ওমিক্রন
চট্টগ্রামে ৮ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
চট্টগ্রামে আট জনের শরীরে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জায় (জিআইএসএআইডি) এই তথ্য আপলোড করা হয়েছে।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সারাদেশে ৭১ জনের নমুনায় ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
শনাক্ত আটজনের নমুনা গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে সংগ্রহ করা হয়। শনাক্তদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ এবং তিনজন নারী।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে আক্রান্তরা সকলেই সুস্থ আছেন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরনিশ্চিত হতে নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।সহকারী অধ্যাপক ও সিভাসুর ল্যাবে দায়িত্বে থাকা ইফতেখার রানা বলেন, বিদেশ থেকে আনা ওমিক্রন শনাক্তের কিটে সাতজনের শরীরে ওমিক্রন ভাইরাসটির অস্তিত্ব মেলে। তাঁরা সবাই চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাসিন্দা।সিভাসুর উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, অধিকতর নিশ্চিত হতে ঢাকায় নমুনাগুলো পাঠানো হবে। আগামী রবিবারের দিকে ফলাফল পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে আসলে ওমিক্রন কিনা।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা রোগীর ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩৩ কোটি ৭১ লাখ ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার ৫৯০ এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫৫ লাখ ৬৩ হাজার ৮১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ছয় কোটি ৮৫ লাখ ৮ হাজার ১৮১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৫৭ হাজার ৬৭৪ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২২ হাজার ১২১ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৩৪ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৭ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৭৯ লাখ ১ হাজার ২৪১ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮৭ হাজার ২০২ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্তের হার ২৫.১১ শতাংশ, মৃত্যু ১২
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও সাড়ে ৯ হাজার। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৭৬ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৯৪ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ৮৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭২ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৭৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেড জোনে আরও ১০ জেলা
কুমিল্লায় বিদ্যালয়ের সব শিক্ষকের করোনা শনাক্ত, বন্ধ ঘোষণা
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫৫ লাখ ৫৪ হাজার ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৫ হাজার ৬৪০ এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫৫ লাখ ৫৪ হাজার ১৫২ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ছয় কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ৯৯২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৫৩ হাজার ৯৫১ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২১ হাজার ৮০৩ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ৮৫১ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৭৬ লাখ ১৮ হাজার ২৭১ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮৬ হাজার ৭৬১ জনে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিদ্যালয়ের সব শিক্ষকের করোনা শনাক্ত, বন্ধ ঘোষণা
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও আট হাজার ৪০৭ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৬৪ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৪ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭২ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৭৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা রোগীর ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত
দেশে করোনা রোগীর ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত
দেশে বর্তমানে করোনা রোগীর ২০ শতাংশই এই ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। চলতি মাসে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা গুণিতক হারে বাড়ার আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) জিনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক (সুপারভাইজার) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এ সময় ডা.শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সংগৃহীত স্যাম্পলের ২০ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এবং ৮০ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়। পরবর্তী মাসে এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট গুণিতক হারে বৃদ্ধির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। প্রকৃত ফলাফল সম্পর্কে আমরা এ মাসেই আপনাদের অবগত করব।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার উদ্দেশ্য কোভিড-১৯ এর জিনোমের চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরন এবং বৈশ্বিক কোভিড-১৯ ভাইরাসের জিনোমের সঙ্গে এর আন্তঃসম্পর্ক বের করা এবং বাংলাদেশি কোভিড-১৯ জিনোমের ডাটাবেজ তৈরি করা। এ প্রতিবেদন বিএসএমএমইউ-এর চলমান গবেষণার ছয় মাস ১৫ দিনের ফলাফল, আমরা আশা করি পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে হালনাগাদ করা ফলাফল জানাতে পারব।
আরও পড়ুন: ফের ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি
দেশে করোনা রোগীর ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত
দেশে বর্তমানে করোনা রোগীর ২০ শতাংশই এই ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। চলতি মাসে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা গুণিতক হারে বাড়ার আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) জিনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক (সুপারভাইজার) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এ সময় ডা.শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সংগৃহীত স্যাম্পলের ২০ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এবং ৮০ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়। পরবর্তী মাসে এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট গুণিতক হারে বৃদ্ধির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। প্রকৃত ফলাফল সম্পর্কে আমরা এ মাসেই আপনাদের অবগত করব।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার উদ্দেশ্য কোভিড-১৯ এর জিনোমের চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরন এবং বৈশ্বিক কোভিড-১৯ ভাইরাসের জিনোমের সঙ্গে এর আন্তঃসম্পর্ক বের করা এবং বাংলাদেশি কোভিড-১৯ জিনোমের ডাটাবেজ তৈরি করা। এ প্রতিবেদন বিএসএমএমইউ-এর চলমান গবেষণার ছয় মাস ১৫ দিনের ফলাফল, আমরা আশা করি পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে হালনাগাদ করা ফলাফল জানাতে পারব।
২১ থেকে ৫৮ বছর বয়সের রোগীর সংখ্যা বেশি
ডা.শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২১ সালের ২৯ জুন থেকে ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত সারা দেশব্যাপী রোগীদের ওপর এ গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণায় দেশের সব বিভাগের রিপ্রেজেন্টেটিভ স্যাম্পলিং করা হয়। গবেষণায় মোট ৭৬৯ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর নেজো ফ্যারিনজিয়াল সোয়াব স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়।
আরও পড়ুন: ফের ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি
বিএসএমএমইউ’র গবেষণায় ৯ মাস থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বয়স পর্যন্ত রোগী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২১ থেকে ৫৮ বছর বয়সের রোগীদের সংখ্যা বেশি। যেহেতু কোনো বয়স সীমাকেই কোভিড-১৯ এর জন্য ইমিউন করছে না, সে হিসেবে শিশুদের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
ষাটোর্ধ্বদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি
তিনি বলেন, গবেষণায় পাওয়া গেছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে যেমন- ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব বয়সের রোগীদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হলে সে ক্ষেত্রে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি।
এই গবেষক জানান, গত বছরের জুলাইয়ে কোভিড-১৯-এর জিনোম সিকোয়েন্সিং বিশ্লেষণ গবেষণায় দেখা যায়, মোট সংক্রমণের প্রায় ৯৮ শতাংশ হচ্ছে ইন্ডিয়ান বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এক শতাংশ হচ্ছে সাউথ আফ্রিকান বা বেটা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমণ, এক শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে আমরা পেয়েছি মরিসাস ভ্যারিয়েন্ট অথবা নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট। গত জুলাই থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জিনোম সিকোয়েন্স এ প্রাপ্ত ডাটা অনুযায়ী ৯৯ দশমিক ৩১ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, একটি করে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন- আলফা বা ইউকে ভ্যারিয়েন্ট ও বেটা বা সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট এবং অন্য একটি স্যাম্পল এ শনাক্ত হয় ২০বি ভ্যারিয়েন্ট, যা সার্স কভ-২ এর একটি ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট।
আরও পড়ুন: ৫ ডিসি ও ২ বিভাগীয় কমিশনার করোনায় আক্রান্ত
তিনি বলেন,ওমিক্রন ভাইরাস ডায়াগনোসিসের জন্য আরটিপিসিআর-এর মাধ্যমে তিনটি জিন- এস, এন২, বি দেখা হয় (বিবিসরি গবেষণা)। এর মধ্যে এস জিনটি ডিটেকটেড না হলে ওমিক্রনের সম্ভাবনা বেশি, কিন্তু উইজো গাইডলাইন্স অনুসারে জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর মাধ্যমে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট কনফার্ম করতে হবে।
ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রন অনেক বেশি ইনফেকশন ছড়াচ্ছে
তিনি বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে অনেক বেশি ইনফেকশন ছড়াচ্ছে বলে প্রতীয়মান। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাসের জেনেটিক কোড এ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি ডিলিশন মিউটেশন পাওয়া গেছে, যার বেশির ভাগ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন রয়েছে। এই স্পাইক প্রোটিনের ওপর ভিত্তি করে বেশির ভাগ ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়। স্পাইক প্রোটিনের বদলের জন্যই প্রচলিত ভ্যাকসিনেশনের পরেও ওমিক্রন সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়।
তৃতীয়বারের মত সংক্রমিত রোগীও পাওয়া গেছে
তিনি বলেন, আমাদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কোনো কোনো ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর দুই ডোজ টিকা দেয়া ছিল। তৃতীয়বারের মত সংক্রমিত রোগীও পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, হাসপাতালে ভর্তি রোগী থেকে সংগৃহিত স্যাম্পলে আমার জিনোম সিকোয়েন্স করে পেয়েছি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। যেহেতু ওমিক্রন সংক্রমণে মৃদু উপসর্গ হয়েছে, সেটা হাসপাতালে ভর্তি রোগীতে ওমিক্রন না পাওয়ার কারণ হতে পারে।
এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আরও বলেন,পাশাপাশি মৃদু উপসর্গের রোগীদের মধ্যে টেস্ট না করার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে। তাই আমাদের প্রাপ্ত ফলাফলের চেয়েও অনেক বেশি ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী আনডিটেক্টেড অবস্থায় আছে বলে মনে করছি।
আরও পড়ুন: ২২ বিচারক করোনায় আক্রান্ত, প্রশিক্ষণ কর্মশালা স্থগিত
সবশেষে তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেক করোনা ভাইরাস ভ্যারিয়েন্ট বিপজ্জনক এবং তা মারাত্মক অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। পাশাপাশি ভাইরাসের নিয়মিত মিউটেশনের আমাদের প্রচলিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ করতে পারে। তাই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি ও টিকা গ্রহণ করতে হবে।
করোনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের গবেষণায় সুপারভাইজার হিসেবে ছিলেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ। প্রধান গবেষক ছিলেন ডা. লায়লা আনজুমান বানু, অধ্যাপক, জেনেটিক্স অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি ও চেয়ারম্যান, এনাটমি বিভাগ, বিএসএমএমইউ।
এছাড়া গবেষণা দলের অন্য সদস্যরা হলেন- ডা. জিন্নাত আরা ইয়াসমীন, সহযোগী অধ্যাপক, এনাটমি বিভাগ, ডা. বিষ্ণু পদ দে, সহকারী অধ্যাপক, প্যাথলজি বিভাগ, ডা.মো. মহিউদ্দিন মাসুম, সহকারী অধ্যাপক, এনাটমি বিভাগ, ডা. ইলোরা শারমিন, সহকারী অধ্যাপক, ফার্মাকোলজি বিভাগ, ডা. আবিদা সুলতানা, রেসিডেন্ট, ফেইজ- বি, এনাটমি বিভাগ, নাহিদ আজমীন, এমফিল, থিসিস, এনাটমি বিভাগ, অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেছা, অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, ভাইরোলজি বিভাগ, সোয়েব হোসেন, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, জিনোম রিসার্চ সেন্টার, বিএসএমএমইউ, শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট, জিনোম রিসার্চ সেন্টার, বিএসএমএমইউ, অমল গনপতি, ফ্ল্যাবোটমিষ্ট, ল্যাবরেটরি সার্ভিস সেন্টার, বিএসএমএমইউ।
আখাউড়ায় মাস্ক না পরায় ৯ জনকে জরিমানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাস্ক না পরায় ক্রেতা বিক্রেতাসহ ৯ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওমিক্রন রোধ ও সরকারি বিধিনিষেধ কার্যকর করতে উপজেলা প্রশাসন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।
সোমবার পৌরশহরের সড়কবাজার, বড়বাজারসহ রেলস্টেশন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সরকারি দায়িত্ব প্রতিপালন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এ অভিযান চালান। এসময় মাস্ক না পরায় ৯ জনকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম বলেন,ওমিক্রন রোধ ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। পরবর্তী সরকারি আদেশ না আসা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বিধিনিষেধ না মানলে লকডাউনের চিন্তা রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এখনই লকডাউন দেয়ার কথা ভাবছি না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ৩৩ কোটি ছাড়াল
বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ কোটি ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ কোটি দুই লাখ ৭৫ হাজার ৭৩৪ জনে ছাড়িয়েছে। এছাড়া মোট মারা গেছেন ৫৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬৮৮ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ছয় কোটি ৬৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৫১ হাজার ৪৫১ জন।
ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে এক কোটি ৪২ লাখ ৮৮ হাজার ৪৭২ জন। এছাড়া মোট মারা গেছেন এক লাখ ২৭ হাজার ৯৭২ জন।
যুক্তরাজ্যে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি ৫৪ লাখ ৬ হাজার ৩৫০ জন। মোট মারা গেছেন এক লাখ ৫২ হাজার ৫৭১ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার ২৫৩ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮৬ হাজার ৪৫১ জন।
আরও পড়ুন: ৫ ডিসি ও ২ বিভাগীয় কমিশনার করোনায় আক্রান্ত
ফের ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি আবারও ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত এর আগের এক সপ্তাহে দেশে করোনায় ২৮ হাজার ৪৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৪৯ জন।
এছাড়া ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশে ৩৮ হাজার ৪৭৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এসব তথ্য জানিয়েছে।
১০ জানুয়ারি দেশে করোনার শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৫৩ থাকলেও সোমবার তা বেড়ে হয়েছে ২২ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
এছাড়া করোনা থেকে সুস্থতার হারও কমেছে। সোমবার সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৬২ শতাংশ যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৯৭ দশমিক ১৯ শতাংশ।
তবে এ সময়ে করোনায় মৃত্যুর হার কিছুটা কমে ১ দশমিক ৭৬ থেকে ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ হয়েছে।
এর আগে সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনায় নতুন করে ছয় হাজার ৬৭৬ জন আক্রান্ত হন এবং ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত ছয় হাজার ছাড়াল
২২ বিচারক করোনায় আক্রান্ত, প্রশিক্ষণ কর্মশালা স্থগিত
এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৫৪ জনে এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৭ জন।
এদিকে সোমবার পর্যন্ত দেশে ৫৫ জনের দেহে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে করোনার সংক্রমণ কমতে থাকলে গেল বছরের ৯ ডিসেম্বর তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পুনরায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।
বাংলাদেশে ২০ নভেম্বর ওই বছর প্রথমবারের মতো করোনায় কেউ মারা যায়নি। এদিন ১৭৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
বাংলাদেশে গত বছরের ১০ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করোনায় মারা যান এবং একই বছরের ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
ফের ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি আবারও ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত এর আগের এক সপ্তাহে দেশে করোনায় ২৮ হাজার ৪৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৪৯ জন।
এছাড়া ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশে ৩৮ হাজার ৪৭৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এসব তথ্য জানিয়েছে।
১০ জানুয়ারি দেশে করোনার শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৫৩ থাকলেও সোমবার তা বেড়ে হয়েছে ২২ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত ছয় হাজার ছাড়াল
এছাড়া করোনা থেকে সুস্থতার হারও কমেছে। সোমবার সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৬২ শতাংশ যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৯৭ দশমিক ১৯ শতাংশ।
তবে এ সময়ে করোনায় মৃত্যুর হার কিছুটা কমে ১ দশমিক ৭৬ থেকে ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ হয়েছে।
এর আগে সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনায় নতুন করে ছয় হাজার ৬৭৬ জন আক্রান্ত হন এবং ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২২ বিচারক করোনায় আক্রান্ত, প্রশিক্ষণ কর্মশালা স্থগিত
এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৫৪ জনে এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৭ জন।
এদিকে সোমবার পর্যন্ত দেশে ৫৫ জনের দেহে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে করোনার সংক্রমণ কমতে থাকলে গেল বছরের ৯ ডিসেম্বর তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পুনরায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।
আরও পড়ুন: ভারতে একদিনে দুই লাখ ৫৮ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত
বাংলাদেশে ২০ নভেম্বর ওই বছর প্রথমবারের মতো করোনায় কেউ মারা যায়নি। এদিন ১৭৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
বাংলাদেশে গত বছরের ১০ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করোনায় মারা যান এবং একই বছরের ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
৫০ বছর হলেই বুস্টার ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন থেকে ৫০ বছর বয়স থেকেই বুস্টার ডোজ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘এখন থেকে ৫০ বছর বয়স থেকে বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে ছিল ৬০ বছর থেকে ঊর্ধ্ব বয়সী।’
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, এখন পর্যন্ত ৭ লাখ বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে। সাড়ে ১৪ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে। জনগণের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টিকা আছে এখন আমাদের কাছে।
আরও পড়ুন: ভারতে একদিনে দুই লাখ ৫৮ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত
তিনি বলেন, লাফিয়ে লাফিয়ে ওমিক্রন বাড়ছে। গত ১৫ দিনে ১৮ শতাংশ হয়েছে। এভাবে বাড়তে থাকলে এক- দেড় মাসে ৩০ শতাংশ হয়ে যাবে। এই হারে বাড়লে এক দেড় মাস পর হাসাপাতালে সিট দেয়া যাবে না।
করোনার সংক্রমণ নিয়ে সরকার চিন্তিত জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে পুরো সময়ও এত বাড়েনি। মানুষ বেপরোয়াভাবে চললে এটা বাড়তে থাকবে।’
তিনি বলেন, সরকারের ১১ দফা বিধিনিষেধ মানতে হবে। না হলে ওমিক্রন বাড়বে।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাজধানীসহ সারাদেশের সীমিত পরিসরে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়। শুরুতে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ফাইজার হিসেবে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়।
আরও পড়ুন:দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত আসাদুজ্জামান নূর
বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ৩২ কোটি ৭৭ লাখ ছাড়িয়েছে
ভারতে একদিনে দুই লাখ ৫৮ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই লাখ ৫৮ হাজার ৮৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার ২৫৩ জনে পৌঁছেছে। একই সময়ে করোনা শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ। সোমবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটিতে দুই লাখেরও বেশি নতুন মামলা শনাক্ত হওয়ার এটি টানা পঞ্চম দিন।
এছাড়া, রবিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩৮৫ জনের মৃত্যুসহ ভারতে মোট মৃতের সংখ্যা চার লাখ ৮৬ হাজার ৪৫১ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ৩২ কোটি ৭৭ লাখ ছাড়িয়েছে
ভারতে এখনও ১৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৪১ জন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছে। এ পর্যন্ত মোট তিন কোটি ৫২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬১ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। যার মধ্যে এক লাখ ৫১ হাজার ৭৪০ জন গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল ছেড়েছেন।
রবিবার থেকে শনাক্তের সংখ্যা ৬.০২ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতে ওমিক্রন শনাক্তের সংখ্যা আট হাজার ২০৯ এ পৌঁছেছে। মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান ও দিল্লিতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৯
দেশে ওমিক্রন শনাক্ত বেড়ে ৫৫
বাংলাদেশে আরও ২২ জনের দেহে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রবিবার পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ, (আইসিডিডিআর,বি) এর দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জিআইএসএআইডি এ ফলাফল পেয়েছে।
এর আগে ১০ জানুয়ারি দেশে তিনজন নতুন ওমিক্রন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
১১ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এ দিন জিম্বাবুয়ে ফেরত বাংলাদেশি দুই নারী ক্রিকেটার ওমিক্রনে আক্রান্ত হন।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ৩২ কোটি ৭৭ লাখ ছাড়িয়েছে
এদিকে, রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আট জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও পাঁচ হাজার ২২২ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৪৪ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৭১১ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৪ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৯৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার ডিসি ও সিভিল সার্জন করোনায় আক্রান্ত
দেশে করোনায় একদিনে শনাক্ত পাঁচ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ৮