শিরিন আক্তার
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে সাকিবের পিপলস ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক তার বোর্ড অব গভর্নরদের আসন্ন বৈঠকে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকে তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং তার মা শিরিন আখতারের শেয়ার মালিকানা অনুমোদন দিতে পারে।
যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মতি দেয়ার তিন বছর পরও চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি পিপলস ব্যাংক। এবার ব্যাংকটির মালিকানায় আসছেন সাকিব আল হাসান এবং তার মা শিরিন আক্তার।
বৃহস্পতিবার গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে গভর্নর বোর্ডের বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংকের লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) আরও বাড়ানোর জন্য একটি আবেদন উত্থাপন করবে এবং সাকিব ও তার মা শিরিন আক্তারের যৌথ মালিকানার বিষয়টি অনুমোদন দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
কয়েক দফা বাড়ানোর পরেও গত বছরের ডিসেম্বরে পিপলস ব্যাংকের এলওআই এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ব্যাংকটি এখন সাকিব ও তার মাকে যুক্ত করার মাধ্যমে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের কাছে এলওআই বৃদ্ধির আবেদন করেছে।
আরও পড়ুন: এবার ব্যাংকের পরিচালক হচ্ছেন সাকিব
প্রস্তাবিত ব্যাংকটির চেয়ারম্যান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আবুল কাশেম ইউএনবিকে বলেন,কার্যক্রম শুরুর জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত সব নথি জমা দেয়া হয়েছে। তারা আরও কোনো নির্দেশনা দিলে আমরা তা মানতে প্রস্তুত।
আবুল কাশেম আরও বলেন, পিপলস ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক হিসেবে সাকিব ও তার মা থাকতে পারেন।
৫০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের ঘাটতি থাকায় কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি পিপলস ব্যাংক। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের চূড়ান্ত লাইসেন্স পাচ্ছে না ব্যাংকটি। তবে খুব শিগগিরই চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে যাচ্ছে পিপলস ব্যাংক। ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয়, সাকিব আল হাসান পিপলস ব্যাংকের দুটি পরিচালক পদের মালিক হতে যাচ্ছেন।
উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হলে প্রয়োজন হয় সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের। সে হিসেবে পিপলস ব্যাংকের প্রতিটি পরিচালক পদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে সাকিব আল হাসানকে।
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানের বায়োপিক বানাতে চান সৃজিত মুখার্জি
তবে ব্যাংকটির মালিকানায় আসতে তিনি ২৫ কোটি টাকারও বেশি মূলধন জোগান দিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেনস ও পিপলস নামে নতুন তিনটি ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নতুন ব্যাংকের জন্য জুড়ে দেয়া হয় ৫০০ কোটি টাকা মূলধনের শর্ত।
এই তিনটির মধ্যে বেঙ্গল ও সিটিজেনস ব্যাংক ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু এলওআই পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও পিপলস ব্যাংক এখনো লাইসেন্স নিতে পারেনি।
আরও পড়ুন: সিনিয়র ছাড়া খেলোয়ার নেই ভুল প্রমাণ হয়েছে: সাকিব
২ বছর আগে