শিক্ষার্থী
চবিতে সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্যাম্পাসে অবস্থানরত সাবেক ও বহিষ্কৃত সকল শিক্ষার্থীকে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। একই সঙ্গে মাদক বিক্রি ও সেবন বন্ধের লক্ষ্যে ক্যাম্পাস এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে শিমুল ও নুর
সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যন্ড ডিসিপ্লিন সভার সদস্যদের সম্মতিতে ৯/১/২০২৩ তারিখে প্রদত্ত সুপারিশ-১ ও সুপারিশ-২ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই সুপারিশের আলোকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী মাদকাসক্ত, ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন সম্ভাব্য মাদক বিক্রির স্থান ও মাদক সেবনের চিহ্নিত জায়গায় নিয়মিত অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, হল ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানকারী ছাত্রত্ববিহীন (সাবেক/বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, এমন ব্যক্তিদের আগামী ১৫ মার্চ তারিখের মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এছাড়া নির্ধারিত ১৫ মার্চের পর ক্যাম্পাস এলাকায় ছাত্রত্ববিহীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কাউকে পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের উপগ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষে ৮ কক্ষ ভাঙচুর, আহত ৩
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো নিয়ে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদনে ৬ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে পাশবিক ও অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে এ ঘটনায় গঠিত বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে, এ ঘটনার জন্য ৬ জনকে দায়ী করে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। হল প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটর এ ঘটনার ব্যাপারে দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। একইসঙ্গে বিশববিদ্যালয়ের প্রক্টর তার দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা ও উদাসীনতা দেখিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন: ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করার পর আগামীকাল বুধবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, নির্যাতিত হওয়ার পরেও অন্তরার জোরাজুরিতে ভিকেটিম মুচলেকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। ভিকমটিমকে হল থেকে বিতাড়িত করতে চাপ দিলে হল প্রভোস্ট তাকে হলত্যাগের নির্দেশ দেন। পরে মুচলেকা দিতে বাধ্য করা হয়।
আদালত শুনানি নিয়ে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোন আইনজীবী আছে কিনা সেটা জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে আগামীকাল বুধবার আদেশের দিন ধার্য করেন।
আদালত থেকে বের হয়ে রিটকারী আইনজীবী মো. মহসিন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটিতে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। লিখিত বক্তব্য এবং অডিও ক্লিপসহ তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।
এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, লিমা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান মীম, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার ঊর্মি ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মুয়াবিয়া জাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। লিমা বিচারিক তদন্তে এসেছে। আর বাকিরা দুই তদন্তেই আছেন।
বিচারিক তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের প্রভোস্ট এবং হাউজ টিউটরদের চরম ব্যর্থতা ও অবহেলার অভিযোগ উঠে এসেছে। কারণ তারা হলো তাদের হলের অভিভাবক। তারা তাদের দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থতা দেখিয়েছে। অন্তরা এবং অভিযুক্তরা এই ভিকটিমের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করে। প্রোভোস্টের সামনেই তারা এটা করে। প্রভোস্ট অভিযুক্তদেরকে সাহায্য করে। এটচা বিচারিক তদন্তের রিপোর্টে উঠে এসেছে। আর বিচারিক তদন্তে আরেকটি যে বিষয় উঠে এসেছে তা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর চরম উদাসীনতা দেখিয়েছেন, অবহেলা করেছেন। তিনি অভিযোগ পাওয়ার পরেও কোন প্রকার ব্যবস্থা নেননি। আজকে রিপোর্ট দেখে আদালত আগামীকাল আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে, ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৪ জনের সিট বাতিল
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তার আগের দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রীকে (ইবি) রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে জড়িতদের হাইকোর্টে তলব করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী মো. মোহসীন জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, ইবির ভিসি, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এদিকে ফুলপরী খাতুন নামের ওই ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীর আবাসিকতা বাতিল করেছে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল কর্তৃপক্ষ। তাদের সবাইকে আগামী ১ মার্চের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
গতকাল সোমবার এ ঘটনার দুটি তদন্ত প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে দাখিল করা হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় এ প্রতিবেদন আজ আদালতে দাখিল করেন। এরই মধ্যে গতকাল ইবি’র হল থেকে ৫জনকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃত ছাত্রীরা হলেন- ইবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মোয়াবিয়া। অন্তরা ছাড়া সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের গণরুমে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেত্রীর নাম সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার সহযোগী তাবাসসুম ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ছাত্রীও একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন নির্যাতনের শিকার ছাত্রী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম রাত ৮টায় ভুক্তভোগী ছাত্রীকে প্রজাপতি-২ রুমে যেতে বলেন। অসুস্থ থাকায় সেদিন তিনি যেতে পারেননি। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রীকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তাবাসসুম। ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম দফায় র্যাগিং করে তাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে হলের প্রভোস্টের সহযোগিতায় তখন সেটা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ইবি উপাচার্যের অডিও ফাঁস: ব্যক্তিগত সহকারীকে অব্যাহতি
পরদিন রোববার ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ ৭-৮ জন মিলে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে গণরুমে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারা হয় এবং মুখ চেপে ধরে গালিগালাজ করা হয়। এমনকি তাকে ময়লা গ্লাস মুখ দিয়ে পরিষ্কার করতে বলেন সানজিদা। পরে ওই ছাত্রীকে জামা খুলতে বলেন অভিযুক্তরা। জামা না খুললে পুনরায় মারতে থাকেন তাকে। এরপর জোর করে তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেন তারা। এ ঘটনা কাউকে বললে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয় ভুক্তভোগীকে।
শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ জাবি ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) হলের এক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের ৯ কর্মীর বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের ঘটনায় হলের প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী সাকিবুল ইসলাম ফারাব্বি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক ছাত্র।
অভিযুক্তরা হলেন- ইংরেজি বিভাগের জুনায়েদ হাসান রানা, ফার্মাসি বিভাগের নাইমুল ইসলাম সাগর, ইতিহাস বিভাগের আতিক শাহরিয়ার, চারুকলা বিভাগের মোহতাছিম বিল্লাহ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের উৎস ও কাব্য, গণিত বিভাগের জুনায়েদ ইভান, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ইমরান মির্জা এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সৈকত ইসলাম। তারা প্রত্যেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তারা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী ২১৬ নং কক্ষের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ২১৯ নং কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা। ফলে সারারাত গেস্টরুমেই রাত্রি যাপন করেন তারা।
সাকিবুল ইসলাম ফারাব্বি বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আমি ও আমার বন্ধুরা ২১৬ নং রুমে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত ২টার দিকে ভাইয়েরা আমাদের ডেকে ২১৯ নং রুমে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন যে আমি পলিটিক্যাল প্রোগ্রামে কেন থাকতে পারি নাই? গেস্টরুমে কেন থাকতে পারি নাই? আমি বলি আমার পরীক্ষা চলতেছে এবং সম্প্রতি ডিপার্টমেন্টের একটি ট্যুরে গিয়েছিলাম, এজন্য থাকতে পারি নাই। এই কথা বলায় তারা আমাকে হল ছাড়তে বলেন। এটা আমার অ্যালোটেড হল হওয়ায় আমি হল ছাড়তে অস্বীকার করি। তখন তারা আমাকে পোশাক খুলতে বলে, তো আমি পোশাক খুলতে অস্বীকার করলে তারা ক্ষেপে যায় ও মারধর শুরু করে। মারধরের চিৎকার শুনে আমার বন্ধুরা পাশের রুম থেকে আসে ও আমাকে নিয়ে যায়। তারপর আমরা সারারাত হলের গেস্টরুমে থাকি।
তবে অভিযুক্তরা মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছেন।
মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে আতিক শাহরিয়ার বলেন, 'মারধরের কোন ঘটনাই ঘটেনি। অভিযোগ যিনি দিয়েছেন সে তার বন্ধুদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছিলো। সে তার এক বন্ধুদের রুম থেকে বের করে দিয়েছিলো। তাই আমরা তাকে বোঝাতে গিয়েছিলাম।'
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
নিখোঁজের ৩ দিন পর মেঘনা নদী থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরের মতলবে মেঘনা নদী থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। নিহত সুষ্মিত সাহা নারায়ণগঞ্জের ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী।
রবিবার সকালে নদীতে টহল দেয়ার সময় লাশটি ভেসে উঠলে তা উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে আনসার সদস্যের লাশ উদ্ধার, ভাবি আটক
মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান ইউএনবি কে জানান, গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে প্রায় ৭৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এমভি প্রিন্স কামাল-১ নামে লঞ্চযোগে দুপুরে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তরের মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে আসে।
এ সময় শামস ও সুষ্মিত সাহা অন্য সহপাঠীদের সঙ্গে নদীর পাড়ে গোসল করার সময় নদীতে তলিয়ে যায়।
শামসকে সহপাঠীরা উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ডিউটি ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
অন্যদিকে সুষ্মিতকে সবাই খোজাখুঁজি করলেও তাকে উদ্বার করতে পারেনি। পরে কোস্ট গার্ড, নৌপুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেডের ডুবুরীদল অনেক চেষ্টা করেও গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিকাল পযর্ন্ত নিখোঁজ সুষ্মিতকে খুঁজে পায়নি।
অবশেষে রবিবার সকালে তার লাশ ভেসে উঠলে তা উদ্ধার করে মোহনপুর নৌপুলিশ টিম। এ উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার পর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে মেহগনি বাগান থেকে পুলিশ কনস্টেবলের লাশ উদ্ধার
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
হিলিতে ট্রেনে কাটা পড়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু
দিনাজপুরের হিলিতে ট্রেনে কাটা পড়ে দশম শ্রেণীর এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সাতকুড়ি রেলগেটের উত্তর পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওয়াজেদ ইসলাম ওয়াদুদ (১৪) রায়ভাগ গ্রামের রশিদুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় গোহাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ওয়াদুদের বাবা রশিদুল ইসলাম জানান, সকালে কিছু না খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ওয়াদুদ। সে স্কুলেও যায়নি। কি কারণে তার মন খারাপ ছিল জানি না। বেলা ১১টার দিকে লোকমুখে শুনতে পাই সে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে।
আরও পড়ুন: নগরকান্দায় ট্রেনের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
স্থানীয় পান দোকানদার আমেদ আলী জানান, সকাল থেকে ছেলেটি রেলগেট এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল। ট্রেন আসার আগে সে রেলগেটের উত্তর পাশে রেললাইনের ওপর বসে মোবাইল টিপছিল। অনেকে তাকে রেললাইনের ওপর থেকে সরে যেতে বললেও কারও কথা শুনেনি। এসময় ট্রেনে কাটা পড়ে সে মারা যায়।
হিলি রেলস্টেশন মাস্টার তপন চক্রবর্তী জানান, সকালে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা নীলফামারী গামী তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা ১১টার দিকে হিলি রেলস্টেশন অতিক্রম করে। এর কয়েক মিনিট পর খবর পাই হিলি রেলস্টেশনের অদূরে সাতকুড়ি এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক কিশোর মারা গেছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে রিকশাচালকের মৃত্যু
নেত্রকোণায় ট্রেনের ধাক্কায় সংবাদকর্মীর মৃত্যু
সিলেটে শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের মামলা, আসামি ৪০০
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজের ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের জেরে শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কবীর বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান তালুকদার জানান, ছাত্রীকে উত্যক্তের জেরে শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চবিতে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ
এদিকে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংঘর্ষের প্রতিবাদে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করে শিক্ষর্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে উত্যক্তকারী যুবক ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
এছাড়াও মেডিকেল কলেজের ছাত্রীদের উত্যক্ত করা স্থায়ীভাবে বন্ধে পুলিশকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানান তারা।
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজে অধ্যরনরত নেপালিয়ান দুই ছাত্রী পার্শ্ববর্তী চণ্ডিপুলের ফুলকলি মিষ্টির দোকানে গেলে আসার সময় স্থানীয় এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক তাদের উদ্দেশ্যে অশালীন কথা বলেন এবং উত্যক্ত করেন। ওই অটোরিকশা চালক নর্থ ইস্ট হাসপাতালের অদূরস্থ সুমাইয়া কমপ্লেক্স নামক মার্কেটের নিচ তলার বাদশা টেলিকম নামক ফ্লেক্সিলোডের দোকানের মালিক গুলজার আহমদের আত্মীয়।
এদিকে, ইভটিজিংয়ের শিকার দুই ছাত্রী কলেজে গিয়ে সহপাঠীদের বিষয়টি জানালে কয়েকজন শিক্ষার্থী বাদশা টেলিকমে এসে বিচারপ্রার্থী হন। এসময় দু’পক্ষের মাঝে বাবকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শামিল হয়ে এসময় স্থানীয় অটোরিকশা চালকরা শিক্ষার্থীদের মারধর করেন।
জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের অদূরের সুমাইয়া কমপ্লেক্স মার্কেটের সামনে এ সংঘর্ষ হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে ৮-১০ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহত হয়েছেন দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী কমিশনার (এসি) মাঈন উদ্দিন খান।
এসময় নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের হামলায় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬
গাজীপুরে আ.লীগের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পিস্তল ঠেকানো বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার
শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে: এনামুল হক শামীম
শনিবার সকালে শরীয়তপুরের ‘সখিপুর হাজী শরীয়তউল্যাহ কলেজ’-এ সখিপুর থানার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে চলছেন। তিনি প্রতিটি উপজেলা শহরে থাকা মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ করছে। তিনি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি অসহায় মানুষের ভাগ্য নিয়ে অপরাজনীতি করছে: এনামুল হক শামীম
তিনি আরও বলেন, জেলায় জেলায় নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলছেন। শিক্ষকদেরকে মর্যাদাও করছেন। আর এতকিছুর মূলে রয়েছে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত একটি বিশ্বমানের আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ, ১১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, ৪৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ ও চাকুরী সরকারিকরণ, ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই ও গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের পোশাক প্রদানের ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজকের শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথমদিনে বিনামূল্যে বই পায়। পহেলা জানুয়ারি বই উৎসব হয়। তাই শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমের মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। তাদেরকে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে সম্পর্কে জানাতে হবে।
উপমন্ত্রী বলেন, আজকের নতুন প্রজন্মের মেধাবী প্রতিনিধিরাই আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশকে নেতৃত্বে দেবে। আজকের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে মানুষের কল্যাণে কাজ দেশকে এগিয়ে নিবে যাবে। শিক্ষার্থীদের মানবিক ও সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আদর্শবান শিক্ষকরাই সমাজের দর্পন। একজন আদর্শবান শিক্ষক সমাজের পথপ্রদর্শকের ন্যায় পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে সঠিক পথের সন্ধান দিতে পারেন। তাই শিক্ষকদের এসব ব্যাপারে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।
এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে একটি যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষানীতি করেছেন। গত ১৪ বছরে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই, অস্ত্রের মহড়া নেই, সেশন জট নেই। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ছাত্রদের অস্ত্র দিয়েছিলেন। তাদের আমলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, তাদের আমলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অস্ত্রের ঝনঝনানিতে পরিণত হয়েছিল। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর শাপলা চত্বরে ছাত্রদের হাতে বই-খাতা–কলম তুলে দিয়ে বলেছিলেন ‘অস্ত্র নয় বই কাগজ-কলমই হচ্ছে ছাত্রদের প্রকৃত হাতিয়ার।’
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার মতো শিক্ষাবান্ধব সরকার পৃথিবীতে বিরল। তাই আগামী নির্বাচনেও জনগণের রায় পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আসবেন তিনি।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির মোল্যার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন।
বক্তব্য রাখেন, সখিপুর থানা বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী সমিতির সভাপতি কহিনুর সুলতানা দোলা, সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন মিয়া, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহাসিনুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রাজপথে থেকে আ.লীগ সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে: এনামুল হক শামীম
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে স্মরণকালের সেরা উৎসব: এনামুল হক শামীম
উচ্চমাধ্যমিকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে অসুবিধা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
এইচএসসিতে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী পাস করেছেন তার থেকে কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা অনেক বেশি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শনিবার দুপুরে দুই দিনব্যাপী চাঁদপুর সাহিত্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসি পরীক্ষায় যারা পাস করেন তাদের কেউ কেউ বিভিন্ন পেশাগত শিক্ষার দিকে ধাবিত হন। কেউ চিকিৎসা বিজ্ঞানে, কেউ প্রকৌশলে, কেউ স্থাপত্যে আবার কেউ আইনে চলে যান। আবার অনেকে আছেন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান উচ্চ শিক্ষার জন্য।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ইরাব সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, আমাদের সারাদেশে দুই হাজার ২৫৭টি কলেজ রয়েছে। সেখানেও অনেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য যান। আবার অনেকে কারিগরি শিক্ষার জন্যও যান। সব মিলিয়ে আমাদের আসন সংখ্যা যে পরিমাণ রয়েছে তা পাস করা শিক্ষার্থীর চেয়ে বেশি।
ফলে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হতে কোনো অসুবিধা হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যা কিছুই করছি, সবই নতুন প্রজন্মের জন্য। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন তার কন্যা আমাদের দেখাচ্ছেন, সেই বাংলাদেশ গড়বার মূল কারিগর হবেন আমাদের নতুন প্রজন্ম।
এছাড়া আমাদের কাজ হচ্ছে সকল জঞ্জাল সরিয়ে দিয়ে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি মসৃন পথ তৈরি করে দেয়া।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বেপারীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাক্রম নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম সাইদুর রহমান।
মৃত মিনহাজুল আবেদীন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সালামতপুর গ্রামের মো. ফারুক উদ্দিনের ছেলে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। এছাড়াও, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস বিষয়ক সংগঠন ‘রোবোআড্ডা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম সাইদুর রহমান জানান, বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিজ বাড়িতে আমাদের বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মিনহাজুল আবেদীন আত্মহত্যা করেছেন। তার মা আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ফোন দিয়ে আমাদের জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, তবে কি কারণে আত্মাহত্যা করেছে সেটা জানা যায়নি। আমরা শুনেছি সে আগেও কয়েকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে নারীর আত্মহত্যা
ভাবি-ভাতিজির প্ররোচনায় নিজ গলায় ছুরি চালিয়ে প্রবাসীর আত্মহত্যা!
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৫০ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি
এবারের এইসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থী পাস করেনি।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফলে এ তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ আগামীকাল
তিনি বলেন, ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ৯ হাজার ১৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এরমধ্যে এক হাজার ৩৩০টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করলেও ৫০টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে সবচেয়ে বেশি ফেল করা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৩টি।
এছাড়া রাজশাহীতে ৯টি, ঢাকায় আটটি, যশোরে ছয়টি, কুমিল্লায় পাঁচটি এবং ময়মনসিংহে তিনটি প্রতিষ্ঠানে সবাই ফেল করেছে।
এদিকে চারটি মাদরাসা ও দুইটি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২০২২: ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা
এইচএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৫.৯৫ শতাংশ