মো. হাদিসুর রহমান
ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা, নিহত এক নাবিক
ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে আটকে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ 'এমভি বাংলার সমৃদ্ধি'র ওপর রকেট হামলায় একজন নাবিক নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের এ জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান (৪৭) মারা গেছেন।
এছাড়া ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আনাম চৌধুরী বলেন, বুধবার (২ মার্চ) স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে ৩৩৬ নং অলভিয়া বন্দরে নোঙ্গর করে রাখা জাহাজের ব্রিজে এ রকেট হামলা হয়। এতে ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মারা যান। এছাড়া বাকি সবাই ভালো আছেন। সবার তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে।
পড়ুন: পুতিনকে ‘মূল্য’ দিতে হবে, হুঁশিয়ারি বাইডেনের
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের জলসীমায় আটকে পড়েছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) এই জাহাজটি। এতে ২৯ জন নাবিক রয়েছে বলে বিএসসি সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হল।
বিএসসি সূত্রে জানা যায়, সিরামিকের কাঁচামাল 'ক্লে' পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়।
তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্যবোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেন শিপিং কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ।
জানা গেছে, গত রবিবারও (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাহাজটি ওই বন্দরের সামনে নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল। জাহাজটি অলভিয়া বন্দর থেকে পণ্যবোঝাই করে ইতালির রেভেনা বন্দরে যাওয়ার কথা ছিল।
এর আগে, ২৬ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে যাত্রা করে তুরস্কের ইরেগলি হয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছে বাংলার সমৃদ্ধি। ২২ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি বন্দরে নোঙ্গর করে।
পড়ুন: যুদ্ধ নিয়ে নতুন আলোচনায় রাজি ইউক্রেন ও রাশিয়া
এশিয়ার লাখো মানুষ বাস্তুহারা হবে: জাতিসংঘ
২ বছর আগে