আমন্ত্রিত
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে স্পটিফাইয়ে আমন্ত্রিত অ্যাশেজের জুনায়েদ ইভান
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক মিউজিক প্লাটফর্ম স্পটিফাই-এ আমন্ত্রিত হলেন জনপ্রিয় ব্যান্ড অ্যাশেজের শিল্পী জুনায়েদ ইভান।
বুধবার দুবাইয়ে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হন ইভান।
এ সময় উষ্ণ অভ্যর্থনায় কার্যালয় পরিদর্শনের পাশাপাশি তার সংগীত জীবনের নানা দিক নিয়েও আলোচনা হয়। স্পটিফাইয়ের স্টুডিওতে লাইভ গান করেন ইভান।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ফারিয়ার সিনেমা
নির্মাণ করা হয় একটি বিশেষ প্রোমোশনাল কন্টেন্ট। শুধু তাই নয়, অ্যাশেজের সঙ্গে বছরব্যাপী নতুন কিছু চমকলাগা প্রজেক্টও করতে আগ্রহী হয় স্পটিফাই।
দুবাইয়ে স্পটিফাই কার্যালয়ে ইভানকে সঙ্গ দেন স্পটিফাইয়ে প্রথম দুই বাংলাদেশি হিসেবে কর্মরত আর্টিস্ট অ্যান্ড লেবেল পার্টনারশিপ কো-অর্ডিনেটর মো. একরামুজ্জামান একরাম ও এডিটোরিয়াল কো-অর্ডিনেটর মীর রাসেল আহমেদ।
দুবাই থেকে ইভান জানান, 'সম্প্রতি আমার ব্যান্ড ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্পটিফাই কর্তৃপক্ষ। সে সূত্রেই দুবাইয়ে তাদের আমন্ত্রণে আসা। দারুণ একটা সময় কেটেছে। বাংলাদেশে স্পটিফাইয়ের নতুন যাত্রায় প্রথমেই আমাকে সঙ্গী করায় আমি গর্বিত ও আনন্দিত। তাদের সঙ্গে বেশ কিছু চমকলাগা প্রজেক্টে কাজ করতে যাচ্ছি। ২০২৩ সাল জুড়ে আমিসহ বাংলাদেশের শিল্পীদের সঙ্গে কি ধরণের পরিকল্পনা রয়েছে তা নিয়ে জানায় আমাকে তারা। সেই ধারাবাহিকতায় আমার ব্যান্ড অ্যাশেজ-এর সঙ্গেও পৃথকভাবে কিছু কাজ করতে আগ্রহী তারা।'
শুধু তাই নয়, নতুন বছরে বাংলাদেশের নতুন নতুন মিউজিক্যাল ইভেন্টগুলোতেও সহযোগী হিসেবে যুক্ত হবে স্পটিফাই। 'এটি আমাদের দেশের সংগীতাঙ্গনের জন্য আনন্দের খবর।' - বলেও জানান ইভান।
আন্তর্জাতিক মিউজিক প্লাটফর্ম হিসেবে বাংলাদেশে প্রায় এক বছর হল যাত্রা শুরু করেছে স্পটিফাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খোলা হয়েছে স্পটিফাই বাংলাদেশের পেজ। দুবাইয়ে অবস্থিত স্পটিফাই এর কার্যালয়টির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: ‘অর্থহীন’ ফিরল অর্ধযুগ পর
আমি সবসময় মঞ্চে রয়েছি: চঞ্চল চৌধুরী
২ বছর আগে
জটিলতা পেরিয়ে অবশেষে ঢাকায় আসছেন নোরা ফাতেহি
বলিউডে এই সময়ের ‘হট কেক’নোরা ফাতেহি। তার নাচের ভক্ত বিশ্বজুড়ে অনেকে। অনেক জটিলতার পর অবশেষে আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকা মাতাতে আসছেন নোরা।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর এক হোটেলে করা সংবাদ সম্মেলনে ওমেন লিডারশিপ কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা মারিয়া মৃত্তিকা স্বর্ণা জানান, ‘গ্লোবাল এসিভার অ্যাওয়ার্ড-২০২২’এ অংশ নিতে ঢাকার একটি কনভেনশন হলে নাচবেন নোরা ফাতেহি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৮ নভেম্বর রাতে ঢাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত জমকালো মঞ্চে নাচবেন নোরা। ঢাকার মঞ্চে ৪০ মিনিট থাকবেন তিনি। এছাড়াও মঞ্চে থাকবেন দেশের অনেক তারকা। এখন পর্যন্ত পুরো তালিকা চূড়ান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: মাহির ফেসবুক পেজে কোনো ছবি নেই
জানা যায়, পুরো নাচে তিনবার পোশাক বদলাবেন তিনি। এছাড়া পুরস্কার বিতরণও করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক ভিডিও বার্তায় নোরা ফাতেহি বাংলাদেশের ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।’
নোরা ফাতেহির এই ঢাকা সফর চূড়ান্ত হলো অনেক জটিলতার পর। বলিউডের এই তারকাকে ঢাকায় আনতে প্রথমে চুড়ান্ত করেন মিরর গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া। কিন্তু এর আগে এই সেলিব্রেটির ঢাকায় আসার কথা ছিল আরেকটি অনুষ্ঠানে। ‘ডলার সঙ্কট’ এর কারণে নোরাকে আনার অনুমতি পাননি আয়োজকরা। তাই অনুষ্ঠান পিছিয়ে ফেব্রুয়ারিতে নেয়া হয়েছে।
২ বছর আগে
এক মণ্ডপে ১৫১টি প্রতিমা: দুর্গার পরিবারে আমন্ত্রিত যারা
১৬ কোটিরও বেশি মানুষের বাংলাদেশে প্রায় আট শতাংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী। দুর্গাপূজা হলো এই ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সত্ত্বেও হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসবের সময় বিভিন্ন ধর্মের লোকজনের অংশগ্রহণ উদযাপনটি এক অনন্য নজির তৈরি করেছে।
এ বছর বাগেরহাটে এক পূজামণ্ডপে ১৫১টি দেব-দেবীর প্রতিমা দিয়ে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজকরা বলছেন, বাগেরহাটের সদর চুলকাঠি বণিকপাড়া পূজামণ্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাভারত ও রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: এমন উৎসব যা বাংলাদেশকে এক করে
বণিকপাড়া এই মণ্ডপের প্রতিমা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়েই নয়, অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকেও আকৃষ্ট করছে।
২০০১ সালে বণিকপাড়া মণ্ডপে ছোট আকারে দুর্গাপূজা উদযাপন শুরু হয়। পরে ২০০৫ সালে ১০১টি মূর্তি নিয়ে বিশাল আয়োজনে পূজা উদযাপন করা হয়েছিল।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে উৎসব ভাটা পড়েছিল৷ কিন্তু এবার বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায়, আয়োজকরা আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফিরে এসেছেন।
এ বছর দেবী দুর্গা কৈলাস থেকে হাতিতে (গজে) চড়ে মর্ত্যলোকে বাবার বাড়িতে এসেছেন। শনিবার বেলগাছের নিচে মহাষষ্ঠীতে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। রবিবার মহাসপ্তমী, সোমবার মহাঅষ্টমী, মঙ্গলবার মহানবমী এবং বুধবার দশমী পূজা অন্তে দর্পণ বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে দেবী দুর্গা নৌকায় চড়ে কৈলাসে ফিরে যাবেন।
বাগেরহাট জেলায় এ বছর সব মিলে ৬৩২টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর করতে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রসাশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি পূজামন্দিরে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি নিজস্ব সেচ্ছাসেবক বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে।
শুক্রবার বিকালে চুলকাঠি বণিকপাড়া পূজামন্ডপে গিয়ে দেখা গেছে, মূলমন্ডপের সঙ্গে প্যান্ডেল করে দুটি সারিতে আলাদাভাবে বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। দেব-দেবীরা এই পূজামন্ডপে যেন স্বর্গ থেকে নেমে এসেছেন। বিভিন্ন দেব-দেবী, মা দুর্গার সঙ্গী হয়ে ধরাধামে এসেছেন একসঙ্গে। মহিষাসুরকে যেভাবে বধ করেছিলেন ‘দেবী দুর্গা’ তা দেখানো হয়েছে প্রতিমার মাধ্যমে। দুষ্টের দমন আর সৃষ্টিরপালনও তুলে ধরা হয়েছে দেব-দেবীর প্রতিমায়। কারিগড়রা (ভাস্কর) তাঁদের হাতের নিপুণ ছোঁয়া আর রং তুলিতে অপরূপ সাজে প্রতিমা সাজিয়েছেন। মহামায়া দেবী দুর্গার সঙ্গী হিসেবে সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলিযুগের বিভিন্ন দেব-দেবী আর্বিভূত হয়েছেন পূজামন্ডপ জুড়ে। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছেন এই পূজা প্যান্ডেলে।
আরও পড়ুন: শনিবার মহা ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা
পূজা প্যান্ডেল ঘুরে দেখা গেছে, হাতিতে চড়ে দুর্গার মর্ত্যলোকে আগমন এবং নৌকায় চড়ে গমন, দেবীর অকাল বোধন, অসুর রক্তবীজ বধ, সতীর দেহত্যাগ, দেবী কংকালে কালী, মৎস্য অবতর, হর পার্বতীর বিয়ে, রাধাকৃষ্ণের ঝুলন, ব্রক্ষ্মচারিনী, অহল্যা পাষানী, নৃসিংহ অবতার, দেবী সিদ্ধাধার্থী, বিষ্ণুপ্রিয়ার মালাবদল, অগ্নিপরীক্ষা এবং শ্রীকৃষ্ণের নৌকাবিলাসসহ প্রতিমার মাধ্যম ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। পূজা প্যান্ডেলের ভিতর এবং বাইরে সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
২ বছর আগে