কেবিন
বোগদাদিয়া লঞ্চের কেবিনে মিলল দর্জির লাশ
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে এমভি বোগদাদিয়া-৭ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চের কেবিন থেকে জয়নাল নামে এক দোকান কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সকালে সদরঘাট থেকে ছেড়ে চাঁদপুর ঘাটে আসার পর মৃত্যুর বিষয় জানতে পেরে পুলিশ ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায় জয়নাল নামে দর্জি দোকানের কর্মচারীর বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। তিনি ঢাকা একটি দর্জির দোকানে কাজ করতেন। লঞ্চের নীচতলার ১০৩ নম্বর কেবিনে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বোগদাদিয়া লঞ্চ-৭ এর মাস্টার কলিমুল্লাহ জানান, সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রওনা করে লঞ্চটি পৌনে ১২টায় চাঁদপুর ঘাটে আসে। ঘাটে আসার পর সব যাত্রী লঞ্চ থেকে নেমে পড়েন। কিন্তু নিচতলার ১০৩ কেবিনের যাত্রী বের হননি। পরে দরজায় অনেকবার নক করা হলেও সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালা খুলে দেখা যায় তিনি নিচে পড়ে আছেন। পরে পুলিশের সহায়তার তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লঞ্চের টালী খাতায় তিনি জয়নাল নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
চাঁদপুর নৌ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহির ইউএনবিকে জানান, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সে ঢাকায় একটি পোশাক তৈরির দোকানে কাজ করে বলে দোকান মালিকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। কেবিনে তিনি একা থাকায় পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: নবীনগরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিল থেকে অটোচালকের লাশ উদ্ধার
৯ মাস আগে
শিক্ষার্থীকে ট্রেনের কেবিনে ধর্ষণের দায়ে অ্যাটেনডেন্ট গ্রেপ্তার
লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে লালমনি এক্সপ্রেস চলন্ত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অভিমানে বাড়ি ছেড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়।
লালমনিরহাট জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলী জানান, রাতে ময়মনসিংহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওই শিক্ষার্থী জয়দেবপুর স্টেশনে অবস্থান করছিল। তবে ভুল করে লালমনি এক্সপ্রেসে উঠে পড়ে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
তিনি আরও জানান, চেকিংয়ের সময় তার কাছে টিকিট না পাওয়ায় ওই অ্যাটেনডেন্ট তার কক্ষে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে কেবিন ফাঁকা পেয়ে সকালে তাকে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির চেচামেচিতে ট্রেনে থাকা পুলিশ সদস্যরা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং আক্কাস আলীকে আটক করে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় একজনের ১০ বছর কারাদণ্ড
৯ মাস আগে
সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে তাকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, 'আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, তিনি খুবই অসুস্থ। গতকাল রাতে তাকে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বেলা ১২টার দিকে তাকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।’
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, সকালে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা (চিকিৎসকরা) বলেছেন, ম্যাডাম এখন খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশের জন্য ডিএমপির অনুমতি চেয়েছে বিএনপি
গত ৯ আগস্ট থেকে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
তিনি বলেন, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এর আগে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বেশ কয়েকবার সিসিইউতে নেওয়া হয়।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার তার নিঃশর্ত মুক্তি এবং জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে 'অ্যাডভান্সড মেডিকেল সেন্টারে' চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, দুর্নীতির সাজা ভোগ করতে জন্য তাকে প্রথমে কারাগারে ফিরে যেতে হবে এবং পরে এ বিষয়ে অনুমতি নিতে আদালতে আবেদন করতে হবে।
গত ৯ অক্টোবর এভারকেয়ার হাসপাতালের বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করে, বাংলাদেশে তার চিকিৎসার কোনো বিকল্প না থাকায় তাকে দ্রুত বিদেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানো হোক।
হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া বন্ধে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কারণে সৃষ্ট সংক্রমণের কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় থাকা এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: বর্তমান সংসদ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান চালু করতে আ. লীগের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
১ বছর আগে
আড়াই ঘণ্টা পর সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরেছেন খালেদা জিয়া
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর আবারও সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে তার শারীরিক অবস্থার কারণে শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয় বলে জানান তিনি।
খালেদা জিয়ার ইসিজি, এক্স-রেসহ বেশ কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক বলেন, এসব পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে অল্প সময়ের জন্য ভর্তি করা এটাই প্রথম নয়। কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর, তাকে অতীতে তার কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তার বর্তমান স্বাস্থ্যের অবস্থা উদ্বেগের বিষয় এবং মেডিকেল বোর্ড তার অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তার স্বাস্থ্যের হঠাৎ কোনো অবনতি চিন্তার কারণ।
আরও পড়ুন: বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির প্রতীকী অনশন শুরু
এক প্রশ্নের জবাবে একজন চিকিৎসক উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়া শারীরিক দুর্বলতার কারণে অনেক ওষুধ খেতে চাননা। তিনি স্যালাইনে আছেন এবং নিয়মিত ইনজেকশন প্রয়োজন। দুই দিন আগে, তার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কিছুটা উন্নতি হয়েছিল, কিন্তু তারপর থেকে তা কমে গেছে। তারা ইনসুলিন দিয়ে তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
ডাক্তার আরও উল্লেখ করেছেন, তারা বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে লিভারের সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু লিভার ট্রান্সপ্লান্ট ছাড়া স্থায়ী সমাধান অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। বিভিন্ন মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বোর্ড প্রতিনিয়ত এসব রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে চিকিত্সা পরিকল্পনা সংশোধন করছে। একাধিক হাসপাতালে বেশ কিছু পরীক্ষা করা হচ্ছে। বোর্ড তার জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পাশে আছেন তার পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথি।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বর্তমানে কিডনি, শ্বাসকষ্ট, হার্টের সমস্যা এবং লিভারের জটিলতায় ভুগছেন।
৯ আগস্ট রাতে তাকে পুঙ্খানুপুঙ্খ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার এবং একটি ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের নির্দেশনায় তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে বাধা অপসারণ করুন: সরকারের প্রতি বিএনপির নীতিনির্ধারকদের আহ্বান
খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মুখে পড়লে সরকারকে ভয়াবহ পরিণামের হুঁশিয়ারি ফখরুলের
১ বছর আগে
সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরলেন খালেদা জিয়া
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়।
এর আগে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে গত ৯ আগস্ট গুলশানের বাসা ফিরোজায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে
১ বছর আগে
খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর
মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালেদা জিয়াকে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
এদিকে জুমার নামাজের পর সারাদেশে মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে তার জন্য বিশেষ মোনাজাত করে বিএনপি।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে
১ বছর আগে
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে আবারও কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল ১১টার দিকে খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
এর আগে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বেলা দেড়টায় সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর খালেদাকে পুরান ঢাকা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: নাইকো দুর্নীতি মামলা: খালেদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ৩ বিদেশিকে অনুমতি
খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
খালেদা জিয়া সিসিইউ থেকে কেবিনে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়াকে রবিবার রাতে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামকে (খালেদা) মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে তিনি বলেন, ‘তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হলেও সেখানে সিসিইউ’র সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। সিসিইউর নার্সরা কেবিনে তার সেবায় থাকবেন।’
জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। তার অবস্থা আগের মতোই আছে এবং তার স্বাস্থ্যের সব প্যারামিটার আগের মতো ওঠানামা করছে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: আরও ৪০ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে কয়েকজন মন্ত্রী বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে ফিরে নতুন আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আইনগত সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
লঞ্চের কেবিন থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার
ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের কুয়াকাটা-২ লঞ্চের কেবিনে তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্বামী মাসুদকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার রাতে র্যাবের একটি দল কক্সবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
সোমবার বিকেলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ.ন.ম. খান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
নিহত শারমিন আক্তার (২৭) ঢাকার কুনিপাড়া এলাকার এনায়েত হোসেনের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার মো. মাসুদের সঙ্গে ২০১৯ সালে শারমিনের মোবাইল ফোনে প্রেম হয়। পরে তারা দৈহিক সম্পর্কে জড়ান। এরপর শারমিন বিয়ের জন্য চাপ দিলে মাসুদ বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে শারমিন মাসুদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। সেই মামলা থেকে রক্ষা পেতে ২০১৯ সালে শারমিনকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন মাসুদ। বিয়ের পর মাসুদ বিভিন্ন নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং শারমিনকে এড়িয়ে চলতে থাকে। মাসুদ সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইলে শারমিন তার কাছে দেনমোহরের পাঁচ লাখ টাকা চায়। তাই শারমিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে মাসুদ। এরপর শারমিনের কাশি হলে হত্যার উদ্দেশ্যে মাসুদ ঢাকা থেকে কাশির ওষুধ, বিষ ও ঘুমের ওষুধ কেনেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার কথা বলে পরিকল্পনা মোতাবেক বৃহস্পতিবার শারমিনকে নিয়ে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা-২ লঞ্চে বরিশাল রওনা দেন। নির্বিঘ্নে খুন করতে লঞ্চের লস্কর কেবিন ভাড়া করেন মাসুদ। লঞ্চে বসে রাত ১২টার দিকে শারমিনের কাশি আসলে মাসুদ তাকে বিষমিশ্রিত কাশির ওষুধ খেতে দেন। ওষুধ খেয়ে অসুস্থবোধ করলে শারমিনকে বাকি বিষও জোর করে খাইয়ে দেন মাসুদ। তারপর তিনি কেবিনের দরজা বন্ধ করে বাইরে এসে লঞ্চের রেস্টুরেন্টে ভাত খান। ভাত খেয়ে ফের কেবিনের সামনে গিয়ে বিষ মিশ্রিত কাশির ওষুধের বোতল পরে থাকতে দেখে তা নদীতে ফেলে দেন। কেবিনে প্রবেশ করে শারমিনকে তখনও জীবিত দেখতে পেয়ে ব্যাগ থেকে শার্ট বের করে গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি। লঞ্চ থামলে দ্রুত নেমে গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি চলে যান অভিযুক্ত মাসুদ।
র্যাব আরও জানায়, এই ঘটনার পর র্যাব লঞ্চের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযানে নামে। র্যাবের হাত থেকে বাঁচতে মাসুদ বরিশাল, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় আত্মগোপন করেন। রবিবার রাতে তাকে কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে বরিশালের কোতোয়ালি মডেল থানায় হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুঁড়িয়ে হত্যার দায়ে কুষ্টিয়ায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
বরিশালে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
প্রবাসীর স্ত্রীকে জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
২ বছর আগে