হাসপাতাল
নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
দেশের ২৮টি জেলায় নিপাহ ভাইরাসের বিস্তারের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখতে শুক্রবার সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) এর ডা. শেখ দাউদ আদনান, পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজিএইচএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০টি শয্যা এবং ১০টি নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) শয্যা প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ জারি করেছে।
আরও পড়ুন: এ বছর নিপাহ ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২৯ জানুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, এ বছর সারা দেশে নিপাহ ভাইরাসে মোট পাঁচজন মারা গেছেন।
আটজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে এই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
সাধারণত ৭০ শতাংশের বেশি সংক্রামিত লোক মারা যায়। যারা কাঁচা খেজুরের রস এবং আংশিকভাবে পাখি, বিশেষ করে বাদুড় খাওয়া ফল খান তাদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়া সুস্থ ব্যক্তিরা যারা সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসেন তাদেরও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এটি দ্রুত একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে যা উদ্বেগের বিষয়।
আরও পড়ুন: পহেলা মার্চ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানেই রোগী দেখতে পারবেন সরকারি চিকিৎসকরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজশাহীতে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশুর মৃত্যু
রাজশাহীতে অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে ২০ মাদরাসা শিক্ষার্থী হাসপাতালে
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে দাওয়াত খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মাদরাসার ২০ শিক্ষার্থী।
পৌরসভার কেল্লা বারুইপাড়া এলাকার মাদরাসাতুল হুদা বালিকা হাফেজিয়া মাদরাসার অসুস্থ ওই শিশু শিক্ষার্থীদের বুধবার বিকালে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাদের বয়স ৭ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ট্রলির ধাক্কায় মাদরাসাছাত্র নিহত
রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ ফারুক জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০ জন গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। দুপুরে তারা মুরগীর গোসত, শাক, ডাল ও ভাত খেয়েছে। কী কারণে এমনটি হয়েছে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। আপাতত তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কারও অবস্থা গুরুতর নয়।
এদিকে এদের কয়েকজনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসাপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল ইসলাম জানান।
মাদরাসাতুল হুদা বালিকা হাফেজিয়া মাদরাসার সুপার মুজিবুর রহমান বলেন, খাইরুল ইসলাম নামে একজনের বাড়িতে অনুষ্ঠান উপলক্ষে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর আর কোন খাবার খাইনি।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, অসুস্থ ছাত্রীদের চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, খাবারে বিষক্রিয়ার হওয়ায় ছাত্রীদের বমি ও পেটের পিড়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় অপহৃত মাদরাসাছাত্র উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মাদরাসা শিক্ষকের
দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, ‘দেশের সরকারি হাসপাতালের সেবার মান আরও বৃদ্ধি করতে ঢাকাসহ সকল জেলা সদর হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। এর আগে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেবা চালু করা হয়েছে। আজ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও এই ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেবা ব্যবস্থা উদ্বোধন করা হলো। এর ফলে এখন থেকে এই জায়গাতেই একজন রোগী সব রকম সেবা ঝামেলামুক্ত থেকেই পেয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি, এখানে ৫০০ বেড থেকে নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করে এই হাসপাতালে আজ থেকে প্রায় ১৩৫০ বেডের সেবা কার্যক্রম শুরু করা হলো।’
মন্ত্রী বলেন, এখানে নানারকম টেস্ট সুবিধা, আইসিইউ, এসডিইউ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র এই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এখন থেকে আর কোনো রোগীকে ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না। রোগীরা এই হাসপাতালে এখন থেকে উন্নত বেডে চিকিৎসা নিতে পারবে।’
আরও পড়ুন: সবাইকে স্বাস্থ্যকার্ড দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সোমবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি এন্ড ক্যাজুয়াল্টি (ওএসইসি) সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যখাতের কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নার্সদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, এই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের শুধু ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করার কাজেই সরকারের ৯২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ৭৫ হাজার স্কয়ার ফিটের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২টি নতুন অপারেশন থিয়েটারসহ শতশত বেড বৃদ্ধি করা হলো। কিন্তু এগুলোতে যদি সেবা দিতে কাজ করাই না হয়, মানুষকে সেবা দিতে নৈতিকতা কাজ না করে তাহলে সরকারের সব প্রচেষ্টা নষ্ট হবে। কোন যন্ত্র নষ্ট হলে তা যদি ঠিক না করে ফেলে রেখে রোগীদের বাইরে চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয় সেটা নৈতিক অপরাধ হবে। এজন্য যন্ত্র নষ্ট হলে তা মেরামত করতে হবে, মেরামত না হলে নতুন করে কিনতে হবে, কিন্তু সরকারি সেবা নিতে আসা অসহায় রোগীদের নিজেদের সরকারি হাসপাতালে সেবা না দিয়ে বেসরকারি কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে পাঠানো যাবে না।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, চিকিৎসা সেবা দিয়ে আপনারা সরাসরি মানুষের দোয়া পান, মানুষের ভালোবাসা লাভ করতে পারেন যা অন্য কোন পেশায় চাকরি করে পাওয়া অসম্ভব। কাজেই এই দোয়ার কাজটি আরও দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। কোন অসহায় মানুষ যেনো সরকারি হাসপাতালে এসে সেবা না পেয়ে মনে কষ্ট নিয়ে ফিরে চলে না যান সেটি আপনাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। আর ভালো কাজ করলে আপনাদের জন্য সরকার সব সুযোগ সুবিধা আরও বৃদ্ধি করবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাচিপ এর সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মিলন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর আহমেদুল কবীর, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী সফিকুল আজম, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবিএম মাসুদুল আলম, পরিচালক খলিলুর রহমানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ঢাকা শহরে কোনো অননুমোদিত ক্লিনিক নেই: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিএসএমএমইউ-তে সফল লিভার প্রতিস্থাপন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, অসুস্থ বোধ করায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।
আরও পড়ুন: 'আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সরকারকে পতনে বাধ্য করবে': ফখরুল
তিনি জানান, ফখরুল হৃদরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন। সাম্প্রতিক কারাগারে থাকাকালীন সময় তার এই জটিলতা আরও তীব্র হয়।
এর আগে, জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি ৯ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাসকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির বহুল আলোচিত জনসভার একদিন আগে রাজধানীর বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
পরে গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের ‘জনবিরোধী’ সিদ্ধান্ত: ফখরুল
সরকার বিরোধী দলকে দমন করতে মরিয়া: ফখরুল
হাসপাতালে অস্ত্র ঠেকিয়ে চিকিৎসকের টাকা ও মুঠোফোন ছিনতাই, আটক ১
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের এক উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী চিকিৎসকের নাম আবুল কালাম আজাদ।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৩ সদস্য আটক
তিনি ছাড়াও রাতে জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন আঁখি বিশ্বাস নামের এক নারী চিকিৎসা কর্মকতা ও এক সহকারী। তবে তাদের কাছ থেকে কিছু নেয়নি।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার দুপুরে মো. রনি (২৭) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আটক রনি গোয়ালন্দ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড হাউলিকেউটিল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল গনির ছেলে। তার কাছ থেকে মুঠোফোনটি উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, রবিবার রাত ১১ টার দিকে জরুরি বিভাগের পাশের কক্ষে ডা. আঁখি বিশ্বাস এবং আরেক কক্ষে তিনি বিশ্রামে ছিলেন। সাড়ে ১১ টার দিকে দুই তরুণ আমার কক্ষে প্রবেশ করেন। কারণ জানতে চাইলে তাকে (চিকিৎসক আজাদ) চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকার কথা বলেই মাথায় পিস্তল ঠেকায়। তিনি ধাক্কা দিলে পিস্তল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে আহত হন। কক্ষ থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে অপরজন ধারালো চাকু বের করে তার মুঠোফোন ও নগদ ছয় হাজার ১৪০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি দল টহল দিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে তারা দ্রুত হাসপাতালে ছুটে আসেন।
এদিকে এর আগেও হাসপাতালে একাধিকবার চুরি ও চিকিৎসকদের কক্ষের তালা ভাঙ্গার ঘটনায় চিকিৎসকসহ সকলের মাঝে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দুর্ঘটনার পর সোমবার সকাল ৯টার পর থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত বর্হিবিভাগে চিকিৎসা কার্যক্রম প্রায় বন্ধ থাকে। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অনেক রোগী চিকিৎসা বঞ্চিত হন।
দৌলতদিয়া থেকে আসা রাকিবুল ইসলাম নামের এক তরুণ বলেন, সকালে প্রায় দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করেও কোন চিকিৎসক পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক জানান, এর আগেও হাসপাতালের বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের তার দুইবার কেটে নেয়া, চিকিৎসকদের কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করা এবং আরএমও'র অফিস কক্ষ থেকে কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা থাকলেও প্রতিটি ঘটনার সময় সিসি ক্যামেরার মাদারবোর্ডের পাওয়ার সুইচ প্লাক খোলা ছিল। এর সঙ্গে হাসপাতালের কোন চক্র জড়িত রয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, একের পর এক দুর্ঘটনা এবং রবিবার রাতে হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়ায় চিকিৎসকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, সোমবার সকালে ওসির উপস্থিতিতে সিসি ক্যামেরার মাদার বোডের পাওয়ার প্লাক খোলা দেখতে পাওয়া যায়। চিকিৎসক জীবনে এমনটি আগে দেখিনি।
এছাড়া সকালে চিকিৎসকদের সঙ্গে করণীয় বিষয়ে বৈঠকে বসলে সাময়িক সময়ের জন্য চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, দ্রুততার সঙ্গে রহস্য উদঘাটনে অভিযান কার্যক্রম শুরু করেছি।
ইতোমধ্যে দুপুরে জড়িত থাকার অভিযোগে হাউলিকেউটিল এলাকা থেকে মো. রনি (২৭) নামের এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়েছে। আশা করি রহস্য উদঘাটন এবং অপরজনকেও আটক করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আটক ২
ঢাকা বিমানবন্দরে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সৌদি প্রবাসী আটক
মাদারীপুরে মাহিন্দ্রা উল্টে নিহত ৩
মাদারীপুরে জমি হালচাষ করার মাহিন্দ্রা উল্টে দুই ভাগ্নেসহ মামার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ঝাউদি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডা. শিহাব চৌধুরী নিহতের ঘটনা নিশ্চিত করেন।
নিহতরা হলেন- ঝাউদি ইউনিয়নের দক্ষিণ মাদ্রা এলাকার জলিল ফরাজির ছেলে জহিরুল ইসলাম(২২) এবং একই এলাকার কালু হাওলাদারের ছেলে জোবায়ের হাওলাদার(১০) ও জিহাদ হাওলাদার(৭)।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মাহিন্দ্রা-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ২
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে মামা জহিরুলের সঙ্গে মাহিদ্রায় চেপে জমি হালচাষ করতে দক্ষিণ মাদ্রা এলাকার জমিতে যায় জোবায়ের ও জিহাদ। হালচাষ শেষে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার পথে উঁচু রাস্তায় উঠতে গিয়ে মাহিদ্রাটি উল্টে পাশের খালে পড়ে পড়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি শুনেছি।নিহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শার্শায় ট্রাক-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ২
ডেঙ্গু: প্রাণ গেলো আরও ৩ জনের
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫১৫জন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫৫৯
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ২৬৬জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ২৪৯জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই হাজার ২৩১জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এক হাজার ২৪৩জন এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ৯৮৮জন রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২২ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৩ হাজার ৯২৮জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৩৪ হাজার ৬২৬জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ১৯ হাজার ৩০২জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৫১ হাজার ৪৬০জন ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
এদের মধ্যে ৩৩ হাজার ২৪০জন ঢাকার এবং বাকি ১৮ হাজার ২২০জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: শেবাচিম হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা বঞ্চিত
গত কয়েকদিন ধরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
জানা যায়, গত তিন দিন ধরে জি ব্লকের ৩ ও ৪ নং সার্জারি ওয়ার্ড, এ ব্লকের ১ নং সার্জারি ওয়ার্ড (পুরুষ) এবং আই ব্লক (চক্ষু) বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। অন্যদিকে রেডিওলজি বিভাগ গত ১৮ দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।
হাসপাতালে আসা এক রোগীর আত্মীয় নাইমুল ইসলাম জানান, ‘ওয়ার্ডে আলো না থাকায় আমরা অন্ধকারে টয়লেটে পর্যন্ত যেতে পারছি না। চরম অসুবিধার মধ্যে রয়েছি আজ কয়েক দিন ধরে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।’
আরেক রোগীর স্বজন আরাফাত হোসেন শাওন বলেন, ‘হাসপাতালে ঠিকমত চিকিৎসা পাই না। তারপরও আসতে হয়। কারণ আমাদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই। এখন এখানে বিদ্যুৎ পর্যন্ত নেই। এভাবে মনিটরিং ছাড়া হাসপাতাল চলতে পারে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন নার্স জানান, রাতের অন্ধকারে তারা রোগীদের সঠিকভাবে ইনজেকশন দিতে পারেন না।
আরও পড়ুন: ব্যাপক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার মধ্যেও চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
ওই নার্স বলেন, ‘আমরা বর্তমানে মোমবাতি ও চার্জার লাইটের সাহায্যে আমাদের কাজ করছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে গেট নির্মাণ করছে, যা অপ্রয়োজনীয়। বৈদ্যুতিক তারগুলো ঠিক করতে এবং জেনারেটরের মাধ্যমে অবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করতে অর্থ ব্যয় করা উচিত ছিল।’
ওই নার্স আরও বলেন, গেট নির্মাণ না করে কীভাবে রোগীদের আরও কার্যকরভাবে চিকিৎসা দেয়া যায় তার ওপর জোর দিতে হবে।
বিদ্যুৎ সংকটের ব্যাপারে কথা বলার জন্য হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলামকে ইউএনবির পক্ষ থেকে একাধিকবার কল দিলেও, তিনি রিসিভ করেন নি।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘বর্তমানে সার্জারি ওয়ার্ডগুলোতে বিদ্যুৎ নেই। আর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রেডিওলজি বিভাগ। এতে করে সরকারিভাবে পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারছে না। নার্সরাও সেবা দিতে পারছে না। রোগীরা বেকায়দায় রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, হাসপাতালটি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করা হয়নি। এজন্য বিভিন্ন স্থান থেকে বিদ্যুতের কেবল নষ্ট হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ’
আরও পড়ুন: ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: নসরুল হামিদ
জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়: দেশের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
চট্টগ্রামের ‘ফুসফুস’ সিআরবিতে হাসপাতাল হচ্ছে না, আন্দোলন সমাপ্তি ঘোষণা
চট্টগ্রামের ‘ফুসফুস’ খ্যাত সিআরবিতে কোন ধরনের হাসপাতাল প্রকল্প হবে না বলে সরকারি আশ্বাসের পর দীর্ঘ ৪৮৩ দিনের আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটেছে।
তবে সিআরবিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে জাতীয় উদ্যান করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের নেতারা।
শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকালে সিআরবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চট্টগ্রামবাসী।
সমাবেশে নেতারা জানান, সিআরবিতে আর হাসপাতাল প্রকল্প হচ্ছে না। সিআরবি প্রাকৃতিক ও ঐতিহ্যগত সম্পদ হিসেবেই থাকবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেন, চট্টগ্রামবাসী ৪৮৩ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। সংসদ সদস্য হিসেবে একটা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। চট্টগ্রামের যত সংসদ সদস্য আমরা একটা দরখাস্ত লিখলাম রেলমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে। সকল এমপি, মন্ত্রী সিআরবিতে হাসপাতাল না করার সেই দরখাস্তে সই করেছেন।
দরখাস্ত নিয়ে আমরা রেলমন্ত্রীর কাছে গেলাম। সঙ্গে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং নওফেলও ছিলেন। সেটা আমরা হস্তান্তর করি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জনগণের নেত্রী। মানুষের যে দাবি এখানে হাসপাতাল না করার জন্য, যখন সকল মন্ত্রী এমপি একমত। প্রধানমন্ত্রীও একমত হবেন।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন কথা দিয়েছেন এখানে হাসপাতাল হবে না। সারাদেশসহ বিভিন্ন দেশে যারা চট্টগ্রামের লোক আছে তারা কোনদিন চায় না এখানে হাসপাতাল হোক।
আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রীও একমত হবেন। প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ড থেকে জনসভায় নিজে ঘোষণা দিবেন সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না।
বিশেষ অতিথি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ টেলিফোনে যুক্ত হয়ে বলেন, সিআরবিকে রক্ষা করার জন্য যারা আন্দোলন করেছেন তারা সবাই আছেন। আমরা রেলমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলাম। রেলমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়গুলো অবহিত করার পর তিনি বলেছেন, পরিবেশ প্রকৃতি নষ্ট করে কিছু হবে না। কেউ কেউ ভুলবশত পরিবেশের ক্ষতিকারক প্রকল্প নিয়ে ফেলে। প্রধানমন্ত্রী সবসময় পরিবেশ প্রকৃতির প্রতি আন্তরিক।
নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের আহ্বায়ক ড. অনুপম সেন’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, নাগরিক সমাজ চট্টগ্রাম এর সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
সিআরবিতে কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না: চসিক মেয়র
ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৭৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৭৫০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময়ে কেউ মারা যায়নি।
এদের মধ্যে ৪৯৪ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ২৫৬ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত তিন হাজার ৪১৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে দুই হাজার ২২৪ জন ঢাকার মধ্যে এবং এক হাজার ১৯২ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৩২ হাজার ৭১৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ২৩ হাজার ৮২ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ৬৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২৯ হাজার ৪৬৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ২০ হাজার ৭৮৯ জন ঢাকার এবং বাকি আট হাজার ৬৭৭ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ১১৮ জনে পৌঁছেছে।