আওয়ামী
আওয়ামী লীগের সাবেক ৮ মন্ত্রী ও ৬ এমপির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতির অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক আট মন্ত্রী ও ছয় সংসদ সদস্যের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তরা হলেন- দীপু মনি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিন, মামুনুর রশীদ কিরণ, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, কাজিম উদ্দিন, নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ও জিয়াউর রহমান।আরও পড়ুন: সাংবাদিকসহ আরও ৯২ মার্কিন নাগরিকের ওপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা
দুদকের পক্ষে আবেদনটি দায়ের করেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
জাহাঙ্গীর আবেদনে উল্লেখ করেন, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা যারা দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন, তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তাদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।
দুদক আদালতকে জানায়, তারা সবাই অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ অর্জন করেছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে সেগুলোর তদন্ত চলছে।
বিচারক আদেশের একটি অনুলিপি পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য বিশেষ শাখার পুলিশ সুপারের (ইমিগ্রেশন) কাছে পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিমের বিদেশযাত্রায় ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা
২ মাস আগে
নির্বাচনের নামে আওয়ামী প্রীতি ম্যাচ বন্ধ করুন: অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, নির্বাচনের নামে আওয়ামী প্রীতি ম্যাচ বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের নামে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে কোনো প্রহসন দেশবাসী বরদাশত করবে না। সভাসমাবেশ নিষিদ্ধ করে জনগণকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের গণজাগরণ শুরু হয়েছে। এ গণজাগরণের বিস্ফোরণ ঘটার আগেই সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় কামনা করছি।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সোমবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে কার্যনির্বাহী পরিষদের মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আওয়ামী লীগের অধীনে ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান গণতন্ত্র মঞ্চের
সংগঠনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ডা. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন: উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, মুফতি ইমাদুদ্দীন, মুফতি আনওয়ার হোসাইন, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, আলতাফ হোসাইন, আবদুল আউয়াল, আবদুর রাজ্জাক, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, নজরুল ইসলাম, ফজলুল হক মৃধা, মাওলানা কামাল হোসাইন, এম এইচ মোস্তফা, মুফতি জিয়াউল আশরাফ, মুফতি আবদুল আহাদ, মুফতি আকতার হোসাইন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, একতরফা পাতানো নির্বাচন হলে দেশে ভয়াবহ সংকট দেখা দেবে। দেশের শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। লাখো গার্মেন্টস শ্রমিক কর্ম হারিয়ে ফেলবে। দেশের অর্থনীতির উপর নিষেধাজ্ঞা আসবে। দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, মাফিয়া সরকারের দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েমের স্বপ্ন পূরণ হবে না। ৭ তারিখের নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবে ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ বিরোধী দলকে দমন-পীড়ন করার ষড়যন্ত্র: গণতন্ত্র মঞ্চ
দেশ বাঁচাতে আ.লীগ-বিএনপির কাছে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র খোলা চিঠি
১০ মাস আগে
আ.লীগ সরকার সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকার সব পরিবর্তন করেছে, সংবিধান পরিবর্তন করেছে। সংবিধানের যেই ধারা ছিল তাকে পরিবর্তন করেছে। তারা এটাকে সম্পুর্ণ আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে।
শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের এক সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংবিধানের তিনটি অনুচ্ছেদ আছে যে অনুচ্ছেদ সম্পর্কে সংবিধানে সংশোধনী নিয়ে এসেছে, সেখানে কোনদিন হাত দেয়া যাবে না। আজীবন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন হাত দেয়া যাবে না। অর্থাৎ সংবিধানের যে মৌলিক চরিত্র, এটা একটা প্রজাতন্ত্র। জনগণের ভোটে যে নির্বাচিত সরকার, জনগণ এই সংবিধানের পরিবর্তন সাধন করতে পারেন। এটা আর থাকলো না।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ত্রাস করে ক্ষমতায় যায়, সে পরিকল্পনা এবারও করছে তারা।
সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনের একটি পরিবেশ তৈরি করতে বলেন তিনি। এটিই এখন বাংলাদেশের একটি বড় সংকট, এ সংকট নিরসন করুন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি বেগম জিয়াকে ‘হত্যার হুমকি’র শামিল: ফখরুল
ফখরুল বলেন, বিরোধী দলীয় নেত্রীকে পদ্মা সেতুতে নিয়ে টুস করে ফেলে দাও- এটা ভয়ংকর কথা। আইন নেই, কানুন নেই, একজন প্রধানমন্ত্রী তিনি বলে দিলেন টুস করে ফেলে দিতে হবে। এটা মেনে নেয়া সম্ভব হয় না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং বারবার অনুরোধ করছি যে, দেশের যে পরিবেশ তা দিনদিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেটা আর খারাপ না করে কমপক্ষে একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করুন।
তিনি আরও বলেন, গত পরশু তার প্রত্যাবর্তন দিবসের একটা অনুষ্ঠানে তিনি বিএনপির ব্যাপারে, বিএনপি নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এবং দেশের যারা শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব, আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব তাদের বিরুদ্ধাচারণ করেন। এমনকি পত্রিকার সম্পাদক তাদের বিরুদ্ধে, অর্থনীতিবিদদের বিরুদ্ধেও বলেছেন। আমি এর তীব্র বিরোধিতা করছি, নিন্দা জানাচ্ছি। এটা আ’লীগের স্বভাবসূলভ চরিত্র, সব সময় সন্ত্রাস, ত্রাস করে ক্ষমতায় যায়। সেভাবেই তারা আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পায়তারা শুরু করেছে। ২০১৪ সালে এমন একটা অবস্থা তৈরি করে, ত্রাস করে, সন্ত্রাস করে নির্বাচন করেছিল এবং জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তারা জনগণকে ভোট দেয়ার কোন সুযোগই দেয়নি। ১৫৪ টি আসনেই বিনা ভোটে নির্বাচিত করে। একই ভাবে সারাদেশে সন্ত্রাসী কায়দায় গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপির হাজার হাজার নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করা ও ১৯ জন প্রার্থীকে বন্দি করা, আদালতকে ব্যবহার করা, নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে আগের রাতেই রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই যাদের ইতিহাস, আজকের না, শুধু ১৯৭৩ সালে যখন আ’লীগের একক আধিপত্য ছিল এবং জনপ্রিয়তা ছিল তখনও কিন্তু তারা নির্বাচনে কাউকে ছাড় দেয়নি। ওই সময় কুমিল্লার দাউদকান্দিতে কোন এক প্রার্থী খন্দকার মোস্তাকের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। ওখানকার ব্যালট বাক্স পর্যন্ত হেলিকাপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল। একইভাবে রাশেদ খান মেননের আসনেও হয়েছে। এটাই হলো তাদের স্বভাব। এভাবেই তারা শক্তি প্রয়োগ করে, বল প্রয়োগ করে জোর করে ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করতে চায়। সেটা সেই ক্ষমতাটাও তারা নিয়ে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক মন্দা এড়াতে ব্যয়বহুল মেগাপ্রকল্প বাদ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান বিএনপির
তিনি বলেন, ৭৫ সালে আমরা সবাই জানি পার্লামেন্টে ৫ মিনিটেই ক্যু করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল এই আ’লীগ। এখন তাদের মুখেই যখন গণতন্ত্রের কথা শুনি তখন সেটা একটা হাস্যকর এবং প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। একই ভাবে একজন সম্পাদকের বিরুদ্ধে যখন তিনি কথা বলেন এটা স্বাধীন যে সাংবাদিকতা সেই স্বাধীনতার বিপক্ষে। তিনি যখন একজন বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদকে কটুক্তি করেন তখন সেটা বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা খারাপ ধারণা তৈরি করে। এমনকি যে অর্থনীতিবিদরা মেগা প্রকল্প নিয়ে কথা বলেছেন, অর্থনীতির অশনী সংকেত নিয়ে কথা বলেছেন তাদেরকেও তিনি গালিগালাজ করতে ছাড়েন নি।
ফখরুল বলেন, ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল আওয়ামী লীগ। ক্ষমতার বাইরে থাকলেই পচনশীল হয় না। বিএনপি হচ্ছে উচ্চগামী একটি দল। আমরা হচ্ছি ঊর্ধ্বগামী দল তা প্রমাণ করার জন্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনই যথেষ্ট। ওবায়দুল কাদেরের কোন কথাকে গুরুত্ব দেই না আমরা। কারণ তিনি নিজে কোন কথা বলেন না। শেখ হাসিনা যা বলেন পাপেটের মত তিনি সেটাই আওড়িয়ে বলেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সরকার মো. নুরুজ্জামান নুরু, সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল রানাসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠের নেতারা।
আরও পড়ুন: নতুন ফসল উঠলেও ভুল নীতির কারণে চালের দাম বাড়ছে: বিএনপি
২ বছর আগে
ইবিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের হাতাহাতি, শ্রদ্ধাঞ্জলি ভাংচুর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্যাম্পাসের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের মধ্যে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
শনিবার সকালে তিন দফায় শিক্ষকদের মধ্যে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের শ্রদ্ধাঞ্জলি বেদি ভাঙচুর করা হয়।
ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ থাকলেও সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে মানববন্ধন করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: ইবির প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ২১ মার্চ
পরে শিক্ষক সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, হলসমূহ, বিভাগসমূহ একে একে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায়। শ্রদ্ধা নিবেদনের একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের নাম ঘোষণা না করায় তারা বেদিতে উঠতে চেষ্টা করে। এ সময় সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম তাদের বাধা দেন। এতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের শহিদুল ইসলামের সঙ্গে সহকারী প্রক্টরের বাগ্ বিতণ্ডা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দারসহ অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, অধ্যাপক ড. আহসান উল আম্বিয়া, অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম, নাহিদ হাসান, হাফিজুল ইসলামসহ প্রায় ২৫ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
বাগ্বিতণ্ডার পরে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের শিক্ষকেরা বেদিতে ওঠার চেষ্টা করলে অপর পক্ষ তাদের বাধার সৃষ্টি করলে অন্য গ্রুপের শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি হয়। এতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্র ঘোষিত অংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, অধ্যাপক দেবাশীষ শর্মা, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক বাকি বিল্লাহ বিকুল, সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলামসহ প্রায় ১৫ জন শিক্ষক তাদের ওপরে চড়াও হন।
একপর্যায়ে শিক্ষক ইউনিটের ফুলের তোড়া ভেঙে ফেলে তারা। এরপর দুই গ্রুপের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক মূল বেদিতে সবার সামনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ২০ মিনিটের এ ঘটনায় তিন দফায় হাতাহাতি করেন শিক্ষকরা।
এ সময় শিক্ষক ইউনিটের নেতা–কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে ফের বাধা দেয় অপর পক্ষ। পরে তাদের সামনে ধাক্কা দিয়ে শিক্ষক ইউনিটের শিক্ষকদের বেদি থেকে নামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে তারা। এ সময় প্রক্টর পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে শিক্ষক ইউনিটের শিক্ষকেরা বেদি থেকে নেমে যায়।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত ২০
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্র ঘোষিত অংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবুল আরফিন বলেন, তাদের জুনিয়র শিক্ষকরা আমাদের সিনিয়রদের সঙ্গে বেয়াদবি করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। আমরা কেন্দ্রকে জানিয়েছি।
এ ঘটনার পর মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ‘শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অধিকার সবার আছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর কর্মী হয়ে আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে না দিয়ে বিএনপির লোকদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনাটি আমরা ভিসিকে জানানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ভিসি ফোন রিসিভ না করায় আমরা বেদিতেই উপস্থিত প্রো ভিসির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য গিয়েছিলাম। এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি। ’
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকরা মুখেই বলি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। স্মৃতিসৌধের বেদিতে যে ঘটনা ঘটেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। সহকারী প্রক্টরের ভূমিকায় তিনি বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে এ বিষয়ে আমি বলতে পারব। ’
আরও পড়ুন: ইবিতে বিএড ও এমএড ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
২ বছর আগে