শিক্ষার্থী
ফেসবুকে চাকরির সুযোগ পেলেন শাবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী
জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও টেক্সট জায়ান্ট সাইট ফেসবুকে চাকরির সুযোগ পেলেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুই শিক্ষার্থী।
চাকরির সুযোগ পাওয়া মওদুদ আহমেদ শাহরিয়ার ও এম. নাজিম উদ্দিন দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ২০১৩-১৪ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।জানা যায়, চাকরির বিষয়টি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ই-মেইলের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। মওদুদ আহমেদ শাহরিয়ার ও এম.নাজিম উদ্দিন দুজনই ইংল্যান্ডের ফেসবুকের ইউরোপিয়ান সদর দপ্তরে সফটওয়ার প্রকৌশলি হিসেবে যোগদান করবেন। চলতি বছরের জুন মাসে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেন তাদের সাথে। বেশ কিছু ধাপে ভাইবার মাধ্যমে দক্ষতা যাচাই প্রক্রিয়া করে ফেসবুকে যোগদানের জন্য তাদেরকে নিয়োগের প্রস্তাবপত্র পাঠানো হয়। কোনো প্রকার জটিলতা না দেখা দিলে ২০২২ সালে ফেসবুকের এই দপ্তরে যোগদান করবেন বলে জানিয়েছেন দুজনেই।
আরও পড়ুন: ওরা আর কখনো শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ফিরবে নানিজের অনুভূতি জানিয়ে মওদুদ আহমেদ শাহরিয়ার বলেন, বিষয়টা আমার জন্য অবশ্যই খুশির খবর। ফেসবুকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন সংস্কৃতির সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা হবে। আশা করি এই অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে আরও বড় কাজে সাহায্য করবে। ছাত্র অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিংয়ের সাথে যুক্ত ছিলাম, ওই সময় অর্জিত দক্ষতা ফেসবুকের ভাইভায় উত্তীর্ণ হতে সাহায্য করেছে। যথাযথ সহায়তা পেলে বাংলাদেশ থেকে আরও অনেক শিক্ষার্থী বিশ্বের বড় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোতে কাজ করার সুযোগ পাবে বলে মনে করি।এম. নাজিম উদ্দিন বলেন, আমি খুবই আনন্দিত গুগল ও ফেসবুকের মতো পৃথিবীর টপ টেক জায়ান্ট থেকে অফার পেয়ে। সবকিছু বিবেচনায় আমি ফেসবুকের অফার গ্রহণ করেছি। প্রস্তুতির সময়টুকু মোটেই সহজ ছিল না। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার মা-বাবা, বন্ধু, সিনিয়রসহ সকলকে যারা আমাকে এই লম্বা প্রস্তুতির সময়টুকুতে সহযোগিতা করেছে, সাপোর্ট দিয়েছে। সত্যিকার অর্থে, ২০১৪ সালে যখন প্রোগ্রামিং শুরু করি, তখন থেকেই স্বপ্ন ছিল পৃথিবীর টপক্লাস ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে টেক জায়ান্টে জব করার।
আরও পড়ুন: করোনার দীর্ঘ ছুটিতে নতুন আঙ্গিকে শাবিপ্রবির চিকিৎসা কেন্দ্রতিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শেষ হওয়ার পর থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করি গুগল, ফেসবুকের জন্য। প্রথম কয়েকবার আবেদন করে ব্যর্থও হই। কিন্তু সবসময় ই নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। অবশেষে এই বছর জুন মাসে ফেসবুক ও গুগল থেকে যোগাযোগ করে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভাইভা দেওয়র জন্য। প্রায় দুই মাসব্যাপী ছয়টা করে ইন্টারভিউ নেয় গুগল ও ফেসবুক। সবগুলো ইন্টারভিউ ভালো হওয়ার পর দুই কোম্পানি থেকেই অফার করে। সবকিছু বিবেচনায় আমি ফেসবুকের লন্ডন অফিসের অফার গ্রহণ করি। কোনো জটিলতা না থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে যোগদান করব।
বাংলাদেশকে এক কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ফাইজারের ৩৫ লাখ ডোজসহ এক কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে। বুধবার মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেছেন, আমরা আশা করি এটি (টিকা) তরুণদের, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের করোনা থেকে রক্ষা করতে এবং নিরাপদে তাদের পড়াশোনা ও সামাজিক জীবনকে আরও সম্পূর্ণরূপে পুনরায় শুরু করতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও ২৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র
এই বছরের শুরুতে, ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজার টিকা অনুমোদন করেছে।
মানিকগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে এই বয়সী শিশুদের টিকা দেয়া হয়েছে।এখন বাংলাদেশ সরকার আমেরিকা প্রদত্ত ফাইজার টিকা এই বয়সীদের দিতে পারবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশুদের নিরাপদে এই ফাইজার টিকা দেয়ার জন্য শত শত বাংলাদেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলো ফাইজারের আরও ২৫ লাখ টিকা
সফলতার জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন: ড. মোমেন
অনেক ভালো ছাত্র অব্যাহত প্রচেষ্টা না থাকায় জীবনে সফলতার দেখা পায় না উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের সফলতার জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে তরুণ লেখক সাদ ইসলামের ‘হাউ টু বিকাম এ সাকস্যাসফুল স্টুডেন্ট’ এবং ‘ড্রিমি ড্রপস’ গ্রন্থ দুটির প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের সফলতার জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন। অনেক ভালো ছাত্র অব্যাহত প্রচেষ্টা না থাকায় জীবনে সফলতার দেখা পায় না। শুধু শিক্ষার্থী নয়, ব্যক্তি জীবনেও যে কোনো মানুষের সাফল্যের জন্য এই প্রচেষ্টা এবং সময় ব্যস্থাপনা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেড অর্জনের চেয়ে শিক্ষা অর্জন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে মানুষ হিসেবে সফলতা অর্জন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রকাশনাবান্ধব উল্লেখ করে প্রকাশনার ক্ষেত্র বর্তমানে অনেক বিকশিত হয়েছে বলেও দাবি করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই প্রকাশনা উৎসবে জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক ও গাজী টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, তরুণ কথা সাহিত্যিক সাদাত হোসেন ও লেখক সাদ ইসলাম বক্তব্য দেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বই দুটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অন্য প্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবাসন ঠেকাতেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কলিন পাওয়েল ছিলেন একজন মহান নেতা ও যোদ্ধা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা সারাবিশ্বে তুলে ধরতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সিলেটে কলেজে ঢুকে শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে মো. আরিফুল ইসলাম রাহাত (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল এলাকাস্থ দক্ষিণ সুরমা কলেজের অভ্যন্তরে আরেক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন রাহাত।নিহত রাহাত দক্ষিণ সুরমা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পুরাতন তেতলি এলাকার সুরমান আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুনঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিহত রাহাতের চাচাতো ভাই রাফি সাংবাদিকদের বলেন, রাহাত প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। আমিও তখন তার মোটরসাইকেলে ছিলাম। যাবার আগে এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে কলেজের ভেতর যায়। কলেজ থেকে বের হয়ে মূল গেটের সামনে আসা মাত্র দক্ষিণ সুরমা কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাদি পেছন থেকে অপর মোটরসাইকেলে করে এসে রাহাতকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালকুদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা বের করার চেষ্টা করছে। তবে এ পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
আরও পড়ুন: সুপারি চুরির ঘটনায় লক্ষ্মীপুরে ছুরিকাঘাতে অটোরিকশা চালক খুন
দেশে প্রথমবারের মতো ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু
দেশে প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রবিবার সারাদেশে বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সারাদেশে ২৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয় বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ওহিদুজ্জামান।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তিন লাখ ৬১ হাজার ৪০৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন।
তাদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে আবেদন করেন এক লাখ ৯৪ হাজার ৮৪১ জন। তবে তাদের মধ্যে এক লাখ ৩১ হাজার ৯০৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পায়।
মানবিক (বি) ও বাণিজ্য (সি) ইউনিটের পরীক্ষা যথাক্রমে আগামী ২৪ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষার্থীদের এক ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনী প্রশ্নের (এমসিকিউ) পরীক্ষা দিতে হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিগগিরই একটি একাডেমিক মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: ইবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
ববিতে গুচ্ছ পদ্ধতির 'ক' ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ( সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার দুপুর ১২ টা থেকে ১টা পর্যন্ত 'ক' ইউনিট বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে 'ক' ইউনিটে তিন হাজার ৪৫৮ জন পরীক্ষার্থীর অংশ নিয়েছেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি গুচ্ছে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একটি পরীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সুযোগ পাবে। এতে শিক্ষার্থীদের আর্থিক মানসিক কষ্ট লাঘব হবে। আমরা সর্বোচ্চ সর্তকতার সাথে ভর্তি পরীক্ষার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে ১৯ সাধারণ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে: ইউজিসিসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,আগামীতে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একটি গুচ্ছে পরীক্ষা নিলে শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব আরও ত্বরান্বিত হবে।
এদিকে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ায় শিক্ষার্থী অভিভাবকেরা উচ্ছ্বাস, আশঙ্কা উভয়ই প্রকাশ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতি আমাদের কষ্ট লাঘব হয়েছে। একটি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কোন কারণে যদি পরীক্ষা খারাপ হয়ে যায় তাহলে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির স্বপ্ন একবারে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন ইতিহাস তৈরি হল: শাবিপ্রবি উপাচার্য
এদিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ায় আঞ্চলিকতার প্রভাব বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, এবারই প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবছর প্রত্যেক আসনের বিপরীতে ১০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করুন: ইউজিসি চেয়ারম্যান
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন ইতিহাস তৈরি হল: শাবিপ্রবি উপাচার্য
দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা। এই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভর্তি পরীক্ষার যুগ্ম-আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ক' ইউনিটের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।উপাচার্য বলেন, আমাদের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। দেশের ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজকের এই ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন করে ইতিহাস তৈরি হলো,এই পরীক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থী,অভিভাবক সকলের দুর্ভোগ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।আরও পড়ুন: ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৭ অক্টোবর
বিয়ানীবাজারে ঝরে গেছে ২ হাজার শিক্ষার্থী, ফিরিয়ে আনার চেষ্টা
করোনা সংক্রমণরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। এই সময়ে বিয়ে হয়েছে প্রায় শতাধিক ছাত্রীর আর কিছু ছাত্র প্রবাসে চলে গেছে। এছাড়া প্রাথমিক-মাধ্যমিকের প্রায় ১২ ভাগ শিক্ষার্থী স্কুলে আসছে না।
করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় বিদ্যালয় খুললেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম। তবে কিছু দিন গেলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছেন শিক্ষকরা।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের কতভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, এ নিয়ে একটি বেসরকারি এনজিও জরিপ চালাচ্ছে। আপাতত তাদের হিসাব অনুযায়ী, এই দুই স্তরের প্রায় ১২ ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে দেড় বছরে ৩১৭৮ জন শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রোমান মিয়া জানান, বিয়ানীবাজারে করোনার পূর্বেই স্বাভাবিকভাবে ঝরে পড়ার হার ছিল ৩ ভাগ। করোনাকালে তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা টিটু দে বলেন, বিয়ানীবাজারে বাইরের জেলার যে সকল শিক্ষার্থী ছিল তারা এখান থেকে চলে গেছে। তবে বাল্যবিয়ের কারণে উপজেলায় ঝরে পড়ার সংখ্যা নেই বললেই চলে।
বিয়ানীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম চন্দ তালুকদার জানান, তার বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী আর আসছে না। বিদ্যালয়ে পুর পাঠদান হলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ২ শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মৌলুদুর রহমান বলেন, ‘সঠিক জরিপ এখনো পাওয়া না গেলেও প্রায় ১০ ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে বলে অনুমান করছি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘টাকা-পয়সা সংক্রান্ত কারণে যারা বিদ্যালয়ে আসছে না, তাদের ফি মওকুফ করা দেয়া হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা সাধ্যমতো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবো।
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার বলে, ‘আমার অনেক সহপাঠির বিয়ে হয়ে গেছে। তারা খুব ভালো ছাত্রী ছিল। তাদেরকে খুব মিস করি।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এক বিদ্যালয়ে ৮৫ শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে!
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার মধ্যে অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে, কেউ আবার বিদেশ চলে গেছে। করোনা মহামারিতে শিক্ষাখাতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানকার অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।’
ফুলেল শুভেচ্ছায় জাবি শিক্ষার্থীদের বরণ
করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি)আবাসিক হল। সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি আবাসিক হলে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়।
এ দিন সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা উঠতে শুরু করেছেন নিজ নিজ হলে। এ উপলক্ষে উৎসব মুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে হল প্রশাসন।
এ সময় উপহার সামগ্রী হিসেবে শিক্ষার্থীদের ফুল, বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ও স্ব স্ব হলের নাম সম্বলিত তিনটি করে মাস্ক, একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, চকলেট ও কেক দেয়া হয়।এছাড়া হলে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। করানো হচ্ছে স্যানিটাইজেশন। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ও গবেষণা কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে টিকা কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে জাবিতে শুরু হচ্ছে প্রতীকী প্রতিবাদী ক্লাস
সকল শিক্ষার্থীর জন্য খুলেছে ঢাবির হল, থাকবে না গণরুম
করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সকল বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলে উঠা শুরু করেছেন।
এর আগে ৫ অক্টোবর চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের হলে উঠার অনুমতি দিয়েছিল ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে সব বর্ষের শিক্ষার্থীর জন্য হল খোলার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে যে সকল নতুন শিক্ষার্থী গণরুমে থাকতেন তাদের হলে ঢুকার অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ. এফ. রহমান হল ও বিজয় একাত্তর হল কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সব জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন তারা কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ সম্পর্কে তাদের আগে কিছুই জানায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ১৭ অক্টোবর
বিজয় একাত্তর হলের সঙ্গে সংযুক্ত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীর জন্য হল খুলে দিবে শুনে আমরা এসেছি। গণরুম নেই বলে তারা আমাকে হলে ঢুকতে দিচ্ছে না। ১৭ অক্টোবর থেকে আমার সমাপনী পরীক্ষা। এখন আমি কোথায় যাব?’
স্যার এ. এফ. রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গণরুম প্রথা আর অনুমোদন করবো না। তাই নতুন শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দিতে আমাদের আরও কিছু সময় লাগবে।’
কর্তৃপক্ষের মতে, করোনার এক ডোজ টিকা নেয়া সাপেক্ষে শুধু নিয়মিত শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবেন। শিক্ষার্থীরা তাদের টিকা সনদপত্র ও বৈধ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে হলে ঢুকতে পারবেন।
শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে অধিকাংশ হলের প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার বেসিন ও হলের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া হলের ডাইনিং কক্ষ, ক্যান্টিন, পাঠকক্ষ, অতিথিকক্ষও পরিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: খুললো ঢাবির হল, শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ
ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত