জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরো বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভালস নয়েস বলেছেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর নিজেকে পুনর্গঠন করে এবং বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তি ও উন্নয়নের পথ তৈরি করে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য অংশের জন্য একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে।
রাষ্ট্রদূত নয়েস ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর স্বাগতিক হিসেবে বাংলাদেশের ‘নেতৃত্ব ও উদারতার’ প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে গণহত্যা থেকে পালিয়ে এসেছিল। বাংলাদেশ সেসময় তার দরজা খুলে দিয়েছে এবং দেশের মানুষ উদ্বাস্তুদের জন্য তাদের হৃদয় উজাড় করে দিয়েছে।
৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও এর আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করে মার্কিন কংগ্রেসের প্রস্তাব উত্থাপন
নয়েস বলেন, বন্ধুত্বের অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র বিস্তৃত খাতে সহযোগিতা জোরদার করেছে।
তিনি বলেন, ‘দুই দেশ অভিবাসীদের এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক সংযোগের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ এবং আরও সমৃদ্ধ আগামী গড়তে প্রতিরক্ষা ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব আরও গভীর করছে।
নয়েস বলেন, তিনি গর্বিত যে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সংকটে একক বৃহত্তম দাতা।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত ও সম্প্রসারণে আগ্রহী। যাতে তারা (বাংলাদেশ) স্থানীয় সম্প্রদায়ের চাহিদা মেটাতে ও রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানকে এগিয়ে নিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান অংশীদার বলে মনে করে এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য দেশটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
এছাড়াও, রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সুদৃঢ় সমর্থন ও প্রতিশ্রুতি’র জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ক্ষমতায়নের আহ্বান মাসুদ বিন মোমেনের
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব ব্যাপক পরিসরে বৃদ্ধির আশাবাদ