রাষ্ট্রদূত
আমরা আগামী ৫০ বছরের সম্পর্কের মঞ্চ তৈরি করেছি: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
আমরা আগামী ৫০ বছরের সম্পর্কের (বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র) মঞ্চ তৈরি করেছি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
রাষ্ট্রদূত হাসের উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ‘আমরা আমাদের দেশের আগামী ৫০ বছরের সম্পর্কের মঞ্চ তৈরি করেছি।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বৈঠকের পর তিনি একথা বলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রসমূহে সম্পর্ক গভীর করার পাশাপাশি তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ‘তাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য উন্মুখ’।
তিনি বলেন, ‘আমি অর্থনীতি, উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে (দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের) সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে উচ্ছ্বসিত।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তারা গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের সাফল্য এবং দুই দেশের শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: করোনা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
রাষ্ট্রদূত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব এবং এই অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সহায়তা ও কোভিড-১৯ সহ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
তিনি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতৃত্ব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে উদারতা ও বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অসাধারণ অবদানের কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত হাস পুনরায় বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী ও দেশীয় সম্প্রদায়ের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেছেন, ‘আমাদের বৈঠকের সময় আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি; আমি মনে করি যেভাবে আমরা কোভিড-১৯ সংকটকে মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করেছি, সেটা আমাদের যৌথ অর্জনগুলোর মধ্যে একটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের বেশিকে টিকা দেয়ার উদ্যোগের প্রশংসা করি।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রায় ৮৮ মিলিয়ন কোভিড-১৯ টিকার ডোজ অনুদান দিয়েছে। এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কিত উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তায় ১৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অবদান রেখেছে এবং সারা দেশে এই সহায়তা বিতরণের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহ্বান জাতিসংঘ হাইকমিশনারের
সীমান্তে উত্তেজনা এড়াতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব, সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন নিয়ে নাইপিদোর কাছে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ ঢাকার
দেশের অভ্যন্তরে মর্টার শেল পড়া এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় বিমান থেকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মিয়ানমারের আকাশ সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোকে তলব করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সাম্প্রতিক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল
রবিবার মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আজ (রবিবার) আবার তাদের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছি। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি।’
মোমেন জানান, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছে, এতে তিনি উস্কানিমূলক কিছু মনে করছেন না এবং বাংলাদেশ তাদের উদ্বেগ মিয়ানমারের সঙ্গে শেয়ার করেছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি কূটনৈতিক নোট হস্তান্তর করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের কোনো নাগরিক যাতে নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সরকার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সতর্ক করেছে।
সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩ সেপ্টেম্বর বিপি ৪০ থেকে ৪১ এর মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুটি মর্টার শেল পড়ে।
মহাপরিচালকের (মিয়ানমার উইং) সঙ্গে সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রদূতকে আরও বলা হয় যে এই ধরনের কর্মকাণ্ড শান্তিপ্রিয় জনগণের সেফটি এন্ড সিকিউরিটির জন্য ‘গুরুতর হুমকি’, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন এবং দুই ভালো প্রতিবেশির সম্পর্কের পরিপন্থী।
আরও পড়ুন: ‘বিজিবি সতর্ক, মিয়ানমার থেকে এখন কেউ ঢুকতে পারবে না’: শাহরিয়ার আলম
রাখাইন থেকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের বাসিন্দাদের কোনো অনুপ্রবেশ যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্যও রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এসময় জোর দিয়ে বলা হয় যে রাখাইনে তাদের জন্মস্থানে একটি নিশ্চিত, নিরাপদ ও অনুকূল পরিবেশ বাংলাদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য অপরিহার্য।
রাষ্ট্রদূত এসব ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান।
এর আগে মিয়ানমারের ভূখণ্ড ব্যবহার করে উৎক্ষেপণ করা মর্টার শেল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাওয়া গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২১ আগস্ট ও ২৮ আগস্ট মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এবং বাংলাদেশের গুরুতর উদ্বেগ জানিয়ে তার কাছে প্রতিবাদ নোট হস্তান্তর করে।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে উত্থাপন করেছে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির অবনতির কারণে এখন মিয়ানমার থেকে কেউ যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ ভালোভাবে প্রস্তুত।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মর্টার শেল নিক্ষেপের পর মিয়ানমার পক্ষকে দুইবার সতর্ক করা হয় এবং এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে গুলি চালানোর পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে: পুলিশ
কুয়েতের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ খোঁজার আহ্বান
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশে নবনিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত ফয়সাল মুতলাক আল আদওয়ানিকে বাংলাদেশের আইটি পার্ক, অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন এবং বিনিয়োগের সুযোগ খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নিরাপদে পোল্যান্ড, রোমানিয়ায় প্রবেশ করেছেন ২০০ বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
এরপর তিনি পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণসহ আর্থ-সামাজিক খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কিছু পরিবর্তনের কথা তুলে ধরেন।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, জনশক্তি ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন।
শাহরিয়ার আলম রাষ্ট্রদূতকে জ্বালানি ও স্বাস্থ্যখাতসহ সহযোগিতার নতুন ও উদীয়মান ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণ করে সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাষ্ট্রদূতের করা প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী তাকে সমস্যার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কুয়েত সরকারের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত অর্থনৈতিক মুক্তির উদ্দেশ্যে উন্নয়ন ও শান্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য ও সাহসী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
এর আগে, রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য অংশীদার: রাষ্ট্রদূত শুয়ার্ড
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড বলেছেন, ‘তারা (সুইজারল্যান্ড) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্ত হতে চান এবং তারা এই বহুপাক্ষিক ফোরামে শান্তি, আন্তর্জাতিক আইন, টেকসই উন্নয়ন ও মানবাধিকারের পক্ষে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
তিনি বলেন, ‘তবে আমাকে এখানে পরিষ্কারভাবে বলতে দিন। কাজটা সহজ হবে না: আমরা যে অসংখ্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি, সেগুলো বিবেচনায় রেখে পারস্পরিক সহযোগিতা অপরিহার্য।’
তিনি আরও বলেন, সুইজারল্যান্ড একটি গুরুতর বৈশ্বিক ক্রীড়ানক এবং বাংলাদেশের একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’- অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।
ডিকাব সদস্যরা এবং রাষ্ট্রদূত শুয়ার্ড জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
রাষ্ট্রদূত শুয়ার্ড বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে যেসব ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হচ্ছে এবং অবদান রাখছে তা আসলে সুইজারল্যান্ড বিশ্বব্যাপী কিসের পক্ষে এবং কিসের প্রসার ঘটাচ্ছে তারই প্রতিফলন।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের সকলের জন্য একটি উন্নত, আরও নিরাপদ, সমৃদ্ধ ও টেকসই ভবিষ্যত গড়ার বৃহত্তর আকাঙ্ক্ষার অংশ।’
চলতি বছরের জুনে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০২৩-২৪ সালের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে সুইজারল্যান্ডকে নিরঙ্কুশভাবে নির্বাচিত করেছে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকাদানে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পরবর্তী পর্যায়ে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখবে।
এ লক্ষ্যে তিনি বলেন, সুশাসন, মানবাধিকারের মর্যাদা প্রচার, ক্ষমতায়ন এবং নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তি, সেইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন এবং আমাদের কর্ম ও উন্নয়ন এই সহযোগিতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা নারী ও যুবকদের মতো পরিবর্তনের চালিকাশক্তির সঙ্গেও কাজ করবে এবং সুশীল সমাজের কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করার এবং ভারসাম্য আনার জন্য সকলের অংশগ্রহণের দিকে মনোনিবেশ করবে; যা স্থায়িত্ব ও অন্তর্ভুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘আমরা এসডিজিতে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততাকে আরও জোরদার করতে আগ্রহী। এরমধ্যে একটি এসডিজি আমাদের হৃদয়ে বিশেষভাবে প্রিয়. সেটি হল এসডিজি-১৬ তথা শান্তি ও ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। কেননা এটি আমাদের (সুইজারল্যান্ডের) এসডিজির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, শান্তি, ন্যায়বিচার ও অন্তর্ভুক্তি ছাড়া দারিদ্র্যের অবসান, শিক্ষা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রসারের মতো লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন বা অসম্ভব বলে মনে হয়।
তিনি আরও বলেন,‘বহুপাক্ষিকতা এখন আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আমাদের মতো দেশগুলোর জন্য।
আরও পড়ুন: হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় বেইজিং
এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র: সিসন
ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর আমীর খসরু বলেন, তারা বাংলাদেশ ও ইইউ-এর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
তবে প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিস্তারিত বলতে রাজি হননি।
এর আগে মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের নবনিযুক্ত আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইস।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
অর্থমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংবিধান ও নৈতিকতার সংযোগ নেই: ফখরুল
হলি আর্টিজানে নিহতদের প্রতি রাষ্ট্রদূতদের শ্রদ্ধা
রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামরায় প্রাণ হারানো ২২ জনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।
শুক্রবার হামলার ষষ্ঠ বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের সম্মানে ঢাকাস্থ ইতালীয় দূতাবাসে যোগ দেন।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ‘আমরা স্মরণ করছি অবন্তি কবীরকে যিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক।আরও স্মরণ করছি তার সহপাঠী ফারাজ হোসেনকে যিনি নিরাপদে চলে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও তার বন্ধুদের সাথে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: হলি আর্টিজান হামলার ৪র্থ বার্ষিকী আজ
দূতাবাস আরও জানায়, ‘আমরা আরও স্মরণ করছি বার্কলি’র দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ঢাকাস্থ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী তারিশি জৈনকে যিনি গ্রীষ্মকালীন শিক্ষানবিশির জন্য ফিরে এসেছিলেন।’
মার্কিন দূতাবাস জানায়, ‘আমরা নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং ২৫ জন আহত কর্মকর্তার সাহসিকতার কথাও স্মরণ করছি। এই গৌরবময় অনুষ্ঠানে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। ‘প্রাণোৎসর্গকারী সকলেই শান্তিতে সমাহিত থাকুন।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজানে হামলায় ১৭ জন বিদেশি নাগরিক এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জন নিহত হন।
হলি আর্টিজান হামলায় নিহতদের স্মরণে ভারতীয় হাইকমিশনার দোরাইস্বামী ইতালীয় দূতাবাসে স্মৃতিসৌধে, হামলার স্থানে এবং ঢাকার গুলশানে পুলিশ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: হলি আর্টিজান হামলা: বলিউডের পর্দায় আসছে ‘ফারাজ’
হলি আর্টিজান হামলার রায় জঙ্গিদের প্রতি অশনিসংকেত: কাদের
সাবেক রাষ্ট্রদূত মহিউদ্দিন আহমেদ’র মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
সাবেক রাষ্ট্রদূত মহিউদ্দিন আহমেদ-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মহিউদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও সাহসী কূটনীতিক।
মরহুম মহিউদ্দিন আহমেদ -এর সঙ্গে নিজের দীর্ঘকালের সুসম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহিউদ্দিন ভাই ছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে মহিউদ্দিন আহমেদের অবদান অবিস্মরণীয়। বিশেষ করে, ১৯৭১ সালে লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে এক সমাবেশে সরকারি চাকুরির মায়া ত্যাগ করে মহিউদ্দিন আহমেদ পাকিস্তানের পক্ষত্যাগের সাহসী ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং ইউরোপে তিনিই প্রথম পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করা বাংলাদেশি কূটনীতিক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাবেক কূটনীতিক মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে দেশ এক অমূল্য সম্পদ-ব্যক্তিকে হারালো।
তিনি মরহুম মহিউদ্দিন আহমেদ-এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশের মতো দ্রুত এগিয়ে যেতে প্রস্তুত: হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সুযোগের সদ্ব্যবহার এবং যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আমরা ঠিক ততটা দ্রুত এগিয়ে যেতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: আমরা শুধু চাই জনগণের অবাধ অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল নিযুক্ত হলেন রাবাব ফাতিমা
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও স্বল্পোন্নত দেশ, ভূবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ ও উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের উচ্চ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যায়ের এ নিয়োগের ঘোষণা দেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসের একজন নারী কুটনীতিক জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেলেন। এই মূহুর্তে জাতিসংঘ সিস্টেমে একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাই হতে যাচ্ছেন সর্বোচ্চ পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার এই নিয়োগ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নিবিড় অংশগ্রহণ ও বাংলাদেশী পেশাদার কূটনীতিকদের গ্রহণযোগ্যতারই বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাবাব ফাতিমা ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
নিয়োগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে এ সুযোগ করে দিয়েছেন। আমার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তিনি আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। আমি জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি কৃতজ্ঞ। স্বল্পোন্নত দেশ, ভূবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ ও উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের উচ্চ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আমার ওপর যে গভীর আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করেছেন, আমি কাজের মাধ্যমে তার প্রতিফলন দেখাতে চাই।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিসে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার রয়েছে ৩০ বছরেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা যেখানে তিনি দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কূটনীতি, নীতি নির্ধারণ, অ্যাডভোকেসি, কর্মসূচি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
বর্তমানে তিনি জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। এর আগে তিনি জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (২০১৬-২০১৯) ছিলেন।
পেশাদার কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র সার্ভিসে যোগদান করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি নিউইয়র্ক ও জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং কলকাতা ও বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ: রাবাব ফাতিমা
মানবাধিকার বিষয়াবলীতে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। লন্ডনে কমনওয়েলথ্ সেক্রেটারিয়েটে মানবাধিকার বিভাগের প্রধান, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিনিধি এবং একই সংস্থার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিবাসন বিষয়ক আঞ্চলিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার তার সূদীর্ঘ অভিজ্ঞতাও রয়েছে।
রাবাব ফাতিমা টাফ্টস ইউনিভার্সিটির ফ্লেচার স্কুল অফ ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামাজিক বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
বাংলাদেশে ব্যবসায়িক সুযোগ খুঁজতে ফিনিশ কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান
ফিনল্যান্ডের ব্যবসায়িক কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে ব্যবসার ‘আকর্ষণীয়’ বিভিন্ন সুবিধা থেকে উপকৃত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রিতভা কোক্কু-রন্ডে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা দুই দেশের মধ্যকার সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনা করেন।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা (ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) উভয়েই বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। বিশেষত ব্যবসা ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পদক্ষেপ, এসডিজি, অভিবাসন ও গতিশীলতা, শিক্ষা ও গবেষণা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং ডিজিটাল সহযোগিতার ক্ষেত্রে সম্পর্ক সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
এ সময় দুই পক্ষই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর প্রভাবসহ আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় বিষয়েও মতবিনিময় করে।
আরও পড়ুন: আমরা শুধু চাই জনগণের অবাধ অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অভিবাসন ও গতিশীলতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছার বিষয়েও তিনি রাষ্ট্রদূতকে জানান।
ফিনিশ রাষ্ট্রদূত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া এবং তাদের টেকসই জীবিকা ও শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণে বাংলাদেশের সুপরিচিত ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট বন্দর নির্মাণের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ফিনল্যান্ডের জ্বালানি কোম্পানিগুলোর সহযোগিতা সম্পর্ক তৈরির করার আগ্রহের কথাও জানান।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশের প্রার্থীতার প্রতি ফিনল্যান্ডের সমর্থন কামনা করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে উচ্চশিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং গুরুত্বপূর্ণ খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ফিনল্যান্ডে যাওয়ার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়টিও তারা আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত উচ্চশিক্ষা খাতে আরও সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং শিগগিরই ভিসা জটিলতা কমানোর আশ্বাস দেন। দুই পক্ষই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিবাচক গতি অব্যাহত রাখার বিষয়ে তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বর্তমানে বাংলাদেশে একটি দ্বিপক্ষীয় সফরে এসেছেন। সফরকালীন তার বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী ফিনল্যান্ড
ভাসানচর পরিদর্শন করলেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি