বাগাড়
কুশিয়ারা নদীতে ধরা পড়ল ১৬০ কেজি ওজনের বাগাড়
সিলেট নগরীর লালবাজারে বিক্রির জন্য উঠেছে প্রায় ১৬০ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ। কুশিয়ারা নদীর জকিগঞ্জ এলাকায় ধরা পড়েছে মাছটি।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) মাছটি বিক্রির জন্য বাজারে তোলা হয়।
লালবাজারে বিক্রেতা জানান, মনমতো দামে আস্ত (সম্পূর্ণ) মাছ কেনার ক্রেতা না থাকায় তিনি মাছটি কেটে কেজি দরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এভাবে বিক্রি করলে প্রতি কেজি দুই হাজার টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন। তাতে তিন থেকে চার লাখ টাকায় মাছটি বিক্রি হবে বলে তার প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়ায় জেলের জালে ৩৮ কেজির বাগাড় মাছ!
মঙ্গলবার সকালে জকিগঞ্জ কুশিয়ারা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ে বাগাড়টি। সকালে মাছটি বিক্রির জন্য সিলেট নগরের বন্দরবাজারের লালবাজার মাছের আড়তে তোলা হয়।
এদিকে বাজারে বিশাল আকারের বাগাড় মাছ আনার খবর শুনে অনেক উৎসুক মানুষ ভিড় জমান। এ সময় অনেককে মুঠোফোনে ছবি তুলতে দেখা গেছে। আবার কেউ কেউ মাছটি ছুঁয়েও দেখেন।
কেজি দরে বিক্রি করলে প্রতি কেজি দুই হাজার টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন মাছ বিক্রেতা।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ২৪ কেজির বিপন্ন প্রজাতির বাগাড় ২৭ হাজারে বিক্রি
১ বছর আগে
দৌলতদিয়ায় জেলের জালে ৩৮ কেজির বাগাড় মাছ!
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে ৩৮ কেজি ওজনের একটি বিপন্ন প্রজাতির বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে আক্কাছ শেখ নামের এক জেলের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
আক্কাছ শেখের বাড়ি পাবনার ঢালারচর এলাকায়। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ প্রতিকেজি এক হাজার ৩০০ টাকা দরে মোট ৪৯ হাজার ৪০০ টাকায় মাছটি কেনেন। এবং তিনি আবার প্রতিকেজি ৩৫০ টাকা দরে মোট ৫১ হাজার ৩০০ টাকা বিক্রি করেন।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, শনিবার সকালে জেলে আক্কাছ শেখের জালে বাগাড় মাছটি ধরা পড়ে। দৌলতদিয়া ছয় নম্বর ফেরি ঘাটে আনলে আড়তদার বাবু সরদার ওজন দিয়ে দেখেন ৩৮ কেজি হয়েছে। বিশাল বাগাড়টি তিনি নিলামে তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ এক হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে কেনেন।
মাছটির ক্রেতা শাহজাহান শেখ বলেন,সকাল ১০টার দিকে নদীতে বড় বাগাড় মাছ ধরা পড়ার খবর পাই। ছয় নম্বর ফেরি ঘাটে বাগাড়টি নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে এক হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে ৪৯ হাজার ৪০০ টাকায় কিনে নেই। পরে ঢাকার গুলশান এলাকার মনির খান নামের ঠিকাদারের কাছে কেজি প্রতি ৫০ টাকায় লাভে ৫১ হাজার ৩০০ টাকায় মুঠোফোনে বিক্রি করি। দুপুর ১২টার দিকে মাছটি ঢাকার এক পরিবহনে তুলে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ২৪ কেজির বিপন্ন প্রজাতির বাগাড় ২৭ হাজারে বিক্রি
২ বছর আগে
পদ্মায় ২৪ কেজির বিপন্ন প্রজাতির বাগাড় ২৭ হাজারে বিক্রি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় এলাকায় পদ্মা নদীতে ২৪ কেজি ওজনের একটি বিপন্ন প্রজাতির বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ওই বাগাড় মাছটি স্থানীয় জেলে হজরত মন্ডল ও কাদের মন্ডলের জালে ধরা পড়ে। পরে বাগাড়টি স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা ২৭ হাজার ৬০০ টাকায় কিনে নেন।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বাহির চর দৌলতদিয়া ছাত্তার মেম্বার পাড়ার জেলে হজরত মন্ডল ও কাদের মন্ডল মাছ শিকারে নামেন। জাল ফেলে প্রায় তিন কিলোমিটার ভাটিতে যাওয়া মাত্র টান আঁচ করতে পারে। তখনই জাল গুটিয়ে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় এক বাগাড় ধরা পড়েছে। জাল গুটিয়ে জেলেরা চলে আসেন দৌলতদিয়ার ছয় নম্বর ফেরি ঘাটে। এ সময় একতা মৎস্য আড়তের সত্ত্বাধিকারী দুলাল মন্ডল ২৪ কেজি ওজনের বাগাড়টি নিলামে তুলেন। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফেরি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. সোহেল মোল্লা ১ হাজার ১৫০ টাকা কেজি দরে কিনেন।
আরও পড়ুন:দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৩১তম
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার পদ্মা নদীতে ২৫ কেজি ওজনের আরেকটি বাগাড় মাছ ধরা পড়ে।
বাগাড় একটি বিপন্ন প্রজাতির মাছ। এ ধরনের মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হলেও গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে মাঝে মধ্যেই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে এই বিপন্ন প্রজাতির মাছ। আবার এই বাগাড় মাছ দৌলতদিয়া ঘাটেই প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে হাঁকডাক ছেড়ে বিক্রি করা হয়। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা এ ধরনের মাছ ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বড় ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা, আমলা বা সরকারি চাকরীজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিক্রি করে থাকেন।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিলে বাগাড় মাছকে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বন্য প্রাণী (সংলক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ সালের জানুযারি বিপন্ন প্রাণী ধরা বা কেনাবেচা দণ্ডণীয় অপরাধ বলে আইন করেছেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের লাল তালিকায়ও রয়েছে বাগাড় মাছের নাম।
গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা শাহ মো. শাহারিয়ার জামান সাবু বলেন, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ছোট বাগাড় মাছ ধরা যাবে না। তবে বড় বাগাড় মাছ ধরা বা খাওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত কোন সমস্যা নেই। বাগাড়কে বিপন্ন মাছ হিসেবে চিহিৃত করে তা ধরতে কোন নিষেধাজ্ঞা এখন পর্যন্ত তাদের কাছে আসেনি বলে তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন:বাগেরহাটে আড়াই ঘণ্টায় ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, পানিতে নিমজ্জিত ফসল
২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা
২ বছর আগে