জনহিতৈষী ওসমান কাভালার মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানিসহ আঙ্কারায় নিযুক্ত ১০ বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে শনিবার বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
২০১৭ সাল থেকে কারাগারে থাকা কাভালার মুক্তির দাবি জানিয়ে চলতি সপ্তাহে এই বিবৃতি দেয় এই ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত। তবে এ বিবৃতিকে ‘ঔদ্ধ্যতপূর্ণ’ বলে মনে করছে তুরস্ক।
১০টি দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড। এর আগে মঙ্গলবার তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে।
শনিবার দেশটির এসকিসেহির শহরে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, এ বিষয়ে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা তুরস্ককে বুঝবে ও জানবে। যে দিন তারা তুরস্ককে বুঝতে পারবে না, তারা চলে যাবে।’
৬৪ বছর বয়সী কাভালা ২০১৩ সালে সরকার বিরোধী আন্দলোনে যুক্ত থাকার অভিযোগ থেকে গত বছর মুক্তি পান। পরে তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়।
আন্তর্জাতিক পর্যবেকক্ষকারী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো কাভালা ও কুর্দি রাজনীতিক সালেহাতিন ডেমারতাসের মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে। তারা বলছে, এই দুইজনকে রাজনৈতিক বিবেচনায় কারাগারে রাখা হয়েছে। তবে আঙ্কারা এ দাবি অস্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আসতে পারেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় শেখ হাসিনার প্রশংসায় এরদোয়ান
প্রধানমন্ত্রীকে এরদোয়ানের অভিনন্দন
৩ বছর আগে