সংহতি
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকট কাটিয়ে উঠতে বিশ্বব্যাপী সংহতি প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ইউক্রেন যুদ্ধ ও অন্যান্য সংকটের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও বৈশ্বিক সংহতির আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কোনো একক দেশ একা একা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে না। এই মুহূর্তে, আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং বৈশ্বিক সংহতি।’
প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে জিসিআরজি (গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ) চ্যাম্পিয়নদের সাথে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রবল প্রভাব এবং অন্যান্য সংকট সমাজ ও অর্থনীতিতে বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গভীর দাগ ফেলেছে।
আরও পড়ুন: গৃহহীনতা একটি অভিশাপ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি আমাদের কোভিড পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা এবং এসডিজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় অনেক নতুন চ্যালেঞ্জ যোগ করেছে।’
তিনি সঙ্কট মোকাবিলায় জাতিসংঘের ব্যবস্থাকে সক্রিয় করার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান।
এ বিষয়ে তিনি জিসিআরজি পরিচালনা কমিটির কাজের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের আরও বেশি যুক্ত করুন: প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
অভিবাসীদের মানবাধিকারের ঘাটতি পূরণে বিশ্বব্যাপী সংহতির আহ্বান বাংলাদেশের
অভিবাসীদের মানবাধিকার ও সুরক্ষায় ঘাটতি মেটাতে বিশ্বব্যাপী সংহতির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ আহ্বান জানান।
জাতিসংঘে ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন রিভিউ ফোরামের (আইএমআরএফ) গোলটেবিল-৪-এ প্যানেলিস্ট হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলটেবিল গ্লোবাল কমপ্যাক্ট অন মাইগ্রেশন (জিসিএম) এর পাঁচটি বিষয় যথাক্রমে- উপাত্ত, তথ্যের বিধান, নাজুকতা হ্রাস, বৈষম্য দূরীকরণ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর দৃষ্টিপাত করা হয় বৈঠকটিতে।
বক্তব্যে শাহরিয়ার জোর দিয়ে বলেন, সংকটময় পরিস্থিতিতে আটকেপড়া অভিবাসীসহ অভিবাসীদের অভিবাসন যাত্রার ঝুঁকি ও নাজুকতা হ্রাস করার লক্ষ্যে সরকার, মানবাধিকার সংস্থা, কনস্যুলেট ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী মার্কিন আইনপ্রণেতারা