খালেদা জিয়া
আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আমিনবাজারে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে চুরি করার পথে যারাই হাত বাড়াবে, তারা কেউ রেহাই পাবে না।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বারবার বলা হচ্ছে, এই ভোট চুরির সঙ্গে যারা সরাসরি ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকবেন, যারা দেখেও না দেখার ভান করছেন তারাও বাদ যাবেন না।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
তিনি আরও বলেন, ‘সবার বুকেই ধড়ফড় শুরু হয়ে গেছে। বাইরে দেখান খুব সাহসী, কিন্তু ভেতরে এত সাহস নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সেলফি প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘ওয়াশিংটনে জাতিসংঘের সব কাজ শেষে বিশ্বের সব নেতারা বাড়ি চলে গেলেও আমাদের অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটনে বসে আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবস্থা বুঝতে পারছেন, কতটা খারাপ! কত খারাপ অবস্থা বুঝতে পারছেন, সেলফি তুলেও এখন কোনো কাজ হচ্ছে না। সেলফি তুলে কতদিন একটু ফুরফুরা মেজাজে ছিলেন, তারপর দেখা গেল স্যাংশন। আওয়ামী লীগ যে ভুয়া, সারা বিশ্ব বুঝে গেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে সরকার : আব্বাস
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলছি সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার এবং সংসদ হবে, যারা জনগণের কাছে দায়ী থাকবে, তাদের জবাবদিহি থাকবে।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশরাফের সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিপন রায়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী: ফখরুল
খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে অথবা সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তিনি একজন নারী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী। দেরি না করে তাকে বাঁচানোর জন্য এখনই পদক্ষেপ নিন। অন্যথায় সরকারকেই এর দায় নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী
সোমবার বিকালে দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপি নেতা রিজভী এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। ডাক্তাররা তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে বলছেন, কারণ এখানে তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পর তারা বুঝতে পেরেছেন যে তার উন্নত চিকিৎসা দরকার।’
এ সময় খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন রিজভী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে তার অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে ডাক্তারের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ থেকে বার্তা না পেলে কঠোর কর্মসূচি: রিজভী
সালাহউদ্দিন আহমেদকে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে বন্দি রেখেছে: রিজভী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনি দিক বিবেচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, 'আমি আগেও বলেছি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এটি প্রধানমন্ত্রীর উদারতা। এই আইনি অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আনা হলে প্রথমে তার শর্তসাপেক্ষ মুক্তি বাতিল করতে হবে। এরপর অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে যেতে খালেদা জিয়াকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে: আইনমন্ত্রী
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রবিবার সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, 'আবেদনটি প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। এটি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপর নির্ভর করে। আমি মনে করি, সরকার আইন অনুযায়ী এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারবে না।’
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়াতে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরলেন খালেদা জিয়া
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়।
এর আগে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে গত ৯ আগস্ট গুলশানের বাসা ফিরোজায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে
উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে যেতে খালেদা জিয়াকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আবেদনটি অবশ্যই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। তারপর সে সম্পর্কে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইতে পারে। তাদের আনুষ্ঠানিক জমা দেওয়ার পরে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতা ও মহানুভবতায় খালেদা জিয়ার সাজা বহাল থাকার পরও এভারকেয়ার হাসপাতালে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের স্থগিতাদেশ আরও ৬ মাস বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।
৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সাল থেকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর খালেদা জিয়া- হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠান: ফখরুল
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে আবারও কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল ১১টার দিকে খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
এর আগে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বেলা দেড়টায় সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর খালেদাকে পুরান ঢাকা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: নাইকো দুর্নীতি মামলা: খালেদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ৩ বিদেশিকে অনুমতি
খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
জেলে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শরীরে বিষ প্রয়োগ করা (স্লো পয়জনিং) করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে শ্রমিক দল আয়োজিত এক মিলাদ মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়ার এখন উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিলেও সরকার অনুমতি দিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলো ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর রোডমার্চ করবে
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া বর্তমানে কোনো অপরাধ না করেই কারাগারে রয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মায়া চৌধুরী, হাজী সেলিমের মতো ব্যক্তিরা অপরাধ করেও আইনের নাগালের বাইরে রয়েছেন।’
এসময় মির্জা আব্বাস ‘অবিচারের শিকল’ ভাঙার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে এটা শুধু দেশনেত্রী বেগম খালেদার মুক্তির কথা নয়, এটা সারাদেশের মানুষের স্বাধীনতা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের জনগণের ভোটাধিকারের স্বাধীনতার কথা।’
আব্বাস আরও বলেন, ‘আমাদের চেয়ারপার্সন আজ কারাগারে। আমরা তাকে মুক্ত করতে পারিনি। এটাই আমাদের দুর্বলতা। দেশ ও জনগণের স্বার্থে তিনি কখনো আপস করেননি। তিনি যদি এখন আমাদের মাঝে থাকতেন, তাহলে আজ দেশের এই অবস্থা হতো না।’
আরও পড়ুন: সরকারের দুঃশাসনে বিরক্ত জনগণ পরিবর্তন চায়: ফখরুল
‘সেলফি’ সরকারকে ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে না: ফখরুল
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান ৫৮২ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ৫৮২ জন বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী।
বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ৯ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। দেশে তার চিকিৎসা করার মতো কিছুই অবশিষ্ট নেই।
তারা আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে একটি উন্নত কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আমরা সরকারকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবিক দিক বিবেচনা করে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সরকার অমানবিকভাবে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে: ফখরুল
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সাংবাদিক আলমগীর মহিউদ্দিন, রুহুল আমিন গাজী, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ।
তারা বিদেশে চিকিৎসার সুবিধার্থে আদালতের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে স্থায়ী জামিনে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যা, কোভিড পরবর্তী জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পরে হাইকোর্ট তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার তাকে ৬ মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয় এই শর্তে যে তিনি রাজধানীতে তার বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ত্যাগ করবেন না।
আরও পড়ুন: বিদেশে খালেদার চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির পদযাত্রা
খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো হয়নি: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো হয়নি: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, গত ২৬ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখনও তার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো নয়।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ডাক্তার ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ম্যাডামকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা দিনে দুই বা তিনবার তার সঙ্গে দেখা করছেন, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করছেন এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে পাঠানো জরুরি: ফখরুল
জাহিদ জানান, তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের পরামর্শে তার চিকিৎসা করছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এ কারণে তাকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার এখনও হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার মতো উন্নতি হয়নি। তাই তাকে আর কত দিন হাসপাতালে থাকতে হবে তা এখনও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না মেডিকেল বোর্ড।
জাহিদ বলেন, চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘খুব ধীরগতিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, তিনি বেশ কিছু জটিল রোগে ভুগছেন এবং তার এখন যা প্রয়োজন বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালেই তাকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা নেই।
তিনি বলেন, খালেদার জীবন বাঁচাতে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সুবিধাসহ বিদেশের যেকোনো অত্যাধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো জরুরি। তবে আমরা তার অবস্থা যাতে খারাপ না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কারণ এখানে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়।
অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৯ আগস্ট খালেদাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এরপর থেকে তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদার অবস্থা আশঙ্কাজনক, বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান ড্যাবের
খালেদা জিয়া ৭৯ বছরে পা দিলেন
খালেদা জিয়া ৭৯ বছরে পা দিলেন
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ৭৯ বছরে পা দিয়েছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যার স্মরণে জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় মঙ্গলবারের পরিবর্তে বুধবার সকাল ১১টায় বিএনপি দলের পক্ষ থেকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুধু মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে মিলাদ মাহফিল করবে তাদের দল।
জাতীয় শোক দিবসে তার জন্মদিন পালনের জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার কারণে বিএনপি ২০১৬ সাল থেকে কেক কাটার পরিবর্তে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে তার জন্মদিন পালন করে আসছে।
অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৯ আগস্ট খালেদাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাকে হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সনকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার এক সেমিনারে বলেছেন, মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো তাদের দলের চেয়ারপার্সন বিভিন্ন অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে জীবনযুদ্ধে লড়ছেন। ডাক্তাররা বারবার বিদেশে উন্নত কেন্দ্রে তার চিকিৎসার কথা বললেও সরকার তাকে সে সুযোগ দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় 8 ফেব্রুয়ারি, ২০১৮-এ বিচারিক আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হয়ে তাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
২৫ মার্চ, ২০২০-এ বিএনপি প্রধানকে কিছু শর্তে একটি নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। বয়স এবং মানবিক ভিত্তি তার পরিবারের দ্বারা একটি আবেদন অনুসরণ করে.
বিএনপির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুর জেলায় ইস্কান্দার মজুমদার ও তৈয়বা মজুমদারের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৬ ঘণ্টার অনশন