স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর ড্যাপ গেজেট আকারে প্রকাশ হবে
ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) চূড়ান্ত করা হয়েছে। অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরে ড্যাপ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ড্যাপ পর্যালোচনা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার ড্যাপ চূড়ান্ত করা হয়েছে। ড্যাপে কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা কারও ওপর যদি অবিচার করা হয়েছে বলে মনে হয়, তবে সেসব সংশোধন করা হবে। কোনো পক্ষের ক্ষতি করার জন্য ড্যাপ পাস করা হচ্ছে না। ড্যাপ চূড়ান্ত হওয়ায় এখন এটি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে ড্যাপের গেজেট প্রকাশ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই ড্যাপ চূড়ান্ত হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
রিহ্যাবের আপত্তির প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন,‘আমরা সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নিয়েছি। তাদের যে চাহিদা বা মতামত তা যদি যুক্তিসঙ্গত হয়ে থাকে সেটা শতভাগ নেয়া হয়েছে। যেটা নেয়া হয় নাই সে বিষয়ে বসে নিজেদের মধ্যে ঐক্যমতে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ৬/৩ তলার ওপর কোন বিল্ডিং করতে দেয়া হবে না এটা একেবারেই অমূলক। ৪০ তলা, ৫০ তলা ১০০ তলা বিল্ডিং যদি কেউ করতে চায় আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই৷ তবে যেখানেই করা হবে সেখানে যেন সকর ধরনের যোগাযোগ সুবিধা থাকে তাহলে অনুমোদন দেয়া হবে। যেখানে সব ধরনের সুযোগ নেই সেখানে অনুমোদন দেয়া নৈতিক হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি নতুন করে যে সকল আবাসিক এলাকা হবে সেখানে প্রতিটিতে একটি করে প্রথমিক বিদ্যালয় থাকবে। এই ধরনের সুবিধার কথা চিন্তা করছি। রিহ্যাবকে অভিনন্দন জানাই তাদের কাজ কর্মের জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বীকৃতি দিয়েছি। কারণ তারা আবাসন খাতে অনেক পরিবর্তন এনেছেন ও অবদান রাখছে। তবে যেসকল স্থান এখনও অনুন্নত রয়েছে সেখানে বিল্ডিং বানান। রাস্তা এখন নেই ভবিষ্যতে হবে। ড্যাপের প্ল্যানের মধ্যে রাস্তা ঘাট রয়েছে। সে সব এলাকাতে বিল্ডিং বানাতে তিন চার বছর লাগবে আমরা এর মধ্যে রাস্তা করে ফেলবো।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘কোন পক্ষের ক্ষতির জন্য ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) পাস করা হচ্ছে না। দেশে বসবাসরত সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সীমাবদ্ধতার মধ্যে যতটুকু সুবিধা নির্বিঘ্নে দেয়া যায় তা রাখা হয়েছে। এই প্ল্যানে সবাইকে যথাযথ সম্মান করা হয়েছে। ব্যবসায়ী ও বিল্ডারদের অবদান যাতে খর্ব করা না হয় সে বিষয়ে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিটি করপোরেশনের মতামত নিয়ে ড্যাপের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত: মন্ত্রী
বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যে সকল নির্মাণ হচ্ছে। সেগুলো নির্মাণ সময়ে আমাদের কমপ্লাইন্সগুলো যথাযথভাবে মানতে হবে। যদি না মানি তাহলে সে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। এ বিষয়গুলো আমাদের এড্রেস করার সময় এসে গেছে। এ বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) বলব তারা যে সকল বিল্ডিং অনুমোদন দেন তার সঙ্গে পরিবেশকে নিরাপদ রেখে এ সকল নির্মাণ কাজ করবেন। রাজউকের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি রাজউককে বলব আপনারা নির্মাণের বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে নিবেন। যখন কোন স্থাপনা নির্মাণের জন্য অনুমোদন পাবে তখন পরিবেশের নিরাপত্তার বিষয়টিকে নিশ্চিত করে দিতে হবে। তা না হলে অনুমোদন দেয়া হবে। এজন্য কিছু সুবিধা বাড়াতে হবে রাজউককে।
২ বছর আগে