মামলা
লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় দু’জনের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুরে মহিন নামের সিএনজি চালিত এক অটোরিকশা চালককে হত্যার পর সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সদরের বিরাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মাইন উদ্দিনের ছেলে মোহন ও রশিদপুর গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে তারেক।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৭ জুলাই রাতে রামগঞ্জ থেকে সিএনজি ভাড়া করে নিয়ে এসে লক্ষ্মীপুর সদরের হামছাদী ইউনিয়নের বিজয় নগর গ্রামে চালক মহিনকে হত্যা করে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত আসামিরা। পরে সড়কের ওপর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ২৮ জুলাই নিহতের বাবা সুলতান আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ শহরের রেহান উদ্দিন ভূঁইয়া বাড়ির সামনে থেকে সিএনজিটি উদ্ধার করে এবং মামলার তদন্ত করে ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি মোহন ও তারেকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর তাদের যাবজ্জীবন সাজা ও জরিমানা করেন। তবে রায়ের সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোহন আদালতে উপস্থিত ছিল না।
হত্যা মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামিপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ববি উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা মামলা: আনভীরের আগাম জামিন আবেদন
এদিকে, একই আদালতে অপর এক মাদক মামলায় গিয়াস উদ্দিন নামের একজনের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
গিয়াস উদ্দিন টেকনাফের পানখালি এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর টেকনাফ থেকে পেটের ভেতর করে ইয়াবা নিয়ে যাওয়ার পথে সদরের দালালবাজার এলাকা থেকে গিয়াস উদ্দিন নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। পরে হাসপাতালে নিয়ে তার পেটের ভেতর থেকে ১১২৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে সাজা দেন আদালত।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাব রেজিস্ট্রার নূর মোহাম্মদ হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসেকিউটর (পিপি) জসীম উদ্দিন হত্যা ও মাদক মামলার রায়ের বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন।
সিরাজগঞ্জে অস্ত্রসহ জেলা ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মুলিবাড়ি গ্রাম থেকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতিকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।এসময় তার কাছ থেকে বিদেশি অস্ত্র ও গুলি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ডিবি।
গ্রেপ্তার মো.জুনায়েদ হোসেন সবুজ (৩৪) সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সয়াগোবিন্দ মহল্লার (মিলন মোড়) মো. শাহজাহান আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: বোরহানউদ্দিনে দেশীয় অস্ত্রসহ ২ জলদস্যু আটক
জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার মুলিবাড়ি গ্রামে অভিযান চালিয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সবুজকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি রিভলবার ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করে এ সংক্রান্তে একটি মামলা করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধাদানসহ তার বিরুদ্ধে আরও ৮/১০টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিবি পুলিশ।
এদিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও জেলা বিএনপি এবং সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: সিলেটে অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা আটক: র্যাব
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতির মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল জুনায়েদ হোসেন সবুজকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাত হাসান সুমন জানিয়েছেন।
এছাড়া সাবেক এমপি জেলা বিএনপি’র সভাপতি রুমানা মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক বাচ্চুসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সবুজকে গ্রেপ্তারের তীব্র প্রতিবাদ ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর পল্লবীতে অস্ত্রসহ ‘রোমান্টিক গ্রুপের’ ৮ সদস্য আটক
আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় থানায় জিডি
আড়াই কোটি টাকা আত্মসাত করে লাপাত্তা হওয়া খুলনা জেনারেল হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসের সন্ধান মেলেনি মঙ্গলবারও। এই বিষয়ে খুলনা থানায় সাধারণ ডায়েরী ও দুদকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ। এছাড়া প্রকাশ কুমার যেন পালিয়ে যেতে না পারে সে ব্যাপারে পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
সিভিল সার্জন নিয়াজ মাহমুদ জানান, প্রকাশকে হাসপাতালে আসার জন্য তার ঠিকানা বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রকাশের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার সন্ধান মেলেনি।
আরও পড়ুন: করোনা টেস্টের আড়াই কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপনে টেকনোলজিস্ট
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. হাসান আল মামুন জানান, রাত সাড়ে ১১ টায় প্রকাশের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় জিডি করেছেন খুলনা সিভিল সার্জন। সেখানে করোনা টেস্টের দুই কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাত করায় প্রকাশকে অভিযুক্ত করা হয়। সকালেই জিডির বিষয়টি দুদককে জানানো হয়।
দুদক খুলনা উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান জানান, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের দুই কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অবহিত হয়েছি। অভিযোগটি ঢাকা অফিসকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে
জিডি সূত্রে জানা গেছে, পলাতক প্রকাশ কুমার দাস যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার এগারোখান ঘোড়ানাচ এলাকার মৃত সুরেন্দ্রনাথ দাসের ছেলে। খুলনায় তার ঠিকানা মুজগুন্নী আবাসিকের ১০ নং সড়কের ১২৮ নম্বর বাড়ি। তবে নির্ধারিত ঠিকানায় গিয়ে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে তিনি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তার স্ত্রী মাধবী রানী দাস খুলনার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের একজন ফার্মাসিস্ট।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ২ শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত
ফরিদপুরে মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার অভিযোগে জিন্দাত আলী ওরফে পলাশ (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) প্রদীপ কুমার রায় এ রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত জিন্দার আলী ওরফে পলাশ জেলার বোয়ালমারীর রুপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামের কালাম শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় জিন্দার শেখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা: শর্তসাপেক্ষে রিপনের হাইকোর্টে আগাম জামিন
আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ২০ মে কদমী গ্রামের মো. মোসলেম মোল্লার মেয়ে কদমী আবু জাফর সিদ্দিকীয়া মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রুপালী খানম (২০) বাড়ি ফেরার পথে তাকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়। এরপর একই সময়ে কাচি (কাস্তে) দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনায় নিহদের বাবা বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ মামলা তদন্তকালে আকলিমা নামের এক নারীকে আটক করে রিমান্ডে নেয়। পরে এই মামলা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
বাদীর নারাজির প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের জেলা গোয়েন্দাকে (ডিবি) দায়িত্ব দেয়। অফির্সার ইনর্চাজ ডিবি ফরিদপুরের নির্দেশে এসআই শেখ আবু বক্কর মামলার তদন্তকালে বাদীসহ সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং তদন্তকালে আসামি জিন্দার আলী শেখকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় জিন্দার শেখ।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট স্বপন পাল বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জিন্দার আলী ওরফে পলাশ একজন কৃষক। রুপালি খানম মাদরাসায় যাতায়াতের পথে সে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতো। পরে তার বাড়িতে ঘটক পাঠিয়েও প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু রুপালির পরিবার এতে রাজি না হওয়ায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় ফৌজদারি কাযবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন, একই আদেশে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ধনঞ্জয় বল বলেন, তার মক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তিনি নিদোর্ষ।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ‘মামা শ্বশুর’ গ্রেপ্তার
৫ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বাড়লো এক বছর
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পৃথক পাঁচটি মামলায় জামিনের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে মানহানির অভিযোগে ঢাকার তিনটি ও নড়াইলের একটি মামলায় তার জামিনের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে আদেশ দেন বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
এছাড়া কুমিল্লায় করা হত্যা মামলায় জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আদেশ সোমাবার দেন বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী মো.ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে খালেদা জিয়ার আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মামুন। এর আগে বিভিন্ন সময় এই পাঁচ মামলায় খালেদা জিয়া আদালত থেকে জামিন পান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
চট্টগ্রামে হাত-পা বাঁধা ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার জেলার খুলশী থানাধীন জালালাবাদ এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলা থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. নেজাম পাশা (৬৫) ফটিকছড়ির ধুরং গ্রামের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জালালাবাদ এলাকার ভিআইপি রোডের পাশে পাঁচতলা নির্মাণাধীন ভবনের নিচ তলায় ব্যবসায়ী মো. নেজাম পাশার লাশ পাওয়া যায়। এর আগে রবিবার ভবনের কর্মচারীদের বেতন দেয়ার জন্য নেজাম পাশা সেখানে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নিকলী হাওরে নিখোঁজ পর্যটকের লাশ উদ্ধার
নিহতের পরিবারের দাবি, খুলশী থানার ওই এলাকায় ভবন নির্মাণের কারণে একটি চক্র নেজামের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল। গত কয়েকদিন ধরে চাঁদাবাজরা নেজামকে হুমকি দিচ্ছিল। গতকাল রাতে নিখোঁজের পর আজ সোমবার ভোরে তার লাশ পাওয়া গেল। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান বলেন, ব্যবসায়ী মো. নেজাম পাশাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে হোটেল থেকে নারীর লাশ উদ্ধারবায়েজিদ বোস্তামী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. শাহ আলম বলেন, উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তির দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা থানায় আসছেন। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হবে।
সীতাকুণ্ডে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় মুয়াজ্জিন গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক মুয়াজ্জিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে ওই ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তৌহিদুল আলম হৃদয় (১৯) সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর এলাকার আলমগীরের ছেলে। সে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে আর জুট মিল জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন।
এর আগে গত শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিয়ের আশ্বাসে মাদরাসাছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’, যুবক গ্রেপ্তারসীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হৃদয় ভুক্তভোগী কিশোরীর ছোট ভাইকে আরবি পড়াতেন। এর সূত্র ধরে গত ২১ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ওই কিশোরীকে নিজ কক্ষে ডেকে ধর্ষণ করে হৃদয়। বাড়ি ফেরার পর ওই স্কুলছাত্রী তার মাকে ঘটনাটি জানায়। বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে জানানোর পর কোনও সমাধান না পেয়ে শুক্রবার রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন।ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবার করা মামলায় হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা: শর্তসাপেক্ষে রিপনের হাইকোর্টে আগাম জামিন
কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা’র অভিযোগে করা মামলায় আসামি ইব্রাহিম আহমেদ রিপনকে শর্তসাপেক্ষে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জামিনের শর্তে বলা হয়েছে, তাকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। এই সময়ে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না এবং তদন্তকাজে তাকে সহযোগিতা করতে হবে।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা মামলা: আনভীরের আগাম জামিন আবেদন
আদালতে রিপনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেস্বর কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে ইব্রাহিম আহমেদ রিপনসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ আদালতে মোসারাতের বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
গত ১৮ আগস্ট মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা থেকে অব্যাহতি পান বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর।
আরও পড়ুন: মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা: আনভীরকে অব্যাহতি
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা হয়। মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বাদী মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান।
সুন্দরবনে কীটনাশক দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
সুন্দরবনের সংরক্ষিত এলাকা সুপতি থেকে তিন জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ এলাকায় অবৈধভাবে প্রবেশ এবং মাছ ধরার জন্য খালে কীটনাশক ছিটানোর অভিযোগে শনিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, সাজেদুল ইসলাম (৩৩), রিপন হাওলাদার (৩৫) এবং জাফর তালুকদার (৩৮)। তারা সবাই শরণখোলা উপজেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ১৩ ভারতীয় জেলে আটক
সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বন বিভাগের স্মার্ট টহল দলের এক অভিযানের সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি নৌকা, ২০ কেজি চিংড়ি এবং এক বোতল কীটনাশক জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে জাটকা ধরায় ২৫ জেলে আটক
জয়পুরহাটে দুটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর: গ্রেপ্তার ১
জয়পুরহাটে সদর উপজেলার শুকতাহার গ্রামের পূর্বপাড়া সার্বজনীন ও বারোয়ারী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার শামছুল আলম ওরফে লালবাবু (৩৪) জয়পুরহাট সদরের ধুলাতর মন্ডলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুর
পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দিরে পৃথকভাবে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছিল। সেখানে বেশ কয়েকটি প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পন্নও হয়। শুক্রবার গভীর রাতে কে বা কারা ওই দুটি মন্দিরের কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়।
প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি জানাজানির পর শনিবার জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভুঞা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ওই গ্রামের বীরেন্দ্রনাথ শিকদার বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলো ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ
জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভুঞা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ইতোমধ্যেই প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়, এমন কোন কাজ কাউকেই করতে দেয়া হবে না। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।