ঐতিহাসিক স্থাপনা
ঈশা খাঁ'র জঙ্গলবাড়ি দুর্গ ভ্রমণ গাইড, আনুষঙ্গিক খরচ
বহু যুগের ঐতিহাসিক স্থাপনায় সমৃদ্ধ বাংলার জনপদ সাক্ষী হয়ে আছে নানান সময়ের স্থাপত্য শিল্পকর্মের। এমনকি নদীমাতৃক বাংলাদেশ সেই জীবাশ্মগুলোকে বুকে ধারণ করে এখনও শুনিয়ে যায় উত্থান-পতনের কাহিনী। তেমনি একটি পুরাকীর্তি ঈশা খাঁ’র জঙ্গলবাড়ি দুর্গ, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঈশা খাঁ’র বীরত্বগাঁথা।
ষোল শতকের এই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার এখন আর আগের মত জৌলুশ না থাকলেও ইতিহাস উৎসাহীদের কাছে এটি একটি প্রিয় পর্যটন স্থান। এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি নিয়েই আজকের ভ্রমণ বিষয়ক নিবন্ধ। চলুন, জেনে নেয়া যাক- কিভাবে বারো ভূঁইয়াদের সময়কার এই স্থাপত্য নকশাকে খুব কাছ থেকে দেখবেন।
ঈশা খাঁ'র জঙ্গলবাড়ি দুর্গের অবস্থান ও বিশেষত্ব
ঢাকা বিভাগের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা কিশোরগঞ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা করিমগঞ্জ। এই করিমগঞ্জের অন্তর্গত কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের নরসুন্দা নদী বিধৌত একটি গ্রাম জঙ্গলবাড়ি। এই গ্রামেরই মধ্যমণি বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম নেতা ঈশা খাঁ’র স্মৃতিবাহী জঙ্গলবাড়ি দুর্গ। মসনদে-আলা-বীর ঈশা খাঁ এখানেই বানিয়েছিলেন তার দ্বিতীয় রাজধানী।
জঙ্গলবাড়ি দুর্গের ইতিহাস
ইংরেজদের ও মুঘলদের স্বৈরাচার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলার জমিদাররা গোপনে সাহায্য চেয়েছিলেন ঈশা খাঁ’র কাছে। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১ হাজার ৪০০ অশ্বারোহী, ২১টি নৌবিহার এবং গোলাবারুদ নিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে হাজির হন ঈশা খাঁ।
অতঃপর ১৫৮৫ সালে তৎকালীন কোচ রাজা লক্ষ্মণ হাজরা ও রাম হাজরাকে পরাজিত করে তিনি দখল করে নেন জঙ্গলবাড়ি দুর্গ। এই দুর্গ মূলত সেই কোচ রাজার আমলে তৈরি করা হয়নি। ধারণা করা হয়, এর গোড়াপত্তন হয়েছিলো প্রাক-মুসলিম যুগে।
আরও পড়ুন: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলাইদহ কুঠিবাড়ি যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
তবে দুর্গ দখলের পর ঈশা খাঁ দুর্গটির সংস্কার করার সময় এর ভেতরে আরও কিছু স্থাপনা নির্মাণ করেন। এই দুর্গ থেকেই পরবর্তীতে তিনি ক্রমান্বয়ে সোনারগাঁও সহ ২২টি পরগণা দখল করেছিলেন।
১৫৯৯ সালে তার মৃত্যুর পর পুত্র মুসা খান সোনারগাঁওয়ের মসনদের আসীন হন। মুসা খাঁ বারো-ভূঁইয়াদের পক্ষে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। অবশেষে ১৬১০-এর ১৬ জুলাই মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের সেনাপতি ইসলাম খানের কাছে তার পরাজয় হয়।
এ সময় ঈশা খাঁ’র বংশধররা সোনারগাঁও ত্যাগ করে আশ্রয় নিয়েছিলেন এই জঙ্গলবাড়ি দুর্গে।
বর্তমানে এই ঐতিহাসিক দুর্গ বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। ২০০৫-এর ১২ জুন স্থানীয় প্রশাসন দুর্গের ভেতরের দরবার কক্ষটি সংস্কার করে স্থাপন করে জাদুঘর ও পাঠাগার। নতুন সংস্কারকৃত কক্ষটিকে 'ঈশা খাঁ স্মৃতি জাদুঘর ও পাঠাগার' নাম দিয়ে উন্মুক্ত করা হয় দর্শনার্থীদের জন্য।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
১১ মাস আগে
ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণ করা হবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর সংস্কার, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও এই প্রথম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঐতিহ্যের একটি স্থাপনার সংস্কার শুরু করেছে। এছাড়া আমরা লালকুঠিতেও সংস্কার শুরু করেছি।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতি বাজেটেই অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে: মেয়র তাপস
সুতরাং ধাপে-ধাপে, পর্যায়ক্রমে আমাদের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোকে সংস্কার, সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা করব। যাতে করে বহির্বিশ্বের পর্যটকরা এসে ঢাকাকে বুঝতে পারে, জানতে পারে এবং শিখতে পারে।
বুধবার (২৪ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন নেতার মাজার সংলগ্ন ঢাকা ফটকের সংস্কার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
ঢাকার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা তার অন্যতম লক্ষ্য জানিয়ে মেয়র বলেন, নির্বাচনের সময় আমি বলেছিলাম ঢাকার যে ঐতিহ্য আছে এই ঐতিহ্যকে আমাদের ধারণ করতে হবে, সংরক্ষণ করতে হবে। শুধু দেশবাসী নয় বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, তারই একটি শুভ সূচনা আজকে আমরা করতে পারছি। এই ঐতিহাসিক ঢাকা ফটক যেটা রমনা ফটক নামেও পরিচিত ছিল একসময়, তৎকালীন বাংলার সুবেদার মীর জুমলা এটি নির্মাণ করেছিলেন। সেই সময়ের চিত্র যদি আপনারা দেখেন, এই ফটকই ছিল ঢাকার মূল প্রবেশদ্বার।
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী দিয়ে আসার পরেই এই প্রবেশদ্বার দিয়েই সকলে ঢাকায় প্রবেশ করতো এবং এই ফটকের চারিপাশে হাতি দ্বারা পাহারারত অবস্থায় থাকতো। এরকম চিত্রও আমরা দেখেছি। আমরা সেই ইতিহাস ও ঐতিহাসিক চিত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অংশীজনদের থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করি: মেয়র তাপস
স্বামী বিবেকানন্দ অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থায় বিশ্বাসী ছিলেন: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
যুদ্ধে ইউক্রেনের ৫৩ ঐতিহাসিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনেস্কো
রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের কমপক্ষে ৫৩টি সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো।
শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ২৯টি গির্জা, ১৬টি ঐতিহাসিক ভবন, চারটি জাদুঘর ও চারটি স্মৃতিস্তম্ভ।
ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর অধিকাংশই ইউক্রেনের বৃহত্তম শহর কিয়েভ ও খারকিভে অবস্থিত। তবে দেশটির প্রাচীন শহর চেরনিহিভেও রয়েছে কয়েকটি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান ভারতের
সংস্থাটির এক মুখপাত্র জানান, ‘এটি সর্বশেষ তালিকা। তবে সম্পূর্ণ নয়। কারণ আমাদের বিশেষজ্ঞরা বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন যাচাই করে চলেছেন।’
ইউনেস্কো বলছে, তারা ক্ষয়ক্ষতি যাচাই করতে স্যাটেলাইটের ছবি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রতিবেদন ব্যবহার করছে।
২ বছর আগে