কারচুপি
নির্বাচনে কারচুপি মামলায় সু চির ৩ বছরের কারাদণ্ড
নির্বাচনে কারচুপির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
শুক্রবারের দেয়া এই রায়ের ফলে বিভিন্ন মামলায় সু চির কারাদণ্ডের মেয়াদ এখন বেড়ে ২০ বছরে দাঁড়াল।
সর্বশেষ এই দণ্ডের ফলে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের ভবিষ্যত আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেল। ২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেয়া দেশটির জান্তা সরকার সু চির দলকে ইতোমধ্যে নিষিদ্ধের হুমকি দিয়ে রেখেছে।
সু চির দল ২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে জয়লাভ লাভ করে। একই বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী। তখন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে, যদিও স্বতন্ত্র নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বড় ধরনের কোনো অনিয়মের প্রমাণ খুঁজে পায়নি।
নির্বাচনে কারচুপির মামলায় সু চির সাবেক সরকারের দুই সিনিয়র সদস্যকেও আসামি করা হয়েছিল। তাদেরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
পড়ুন: মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের
মিয়ানমারে রাজনৈতিক বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড়
২ বছর আগে
নির্বাচনে কারচুপির ইতিহাস রয়েছে বিএনপির: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির কলুষিত নির্বাচনের ইতিহাস থাকায় এখন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অধিকার তাদের নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমলে নির্বাচনের ইতিহাস এতটাই কলুষিত... তাদের এই নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকারই নাই।’
১৯৮১ সালে ভারতে নির্বাসন শেষে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বুধবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠানটি হয় এবং এতে তিনি ভার্চুয়ালি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের উন্নয়নে প্রকৃতি ও পরিবেশকে একীভূত করুন: প্রধানমন্ত্রী
তার দলের প্রার্থীর বিজয় ছিনিয়ে নিতে ১৯৯৪ সালের মাগুরা সংসদীয় উপ-নির্বাচনে বিএনপি সরকার কীভাবে কারচুপি করেছিল তা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নির্লজ্জ কারচুপি খালেদা জিয়ার সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে জনপ্রিয় আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিল।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত খালেদার সংসদ নির্বাচনের-- যা বিরোধী দলগুলো বর্জন করে এবং ভোটাররা এড়িয়ে যান-- কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, একইভাবে ১৯৮১ সালে বিএনপি এবং ১৯৭৭, ১৯৭৮ ও ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমান নির্বাচনে কারচুপি করেছিল।
আরও পড়ুন: আ’লীগ ক্ষমতায় না থাকলে নিত্যপণ্যের জন্য রাজপথে মারামারি হতো: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে বড় পরাজয় বরণ করবে ভালোভাবে জেনে এখন এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়েও বিস্মিত শেখ হাসিনা।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সাম্প্রতিক পদক্ষেপ নিয়ে তার প্রশ্ন আছে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, বিএনপির কোনো নেতৃত্ব নেই; সবাই সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী। সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের দিয়ে কোনো নির্বাচনে জয়লাভ করা সম্ভব নয়।
তিনি বিস্মিত হয়ে বলেন, ‘মানুষ যদি তাদের আন্দোলনে সাড়া না দেয় তবে এর জন্য কে দায়ী হবে।’
তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার উন্নয়ন আওয়ামী লীগের চিন্তা-চেতনার বাস্তবায়ন। তিনি ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ইভিএমের কথা উল্লেখ করেন।
‘আমরা ভোটারদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তাই তাদের (বিএনপি) উদ্বেগ অর্থহীন’, তিনি বলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, তার দল জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। এটাই এর সবচেয়ে বড় শক্তি এবং সেই শক্তিতে আমরা ক্ষমতায় থাকায় জনগণের জন্য কাজ করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যাপক উন্নয়ন আওয়ামী লীগের কাছে ঋণী। কেননা দলটি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় রয়েছে।
১৭ মে শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করে আওয়ামী লীগ। ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি ভারতে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে দেশে ফিরে আসেন।
২ বছর আগে