সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ৫৮২ জন বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী।
বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ৯ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। দেশে তার চিকিৎসা করার মতো কিছুই অবশিষ্ট নেই।
তারা আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে একটি উন্নত কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আমরা সরকারকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবিক দিক বিবেচনা করে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সরকার অমানবিকভাবে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে: ফখরুল
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সাংবাদিক আলমগীর মহিউদ্দিন, রুহুল আমিন গাজী, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ।
তারা বিদেশে চিকিৎসার সুবিধার্থে আদালতের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে স্থায়ী জামিনে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যা, কোভিড পরবর্তী জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পরে হাইকোর্ট তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার তাকে ৬ মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয় এই শর্তে যে তিনি রাজধানীতে তার বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ত্যাগ করবেন না।
আরও পড়ুন: বিদেশে খালেদার চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির পদযাত্রা
খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো হয়নি: ব্যক্তিগত চিকিৎসক