গ্রেপ্তারে
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি বাতিলের রায় স্থগিত
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের পূর্বানুমতির বিধান বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগও সরকারকে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ-টু-আপিল আবেদন করতে বলেছে।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মুরশিদ সরকারের আপিলের বিরোধিতা করেন।
বুধবার, আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারক হাইকোর্টের রায় স্থগিত করতে অস্বীকার করেন এবং বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য আপিলটি তার পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে প্রেরণ করেন।
২৫ আগস্ট হাইকোর্ট ‘পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট, ২০১৮’- এর বিধান বাতিল করে এটিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে বর্ণনা করেন।
আদালত জানান, ‘দেশের আইন ও সংবিধান অনুযায়ী আইনের চোখে সবাই সমান।’
আরও পড়ুন: বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপ্রিম কোর্টে বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন
হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছে, ‘সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের পূর্বানুমতি পাওয়ার বিধান করে একটি ধারাকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে, যা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ৩১ ধারার পরিপন্থি ও সাংঘর্ষিক।’
৪১ (১) নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি মামলায় একজন সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করতে সরকার বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি প্রয়োজন।
২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর আইনের ৪১ (১) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট পিটিশন করা হয়েছিল।
অলাভজনক সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী সারোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাস উদ্দিন ভূইয়া ও মাহবুবুল ইসলাম রিটটি করেন।
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪১ নম্বর ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর রিট আবেদন করেছিল।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে সরকারকে ব্যাখ্যা করতে বলেছে যে কেন পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্টের ধারা ৪১ (১) কে ‘অবৈধ ও ধারা ২৬ (১) এবং (২), ২৭ ও ৩১ এর সঙ্গে পরিপন্থি হিসেবে ঘোষণা করা হবে না।’
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানি রোধে সুপ্রিম কোর্টে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন
সব মামলায় জামিনের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট