নাজমুল হুদা
নাজমুল হুদাকে ‘তৃণমূল বিএনপি’র নিবন্ধন দেয়ার রায় আপিলে বহাল
সাবেক বিএনপি নেতা ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামক রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
রবিবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে নাজমুল হুদার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক। ইসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ইয়াছিন।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: বিএনপির ৫ নেতাকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
জানা গেছে, আজকের আদেশের ফলে নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন ‘তৃণমূল বিএনপি’কে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হাইকোর্টের রায়ই বহাল রইল বলে জানান নাজমুল হুদার আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
এর আগে, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন ‘তৃণমূল বিএনপি’কে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর রায় দেন বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। সে রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৪ জুন তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন নাজমুল হুদা।
আরও পড়ুন: ফখরুল-আব্বাসকে আগেই ডিভিশন দেয়া উচিত ছিল: হাইকোর্ট
ফখরুল ও আব্বাসের কারাগারে ডিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট
২ বছর আগে
নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলবে: হাইকোর্ট
মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগে দুদকের পাল্টা মামলা বাতিল চেয়ে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ আদেশের ফলে নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে সোমবার দুদকের করা এ মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন নাজমুল হুদা।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ৬০ দিনের মধ্যে তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার নির্দেশ হাইকোর্টের
ওইদিন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক মামলার এজাহার থেকে উল্লেখ করে জানান, ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার অভিযোগে তিনি বলেছিলেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলা উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক এক কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ চান এস কে সিনহা।
পরে মামলাটি তদন্তের জন্য আসে দুদকে। দীর্ঘ দেড় বছর তদন্ত করে সিনহার বিরুদ্ধে নাজমুল হুদার মামলাটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে দুদকে। আর মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে উল্টো ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
আরও পড়ুন: বোরকা পরায় শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
অভিযোগে বলা হয়, আসামি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত না হয়ে বা মিথ্যা জেনেও আদালত ও সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এবং তার নিজের বিরুদ্ধে থাকা ২০০৮ সালের মামলাটি প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন মানসে মিথ্যা ঘটনার সৃষ্টি করে শাহবাগ থানায় ওই মামলা করেছেন মর্মে দুদকের তদন্তে ওঠে আসে বলে জানান এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে নাজমুল হুদাকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহম্মেদ চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছরের ২৪ নভেম্বর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে পরবর্তী বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৯ এ বদলির আদেশ দেন।
চলতি বছরের ৬ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
২ বছর আগে
সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: জামিন পেলেন নাজমুল হুদা
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা পাল্টা মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে নাজমুল হুদা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
আজ মামলাটি চার্জশিট আমলে গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। বিচারক চার্জশিট আমলে নিয়ে বিশেষ জজ আদালত-৯ এ বদলির আদেশ দেন। একই সঙ্গে মামলাটি চার্জ গঠনের জন্য ১৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: ঘুষ গ্রহণ মামলা: আপিল বিভাগে নাজমুল হুদার জামিন
এর আগে, গত ৭ অক্টোবর চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিজের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তি হওয়া একটি মামলার রায় বদলে দেয়া হয়েছে ও উৎকোচ চাওয়া হয়েছে, এস কে সিনহার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলা করেন নাজমুল হুদা।
মামলার চার্জশিটে সে সময় নাজমুল হুদা দাবি করেন, উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা এবং আরও একটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টির অর্ধেক অর্থাৎ এক কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন সিনহা। তবে দেড় বছরের তদন্তে নাজমুল হুদার এ অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি দুদক।
মিথ্যা অভিযোগ করায় গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
মামলার বিষয়ে তৎকালীন দুদকের সচিব মুহাম্মদ দেলোয়ার বখত বলেছিলেন, নাজমুল হুদা যে মামলাটি করেছেন, সেটি একেবারেই ভিত্তিহীন। দুদকের অনুসন্ধানেও আমরা সেটা প্রমাণ পেয়েছি। দুদক আইনের ২৮ এর ২ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন আর সেটি যদি তদন্তে বেরিয়ে আসে, তাহলে অভিযোগ দায়েরকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।
আরও পড়ুন: ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ: নাজমুল হুদা দম্পতির মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ
নাজমুল হুদা দম্পতির জামিন বৃদ্ধি
৩ বছর আগে