রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ
ঢাকার উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষ করে ঢাকার উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ওয়াশিংটন ত্যাগ করে।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় পৌঁছানোর আগে তিনি লন্ডনে যাত্রাবিরতি করবেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং রাজা চার্লস তৃতীয়-এর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৫ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের লন্ডন যান।
এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করেন। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। এছাড়াও তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
পড়ুন: মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী
সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট নিউইয়র্কের সময় রাত ১০টা ২৫ মিনিটে জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
এর আগে তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগদানের পর নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় রাত ৮টায় লন্ডন স্ট্যানস্টেড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ফাঁকে কয়েকজন নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
শেখ হাসিনা ২০ সেপ্টেম্বর ইউএনজিএ বিতর্ক উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে (স্থানীয় সময় সাড়ে ৪টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টার মধ্যে) ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
২০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা, ৭৭তম ইউএনজিএ বিতর্কের উদ্বোধনী অধিবেশন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত সংবর্ধনা এবং 'ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডার্স' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
একই দিনে তিনি স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বোরুত পাহোর এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাল যুক্তরাজ্য আ.লীগ
২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী টেকসই আবাসন সংক্রান্ত একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন (বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র এবং ইউএন হ্যাবিট্যাট এর সহ আয়োজক) এবং গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরজি) চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে অংশ নেবেন এবং ইউএনএইচকিউতে পদ্মা সেতুর ওপর একটি স্থিরচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন।
একই দিনে তিনি কসোভোর প্রেসিডেন্ট ড. ভজোসা ওসমানি-সাদ্রিউ এবং ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো মেন্ডোজার সঙ্গে পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
এছাড়া ২১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার সঙ্গে ডব্লিউইএফ এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক শোয়াব ক্লাউস এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা আলাদাভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর), রোহিঙ্গা ইস্যুতে উচ্চস্তরের অনুষ্ঠান এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ যৌথ ব্যবসায়িক কাউন্সিলের সাথে একটি উচ্চ পর্যায়ের নীতিগত গোলটেবিল বিষয়ে প্রাতঃরাশ বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। একই দিনে আইওএম মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিটোরিনো এবং আইসিসির প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ ও করিম খানের সাথে দুটি পৃথক বৈঠক করবেন।
পড়ুন: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শুধুমাত্র আ.লীগের আমলেই হয়: বিবিসিকে প্রধানমন্ত্রী
২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেবেন।
এছাড়া তিনি ২৪ সেপ্টেম্বর প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
এরপর তিনি ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ২ অক্টোবর পর্যন্ত থাকবেন।
ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে লন্ডনে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর ৪ অক্টোবর ভোরে দেশে ফেরার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
এর আগে রানির শেষকৃত্য ও নতুন রাজার সিংহাসন আরোহণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী।
পড়ুন: ‘একজন অভিভাবকের বিদায়’: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
২ বছর আগে
বাকিংহাম প্যালেসে রানির মরদেহ
প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মরদেহ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাকিংহাম প্যালেসে পৌঁছেছে।
এর আগে স্কটল্যান্ডের এডিনবরা থেকে সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে রানির মরদেহ লন্ডনে আনা হয়। লন্ডনের পশ্চিমে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি আরএএফ নর্থোল্টে রানির মরদেহ গ্রহণ করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস, প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস।
বিমান ঘাঁটি থেকে বাকিংহাম প্যালেস মরদেহ নেয়র সময় রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে রানিকে শেষ শ্রদ্ধা জানায়।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে বুধবার থেকে চার দিন রানির মরদেহ ওয়েস্টমিনস্টার হলে থাকবে, সেখানে সাধারণ মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবে।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যুক্তরাজ্যের দীর্ঘতম শাসক ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে ৯৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান। এর মধ্যদিয়ে তার ৭০ বছরের শাসনামলের অবসান হয়।
পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য ১৯ সেপ্টেম্বর
২ বছর আগে
যুক্তরাজ্যের নতুন রাজাকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
সিংহাসনে আরোহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার যুক্তরাজ্যের নতুন রাজা তৃতীয় চার্লসকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে একটি সাক্ষরিত চিঠিতে তিনি বলেন: ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে আপনার দূরদর্শী শাসনাকার্যে, যুক্তরাজ্যের জনগণ আপনার প্রিয় মা প্রয়াত মহামান্য রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের উত্তরাধিকারের ওপর ভিত্তি করে একটি চির-উন্নত ভবিষ্যৎ উপভোগ করতে থাকবে।’
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
এসময় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে এবং কমনওয়েলথকে কাঙ্ক্ষিত পথে পরিচালিত করতে রাজাকে তার আন্তরিক সমর্থন জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজার সহধর্মিনী, কুইন কনসর্ট এবং রাজপরিবারের সকলের মঙ্গলময় স্বাস্থ্য, সুখ ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন এবং যুক্তরাজ্যের বন্ধুবাৎসল জনগণের জন্য অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন বুধবার
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য ১৯ সেপ্টেম্বর
১৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। বাকিংহাম প্যালেস শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে চার দিন রানির মরদেহ ওয়েস্টমিনস্টার হলে থাকবে, সেখানে সাধারণ মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবে।
এক বিবৃতিতে বাকিংহাম প্যালেস জানিয়েছে, রানির মরদেহ বর্তমানে বালমোরাল ক্যাসেলের বলরুমে রয়েছে।
রাজকীয় কর্মকর্তারা এটিকে ‘শান্ত মর্যাদার একটি দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
রবিবার রানির মরদেহ ব্যালমোরাল প্রাসাদ থেকে যাত্রা শুরু করবে। মঙ্গলবার এডিনবারা বিমানবন্দর থেকে রয়াল এয়ার ফোর্সের বিমানে মরদেহ পৌঁছবে লন্ডনে।
বুধবার সেটি আকাশপথে বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে ওয়েস্টমিনস্টার হলে নিয়ে যাওয়া হবে।
পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্পর্কে ১০টি বিষয়
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাক্রম
২ বছর আগে
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্পর্কে ১০টি বিষয়
ব্রিটেনের দীর্ঘ মেয়াদী রাজত্বকারী সম্রাজ্ঞী
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ২০২২ সালে তার সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর পূর্ণ করেছেন। এরমধ্য দিয়ে তিনি ব্রিটিনের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক ও দীর্ঘ মেয়াদী রাজত্বকারী সম্রাজ্ঞীর খেতাব অর্জন করেছেন। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি তার প্রপিতামহী রানী ভিক্টোরিয়ার রেকর্ড ভঙ্গ করেন, যিনি ৬৩ বছর সাত মাস রাজত্ব করেছিলেন।
২০১৬ সালে, থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের মৃত্যুর পর এলিজাবেথ ছিলেন বিশ্বের দীর্ঘ মেয়াদী রাজত্বকারী সম্রাজ্ঞী।
২০২২ সালে তিনি ১৭ শতকের ফরাসি রাজা চতুর্দশ লুই এর পরে বিশ্ব ইতিহাসে দ্বিতীয়-দীর্ঘকাল-শাসনকারী সম্রাজ্ঞী হন। চতুর্দশ লুই, মাত্র ৪ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেছিলেন।
এলিজাবেথ ও ভিক্টোরিয়া ছাড়াও ব্রিটিনের ইতিহাসে অন্য চারজন রাজা ৫০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে রাজত্ব করেছেন। তারা হলেন- তৃতীয় জর্জ (৬৯ বছর), তৃতীয় হেনরি (৫৬ বছর), এডওয়ার্ড তৃতীয় (৫০ বছর) ও স্কটল্যান্ডের ষষ্ঠ জেমস (৫৮ বছর)।
বাড়িতে শিক্ষাগ্রহণ
তার সময়ের ও আগের অনেক রাজপরিবারের সদস্যদের মতো, এলিজাবেথও কখনই কোনো পাবলিক স্কুলে যাননি। তিনি তার ছোট বোন মার্গারেটের সঙ্গে বাড়িতেই শিক্ষা গ্রহণ করেন।
তিনি তার বাবার কাছেও শিক্ষা গ্রহণ করেন। এছাড়া তার শিক্ষকদের মধ্যে ইটন কলেজের একজন সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন ফরাসি ও বেলজিয়ান গভর্নেস তাকে ফরাসি শিখিয়েছিলেন এবং ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ তাকে ধর্ম শিখিয়েছিলেন।
এছাড়াও এলিজাবেথ বাইক চালানো, সাঁতার কাটা, নাচ, ফাইন আর্টস ও সঙ্গীত শেখেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাক্রম
‘নং ২৩০৮৭৩’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, প্রিন্সেস এলিজাবেথ সংক্ষেপে ‘নং ২৩০৮৭৩’ নামে পরিচিত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের হয়ে কাজ করার জন্য এলিজাবেথকে অক্সিলারি টেরিটোরিয়াল সার্ভিসে একজন সাবল্টার্ন (জুনিয়র অফিসার) করা হয়।
যুদ্ধের কাজে সম্পৃক্ত হতে তার বাবা-মায়ের অনুমতিতে তিনি অ্যাম্বুলেন্স ও ট্রাক চালাতে ও প্রয়োজনে সেগুলো মেরামত করতে শিখেছিলেন।
‘গ্রেট মিমিকার'
এলিজাবেথ প্রায়ই চেহারায় ভারিক্কি অভিব্যক্তি বজায় রাখতেন, তাই অনেকেই তাকে ‘জুজু মুখো’ বলে অভিহিত করতেন। কিন্তু যারা তাকে কাছে থেকে চিনতেন, তারা তাকে একটি দুষ্টু, হাস্যরসিক ও অন্যের অভিব্যক্তি নকল করার অসামান্য প্রতিভাধর বলে বর্ণনা করতেন।
ক্যান্টারবারির সাবেক আর্চবিশপ রোয়ান উইলিয়ামস বলেছেন, রানি ‘ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত মজা করতে পারে। কেউ তার এ বিষয়টির প্রশংসা করে না যে, তিনি কতটা মজা করতে পারেন।’
রানির পারিবারিক যাজক বিশপ মাইকেল মান একবার বলেছিলেন যে ‘রানির কনকর্ড অবতরণ করাকে অনুকরণ করা আপনাদের দেখা সবচেয়ে মজার কাজগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে।’
এছাড়াও ইয়ান পাইসলি নামের একজন আইরিশ পাদ্রী ও রাজনীতিবিদ বলেছেন, এলিজাবেথ একজন ‘দারুন অনুকরণকার’ ছিলেন।
রাজকীয় করদাতা
তিনি রানি হয়েও ১৯৯২ সালে থেকে ট্যাক্স দিতেন।
১৯৯২ সালে যখন রানির অবকাশ যাপনের বাসভবন উইন্ডসর ক্যাসেল আগুনে পুড়ে যায়, তখন জনসাধারণ মেরামতের জন্য কয়েক লাখ পাউন্ড দেয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (১৯২৬-২০২২) : ইতিহাসের দ্বিতীয় দীর্ঘমেয়াদী রাজত্বকারী সম্রাজ্ঞীর বিদায়
তখনন তিনি স্বেচ্ছায় তার ব্যক্তিগত আয়ের ওপর কর দিতে রাজি হয়েছেন।
রানি বলেছিলেন, মেরামত কাজের ব্যয়ের ৭০ শতাংশ তিনি পূরণ করবেন এবং তিনি অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহ করতে প্রথমবারের মতো বাকিংহাম প্যালেসে তার বাড়িটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
ছোট্ট লিলিবেট
তার মা, মাতামহী ও প্রমাতামহীর সম্মানে রানিকে ইয়র্কের এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরি উইন্ডসর নামে নামকরণ করা হয়েছিল। কিন্তু শৈশবে তার পরিবাররের সদস্যদের কাছে তিনি ছোট্ট লিলিবেট নামেই পরিচিত ছিলেন। কারণ তিনি সঠিকভাবে ‘এলিজাবেথ’ নামটি উচ্চারণ করতে পারতেন না।
তার নানী কুইন মেরির কাছে একটি চিঠিতে, তরুণ রাজকুমারী লিখেছেন: ‘প্রিয় ঠাকুরমা। সুন্দর ছোট্ট জার্সির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা আপনার সঙ্গে স্যান্ড্রিংহামে থাকতে পছন্দ করি। আমি গতকাল সকালে সামনের একটি দাঁত হারিয়ে ফেলেছি।’ চিঠিটির শেষে লেখা- ‘লিলিবেটের পক্ষ থেকে ভালবাসা।’
প্রিন্স হ্যারি ও সাসেক্সের ডাচেস মেগান ২০২১ সালে তাদের মেয়ের নাম লিলিবেট ডায়ানা রাখার পরে রানির ডাকনামটি আরও ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে ওঠে।
দীর্ঘ দাম্পত্যজীবন
এলিজাবেথ ও তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপ ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক উপভোগ করেছেন। তাদের এই বন্ধনের শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে তার চার সন্তানের মধ্যে তিনজন দীর্ঘ বৈবাহিক জীবন কাটান। তারা হলেন- চার্লস, অ্যান ও অ্যান্ড্রু।
রানী তাদের ৫০তম বিবাহ বার্ষিকীতে ফিলিপ সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘তিনি খুব আন্তরিকভাবে এত বছর ধরে আমার অবলম্বন হয়ে আছেন।’
তাদের গল্প শুরু হয়েছিল ১৯৩৯ সালে, যখন গ্রিসের ১৮ বছর বয়সী সুদর্শন নৌ ক্যাডেট প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে ১৩ বছর বয়সী এলিজাবেথের দেখা হয় একদিনের জন্য। এর বেশ কয়েক বছর পরে ফিলিপকে ক্রিসমাসে উইন্ডসর ক্যাসেলে রাজপরিবারে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
এই দম্পতি ১৯৪৭ সালে ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে বিয়ে করেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে দেখতে যাচ্ছেন স্বজনরা
তার ছেলে অ্যান্ড্রুর মতে, ফিলিপ যখন ২০২১ সালে ৯৯ বছর বয়সে মারা যান, তখন এলিজাবেথ তার জীবনে একটি ‘বিশাল শূন্যতা’ তৈরি হওয়ার কথা বলেছিলেন।
একাধিক জন্মদিন
এলিজাবেথ ১৯২৬ সালের ২১শে এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু কবে তার জন্মদিন উদযাপন করা হবে তা জনসাধারণের জন্য কখনও কখনও বিভ্রান্তির বিষয়ে পরিণত হতো। কেননা তার ‘অফিসিয়াল জন্মদিন’ এর জন্য সর্বজনীনভাবে কোনো তারিখ নির্ধারিত ছিল না- এটা জুনের প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শনিবার হতো, তবে কবে উদযাপিত হবে সরকার সেই সিদ্ধান্ত নিত।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় তার জন্মদিন জুনের দ্বিতীয় সোমবার উদযাপিত হতো।
শুধুমাত্র রানি ও তার কাছের মানুষেরা পারিবারিক পরিসরে তার প্রকৃত জন্মদিন উদযাপন করতেন।
অনেকগুলো কর্গির মালিক
এটি সর্বজনবিদিত যে এলিজাবেথ কর্গি (এক ধরনের ছোট জাতের কুকুর) ভালোবাসতেন। এমনকি প্রিন্সেস ডায়ানা এই কুকুরগুলোকে রানির ‘চলন্ত কার্পেট’ বলে অভিহিত করেছেন, কারণ এগুলো তার সঙ্গে সর্বত্র চলাফেরা করতো।
তিনি অনেক বছর ধরে ৩০ টিরও বেশি কর্গির মালিক ছিলেন। তার দুটি ‘ডরগিস’ ছিল-ড্যাচসুন্ড ও কর্গির ক্রস ব্রিড। যাদের নাম ছিল- ক্যান্ডি ও ভলকান।
এলিজাবেথ ১৯৩৬ সালে ১০ বছর বয়সে একটি কুকুরকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলেছিলেন এবং তার ১৮ তম জন্মদিনে সুসান নামে তাকে একটি কর্গি দেয়া হয়েছিল।
১৯৩৩ সালে স্থানীয় ক্যানেল থেকে ডুকি নামে একটি পুরুষ কর্গি কেনার মধ্য দিয়ে তার বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ রাজপরিবারের সঙ্গে এই প্রাণীর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
রানি হিসেবে তিনি ব্রিটেনের উন্মুক্ত জলাশয়ের কয়েক হাজার রাজহাঁসের মালিক ছিলেন এবং ১৩২৪ সালের একটি আইন অনুসারে তার সমস্ত স্টার্জন, পোর্পোইজ, তিমি ও ডলফিন দাবি করার অধিকার ছিল।
‘এ প্রিটি নাইস গার্ল’
রানী অনিবার্যভাবে পপ গানের বিষয় হয়ে ওঠে।
দ্য বিটলসের পল ম্যাককার্টনির গাওয়া ‘হার ম্যাজেস্টি’ গানটি সেসময় মানুষের মুখে মুখে ফিরেছিল। রানিকে নিয়ে পল গেয়েছিলেন ‘হার ম্যাজেস্টি এ প্রিটি নাইস গার্ল, বাট শি ডাজেন্ট হ্যাভ আ লট টু সে…’। ১৯৬৯ সালে রেকর্ড করা সংক্ষিপ্ত এই গানটি ‘অ্যাবে রোড’ অ্যালবামের শেষে উপস্থাপন করা হয়েছিল।
তবে তাকে নিয়ে রচিত অন্যান্য গানগুলো অবশ্য এতটা মধুর ছিল না। ১৯৭৭ সালে তার রজত জয়ন্তীর ঠিক আগে প্রকাশিত `দ্য সেক্স পিস্তল’ ব্যান্ডের রাজতন্ত্রবিরোধী ‘গড সেভ দ্য কুইন’ গানটি ব্রিটিশ টেলিভিশনে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
২ বছর আগে
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (১৯২৬-২০২২) : ইতিহাসের দ্বিতীয় দীর্ঘমেয়াদী রাজত্বকারী সম্রাজ্ঞীর বিদায়
৭০ বছর রাজত্ব করার পর বিশ্বের ইতিহাসে দ্বিতীয় দীর্ঘ মেয়াদী সম্রাজ্ঞী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৯৬ বছর বয়সে বালমোরাল ক্যাসেলে মারা গেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি মারা যান বলে বাকিংহাম প্যালেস জানিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ জানানোর পর তার পরিবারের সদস্যরা স্কটল্যান্ডের এই প্রাসাদে জড়ো হন।
বর্তমান রাজা চার্লস, বর্তমান রানি ক্যামিলা, প্রিন্সেস অ্যানে আগে থেকেই রানির সঙ্গে বালমোরালে ছিলেন।
চার্লসের ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি পরিবার নিয়ে পথে রয়েছেন।
রানি ১৯৫২ সালে ব্রিটেনের সিংহাসন আরোহণ করেন এবং বিশাল সামাজিক পরিবর্তনের সাক্ষী হন।
বিবিসি জানিয়েছে, তাঁর মৃত্যুর পর এখন তার জ্যেষ্ঠ পুত্র ও প্রাক্তন প্রিন্স অব ওয়েলস প্রিন্স চার্লস ব্রিটেনের নতুন রাজা এবং তিনি ১৪টি রাষ্ট্রের কমনওয়েলথের প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দিবেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে দেখতে যাচ্ছেন স্বজনরা
এক বিবৃতিতে বাকিংহাম প্যালেস বলেছে, রানি আজ বৃহস্পতিবার বিকালে বালমোরালে শান্তিপূর্ণভাবে মারা গেছেন। রাজা প্রিন্স চার্লস ও রানি ক্যামিলা সন্ধ্যায় বালমোরালে থাকবেন এবং শুক্রবার লন্ডনে ফিরে আসবেন।
রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কার্যকাল যুদ্ধ-পরবর্তী কঠোরতা, সাম্রাজ্য থেকে কমনওয়েলথে উত্তরণ, স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যুক্তরাজ্যের প্রবেশ এবং ইইউ থেকে প্রত্যাহারের নানা ঘটনা ঘটে।
১৮৭৪ সালে জন্মগ্রহণকারী উইনস্টন চার্চিল এবং ১০১ বছর পরে এই সপ্তাহের শুরুতে রানি কর্তৃক নিযুক্ত হওয়া ১৯৭৫ সালে জন্মগ্রহণকারী লিজ ট্রাসসহ তাঁর শাসনামলে ১৫ জন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
তিনি তাঁর শাসনামলে তার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাপ্তাহিক আলোচনার আয়োজন করেছিলেন।
লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে, রানির অবস্থার আপডেটের অপেক্ষায় থাকা মানুষরা তার মৃত্যুর কথা শুনে কাঁদতে শুরু করেন।
রানি ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল লন্ডনের মেফেয়ারে এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরি উইন্ডসরের জন্মগ্রহণ করেন।
খুব কম লোকই ভাবতে পেরেছিলেন যে তিনি রানি হবেন। কিন্তু ১৯৩৬ সালের ডিসেম্বরে তাঁর চাচা এডওয়ার্ড অষ্টম দুইবার তালাকপ্রাপ্ত আমেরিকান ওয়ালিস সিম্পসনকে বিয়ে করার জন্য সিংহাসন ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে
এলিজাবেথের বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ ১০ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন।
তিন বছরের মধ্যে ব্রিটেন নাৎসি জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এলিজাবেথ এবং তার ছোট বোন, প্রিন্সেস মার্গারেট যুদ্ধকালীন বেশিরভাগ সময় উইন্ডসর ক্যাসেলে কাটিয়েছিলেন যখন তাদের বাবা-মা তাদের কানাডায় সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে প্রিন্স ফিলিপকে বিয়ে করেন এবং ফিলিপ এডিনবার্গের ডিউক উপাধি লাভ করেন।
৭৪ বছরের বিবাহিত জীবনের পর ২০২১ সালে ৯৯ বছর বয়সে মৃত্যুর আগে ফিলিপ রানিকে তার ‘শক্তি এবং অস্তিত্ব’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
আরও পড়ুন: থ্যাঙ্কসগিভিং অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ
২ বছর আগে
থ্যাঙ্কসগিভিং অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ
সিংহাসনে আরোহনের ৭০ বছর উদযাপনের অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার ‘খানিকটা অস্বস্তি’ অনুভব করায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ শুক্রবার নির্ধারিত থ্যাঙ্কসগিভিং অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না।
বাকিংহাম প্যালেস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অত্যন্ত অনিচ্ছার সঙ্গে জানানো যাচ্ছে সেন্ট পলস ক্যাথেড্রালের অনুষ্ঠানটি এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রানির চলাফেরা করতে সমস্যা হয়েছে এবং অনেক পাবলিক ইভেন্টে যোগ দেয়া থেকে তিনি বিরত থেকেছেন।
তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী ৭০ বছর উদযাপনের চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি বাকিংহাম প্যালেসের বারান্দা থেকে হাজার হাজার মানুষের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেছেন। ১৭৬০ সাল থেকে হয়ে আসা বিশেষ কুচকাওয়াজ এবং ৯৬ বছর বয়সী রানির দেখা পেতে এদিন হাজারো মানুষ প্যালেসের সামনে ভিড় করেন। এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে উইন্ডসর ক্যাসেলে আনুষ্ঠানিক আলোকসজ্জা অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন রানি এলিজাবেথ।
প্রসঙ্গত, করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাজ্যের প্রথম বড় সমাবেশগুলোর মধ্যে এটি একটি। সাত দশক ধরে সিংহাসনে থেকে রেকর্ড করা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ২৫ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেছিলেন।
আরও পড়ুন: রানী এলিজাবেথকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী
রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ করোনায় আক্রান্ত
২ বছর আগে