এমপি হারুন
বিএনপির এমপি হারুনের ৫ বছরের সাজা বহাল
শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগে নিম্ন আদালতের দেয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখতে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন-উর রশিদ হারুনের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ মামলায় তিনি যতদিন কারাভোগ করেছেন ততদিনের সাজা হিসেব করে তার আপিল খারিজ করা হয়েছে। ফলে তার এখন আর বাকি সাজা ভোগ করতে হবে না।
এ মামলায় অন্য দুই আসামি ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান ও গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেকের ক্ষেত্রেও হাইকোর্ট একই রায় দিয়েছেন।
হাইকোর্ট বলেছেন, বিচারিক আদালতের দেয়া সাজার আদেশ সংশোধনপূর্বক তিনজনের আপিল খারিজ করা হলো। বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা কমিয়ে তাদের সাজা কারাভোগের মেয়াদ পর্যন্ত করা হলো।
আরও পড়ুন: এমপি হারুনের জামিন আটকাতে দুদকের আবেদনও খারিজ
আইনজীবীরা জানান,এ আদেশের ফলে এমপি হারুন ও মামলার অপর দুই আসামি ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান এবং গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেককে নতুন করে আর জেলে যেতে হবে না।
হারুনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করা হবে। তবে এ রায়ের কারণে এমপি হারুনের সংসদ সদস্য পদ যাবে না। কারণ হাইকোর্ট তাকে কারাভোগের মেয়াদ পর্যন্ত সাজা দিয়েছেন। এমপি হারুন মোট ১৬ মাস কারাভোগ করেছেন। অর্থাৎ হাইকোর্ট তাকে এই কারাভোগের ১৬ মাস সাজা দিয়েছেন। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী কারও সংসদ সদস্য পদ যেতে হলে কমপক্ষে দুই বছর কারাদণ্ড হতে হয়।’
এ ব্যাপারে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান,আজকে হাইকোর্ট যে রায় দিল সেখানে বিচারিক আদালতের রায়টা বহাল হয়ে গেল। তবে এ রায়ের কারণে তিন আসামিকে কারাগারে যেতে হবে না।
তবে দণ্ড বহাল থাকায় তার সংসদ সদস্য পদ থাকে না বলে দাবি করে তিনি বলেন,‘এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত।’
আরও পড়ুন: এমপি হারুনের জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের আবেদন
২০০৫ সালের ১৯ এপ্রিল হারুন অর রশিদ ব্রিটেন থেকে আমদানি করা হামার ব্র্যান্ডের একটি শুল্কমুক্ত গাড়ি এমপি কোটায় আমদানি করেন। পরে ১৫০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের অঙ্গীকারনামা ভঙ্গ করে শুল্ক বাবদ সরকারের ৮৭ লাখ ৭১ হাজার ৬১২ টাকা ফাঁকি দিয়ে স্কাই অটোসের মালিক ইশতিয়াক সাদেকের মাধ্যমে তিনি গাড়ি এনায়েতুর রহমান বাপ্পীর কাছে বিক্রি করেন। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়। তবে তিনি নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হন।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করে তা বেআইনিভাবে বিক্রির অভিযোগে এমপি হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা হয়।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর বিচার শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলায় রায় দেন। রায়ে এ মামলার তিন আসামির মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এমপি হারুনের আপিল
২ বছর আগে