হিলারি ক্লিনটন
ড. ইউনূস-হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দাবি নিক্সনের
পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থ বরাদ্দ বন্ধের ষড়যন্ত্রের জন্য নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী চেরি ব্লেয়ারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
ফরিদপুরের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি ড. ইউনূস, হিলারি ক্লিনটন এবং টনি ব্লেয়ারের (চেরি ব্লেয়ার) স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানাচ্ছি, যাতে তারা দেশের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র করতে না পারে।’
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
দেশের যারা পদ্মা সেতুর বিরদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত তাদের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর বলেন, বাংলাদেশিদের মধ্যে অন্যতম হলেন ড. ইউনূস, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক জিয়া।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে তথাকথিত দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর ভাই মজিবুর রহমান চৌধুরীকে দুর্নীতি দমন কমিশন কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে কানাডার আদালতে প্রমাণিত হয়েছে যে এই প্রকল্পে কোনো দুর্নীতির ষড়যন্ত্র ছিল না।
নিক্সন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করে প্রমাণ করেছেন কোনো অপরাধী রেহাই পাবে না।
পড়ুন: ইউনূস সেন্টারের আয়োজনে দ্বাদশ বার্ষিক সামাজিক ব্যবসা সম্মেলন শুরু ২৭ জুন
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ
ড. ইউনূসের মামলার কার্যক্রম দুই মাস স্থগিত থাকবে: আপিল বিভাগ
২ বছর আগে
ড. ইউনূসের ব্যাংক হিসাব তলব
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। তাঁর সব ধরনের অ্যাকাউন্ট এবং ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের তথ্য চেয়ে বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।
সংস্থাটি মঙ্গলবারের মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংকের এই প্রতিষ্ঠাতার সব লেনদেনের রেকর্ড পাঠাতে বলেছে।
বিএফআইইউ’র একটি সূত্র জানায়, বিভিন্ন সংস্থাকে ড. ইউনূসের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য দিতে বলা হয়েছে। অন্য কোনো সংগঠন ইউনূসের এসব তথ্য চায়নি। নিজস্ব প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য চেয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে ইউনূস ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
ইউনুস ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের সূচনা থেকেই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। ২০১১ সালে সরকার তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ করে। সরকারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গিয়ে হেরে যান ইউনূস। সে সময় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতারা, সেইসঙ্গে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, ইউনূসের পক্ষে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য সরকারকে চাপ দেন।
আরও পড়ুন: 'অলিম্পিক লরেল' পেয়ে আমি অভিভূত: ড. ইউনূস
জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ’ পুরস্কার পেলেন ড.ইউনূস
২ বছর আগে