বার
চাঁদপুরে ৭টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
চাঁদপুরে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে বিকাশ ধর সুমন ও মনোরঞ্জন ভৌমিক নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এসব স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ৩৭৫ টাকা।
আটক বিকাশ চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার আন্দরকিল্লা বকসিরহাট এলাকার যতীন্দ্র মোহন ধরের ছেলে এবং মনোরঞ্জন চট্টগ্রাম পাহাড়তলী এলাকার বণিক পাড়ার মাখন চন্দ্র ভৌমিকের ছেলে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, চাঁদপুরে বঙ্গবন্ধু সড়কের আল-আমিন একাডেমি স্কুলের প্রবেশপথে একটি চেকপোস্ট বসানো হয়। সেখানে ফরিদগঞ্জ থেকে আসা চাঁদপুর লঞ্চঘাটগামী একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা থামানো হয়। ওই অটোরিকশার পেছনের আসনে বসা ছিল বিকাশ ও মনোরঞ্জন। তাদের সন্দেহ হলে তাদের বডি চেক করে বিকাশের কোমরের বেল্টের মধ্যে স্কসটেপ পেঁচানো ৫টি এবং মনোরঞ্জনের কোমরের বেল্টে দুটি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, জব্দ করা স্বর্ণের ওজন ৩৫৪ ভরি ৬ আনা ৩ রতি। যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ৩৭৫ টাকা। আটক আসামিদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আবারও রাইস কুকার থেকে স্বর্ণ উদ্ধার
পঞ্চগড়ে ১৯ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় একজন আটক, ৪৬ স্বর্ণের বার জব্দ
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার সুলতানপুর সীমান্তে একজনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে আটকের সময় তার কাছ থেকে ৪৬টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক মো. আরিফুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার নাস্তিপুর গ্রামের মনজুর আলী বিশ্বাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ৩০ স্বর্ণের বার জব্দ
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রকিবুল ইসলাম জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় দর্শনা থানার সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণের বার পাচার হবে। সীমান্ত পিলার ৭৮/৬-আর থেকে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাস্তিপুর গ্রামের বেলে মাঠের পেয়ারা বাগান এলাকা থেকে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তার শরীর তল্লাশি করে কোমরে পেঁচানো সাদা কাপড়ের তৈরি বেল্টের ভেতর থেকে অভিনব কায়দায় লুকানো ছোট বড় ৪৬টি স্বর্ণের বার এবং তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন জব্দ করেন। জব্দকৃত স্বর্ণের বারের ওজন ৪ কেজি ৬০০ গ্রাম।
আটক ব্যক্তির নামে নায়েব সুবেদার মো. দুলাল হক বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেন এবং স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ১৮ স্বর্ণের বারসহ আটক ২
চুয়াডাঙ্গায় ২ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
১ বছর আগে
পুনর্নির্বাচন দাবি সুপ্রিম কোর্ট বারের বিএনপিপন্থীদের
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল।
একইসঙ্গে নির্বাচন পরিচালনায় নতুন একটি সাব-কমিটি গঠন করে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
রবিবার (১৯ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের ১২ বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত: প্রধান বিচারপতি
এতে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন এই প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল।
বক্তব্য রাখেন নির্বাচনে এই পানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।
এদিকে গত ১৫ ও ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচন ‘একতরফা হয়নি’ বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থক প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচনে আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। আর বিএনপি সমর্থিতরা ভোট বর্জনের ঘোষণাও দেননি। রবিবার (১৯ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
এ সময় সমিতির সম্পাদক আবদুন নূর দুলালসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য তিনি বিএনপির গণতন্ত্র বিরোধী, ভোট বিরোধী, নির্বাচন বিমুখ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং তাদের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মো. রুহুল কুদ্দুসকে দায়ী করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচন সাব-কমিটি পুনর্গঠ নির্বাচন অনুষ্ঠান না করার জন্য জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীরা যখন প্রতিবাদ জানান তখনই আইনমন্ত্রী-অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশে আওয়ামী সমর্থিত সভাপতি ও সম্পাদক পদপ্রার্থী ক্ষমতার দাপটে শতশত পুলিশ নিয়ে গত ১৫ই মার্চ সমিতির অডিটরিয়ামে প্রবেশ করে এক নারকীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে।
তারা আইনজীবীদের ওপর আক্রমণ করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী ও তাদের এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দেয়। পুলিশি আক্রমণে সমিতির সভাপতি প্রার্থী খোকন, সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার কাজলসহ শতাধিক আইনজীবী আহত হন। নারী আইনজীবারাও পুলিশি আক্রমন নির্যাতন থেকে রেহাই পাননি।
পেশাগত দায়িত্ব পালনরত বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে বেদম প্রহার করে গুরুতর আহত করা হয়।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সভাপতি-সম্পাদক প্রার্থী বর্তমান কার্যকরী কমিটির ছয় জন সদস্য সর্বসম্মত নির্বাচন সাব-কমিটির দুই জন সদস্যসহ মোট চৌদ্দ জন অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনের বিরুদ্ধে তিনটি ফৌজদারী মামলা করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে নারকীয় তাণ্ডব আইনজীবী হিসেবে সমাজের কাছে আমাদেরকে হেয় করেছে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতির নিয়োগ
এটা শুধুমাত্র আইনজীবী সমাজেরই না, পুরো জাতির জন্যই কলঙ্কজনক।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, গত ১৫ ও ১৬ই মার্চ, ২০২৩ ইং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। এ নির্বাচনকে ঘিরে বিজ্ঞ আইনজীবীদের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষেরও ব্যাপক আগ্রহ ছিল। কিন্তু আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে লক্ষ্য করেছি যে, দেশের অন্য সকল নির্বাচনের মতো দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সমিতির নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যে রাজনৈতিক চরিত্র তার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
আইনগতভাবে কোনও নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলেও নির্বাচনের নাটক সাজিয়ে একতরফাভাবে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের অবৈধভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনেও একই ধরনের প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, দেশের সাধারণ মানুষের আইনের আশ্রয় নেয়ার শেষ ভরসাস্থল, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবীদের সমিতিতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা নগ্ন হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকবে।
এতে বলা হয়, এই সমিতি নির্বাচনের জন্য বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সমিতির কার্যকরী কমিটির সভাপতি ও অবৈধ সম্পাদক, যে গতবছর সমিতির নির্বাচিত সম্পাদক ব্যারিস্টার মো.রুহুল কুদ্দুস (কাজল)-কে নির্বাচিত হওয়ার ৪২ দিন পর পুলিশ বহিরাগতদের সহায়তায় সম্পাদকের দপ্তর অবর-দখল করে নেয়। ভোট কারচুপির মাধ্যমে একতরফাভাবে বিজয়ী হওয়ার জন্য প্রথমে একতরফাভাবে একটি ভগ্নীবাহক নির্বচন সাব-কমিটি গঠন করে।
অর্থ সংগঠনের গঠনতন্ত্রের রুল ২২ মোতাবেক কার্যকরি কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন সাব-কমিটি গঠনের বিধান রয়েছে। বর্তমান কার্যকরি কমিটিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঘোর সমর্থিতরা সংখ্যার এক পর্যায়ে সাধারণ আইনজীবীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ইতোপুর্বে দলীয় অনুগত নির্বাচন সাব-কমিটির আহবায়ককে পরিবর্তন করে সর্বসম্মতিক্রমে সাবেক বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মো. মুনসুরুল হক চৌধুরীকে আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়।
যদিও তিনি একজন আওয়ামী লীগের সিনিয়র তো আমীনী প্রার্থী ছিলেন তথাকথিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ওই প্যানেলের সদস্যরা তার প্রতি আস্থা স্থাপন করেছিলেন।
তিনি একজন সৎ মানুষ হিসেবে পরিচিত।
তিনি সহ সাব-কমিটি সর্বসম্মতভাবে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা করেছিলেন। ইলেক্ট্রনিক কাউন্টিং মেশিনে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। সেই মোতাবেক মেশিনে গণনার জন্য ব্যালট পেপার ছাপিয়েছিলেন।
গত ১৩ ই মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত প্রার্থী পরিচিত সভা পরিচালনা করেন। যেখানেই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীদের বিজয়ের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এটি বুঝতে পেরে প্রার্থী পরিচিতি সভা শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সভাপতি ও সম্পাদক পদপ্রার্থী তাকে দিয়ে তাদের সরবরাহকৃত ব্যালটে ভোট গ্রহণ ও অনৈতিক ভোট ডাকাতির ফলাফল ঘোষণায় রাজি করাতে না পারলে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে এবং তাদের একান্ত অনুগত একজন দলীয় আইনজীবীকে দিয়ে নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্থ করার আয়োজন করে।
চলমান ঘটনা নিয়ে তারা প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছেন উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সভাপতি ও সম্পাদক পদপ্রার্থী একাধিকবার প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন ও সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া পুলিশের তাণ্ডবে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের আহত হওয়ার বিষয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করা হয়েছে। ‘এরপরও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভবপর হয়নি। পুলিশি তাণ্ডবের কোনো দৃশ্যমান প্রতিকার হয়নি। আমাদের দুঃখ, আইনজীবীদের একটি সমিতির নির্বাচনেও পুলিশকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের নিজেদের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করতে হয়। এটা বড় লজ্জার বিষয়।’
আরও পড়ুন: বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপ্রিম কোর্টে বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন
নতুন নির্বাচন দাবি করে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা বলেন, অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে কার্যকরী কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক অবিলম্বে একটি নির্বাচন সাব-কমিটি গঠন করে পুনরায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জোর দাবি জানাচ্ছি। আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর ন্যক্কারজনক পুলিশি হামলার নির্দেশদাতা আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগ দাবি করছি।
১ বছর আগে
তৃতীয় বারের মত প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সাকিবুল ইসলামের (২০) বাড়িতে অনশনে বসে এক কিশোরী। শনিবার দুপুর থেকে ওই কিশোরী উপজেলার লাউর ফতেহপুর গ্রামে এ নিয়ে তৃতীয় বারের মত অনশনে বসে।
এ খবরে সাকিবুলের বাড়িতে ভিড় জমায় উৎসুক মানুষ।
তবে খবর পেয়ে রবিবার পুলিশ সাকিবুলের বাড়িতে গিয়ে সাকিবুল ও অনশনরত ওই কিশোরীকে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শনিবার বিএনপির গণঅনশন কর্মসূচি
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের ওই কিশোরী এ বছর স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এর আগেও দুইবার একই দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন করেছে মেয়েটি।
ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের আশ্বাস দেয়া হলেও কার্যত তেমন কোন সমাধান না হওয়ায় তৃতীয়বারের মত মেয়েটি অনশনে বসে।
ওই কিশোরী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সাকিবুল ইসলামের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। সাকিবুলের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার তা মেনে নিচ্ছে না। পারিবারিকভাবে তাকে অন্যত্র বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। তাই সে নিজের ইচ্ছায় সাকিবুলের বাড়িতে এসে বিয়ের জন্য অনশন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সাকিবের মা ফেরদৌসি বেগম বলেন, চার থেকে পাঁচ বছর ধরে সাকিবুলের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। আমরা চাই বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধান হোক।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সাকিবুলের বাড়ি থেকে সাকিবুল ও ওই কিশোরীকে থানা নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাকরি নিয়ে ‘প্রতারণা’: অভিযুক্তের বাড়িতে লাশ রেখে এলাকাবাসীর অনশন
বিয়ের দাবিতে ছাত্রীর অনশন, ছেলে বলছে ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’
২ বছর আগে
খেলনা গাড়িতে পাওয়া গেলো ১০টি স্বর্ণের বার, আটক ১
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর লাগেজ চেক করে খেলনা গাড়ি থেকে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সৌদি আরবের জেদ্দা ফেরত সাজ্জাদ হোসেন নামে বাংলাদেশ বিমানের এক যাত্রীকে আটক করেছে বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিকালে জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৪১৩৬ ফ্লাইটে করে বাংলাদেশে আসেন সাজ্জাদ হোসেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন রিজভী জানান, ফ্লাইট থেকে চট্টগ্রামে নেমে লাগেজ নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাজ্জাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ স্ক্যান করা হয়। এই সময় তার লাগেজের ভেতর স্বর্ণবারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে তার লাগেজ তল্লাশি করে ১০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।তিনি আরও জানান, লাগেজের ভেতর খেলনা গাড়ির মধ্যে লিথিয়াম ব্যাটারির কার্বনের মধ্যে কালো রঙের স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় স্বর্ণগুলো লুকানো অবস্থায় ছিল। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ৭ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
যশোরে ২০ স্বর্ণের বার জব্দ, ২ পাচারকারী আটক
২ বছর আগে
চাঁদপুরে ট্রেন থেকে সোয়া কেজি ওজনের স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
চাঁদপুর-চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী কমিউটার মেইলট্রেন ‘সাগরিকা এক্সপ্রেস’ থেকে ১০৪ ভরি ১০ আনা (এক কেজি দুইশ’১৯ গ্রাম)ওজনের দুটি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে চাঁদপুর রেলওয়ে (জিআরপি) থানার পুলিশ। এসময় শুপ্লব ধর (৩৪)নামের এক ব্যক্তিকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক বিশেষ অভিযানে চাঁদপুর বড় স্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক শুপ্লব চট্রগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার রামপুর বনিক পাড়ার অজিত ধরের ছেলে। তার কাছে থেকে জব্দকৃত স্বর্ণের বতর্মান বাজার মূল্য অনুমানিক ৬৯ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।
চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদুল্লাহ বাহার ইউএনবি কে জানান, আটক শুপ্লব ধরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। জব্দকৃত স্বর্ণের বারসহ শনিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের বের করা ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ নারী শ্রমিক নিহত
এদিকে,রেলওয়ের চট্রগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল গফুর ও চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুর মোরশেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন, জব্দকৃত স্বর্ণের বার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আসামির সাথে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করেন।
রেলওয়ে থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের মেহের স্টেশনে দুপুরে পৌঁছলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেলওয়ে থানার ওসির সন্দেহ হয়।পরে তাকে চোখে চোখে রেখে চাঁদপুর রেলওয়ে বড় স্টেশনে নিয়ে আসে।
এরপর ট্রেনের বগি নং-জ-১৬৩৯, আসন নং-৬৪ তে বসে থাকা যাত্রী শুপ্লব ধরের শরীরে তল্লাশি চালিয়ে তার পায়ে থাকা জুতার ভিতর থেকে প্লাস্টিকের মধ্যে টেপ পেচানো অবস্থায় দু’টি স্বর্ণের বার জব্দ করে এবং শুপ্লব ধরকে আটক করেন।
আটক শুপ্লব জানান, সে চট্রগ্রাম হাজারি গল্লী থেকে স্বর্নের বার দু’টি নিয়ে চাঁদপুর হয়ে ঢাকার তাঁতী বাজার যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরে সাড়ে ৩ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ উদ্ধার
শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকার স্বর্ণের বার জব্দ
৩ বছর আগে