বিস্ফোরণ
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৬ রোহিঙ্গা দগ্ধ
কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে বৃহস্পতিবার রান্নার গ্যাসের পাইপলাইনে লিকেজ থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে ছয় রোহিঙ্গা দগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
দগ্ধরা হলেন- নুর আলম, তার স্ত্রী, তাদের দুই ছেলে ও পাশের বাড়ির আরও দুজন।
উখিয়া ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি মো. নাইমুল হক জানান, দগ্ধদের কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রামপুরায় গোডাউনে আগুন, দগ্ধ ৪ জনের মৃত্যু
তিনি জানান, সকাল ৯টার দিকে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১/ইস্ট এর ব্লক-ডি ৪ এর নূর আলমের বাড়িতে রান্না করতে গেলে গ্যাসের পাইপলাইনে লিকেজ হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
কিউবায় পাঁচ তারকা হোটেলে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ২৭, অনুসন্ধান অব্যাহত
কিউবার রাজধানী হাভানার হোটেল সারাটোগা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। শনিবার পর্যন্ত ২৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার প্রাকৃতিক গ্যাস লিক হওয়ায় ৯৬ রুমের হোটেলটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। পুরাতন হাভানার ১৯ শতকে তৈরি এই স্থাপনাটিতে বিস্ফোরণের সময় কোনও অতিথি ছিল না। মহামারির দুই বছর হোটেলটি বন্ধ ছিল, এরপর মঙ্গলবার ফের চালু হওয়ার পরও হোটেলটির সংস্কার কাজ চলছিল।
শনিবার সন্ধ্যায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত হাসপাতালের প্রধান ডা. জুলিও গুয়েরা ইজকুয়ের্দো ৮১ জন আহতসহ ২৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মধ্যে চার শিশু ও এক গর্ভবতী নারীর কথাও জানান তিনি।
স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজ এক টুইটে জানান, নিহতদের মধ্যে একজন স্প্যানিশ পর্যটক রয়েছেন এবং অন্য একজন স্প্যানিশ গুরুতর আহত হয়েছেন।
কিউবান কর্তৃপক্ষও পর্যটকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং তার সঙ্গী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে।
কিউবান পর্যটন মন্ত্রী ডালিলা গঞ্জালেজ বলেছেন, একজন কিউবান-আমেরিকান পর্যটকও আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজন নিহত
হোটেলটির মালিক গ্রুপো দে তুরিসমো গাভিওটা এসএ-এর প্রতিনিধিরা শনিবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন,৫১ জন কর্মী সেসময় হোটেলের ভিতরে ছিলেন; পাশাপাশি দু'জন লোক সংস্কারে কাজ করছেন। এদের মধ্যে ১১ জন নিহত, ১৩ জন নিখোঁজ এবং ছয়জন হাসপাতালে ভর্তি।
পর্যটন মন্ত্রী গঞ্জালেজ বলেছেন, বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে এখনও তদন্ত চলছে। তবে একটি বড় ক্রেন দিয়ে শনিবার ভোরে হোটেলের ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি পোড়া গ্যাস ট্যাঙ্কার তোলা হয়েছে।
যদিও কোনও পর্যটক আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি, তবে বিস্ফোরণটি দেশটির পর্যটন শিল্পের জন্য আরেকটি ধাক্কা।
কারণ করোনাভাইরাস মহামারির ফলে কিউবার পর্যটনশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তারও আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা বাইডেন প্রশাসন বহাল রাখায় দেশটির পর্যটনশিল্পকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে দ্বীপদেশটিতে মার্কিন পর্যটকদের ভ্রমণ সীমিত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কিউবানদের পক্ষ থেকে কিউবায় নিজেদের পরিবারের কাছে রেমিট্যান্স পাঠানোয় সীমাবদ্ধতা ছিল।
এই বছরের শুরুর দিকে পর্যটনশিল্প কিছুটা পুনরুজ্জীবিত হতে শুরু করে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রুশ দর্শনার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর শনিবার এক সফরে হাভানায় পৌঁছেছেন। রবিবার সকালে তিনি দিয়াজ ক্যানেলের সঙ্গে দেখা করার এবং রবিবার রাতে মেক্সিকোতে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কিউবায় পাঁচ তারকা হোটেলে বিস্ফোরণে নিহত ২২, আহত ৭৪
ইউক্রেনের ইস্পাত কারখানা থেকে আরও ৫০ নাগরিক সরিয়ে নেয়া হলো
কিউবায় পাঁচ তারকা হোটেলে বিস্ফোরণে নিহত ২২, আহত ৭৪
কিউবার রাজধানী হাভানার একটি জনপ্রিয় পাঁচ তারকা হোটেলে শক্তিশালী বিস্ফোরণে এক শিশুসহ অন্তত ২২ জন নিহত এবং ৭৪ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (৬ মে) হাভানার সারাতোগা নামের হোটেলে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
হাভানার গভর্নর রেনাল্ডো গার্সিয়া জাপাতা কমিউনিস্ট পার্টির সংবাদপত্র গ্রানমাকে বলেছেন, বিস্ফোরণের সময় হোটেলটিতে কোন পর্যটক অবস্থান করছিলেন না, এটি সংস্কারের কাজ চলছিল।
দেশটির প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘এটি কোনো বোমা বা হামলা নয়। এটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাসপাতাল পরিষেবার প্রধান ডা. জুলিও গুয়েরা ইজকুয়ের্দো সাংবাদিকদের বলেছেন, কমপক্ষে ৭৪ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৪ জন শিশু রয়েছে।
দিয়াজ-ক্যানেল বলেন, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হোটেলের কাছাকাছি ভবনগুলোর পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
কিউবার রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, হোটেলে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী একটি ট্রাকের কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তবে গ্যাসটি কীভাবে বিস্ফোরণ হলো তার বিস্তারিত জানা যায়নি। একটি সাদা ট্যাঙ্কার ট্রাককে ঘটনাস্থল থেকে সরাতে দেখা গেছে।
দেশটির পর্যটনমন্ত্রী জুয়ান কার্লোস গার্সিয়া জানিয়েছেনৃ, মঙ্গলবার হোটেলটি আবার খোলার কথা ছিল।
পড়ুন: নাইজেরিয়ায় অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণ, নিহত অর্ধ শতাধিক
ফ্রিজ বিস্ফোরণ: বাবা-মায়ের পর চলে গেল শিশু ফাতেমাও
নাইজেরিয়ায় অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণ, নিহত অর্ধ শতাধিক
দক্ষিণ-পূর্ব নাইজেরিয়ার একটি অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং বহু আহত হয়েছে বলে শনিবার রাজ্যের কর্মকর্তারা এবং পুলিশ জানিয়েছে।
লাগোস-ভিত্তিক পাঞ্চ সংবাদপত্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ১০০ এর বেশি হতে পারে। আগুন আশেপাশের সম্পত্তিতে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
তথ্য ও কৌশল সম্পর্কিত রাজ্যের কমিশনার ডেক্লান এমেলুম্বা বলেছেন, ‘শুক্রবার রাতে লাগা আগুন দ্রুত অবৈধ অপরিশোধিত তেল শোধনাগারের দুটি জ্বালানি স্টোরেজ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে কমপ্লেক্সটি এলাকার মধ্যে আগুনে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।’
এমেলুম্বা বলেন, বিস্ফোরণের কারণ এবং মৃত্যু, আঘাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করা হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একাধিক ভিডিওতে বিভীষিকাময় দৃশ্য দেখানো হয়েছে, যেখানে মানুষের পুড়ে যাওয়া দেহ কঙ্কাল এবং সিন্ডারে পরিণত হয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) স্বাধীনভাবে এ তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
রাজ্য পুলিশ কমান্ডের মুখপাত্র মাইকেল অ্যাবাটাম বলেছেন, ‘অনেক মানুষ মারা গেছে। যারা মারা গেছেন তারা সবাই অবৈধ অপারেটর।’
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, রাজ্য সরকার সেই শোধনাগারের মালিককে খুঁজছে এবং তাকে একজন ওয়ান্টেড ব্যক্তি ঘোষণা করা হয়েছে।
পড়ুন: আফগানিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ২, আহত ৮
আফগানিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ২, আহত ৮
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত দুজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রাদেশিক এক জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে হেরাত শহরের জেব্রাহিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি
হেরাত আঞ্চলিক হাসপাতালের প্রধান মিরওয়াইস জালালি সিনহুয়াকে বলেছেন, ‘প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে দুজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাদেশিক রাজধানী হেরাত শহরের একটি আঞ্চলিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে...।’
তিনি বলেন, আহতদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তবে এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় কোনো পক্ষ স্বীকার করেনি।
নারায়ণগঞ্জে অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ১
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় হাঁড়ি পাতিল উৎপাদনকারী একটি অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় ভাট্টি বিস্ফোরণে মোখলেস (৩৫) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রিপন ফকির (২৫) নামে অপর শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
সোমবার সকাল ৭টার দিকে সদরের ফতুল্লা থানার পাগলা নন্দলালপুর এলাকায় আরাফাত মেটালে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: দগ্ধ ২ জনের মৃত্যু
কারখানার ম্যানেজার জালাল উদ্দিন জানান, রবিবার তিতাসের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় কারখানায় দিনে ও রাতে গ্যাস ছিল না। সোমবার সকালে হঠাৎ গ্যাস আসার পর অ্যালুমিনিয়াম গলানোর ভাট্টিতে গ্যাস জমাট বেঁধে থাকে। সকালে শ্রমিকরা কাজে এসে বিষয়টি বুঝতে না পেরে ভাট্টিতে আগুন দেয়। এ সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তখন কাছে থাকা দুই শ্রমিক মোখলেস ও রিপন দগ্ধ হলে তাদের রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক মোখলেসকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১০জন দগ্ধ
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে,পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘আফগানিস্তান যুদ্ধের অবশিষ্ট অস্ত্রের বিস্ফোরণে ৪ শিশু নিহত’
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার প্রদেশে একটি অবিস্ফোরিত অস্ত্র বিস্ফোরণে চার শিশু নিহত হয়েছে। শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধের অবশিষ্ট বিস্ফোরক বিস্ফোরিত হয়ে শাহ ওয়ালি কোট জেলায় ঘটনাটি ঘটে। নিহত শিশুরা প্রত্যন্ত গ্রামে খেলছিল।
সরকারী সূত্র অনুসারে,যুদ্ধ পরর্তী সময়ে ল্যান্ডমাইন, অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন এবং যুদ্ধের অবশিষ্ট বিস্ফোরক বিস্ফোরিত হয়ে দেশে প্রতি মাসে প্রায় ১২০ জনের মৃত্যু বা পঙ্গুত বরণের ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে শুক্রবার,পূর্ব পাকতিয়া প্রদেশে একটি বিস্ফোরণে দুই বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও তিনজন আহত হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের গাড়ি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত
যুদ্ধের মূল্য রাশিয়াকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে দিতে হবে: জেলেনস্কি
ইউক্রেনের রাজধানী ও লভিভের উপকণ্ঠে রুশ হামলা
ক্রেমলিনের চলমান হামলার তদন্তে বিশ্ব নেতাদের চাপের মুখে শুক্রবার আবারও ইউক্রেনের শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও গোলাবর্ষণ করেছে রুশ বাহিনী।
লভিভের উপকণ্ঠে সকালের এই হামলাটি ছিল শহরের কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নিকটস্থ হামলা।
বিস্ফোরণের পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কালো ধোঁয়া উড়েছিল শহরটিতে।
আরও পড়ুন: ৯ রুশ সৈন্যের বিনিময়ে মুক্তি পেলেন মেলিটোপোলের মেয়র
শহরটির আঞ্চলিক গভর্নর ম্যাকসিম কোজিটস্কি বলেছেন, কেন্দ্র থেকে মাত্র ছয় কিলোমিটার (চার মাইল) দূরে শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে সামরিক বিমান মেরামতের একটি স্থানকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। হামলায় একজন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল ৬টা নাগাদ পরপর একাধিক বিস্ফোরণ ঘটে।
ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কৃষ্ণ সাগর থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, তবে ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর পশ্চিমী কমান্ড বলছে, তারা ভলিতে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে দুটি গুলি করেছে।
লভিভের মেয়র আন্দ্রি সাদোভি বলেছেন, একটি বাস মেরামতের স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ভিডিও লিঙ্কে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দুই পক্ষ
হোসেনী দালান বিস্ফোরণ মামলায় ২ জনের কারাদণ্ড, ৬ জনের খালাস
রাজধানীর হোসেনী দালানে বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে যথাক্রমে সাত ও ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মামলার বাকি ছয় আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ২০১৫ সালের হোসেনী দালান বিস্ফোরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার ভুলে মামলার মূল পরিকল্পনাকারী এবং হামলাকারীরা আদালতের ‘আওতার বাইরে রয়ে গেছেন।’ পরিদর্শক শফিউদ্দিন এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তের সময় একটি বড় ভুল করেছেন এবং তার দায়িত্বে অবহেলা করেছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ মামলার রায় ঘোষণা করে করেন। মামলায়
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- মনির (১০ বছর) ও কবির হোসেন (সাত বছর)।
মামলা থেকে খালাস পাওয়া ছয় আসামি হলেন- আবু সৈয়দ ও রুবেল ইসলাম সুমন ওরফে সজিব, চান মিয়া ওমর ফারুক ওরফে চান মিয়া, হাফেজ আহসান মাহমুদ, শাহজালাল মিয়া ও আহসানউল্লাহ মাহমুদ।
তারা আটজনই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
আদালত জানিয়েছে, খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। আইও প্রকৃতপক্ষে চার্জশিটে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়।
এদিকে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই চাঁন মিয়া, আহসান, শাহজালাল মিয়া ও আহসানউল্লাহকে আসামি করেন আইও। ফলে বিচার চলাকালে তারা মানসিক ও শারীরিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কবির হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আরিফ ও আরমান ওরফে মনিরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী বিস্ফোরণ মামলার মূল পরিকল্পনাকারী আলবানী ও নোমান। এছাড়া আইও তার প্রতিবেদনে হিরন ওরফে কামাল আল বানি ওরফে হুজ্জা ও আবদুল্লাহ ওরফে আলাউদ্দিন বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন।
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর জেএমবির পাঁচ সদস্য হোসেনি দালানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে দুইজন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়। এ ঘটনায় প্রথমে নগরীর চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও পরে তা তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২০১৬ সালের অক্টোবরে ডিবি (দক্ষিণ) এর পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর ১০ জন জঙ্গিকে অভিযুক্ত করে মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৭ সালের মে মাসে একটি আদালত ১০ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এবং মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।
২০১৮ সালের ১৪ মে মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছিল, যেখানে ১০ অভিযুক্তের মধ্যে দুজনের আইনজীবী দাবি করেছিলেন যে তারা নাবালক এবং সমর্থনকারী নথি জমা দিয়েছেন। পরে আদালত দুই আসামিকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ঘোষণা করেন এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাকে কম বয়সী উল্লেখ করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করতে বলেন। তাদের মামলা বর্তমানে কিশোর আদালতে বিচারাধীন।
মামলার প্রাথমিক আট আসামি জেএমবি সদস্যদের মধ্যে- ওমর ফারুক মানিক, হাফিজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ, সাহজালাল মিয়া, চান মিয়া, কবির, রুবেল ইসলাম ওরফে শাজব, আবু সাঈদ ওরফে সোলায়মান ও আরমান-সহ তিনজন সাজা দেন। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি।
মামলায় ৩১ জন সাক্ষীর জবানবন্দিও রেকর্ড করেছে আদালত।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
আদালত চত্বর থেকে পালানো হত্যা মামলার আসামি ফের গ্রেপ্তার
পতেঙ্গায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ
চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা স্টিল মিল বাজার এলাকার একটি ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ হয়েছেন। বুধবার রাত ৮টার দিকে পতেঙ্গা থানার সামনে মকবুল হাউজিং সোসাইটির মান্নান ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন- আকতার হোসেন (২৬) ও সালমা আকতার। তাদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভবনের ছয়তলায় একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগে। ওই বাসা থেকে দুজনকে উদ্ধার করা হয়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এনামুল হক জানান, ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। বাসায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
পড়ুন: ময়মনসিংহে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩ শিশু নিহত
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানি ২১ থেকে ২৪ মার্চ