দগ্ধ
ময়মনসিংহে বেলুন ফুলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১
ময়মনসিংহে বেলুন ফুলানো গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশু ও নারীসহ দগ্ধ হয়েছেন ১১ জন। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের চরকালিবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ডাইং কারখানায় বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক দগ্ধ
আহতরা হলো- মীম (৫), রাহিম (৭), সোলেমান (৫), ইয়াসিন (৫), মানিক (৯), তরিকুল (৩০), সোহেল (৪৫), কহিনুর (৪০), ইসমাইল ও সালমা (২৫)।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসপাতালে ১১জন ভর্তি হয়েছে। তাদেরকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জুলহাস উদ্দিন বলেন, চর কালিবাড়ি দক্ষিণপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ভাড়া বাসায় বেলুন বিক্রেতা তরিকুল ও সালমা বসবাস করতেন। ঘরে রাখা ওই সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ ১১ জন আহত হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় দু'টি টিনের চালা উড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে এপিসি কারে বিস্ফোরণ, ৫ পুলিশ আহত
যশোরে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২
দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: অগ্নিসংযোগে দগ্ধ রিকশাচালক হাসপাতালে ভর্তি
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরুর আগে শনিবার রাতে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গুরুতর আহত ৪০ বছর বয়সী এক রিকশাচালককে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রিকশাচালক ২০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন।
এর আগে, শনিবার রাত ৯টা ২৭ মিনিটের দিকে যাত্রাবাড়ীর একটি ফলের বাজারের সামনে অনাবিল পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: ঢাকার মিরপুরে চলমান অবরোধে আরেকটি বাসে আগুন
পরে, খবর পেয়ে পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অনুসারে, গতকাল রাত ৮টা থেকে আজ (১২ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৯টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ৭টি, গাজীপুরে একটি পিকআপ ভ্যান ও বরিশালে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মিরপুরে আরও একটি বাসে আগুন
৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরুর আগেই ঢাকায় দুটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন
খিলগাঁওয়ে বাসে আগুন, যাত্রী দগ্ধ
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দিলে এক যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন।
আহত মো. সবুজ (৩০) মেরুল বাড্ডার বাসিন্দা। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
সবুজের স্ত্রী রুশেদা জানান, তার স্বামী একজন পরিবহন শ্রমিক। তিনি রমজান পরিবহনের একটি বাসের চালক। তার বাসটি মেরাদিয়া এলাকায় রাস্তার পাশে ছিল।
তিনি আরও বলেন, সকালে কাজে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে 'অসিম পরিবহনের' একটি বাসে ওঠেন তিনি। তিনি যখন মেরাদিয়া এলাকায় বাস থেকে নামতে যাচ্ছিলেন, তখন বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধ
পরে গুরুতর দগ্ধ সবুজকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, সবুজের ২৮ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং তার শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৫
নারায়ণগঞ্জে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৫ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার সকালে এই তথ্য নিশিত করে পুলিশ জানায়, শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে রূপগঞ্জের আওকাবো বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- হাসুন বানু (৫৫), তার স্বামী অলি আহমেদ (৬৫), ছেলে ওমর ফারুক (১৮), মেয়ে সাহারা বেগম (২৪) ও ভাই সোনাউদ্দিন (৪৫)।
হাসপাতালে হাসুন বানুর ভাতিজা মো. নূরে আলম জানান, রূপগঞ্জের ওই বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন তারা। হাসুন বানু গৃহিণী, তার স্বামী ও ভাই গাউছিয়া বাজারে শুটকির দোকান করেন। এছাড়া মেয়ে সাহারা প্রতিবন্ধী এবং ছেলে ওমর ফারুক স্থানীয় অনুপম গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার সারাদেশে ৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
তিনি আরও জানান, বাসাটিতে লাইনে তেমন গ্যাসে থাকে না। সেজন্য রান্নার কাজে গ্যাসের চাপ বাড়াতে ২ সপ্তাহ আগে একটি যন্ত্র লাগিয়েছেন। রাতে তারা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন ওই গ্যাসলাইন থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে তাদের ধারণা।
ঘটনার পরপরই প্রতিবেশিরা তাদেরকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের ইউএস-বাংলা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে মধ্যরাতে তাদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
তবে হাসুন বানুর বড় ছেলে গার্মেন্টস কর্মী ফরমুজ সেসময় বাসায় না থাকায় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, হাসুন বানুর শরীরের ৪৬ শতাংশ, তার স্বামী অলি আহমেদের ৫৮, মেয়ে সাহারার ৩০, ছেলে ওমর ফারুকের ১৫ এবং ভাই সোনাউদ্দিনের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থাই গুরুতর।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এস এম সাঈদ জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে আইআইজি, ইন্টারনেটের গতি ব্যাহত
সিদ্ধিরগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৫
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণে পাঁচ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল সৈয়দপাড়া এলাকার শারমিন রি-রোলিং মিলে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- ইকবাল (২৬), সাইফুল (৩০), জাকারিয়া (২২), মুজাম্মেল (৩০) ও শরিফুল (২৫)।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন জানান, ভোরে গোদনাইল সৈয়দপাড়া এলাকার শারমিন রি-রোলিং মিলে এ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দগ্ধ মিলের ভেতরে থাকা পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পিকআপের ধাক্কায় নিহত ২
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ দম্পতি দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ দম্পতি দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে শিশুসহ দম্পতি দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- অরিজিৎ (৩৫), তার স্ত্রী রিংকু (২৮) ও তাদের ১৯ মাস বয়সী সন্তান কাব্য। অরিজিৎ একটি এনজিওতে চাকরি করেন। আর তার স্ত্রী গৃহিণী। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
আরও পড়ুন: ফেনীতে আগুনে ঘুমন্ত ২ শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ মা
তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশি আরমান আলী মোল্লা বলেন, রাত ৩টার দিকে আড়াইহাজারের নাগেরচর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ির নিচ তলায় দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওই বাসা থেকে দগ্ধ ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়।
তাদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, রাত ৩টার দিকে বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে রান্না ঘরে যান রিংকু। এরপর দিয়াশলাই জ্বালাতেই ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে তারা ৩ জন দগ্ধ হন।
তার ধারণা- গ্যাস লিকেজের কারণে গ্যাস জমে ছিল। সেখান থেকেই আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, রিংকুর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া তার স্বামীর ১৪ শতাংশ এবং সন্তানের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ডাইং কারখানায় বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক দগ্ধ
সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে ডাইং কারখানায় বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডাইং কারখানার জেনারেটর রুমে পাইপ বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ফতুল্লার নরসিংপুর এলাকার জার্জিজ কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রিজ নামে ওই কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- ওই এলাকার হারুনের ছেলে হায়দার ও ভোলাইলের গেদ্দার বাজার এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে মিলন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে কারখানা চলা অবস্থায় হঠাৎ জেনারেটর রুমে পাইপ বিস্ফোরণ হয়। এসময় শ্রমিকদের মধ্যে ছুটাছুটি শুরু হয়। পরে সেখান থেকে দগ্ধ অবস্থায় দুইজন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. ফখর উদ্দিন বলেন, ডাইং কারখানায় বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমাদের উদ্ধার কর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়। কারখানাটির জেনারেটর রুমের গরম বাতাস বাইরে বের হওয়ার জন্য ব্যবহৃত পাইপ লাইন থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।
তিনি আরও বলেন, তবে আমাদের দল সেখানে যাওয়ার আগে কারখানার লোকজন নিজেরাই আগুন নিভিয়ে ফেলে। আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে বলে তারা আমাদের জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম খান বলেন, এ ধরনের কোনো খবর আমাদের জানা নেই। কেউ আমাদের জানায়নি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে জেনারেটর বিস্ফোরণে আহত ৯
সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
সিলেট নগরীর মিরাবাজারে বিরতি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের আগুনে দগ্ধ আরও দুই ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে এই ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হলো। ৫ জন এখনও চিকিৎসাধীন।
নিহত দু’জন হলেন- সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (৩২) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাওয়ের অর্জুন দাসের ছেলে বাদল দাস (৪১)। তারা রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মারা যান তারেক। আর সোমবার সকালে মারা যান বাদল।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, তারেক ও বাদল উভয়ের শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিজ ঘর থেকে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাতে সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক ও মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরের মিরাবাজার এলাকার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ওই ফিলিং স্টেশনের সাতজন কর্মচারী ও দু’জন পথচারী দগ্ধ হন।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত সিলেট তালতলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দু’টি ইউনিট ১৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, পাম্প বন্ধের সময়েও খোলা ছিল বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফিলিং স্টেশনটির কম্প্রেসার কক্ষের একটি সেফটি বাল্ব বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় কম্প্রেসার মেশিনসহ আশপাশের যন্ত্রপাতিতে আগুন ধরে যায়।
সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার বেলাল আহমদ বলেন, ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিল। এ কারণে আগুন লাগে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে বলতে হবে।
ফিলিং স্টেশনটির সত্ত্বাধিকারী আফতাব আহমদ লিটন বলেন, সন্ধ্যার পর গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। ওই সময় কার্যক্রম শেষ করে সবাই পাম্প বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কম্প্রেসার কক্ষের একটি বাল্ব চেক করার সময় বিস্ফোরণ হয়।
আরও পড়ুন: সিলেট ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ নিহত ২
ফতুল্লায় গরম পানির ড্রেনে পড়ে দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ফেব্রিকস কারখানার গরম পানির ড্রেনে পড়ে দগ্ধ হওয়া শ্রমিক জামাল খানের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ড্রেনে পড়ার ছয় দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
মৃত জামাল খান ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া এলাকার মৃত ছোমেদ খানের ছেলে।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাব উদ্দিন জানান, ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার সময় ফতুল্লার রেললাইন বটতলা এলাকায় অবস্থিত ফতুল্লা ফেব্রিকস কারখানার ভেতরে মেশিন পরিষ্কারের সময় গরম পানির ড্রেনে পড়ে যান জামাল।
এ সময় তাকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের অধিকাংশ স্থান দগ্ধ হয়েছে। ছয় দিন তিনি চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মৃতের পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের আবেদন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকের লাশ উদ্ধার, ‘স্ত্রী’ পলাতক
কক্সবাজারে সমুদ্রে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
সিলেটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা-মেয়ের মৃত্যু, দগ্ধ ৪
সিলেটের গোয়াইনঘাটে বসতঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একই পরিবারের ৪ সদস্য দগ্ধ হয়েছেন। রবিবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জাফলংয়ের রসুলপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার দোকান ও বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ইয়াকুব মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০) ও মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১২)। আহতরা হলেন- জেসমিন আক্তারের স্বামী ইয়াকুব মিয়া, দুই সন্তান জুবাইর, জুনাইদ ও শাশুড়ি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মধ্যরাতে হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ঘরে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নিহতদের লাশ উদ্ধার করে।
গোয়াইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আগুনে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
ফরিদপুরে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৭