হাজত
চট্টগ্রামে হাজত থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানা হাজত থেকে মো. জুয়েল নামের এক আসামির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে এসে হাজতে রাখা হয়েছিল।
বুধবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জুয়েল নিজের পরনের জামা ভেন্টিলেটরের সঙ্গে পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পুলিশের।
মো. জুয়েল (২৬) চান্দগাঁও খেজুরতলা এলাকার বাসিন্দা। তাকে একটি ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে আসামি মো. জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে রাখা হয়। বুধবার সকালে তিনি নিজের পরনের শার্ট খুলে হাজতের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তা জানা গেছে।’
এদিকে, নিহত জুয়েলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। এরইমধ্যে তিনি একবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন।
নিহতের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি এবং অস্ত্র আইনে মোট ৭টি মামলা রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
৫ মাস আগে
মাগুরায় হাজত থেকে আসামির পলায়ন, ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
মাগুরার মহম্মদপুর থানার হাজত থেকে এক সাজাপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে গেছে। সোমবার (২৪ জুলাই) ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শাহিন ও ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) মোহাম্মদ পাপ্পুকে সামমিয়ক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের সেফ হোম থেকে ১৭ বাসিন্দার পলায়ন
পলাতক আসামি সোয়েব মোল্যা (৩০) মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের রো’নগর গ্রামের মৃত সিদ্দিক মোল্যার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির হোসেন জানান, দেড় বছর আগে চুরির অপরাধে নড়াইলের আদালতে সোয়েবের ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। কিন্তু সাজার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
২৩ জুলাই শনিবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে তাকে থানাহাজতে রাখা হয়। কিন্তু পরদিন সকাল সাড়ে দশটায় দেখা যায় আসামি হাজতে নেই। এ সময় হাজতখানার সামনের রড ভাঙা পাওয়া যায়।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, পালিয়ে যাওয়া আসামি আটকের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে কনস্টেবল পাপ্পু ও এএসআই শাহীনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই জঙ্গির পলায়নকে 'ব্যর্থতা' বলেছেন র্যাব মহাপরিচালক
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
১ বছর আগে
মালখানার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার চেয়ে রিট
থানা বা আদালতে জব্দ করা মালামালের জন্য নির্ধারিত স্থান ‘মালখানার’ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে মালখানায় পড়ে থাকা এসব মালামালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের ৫ আইনজীবী।
রিটে আইন সচিব, জন নিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং ডিএমপি কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারি পাঁচ আইনজীবী হলেন- মোহাম্মদ নোয়াব আলী, মো. মুজাহেদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না) ও ইমরুল কায়েস।
রিটের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকাসহ দেশের সব আদালত এবং থানা এলাকায় জব্দ করা মালামাল আমরা দেখি বছরের পর বছর পড়ে থাকে। জব্দ করা মালামাল নিয়ে এমন অব্যবস্থাপনা সারা দুনিয়ার আর কোথাও আমরা দেখিনি। বিষয়টি দেখে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু নোটিশ পাওয়ার পরও তাদের কোনো জবাব আসেনি। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি।
তিনি বলেন, জব্দ করা মালামাল এভাবে বছরের পর বছর পড়ে থাকায় পরে সেটা রাষ্ট্রেরও কাজে লাগে না আর মালিকেরও কাজে লাগে না।
আমরা দেখেছি, জব্দ করা মালামালের মধ্যে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র আছে। পুরো বিষয়টি নিয়েই একটি ব্যবস্থাপনা চেয়ে রিট দায়ের করেছি।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের জন্য দরজা খোলা রাখুন: ডিসিকে হাইকোর্ট
২ বছর আগে