তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর
চিত্রনায়িকা শিমু হত্যা: স্বামী ও গাড়িচালকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর
চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও গাড়িচালক এস এম ফরহাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ওই থানার উপপরিদর্শক(এসআই) চুন্নু মিয়া।
শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম রাবেয়া বেগম তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ার কবির বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়িকা শিমু হত্যা: শোবিজ তারকাদের প্রতিবাদ ও ক্ষোভ
এদিন কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নোবেল ও তার গাড়িচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ। এছাড়া মামলায় বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার পরিচয় মিলছিল না। পরে ওইদিন রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। অজ্ঞাত হিসেবে লাশ উদ্ধারের পর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টার জন্য পিবিআইকে খবর দেয়া হলে পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা লাশের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার পর তার নাম-পরিচয়, বয়স ও বাসার ঠিকানা শনাক্ত করে পিবিআই।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়িকা শিমুর মৃত্যু: স্বামীসহ আটক ২
জানা গেছে, চিত্রনায়িকা শিমুর লাশ রাখা হয়েছে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মিটফোর্ড) মর্গে। সেখানেই শিমুর স্বামী ও গাড়িচালক ফরহাদ গেলে তাদের আটক করে র্যাব।
জানা গেছে, স্বামী ও দুই সস্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল।
২ বছর আগে