পুড়িয়ে
মানুষ পুড়িয়ে হত্যা সহ্য করা হবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে মানুষ পুড়িয়ে ও নির্বাচন বানচাল করে কাউকে ফায়দা লুটতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘মানুষ জ্বালিয়ে, নির্বাচন বন্ধ করে তারা যে ফায়দা হাসিল করে, তা বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না।’
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগকারীদের এবং তাদের নির্দেশ দাতাদের নিন্দা জানিয়ে বলেন, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা মহাপাপ, কোনো ধর্মই এটা মেনে নেয় না।
তিনি বলেন, যদি কারো জনসমর্থন পেতে হয়, তাহলে তারা জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নে তাদের অঙ্গীকার তুলে ধরতে পারে।
যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থান ফিলিস্তিন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে জায়গাটি এখন রক্তক্ষয়ী হামলার শিকার। এমনকি হাসপাতালগুলোতেও হামলা চালানো হচ্ছে। এমনকি অল্পবয়সী শিশু ও নারীরাও হামলা থেকে রেহাই পায়নি।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমাদের জন্যও দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা আমাদের দেশেও কিছু লোককে দেখছি রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষকে হত্যা করছে তারা।
তিনি বলেন, মানুষ হত্যার জন্য এই লোকেরা রেললাইন উপড়ে ফেলে এবং ট্রেনের বগিতে আগুন দেয়। ‘আমি জানি না এটা কী ধরনের রাজনীতি যে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। কেন এই আগুনের খেলা? কারো যদি আদর্শ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকে, তারা জনগণের কাছে গিয়ে তাদের সামনে তুলে ধরতে পারেন।
সম্প্রতি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে মা ও তার কোলে থাকা একটি শিশু জীবন্ত দগ্ধ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন করুণ দৃশ্য দেখতে চাই না। তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য মানুষের ক্ষতি করে পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের কী লাভ হচ্ছে? এটা আমার প্রশ্ন। আমরা চাই এই ধরনের সহিংসতা বন্ধ হোক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবতা সব ধর্মের শিক্ষা। তাই তার সরকার এই শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশ চালাচ্ছে।
তিনি ববলেন, ‘এই মাটিতে শ্রেণি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই স্বাধীনভাবে বসবাস করবে। আমরা সব মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়ন কামনা করি।’
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত করেছিলেন। কারণ তিনি চেয়েছিলেন সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
তিনি বলেন, ‘যেখানে সব ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে এবং আমরা সবাই মিলে (ধর্মীয়) উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করি। আমি মনে করি বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ।’
শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে তার পক্ষ থেকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা বড়দিনের ক্যারোল ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।
ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় নাইসেফরাস ডি'ক্রুজ এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে বড়দিনের শুভেচ্ছা কার্ড তুলে দেন।
নির্মল রোজারিওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বড়দিনের কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি জুয়েল আড়ং, এমপি, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, এমপি, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. এ হামিদ জমাদ্দার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান লীগের সভাপতি ড্যানিয়েল নির্মল ডি'কস্তা এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত আই কোরায়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
১০ মাস আগে
বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার অশুভ উদ্দেশ্য রয়েছে তাদের।
তিনি বলেন, 'শুধু ক্ষমতায় আসার জন্য আমি আর কোথাও এমন অমানবিকতা ও হত্যাকাণ্ড দেখিনি।’
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, যারা লাশের ওপর পা রেখে ক্ষমতায় আসার কথা ভাবে, তারা অমানুষ।
তিনি বলেন, 'আমার কাছে প্রশ্ন হলো, কেন মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে? আমি এখনও বুঝতে পারছি না, মানুষকে কেন পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে, বাস পোড়ানো হচ্ছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, দেশ একের পর এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন,‘আমরা একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। উদাহরণস্বরূপ, কোভিড-১৯, আমরা এটি মোকাবিলা করেছি। এছাড়া প্রায়ই অগ্নিসন্ত্রাসের মতো নানা ধরনের ঝামেলা শুরু হয়।’
শান্তি প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, শুধু দেশের মধ্যেই নয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিকভাবেও শান্তি চায় বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, 'আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব,কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়।’
বাংলাদেশকে শান্তির দেশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
১১ মাস আগে
পশ্চিমবঙ্গে ১০ জনকে ‘জ্যান্ত পুড়িয়ে হত্যা’
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের মৃত্যুর জেরে গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় আগুনে পুড়ে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোররাতে রামপুরহাটের বগটুইয়ে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় এক বোমা হামলায় স্থানীয় তৃণমূল-কংগ্রেস নেতা ভাদু প্রধানের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরই এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
পশ্চিবঙ্গের পুলিশ প্রধান মনোজ মালভিয়া জানিয়েছেন, জেলার রামপুরহাট এলাকায় চার-পাঁচটি পোড়া বাড়ি থেকে সাতটি পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলো পুলিশ সূত্রের বরাতে জানিয়েছে আহত আরও তিনজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ৮, আহত ২০
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কীভাবে বাড়িগুলোতে আগুন লেগেছে এবং এই ঘটনাগুলো পঞ্চায়েত উপপ্রধানের হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা; আমরা তা তদন্ত করছি।’
পুলিশের এই মহাপরিচালক আরও জানান, স্থানীয় কয়েকজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাকে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়াও, এই ঘটনা তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গত বছর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছিল। এরপর ৬ মে মমতা ব্যানার্জি তৃতীয়বারের মতো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার একদিন পর নিহতদের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনার প্রকোপ কমায় ভারতজুড়ে হোলি উদযাপিত
ই-ট্যুরিস্ট ভিসা পুনরায় চালু করল ভারত
২ বছর আগে