রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূতদের ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ প্রত্যাহার সরকারের ‘চরম দায়িত্বহীনতা’: ফখরুল
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ সেবা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে সরকারের ‘চরম দায়িত্বহীনতা’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বলেছে, এতে দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমার কাছে দুইটা জিনিস মনে হয়…একটা হচ্ছে ‘চরম দায়িত্বহীনতা’, দ্বিতীয়টা ‘আত্মম্ভরিতা’ (অহংকার)।’
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ১৯, ২০, ২৬ ও ২৭ মে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং এর চূড়ান্ত শিকার হবে বাংলাদেশের জনগণ। ফলে এই সিদ্ধান্ত দায়িত্বহীনতা ছাড়া আমি কিছুই মনে করি না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে আত্মভরিতা-অহংকার কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছাতে পারে যেটা আপনার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করতে পারে… সম্ভবত এবার বিদেশে গিয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ঠিক সেই রকম উপযুক্ত প্রটোকল পান নাই, যে কারণে হয়ত এটা একটা প্রতিবাদ হিসেবে বা তার প্রতিশোধ হিসেবে আমরা দেখতে পারছি।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘকাল ধরে তারা (রাষ্ট্রদূতরা) এই প্রটোকল পেয়ে আসছেন। হঠাত করে সেই প্রটোকল বাতিল করে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, সামথিং ইজ ভেরি রং উইথ দিজ কান্ট্রিজ। এটা আমাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা উত্তেজনা, সমস্যা ও সংকট সৃষ্টি করবে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
সরকারের এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি এটাতে উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি কূটনীতির বিষয়ে বাংলাদেশকে এটা আরও একঘরে করে তুলবে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশ এ বিষয়ে কোনো পাল্টা পদক্ষেপ নিলে তা বাংলাদেশের জনগণের ক্ষতি করবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সৌদি আরব, যারা সবসময় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে তারা যদি কোনো ব্যবস্থা নেয় সেটা আমাদের জন্য ….., এমনকি দেখলাম যে ভারতও এরমধ্যে রয়েছে, তাদেরকে রাখা হয়েছে, জাপান আছে, অস্ট্রেলিয়া আছে… যারা আমাদের সবচাইতে বড় উন্নয়ন সহযোগী তাদের জন্য এটা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জিয়ার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ১৩ দিনের কর্মসূচি
বিএনপির এই নেতা সতর্ক করে বলেন, ‘আমি মনে করি নিঃসন্দেহে এটা বড় রকমের পরিবর্তন ঘটবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে, সেটা কখনো কোনো শুভ ফল বয়ে আনবে না।’
বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় উল্লেখ করে বর্তমান সংসদ সদস্যদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ প্রতিষ্ঠার জন্য তারা (বিএনপি) দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে এমনটা হবে না।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা যে যুদ্ধ করছি-সংগ্রাম করছি-লড়াই করছি, সেই লড়াইটা হচ্ছে একটা সত্যিকার অর্থেই প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সংসদ তৈরি করার জন্য। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে এটা হবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা বার বার করে সেটা বলেছি। আমরা বলছি যে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।”
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবে না-কি করবেনা… দ্যাট ইজ ইমমেটারিয়াল… সেটা আমাদের কাছে কোনো ব্যাপারই না। আমরা একটা নিরপেক্ষ সরকার চাই। সেই নিরপেক্ষ সরকার অবশ্যই নির্দলীয়ভাবে চাই, সেখানে কোনো দলীয় ব্যক্তিদেরকে আমরা চাই না।’
তাদের দলের সংসদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কখনই না। এটা (সংসদ থেকে পদত্যাগ করে বেরিয়ে আসা) অত্যন্ত সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ এই সংসদ জাতির আশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে তো বটেই্, এই সংসদে তো জাতির প্রতিনিধিত্বিই ছিলো না। বিকজ দে আর নট ইলেক্টেড।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: উপকূলবাসীদের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের আহ্বান বিএনপির
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ও বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রাকৃতিক কেন্দ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে একটি ‘প্রাকৃতিক কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে উদীয়মান সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা আরও অন্বেষণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির সবচেয়ে সার্বজনীন উৎসব: রাষ্ট্রদূত ইমরান
বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন এবং হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ৮ মে ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইবিসিসিআই) এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘উত্তর পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিনিয়োগের সুযোগ’ শীর্ষক একটি সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ডের একটি সফরকারী প্রতিনিধিদলও যোগ দিয়েছিল।
হাইকমিশনার ভার্মা ভারত ও বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর মধ্যে বৃহত্তর আন্তঃসীমান্ত সংযোগ, বাণিজ্য অবকাঠামো এবং অর্থনৈতিক সংযোগ বিকাশের জন্য সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন।
তিনি ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের বিনিময় সফরের আয়োজনে আইবিসিসিআই-এর উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং উভয় পক্ষকে তাদের ভৌগলিক নৈকট্যকে নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ এবং পারস্পরিক উপকারী অংশীদারিত্বে রূপান্তরিত করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শিগগিরই থিম্পু-ঢাকা জলবিদ্যুৎ সহযোগিতা চুক্তি সই: ভুটানের রাষ্ট্রদূত
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়ন দেখে বেইজিং মুগ্ধ: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন তরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা করছে’ চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন শনিবার বলেছেন যে চীন, একটি দায়িত্বশীল প্রধান দেশ হিসেবে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন তরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা করছে’।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় এক বন্ধু একবার আমাকে আন্তরিকভাবে বলেছিলেন যে অনেক লোক মুখে মুখে সাহায্যের কথা বলে, তবে কেবল চীন প্রত্যাবাসনকে তরান্বিত করতে বাস্তবিক পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে কসমস ডায়ালগ অ্যাম্বাসেডরস’ লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ (বাংলাদেশ-চায়না রিলেশনস: প্রগ্নসিস ফর দ্য ফিউচার)-শীর্ষক এক সিম্পোজিয়ামে মূল বক্তব্য দেওয়ার সময় রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও প্রাক্তন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান।
বাংলাদেশ কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
পুনর্বাসনের প্রস্তুতি দেখতে শুক্রবার ২০ জন রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের রাখাইন পরিদর্শন করেছে। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত ১৫টি গ্রাম ও অন্যান্য অবকাঠামো পরিদর্শন করেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, প্রতিনিধি দলের নেতাও বলেছেন, ‘আমরা মংডু শহরের চারপাশে তাদের জন্য করা ব্যবস্থা পরিদর্শন করে ২০ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ফিরে এসেছি। প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারের সদিচ্ছা দেখেছি। আমরা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই।’
এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু একটি মানবিক ট্র্যাজেডি এবং এটি আর কখনোই হওয়া উচিত নয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে, কারণ তিনি বাংলাদেশের মাটিতে এই রোহিঙ্গাদের স্থান দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের আতিথেয়তার জন্য বাংলাদেশ বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিংয়ের উচিত নতুন প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্র অন্বেষণে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করা: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
সুইডেন গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে রুশ দূতাবাসের ৫ কর্মীকে বহিষ্কার করেছে
স্টকহোমে রাশিয়ান দূতাবাসের পাঁচ কর্মচারীকে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ হওয়ায় দেশ ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে বলে মঙ্গলবার রাশিয়াকে জানিয়েছে সুইডেন।
সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রোম বলেছেন যে পাঁচজনের কথিত কার্যকলাপ তাদের কূটনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে ‘বেমানান’। বিলস্ট্রোম বলেছেন, সুইডেনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিক্টর তাতারিনসেভকে বহিষ্কারের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
সুইডিশ সম্প্রচারকারী এসভিটি জানিয়েছে, সুইডিশ সিকিউরিটি সার্ভিস, যার সংক্ষিপ্ত নাম স্পাও সম্প্রতি সন্দেহভাজন রাশিয়ান গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের নামের একটি তালিকা পেয়েছে।
দেশীয় নিরাপত্তা সংস্থা বলেছে যে ‘সুইডেনে প্রতি তিনজনে একজন রুশ কূটনীতিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা।’
এক বছর আগে সুইডেন রুশ দূতাবাসের তিন কর্মীকে বহিষ্কার করেছে। প্রতিবেশী নরওয়ে দুই সপ্তাহ আগে বলেছিল যে তারা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১৫ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করছে।
আরও পড়ুন: সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের
ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেনের সরকারি সম্প্রচার সংস্থাগুলো গত সপ্তাহে একটি যৌথ তদন্তে রিপোর্ট করেছে যে রাশিয়া বেসামরিক মাছ ধরার ট্রলার, পণ্যবাহী জাহাজ এবং ছোট নৌকা ব্যবহার করে বাল্টিক সাগর এবং উত্তর সাগরের জলে গুপ্তচরবৃত্তি করছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
‘শ্যাডো ওয়ার’ শিরোনামের তাদের সিরিজের জন্য, সম্প্রচারকারীরা সামুদ্রিক রেডিও ট্র্যাফিক এবং রাশিয়ান জাহাজের অবস্থান বিশ্লেষণ করেছে। তারা বলেছে যে ডেটা সন্দেহজনক পাল তোলার ধরণগুলো প্রকাশ করেছে, বিশেষত অফশোর উইন্ড ফার্ম, গ্যাস পাইপলাইন এবং সমুদ্রের নীচের বিদ্যুৎ এবং ডেটা কেবলগুলোর চারপাশে। এর একটি নতুন পর্ব বুধবার সম্প্রচারিত হবে।
গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে শঙ্কিত, সুইডেন এবং প্রতিবেশী ফিনল্যান্ড ২০২২ সালের মে মাসে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আবেদন করেছিল, এবং সংস্থার নিরাপত্তা বলয়ের অধীনে সুরক্ষা চেয়েছিল।
ফিনল্যান্ড ৪ এপ্রিল সামরিক জোটে যোগদান করে। এছাড়া ন্যাটো সদস্য তুরস্ক এবং হাঙ্গেরির আপত্তির কারণে সুইডেনের জন্য প্রক্রিয়াটিকে বিলম্বিত করেছে। যে দেশটি ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক জোট এড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ন্যাটোর সদস্যপদ: ফিনল্যান্ডকে হ্যাঁ, সুইডেনের প্রতি নাখোশ এরদোগান
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাতে বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
একইসঙ্গে বাংলাদেশে জাপানি স্থপতি কর্তৃক শিশু গ্রন্থাগার স্থাপন, বাংলাদেশ-জাপান যৌথ চিত্র প্রদর্শনী আয়োজন ও বঙ্গবন্ধু অপেরা হাউজ নির্মাণে জাপানের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাতে জাপানের রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জাদুঘর ও সংগ্রহশালা এবং একটি জনপ্রিয় সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। প্রতিদিন অসংখ্য ছাত্রছাত্রী, গবেষক, পর্যটক ও স্থানীয় জনগণ এটি পরিদর্শন করে।
এসব বিষয় বিবেচনা করে জাপান দূতাবাস জাপানের প্রখ্যাত স্থপতি তাদাও আন্দো এর মনোরম স্থাপত্য নকশায় বাংলাদেশের শিশুদের জন্য জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে একটি নান্দনিক শিশু গ্রন্থাগার স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: ডয়চে ভেলেকে সাক্ষাৎকার দেওয়া নাফিজকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জাপান দূতাবাস ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের যৌথ সমীক্ষায় জাদুঘর প্রাঙ্গণকে শিশু গ্রন্থাগার স্থাপনের সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত স্থান হিসাবে নির্ধারণ করে।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ স্থানটির বিষয়ে সম্মতি দেয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এটিকে চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করে।
ইওয়ামা কিমিনোরি আরও জানান, প্রস্তাবিত শিশু গ্রন্থাগার স্থাপন এবং এর ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও জাপানের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের খসড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় জাদুঘরে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করেন।
শিশু গ্রন্থাগার নির্মাণের বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন জাপান সফরের সময়ে সমঝোতা স্মারকটি সই হতে পারে।’
কে এম খালিদ বলেন, ‘শিশু গ্রন্থাগারটি নির্মিত হলে একদিকে যেমন আমাদের শিশুদের পাঠাভ্যাস গড়ে ওঠবে, অন্যদিকে এটি তাদের জাপানের ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে।’
রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ।’
এ সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে ছড়িয়ে দিতে তিনি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত এসময় বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দুদেশের চিত্রশিল্পীদের অংশগ্রহণে যৌথ চিত্রপ্রদর্শনী আয়োজনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য প্রতিমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী পদ্মা সেতুর নিকট সিডনি অপেরা হাউজের আদলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ‘বঙ্গবন্ধু অপেরা হাউজ’ নির্মাণে জাপানের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, জাপান বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগি। জাইকার মাধ্যমে বিগত কয়েক দশক ধরে জাপান বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অপেরা হাউজ নির্মাণে বিনিয়োগ একটু কঠিন।
তবে, এটি বাংলাদেশের অগ্রাধিকার প্রকল্প হলে বাংলাদেশকে অফিসিয়াল প্রস্তাব প্রেরণ করতে হবে। যেহেতু, এটি বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেজন্য এ বিষয়ে জাপান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া একান্ত আবশ্যক। রাষ্ট্রদূত পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমেও এটি বাস্তবায়িত হতে পারে বলে মতপ্রকাশ করেন।
তিনি এসময় প্রতিমন্ত্রীকে জাপান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
সাক্ষাৎকালে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (সাংস্কৃতিক বিনিময়) কাজী নুরুল ইসলাম, উপসচিব (সাংস্কৃতিক চুক্তি) আয়েশা সিদ্দিকা, প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে শেষবারের মতো বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
রাশিয়ার সংসদীয় গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
রাশিয়ার সংসদের বাংলাদেশ বিষয়ক সংসদীয় গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান।
বুধবার (১২ এপ্রিল ২০২৩) স্থানীয় সময় সকালে রাশিয়া আইনসভার নিম্নকক্ষ হিসেবে পরিচিত স্টেট ডুমার নব গঠিত বাংলাদেশ বিষয়ক সংসদীয় গ্রুপের আমন্ত্রণে তিনি সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।
এসময় তারা বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি, পারমাণবিক বিদ্যুৎ, খেলাধুলা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক, তৈরি পোশাক শিল্প, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, কৃষি এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
রাশিয়ার পার্লামেন্ট ভবন স্টেট ডুমায় অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ বিষয়ক সংসদীয় গ্রুপের সমন্বয়কারী ও ষ্টেট ডুমার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান স্বেতলানা সের্গেইভনা ঝুরোভার নেতৃত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ষ্টেট ডুমার আইন ও সংসদ বিষয়ক ডেপুটি চেয়ারম্যান মিসেস ইরিনা ভিক্টোরোভনা বেলিখ, ষ্টেট ডুমার সদস্য নিকোলাই রবার্টোভিচ বুডুয়েভ ও আলেক্সি সিটনিকভণের। এসময় রাষ্ট্রদূতকে সহায়তা করেন দূতাবাসের উপ-প্রধান ফয়সাল আহমদ ও কাউন্সেলর শুভাশিস সরদার।
বাংলাদেশ বিষয়ক সংসদীয় গ্রুপের সমন্বয়কারী স্বেতলানা সের্গেইভনা ঝুরোভা বলেন, রাশিয়া ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক সুদীর্ঘকালের। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে ও যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রাশিয়া বাংলাদেশের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় যেভাবে সহযোগিতা করেছিল দুই দেশের জনগণের স্বার্থে ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি ও কৃষি, শিক্ষা, খেলাধুলা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান বলেন, দুই দেশের বহুমুখী সম্পর্ককে আরও সমৃদ্ধ ও মজবুত করতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা না পেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আরও বিলম্বিত হতে পারত। সভায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রথাগত এলাকার বাইরে গিয়ে আরও প্রসারিত ও বৈচিত্র্য আনার বিষয়ে আলোচনা হয়। রাশিয়ার বিভিন্ন শিল্পকারখানায় বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি এবং রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অধিকসংখায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী প্রেরণের সম্ভাবনার বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার জ্বালানি আমদানিতে বাধা হবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা
রাষ্ট্রদূত বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সম্ভাব্য সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দুই দেশকে একসঙ্গে কাজ করার এবং এবিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আহ্বান জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। দুই দেশের সম্পর্কে আরও এগিয়ে নিতে শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সফর বিনিময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন প্রথাগত ও অপ্রচলিত খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও সম্প্রসারিত হবে।
পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও নতুন গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধানের পাশাপশি আরও অনেক অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশ ও রাশিয়া এক যোগে কাজ করবে বলে ষ্টেট ডুমার সদস্যরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ষ্টেট ডুমার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বিষয়ক সংসদীয় গ্রুপের সমন্বয়কারী স্বেতলানা সের্গেইভনা ঝুরোভাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে অব্যাহতভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার নিকট যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দাবির জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বিশ্বের জন্য একটি মডেল: মার্কিন সহকারী সচিব নয়েস
জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরো বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভালস নয়েস বলেছেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর নিজেকে পুনর্গঠন করে এবং বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তি ও উন্নয়নের পথ তৈরি করে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য অংশের জন্য একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে।
রাষ্ট্রদূত নয়েস ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর স্বাগতিক হিসেবে বাংলাদেশের ‘নেতৃত্ব ও উদারতার’ প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে গণহত্যা থেকে পালিয়ে এসেছিল। বাংলাদেশ সেসময় তার দরজা খুলে দিয়েছে এবং দেশের মানুষ উদ্বাস্তুদের জন্য তাদের হৃদয় উজাড় করে দিয়েছে।
৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও এর আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করে মার্কিন কংগ্রেসের প্রস্তাব উত্থাপন
নয়েস বলেন, বন্ধুত্বের অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র বিস্তৃত খাতে সহযোগিতা জোরদার করেছে।
তিনি বলেন, ‘দুই দেশ অভিবাসীদের এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক সংযোগের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ এবং আরও সমৃদ্ধ আগামী গড়তে প্রতিরক্ষা ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব আরও গভীর করছে।
নয়েস বলেন, তিনি গর্বিত যে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সংকটে একক বৃহত্তম দাতা।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত ও সম্প্রসারণে আগ্রহী। যাতে তারা (বাংলাদেশ) স্থানীয় সম্প্রদায়ের চাহিদা মেটাতে ও রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানকে এগিয়ে নিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান অংশীদার বলে মনে করে এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য দেশটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
এছাড়াও, রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সুদৃঢ় সমর্থন ও প্রতিশ্রুতি’র জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ক্ষমতায়নের আহ্বান মাসুদ বিন মোমেনের
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব ব্যাপক পরিসরে বৃদ্ধির আশাবাদ
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এই সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এবং সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের কাছ থেকে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছে দু’টি শুভেচ্ছা পত্র হস্তান্তর করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, তারা চিঠিতে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের অব্যাহত উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এই সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রসারিত হচ্ছে, তিনি যোগ করেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে অবৈধ ভিসা ব্যবসার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আটক
সম্প্রতি সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে অভিনব সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেয়ার জন্য সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আবদুল হামিদ।
সৌদি আরবের এই সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে সৌদি আরব মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনস্থাপনকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ: মোমেন
ব্রাজিলের ফার্স্ট লেডি রোজাঞ্জেলার সঙ্গে রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসার সাক্ষাৎ
ব্রাজিলের ফার্স্ট লেডি মিজ রোজাঞ্জেলা লুলা ডি সিলভা (জানজা) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দক্ষিণ আমেরিকাতে বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা।
সোমবার (৬ মার্চ) ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ভবন প্ল্যানালটো প্যালেসে দুপুর ২টায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমান লুলা সরকার গত জানুয়ারিতে ব্রাজিলের ক্ষমতা গ্রহণের পর সাদিয়া ফয়জুননেসাই সর্বপ্রথম রাষ্ট্রদূত যিনি ব্রাজিলের ফার্স্ট লেডির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের আমন্ত্রণ পেলেন।
রাষ্ট্রদূত ব্রাজিলের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা এবং ফার্স্ট লেডি মিজ রোজাঞ্জেলা লুলা ডি সিলভাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উষ্ণ শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন।
এ সময় নির্বাচনে জয়লাভ করা মাত্রই প্রেসিডেন্ট লুলাকে অভিনন্দন জানানোর জন্য ফার্স্ট লেডি লুলার পক্ষ হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে লুলা ডি সিলভা´র নেতৃত্বকালীন সময়ে বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দৃশ্যমান অগগতি সাধিত হবে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিল ও দ. আমেরিকার ৩ দেশের সঙ্গে পিটিএ ও এফটিএ সইয়ের ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনবদ্য নেতৃত্ব ও তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বিশদভাবে ফার্স্ট লেডিকে অবগত করেন।
এ সময় ল্যাটিন আমেরিকার কিংবদন্তী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর বঙ্গবন্ধুকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করার বিষয় জেনে মিজ রোজাঞ্জেলা অভিভূত হন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
ফয়জুননেসা ফার্স্ট লেডিকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অবগত করলে তিনি মর্মাহত ও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নকে কেন্দ্র করে গৃহীত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পদক্ষেপসমূহ এবং এর কার্যকরী ফলাফল নিয়ে রাষ্ট্রদূত ও ফার্স্ট লেডির মাঝে বিশদ আলোচনাকালে ফার্স্ট লেডি বলেন, ‘বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণে ব্রাজিল থেকে অনেক এগিয়ে আছে।’
ফার্স্ট লেডি শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদানকারী নারীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
ফার্স্ট লেডিকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ও শক্তিশালী অবস্থানের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ের টিউলিপ বাগান পরিদর্শনে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ও ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর
এ সময় ফার্স্ট লেডি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ পরিণতির বিষয়ে অবগত আছেন বলে জানান। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের অভিযোজন সক্ষমতার প্রশংসা করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত সকল আন্তর্জাতিক ফোরামে ব্রাজিল বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত টেকসই উন্নয়ন, দারিদ্রমুক্তি, ক্ষুধা ও অপুষ্টি নিরসন, সামাজিক বৈষম্য, সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ে বাংলাদেশ ও ব্রাজিল সরকারের অভিন্ন অবস্থান সম্পর্কে ফার্স্ট লেডিকে অবহিত করেন। গৃহহীন মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্প সম্পর্কে জেনে ফার্স্ট লেডি অভিভূত হন।
উল্লেখ্য, ব্রাজিলের ভূমিহীন দরিদ্রদের আবাসন নিশ্চিতকরণে মিজ রোজাঞ্জেলার ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশের ভালবাসা ও ব্রাজিলের ফুটবল দলের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে ফার্স্ট লেডি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বাংলাদেশের কুটির শিল্পের প্রসারের পাশাপাশি গ্রামীণ নারীদের স্বাবলম্বী এবং ক্ষমতায়নের মাধ্যম হিসেবে গ্রামবাংলার পটভূমিতে তৈরি হাতে বোনা শাড়ি উপহার হিসেবে গ্রহণ করে ফার্স্ট লেডি অভিভূত হন। তিনি বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রশংসা করে এ সম্পর্কে অধিকতর জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রপ্রধান ও ফার্স্ট লেডিকে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানালে তিনি উষ্ণ ধন্যবাদ জানান এবং লুলা ডি সিলভাসহ বাংলাদেশ ভ্রমণের আন্তরিক ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ এই সৌজন্য সাক্ষাতের পরে ব্রাজিলের ফার্স্ট লেডি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে উক্ত সাক্ষাতের বিষয়ে বাংলাদেশের পতাকাসহ রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসার ছবিসহ পোস্ট করেন, যা ব্রাজিলের জনপ্রিয় দৈনিক পোডার-৩৬০ পত্রিকাতে গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: কসমস অ্যাতেলিয়ার ৭১ পরিদর্শন করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই
মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কেউন তার দেশের কোম্পানির নির্মিত মাতারবাড়ি কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন।
এসময় তিনি ৭৫ জন কোরিয়ান প্রকৌশলীর কাজ পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাদের উৎসাহিত করেন।
পরিচালকরা তাকে প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে ব্রিফ করেন।
তিনি এসময় বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজের ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্ম পসকো ইএনডসি-এর চ্যালেঞ্জগুলো শোনেন এবং সেগুলোর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।
সোমবার পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূত লি বলেন যে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বড় অবকাঠামো প্রকল্পে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে। যার মধ্যে ভান্ডালজুরি পানি সরবরাহ প্রকল্পে তাইয়ং ইএন্ডসি-এর সম্পৃক্ততা এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩নং টার্মিনাল নির্মাণে স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি-এর ভূমিকা রয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, এই প্রকল্পগুলো চালু করার সময় কোভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাব সত্ত্বেও, কোরিয়ান কোম্পানিগুলো তাদের সময়ানুবর্তিতা এবং কর্মদক্ষতার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভূঁয়সী প্রশংসা পেয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম ২০২৬ সালে শুরু হবে: খালিদ মাহমুদ
মঙ্গলবার ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে, মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটি এই অঞ্চলে বিদ্যুত সরবরাহের উন্নতি করবে। এইভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণে সহায়তা করবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান পসকো ইএন্ডসি -জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পের ৯৫ দশমিক ৯ শতাংশ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা চালিত পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পে জাইকার অর্থায়নে সাত বছরের মধ্যে ১২০০ মেগাওয়াট (মেগাওয়াট) বিদ্যুত এবং অনুমোদিত সুবিধা উৎপাদনের ক্ষমতাসহ একটি কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হবে।
জাপানের সুমিতোমো, তোশিবা, এবং আইএইচআই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য একটি কনসোর্টিয়াম হিসেবে সহযোগিতা করছে। পসকো ইএন্ডসি -এর সঙ্গে প্ল্যান্টের প্রধান অংশ নির্মাণের জন্য সাবকন্ট্রাক্ট করা হয়েছে।
এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে সাহায্য করার অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে, পসকো ইএন্ডসি প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ হাজার স্থানীয় কর্মী নিয়োগ করেছে।
করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ ২০২০ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল এবং বিলম্ব ছাড়াই এগিয়ে চলেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে, সঠিক সময়ে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য, পসকো ইএন্ডসি প্রকল্প শুরুর পর থেকে দিন-রাত কাজ করেছে।
আশা করা হচ্ছে যে মাতারবাডড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি একই বছরের জুলাই মাসে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করবে।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ি চ্যানেলে টাগশীপ ডুবি, চীনা নাগরিকের লাশ উদ্ধার
খরচ বেড়েছে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের