সংঘর্ষ
টেকনাফে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রসহ নিহত ৩
কক্সবাজারের টেকনাফে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। বুধবার দুপুর ২টার দিকে মেরিন ড্রাইভ সড়কে মো. শফির বিল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- যশোরের আব্দুস সাত্তারের ছেলে ইমারত উল্লাহ (৩৮), উখিয়ার হলদিয়া পালং রুমখাঁ মাতবর পাড়ার গুরা মিয়ার ছেলে আক্তার কামাল (১৮) এবং পিনজির কুল এলাকার রিদুয়ান (১৮)।
দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রেজাউল করিম জানান, ইমারত উল্লাহ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত দুজনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। আক্তার কামাল ও রিদুয়ানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম রেফার করলে পথিমধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে হাইস্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ২, আহত ৫
সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষ: নিহত ১৪ জনের পরিচয় মিলেছে
সিলেটে ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৪
সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষ: নিহত ১৪ জনের পরিচয় মিলেছে
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় বালুবাহী ট্রাক ও শ্রমিক বহনকারী পিকআপের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ১৪ জনের পরিচয় জানা গেছে।
এছাড়া এই সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান ১১ জন। পরে হাসপাতালে গিয়ে মারা যান আরও ৩ জন। আহত আরও ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (৭ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৪
দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, হতাহতদের উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত সজিব আলীর ছেলে রশিদ আলী (২৫), শান্তিগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার ছেলে দুলাম মিয়া (২৬), একই উপজেলার বাবনগাঁ গ্রামের মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে শাহিন মিয়া (৪০), দিরাই উপজেলার আলীনগর গ্রামের মৃত শিশু মিয়ার ছেলে হারিস মিয়া (৬৫), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার হলদিউড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে সায়েদ নূর (৫০), শান্তিগঞ্জ উপজেলার তলেরতন গ্রামের মৃত আওলাদ উল্লার ছেলে আওলাদ হোসেন (৬০), দিরাই উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে একলিম মিয়া (৫৫), গচিয়া গ্রামের বারিক উল্লার ছেলে সিজিল মিয়া (৫৫), ভাটিপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া (২৭), নেত্রকোনার ভারহাট্টা উপজেলার দশদার গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে আওলাদ মিয়া (৩০), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের শমসের নুরের মেয়ে মেহের (২৪), দিরাই উপজেলার মধুপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে দুদু মিয়া (৪০), একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে বাদশা (২২) সহ ১৪ জন।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগর থেকে পিকআপে করে প্রায় ৩০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণশ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন।
সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে পৌঁছলে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে শ্রমিক বহনকারী পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান।
আরও পড়ুন: সিলেটে সিএনজি-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত, আহত ১
খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠান। এরপর হাসপাতালে আরও ৩ জন মারা যান।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর নাজিরবাজারের দুই দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় ৩ ঘণ্টা পর সাড়ে ৮টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলেই ছুটে আসি এবং সকাল ৭টা পর্যন্ত ১১ জনের লাশ ও অন্তত ১০ জন গুরুতর আহতকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠাই। এরপর হাসপাতালে আরও ৩ জন মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা আসার আগে স্থানীয়রা আরও আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি, আর কোনো হতাহত পড়ে আছেন কি না দেখার জন্য।
এদিকে সকালে ওসমানী হাসপাতাল ফাঁড়ি ইনচার্জ জুয়েল আহমদ জানান, তিনি অন্য একটি দুর্ঘটনায় নিহত একজনকে এই ঘটনার সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছিলেন। তাই প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন যে দুর্ঘটনায় আহত চারজন হাসপাতালে মারা গেছেন। কিন্তু মূলত হাসপাতালে ৩ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্যাংকলরি ও অটোরিকশা সংঘর্ষে নারী নিহত
কুমিল্লায় আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় সংঘর্ষের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে একই সময়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সভা করতে গেলে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
আরও পড়ুন: ভারতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ২৩৩ জন নিহত, ৯ শতাধিক মানুষ আহত
ওসি আরও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ।
এ সময় এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১
চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৩ কমিটি
নওগাঁয় ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১
নওগাঁর মহাদেবপুরে ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার (৪ জুন) দুপুরে উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের বাগাচাড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- নওগাঁ সদর উপজেলার চকপাথুরিয়া গ্রামের গাজী সরদারের ছেলে সিএনজিচালক পাপ্পু সরদার (৪৫), সিরাজগঞ্জ সদরের খোকশাবাড়ী এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে নাজমুল হক (২২),সিরাজগঞ্জ সদরের শাতিকাবাড়ী এলাকার জব্বার চৌধুররীর ছেলে তানভির রহমান (৪২) এবং অজ্ঞাতনামা একজন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
আহত রাকিবুল হাসান সিরাজগঞ্জ সদরের খোকশাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।
নওগাঁ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা দুপুর দেড়টায় ঘটনাস্থল আসি। এসে দেখি সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে আছে। পরে সিএনজির চালকসহ চার জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, নওগাঁ থেকে ট্রাকটি মহাদেবপুরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে নওগাঁ অভিমুখে আসা একটি যাত্রীবাহী সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সিএনজির চালকসহ চার যাত্রী নিহত হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও দুই ছেলে নিহত
হবিগঞ্জে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ৩
হবিগঞ্জে বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছে। রবিবার (৪ জুন) সকালে শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের সুদিয়াখলা এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় আহত কয়েকজনকে পুলিশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪
নিহতরা হলেন- চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে সিএনজি চালক রফিক মিয়া (৩৫), বানিয়াচং উপজেলার রঘু চৌধুরী পাড়ার আজির হুসেনের ছেলে জিয়াউল হক (৩৬) ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও এলাকার আব্দুল বারিকের ছেলে মুছা মিয়া (৬৪)।
তবে এলাকাবাসীর দাবি- উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কে রাখা পাথরের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী মর্ডান পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসটি পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক কামাল বলেন, সড়কে পাথর রাখার কারণে সিএনজি এবং বাস একই লেনে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
সুরতহাল শেষে লাশগুলো হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাসচালক পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৩ কমিটি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনা তদন্তে তিনটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (২ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চবির শাটল ট্রেনে যান্ত্রিক ত্রুটি, ১৫ মিনিট দেরিতে শুরু ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা
প্রক্টর জানান, গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আলাওল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলমকে আহ্বায়ক এবং আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নির্মল কুমার শাহা ও সহকারী প্রক্টর হাসান মোহাম্মদ রোমানকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে শহীদ আব্দুর রব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়াকে।
এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- শাহ জালাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জামাল উদ্দিন ও সহকারী প্রক্টর মোর্শেদুল আলম।
একই দিন দুপুরে প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনায় আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চবি জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদকে আহ্বায়ক করে এই কমিটিতে প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং গোপনীয় শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফজলুল করিমকে সদস্য করা হয়েছে।
প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় দুইটি এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার আরেকটি ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে খাবার হোটেলে বসা নিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের কর্মীরা।
সেই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আরেক দফা সংঘর্ষে জড়ায় তারা।
এছাড়া উভয় ঘটনায় প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর ও পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২২ জন আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে দুই পক্ষই প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে। একইদিন দুপুরে চাকরি চেয়ে প্রক্টর কার্যালয়ে তালা দেয় ছাত্রলীগের একাংশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে চবি কর্তৃপক্ষ ও হাটহাজারী পুলিশ যৌথভাবে বিভিন্ন হলে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা উদ্ধার করে। এসব ঘটনায় কাউকে আটক করেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮
চবিতে ফের সংঘর্ষ: ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া
ভারতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ২৩৩ জন নিহত, ৯ শতাধিক মানুষ আহত
ভারতের ওড়িশায় শুক্রবার দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে ২৩৩ জন নিহত এবং ৯ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আরও কয়েকশ মানুষ দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের মধ্যে আটকা পড়ে আছে।
প্রেস ট্রাস্ট জানায়, লাইনচ্যুত করমণ্ডল এক্সপ্রেস পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে দক্ষিণ তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই যাচ্ছিল।
শনিবার ভোরে ওড়িশার মুখ্য সচিব পি.কে জেনা একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৩৩ জন মারা গেছে এবং প্রায় ৯০০ জন আহত হয়েছেন।
দেশটির রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেছেন, একটি ট্রেনের ১০ থেকে ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে এবং কিছু ছিন্নভিন্ন কোচের ধ্বংসাবশেষ কাছাকাছি ট্র্যাকের উপর পড়েছে। দ্বিতীয় ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
প্রেস ট্রাস্ট-এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মালবাহী একটি তৃতীয় ট্রেনও দুর্ঘটনাকবলিত হয়েছিল, তবে রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রেস ট্রাস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাইনচ্যুত যাত্রীবাহী কোচের কয়েকটি মালবাহী ট্রেন থেকে গাড়িতে আঘাত করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের মণিপুরে সহিংসতায় ৯৮ জন নিহত
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১২০০ উদ্ধারকারী ১১৫টি অ্যাম্বুলেন্স, ৫০টি বাস এবং ৪৫টি মোবাইল হেলথ ইউনিট নিয়ে রাতভর দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করেছে।
কলকাতার প্রায় ২২০ কিলোমিটার (১৩৭ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ একদিকে উদ্ধারকারীরা আটকা পড়া জীবিত যাত্রীদের এবং অন্যদিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করছে।
গ্রামবাসীরা বলেছেন, ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে একটি বিকট শব্দ শুনে দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধারে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
জীবিত এক যাত্রী রূপম ব্যানার্জি পিটিআইকে বলেছে, ‘স্থানীয় লোকেরা সত্যিই আমাদের সাহায্য করেছে। তারা কেবল মানুষদের উদ্ধার করতেই সাহায্য করেনি, আমাদের লাগেজ উদ্ধার করেছে এবং আমাদের জল খাইয়েছে।’
আরেক যাত্রী বন্দনা কালেদা বলেন, ‘আমি যখন ওয়াশরুম থেকে বের হলাম, হঠাৎ ট্রেনটি কাত হয়ে গেল। এসময় আমি আমার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলাম... সবকিছু উল্টে যায়, একজনের ওপর অন্যজন পড়তে শুরু করে।’
তিনি আরও জানান, তিনি ভাগ্যবান বলে বেঁচে গেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের মণিপুরে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৬০, কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত
অপর একজন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি যিনি তার নাম প্রকাশ করেননি তিনি বলেছেন যে আঘাতের সময় তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন।
তিনি বলেন, তিনি ভাঙ্গা অঙ্গ ও বিকৃত মুখসহ অন্যান্য যাত্রীদের দেখেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি তার সমবেদনা জানিয়েছেন।
মোদি এক টুইটে লিখেছেন, ‘আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।’
আরও জানান, তিনি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ‘সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা’ দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার রাজ্যটিতে এক দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
রেল নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য সরকারি প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ভারতে প্রতিবছর কয়েকশ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯৯৫ সালের আগস্টে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ট্রেন দুর্ঘটনার একটিতে, নয়াদিল্লির কাছে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ৩৫৮ জন মারা যায়।
২০১৬ সালে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ইন্দোর ও পাটনা শহরের মধ্যে লাইনচ্যুত হয়ে ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বেশির ভাগ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় মানবিক ত্রুটি বা সেকেলে সিগন্যালিং যন্ত্রপাতিকে।
প্রতিদিন দেশটির ১২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ১৪ হাজার ট্রেনে চড়ে ৬৪ হাজার কিলোমিটার (৪০ হাজার মাইল) ভ্রমণ করে।
চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) গত দুই দিনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল থেকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর, পুলিশ ও ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার গাংগাইর গোমা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- ধনবাড়ী উপজেলার পাইটকা গ্রামের মাইনুউদ্দিন (৪৫), তার স্ত্রী সাহেরা বেগম (৩৫) ও তাদের ছেলে সিয়াম (৭ বছর) এবং একই গ্রামের অটোরিকশার চালক ফরহাদ আলী (৩৫)।
মধুপুর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি জানান, বিকাল ৩টার দিকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চড়ে মাইনুদ্দিন তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মধুপুর যাচ্ছিলেন। তারা মধুপুরের গাংগাইর গোমা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে টাঙ্গাইলগামী বিনিময় পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
চবিতে ফের সংঘর্ষ: ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলগের বিবাদমান দুইপক্ষ ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এসময় দুই পক্ষকে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রহাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পরে র্যাব-৭ এর একটি টিম ক্যাপাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে গতকাল বুধবার কথা কাটাকাটির মত তুচ্ছ ঘটনায় চবি শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য, একজন সহকারী প্রক্টরসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ ও প্রক্টর আহত
সংঘর্ষের সময় চবি শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক রমজান হোসাইন প্রতিপক্ষের রামদার কোপে গুরুতর আহত হয়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে শাটল ট্রেনভিত্তিক ছাত্রলীগের গ্রুপ সিএফসি ওসিক্সটি নাইনের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষকে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা গেছে।
দুপুর সাড়ে তিনটায় পর্যন্ত শাহ আমানত হল ও শাহ জালাল হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপকে উত্তেজিত অবস্থায় দেখা গেছে। হলগুলোতে ছাত্রলীগকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
চবির সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রাখে। পরে র্যাব টিম ক্যাম্পাসে পৌঁছলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আরও পড়ুন: চবির শাটল ট্রেনের ছাদে উঠতে গিয়ে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
প্রশাসনিক পদ থেকে আরও ৩ চবি শিক্ষকের পদত্যাগ