ব্যতিক্রম
বিড়ালের র্যাম্প শো!
দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে বিড়াল পালনের প্রবণতা। একই সঙ্গে হচ্ছে ব্যতিক্রম আয়োজনও। তেমনি ফেনীতেও প্রথমবারের মতো ব্যতিক্রমী আয়োজনে দেশি-বিদেশি বিড়াল প্রদর্শনী ও র্যাম্প শো অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় এনিম্যাল লাভার্স এর আয়োজনে রাজাঝি দিঘীর পাড়ে অবস্থিত নবীনচন্দ্র সেন কালচারাল সেন্টারে এ আয়োজন হয়।
আয়োজক কমিটি জানায়, প্রদর্শনীতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের ২৫টি বিড়াল প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুন: কন্যা দিবসে ৩ মেয়ের জন্ম, নাম পদ্মা-মেঘনা-যমুনা
যার মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণের জন্য বিড়ালের র্যাম্প শো’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিনামূল্যে প্রাণীর ভেটেরিনারি চিকিৎসা সেবাও প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান আয়োজক ও ফেনী এনিম্যাল লাভার্স’র সিইও সাইমুন ফারাবী বলেন, পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধে এবং মানুষের ভালোবাসা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ব্যতিক্রমী আয়োজন। এর আগে রাজধানী বা বিভাগীয় শহরগুলোতে এমন আয়োজন হলেও মফস্বলের জন্য এটি অনেক বড় প্রাপ্তির বিষয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে পরিমাণ দর্শনার্থী সমাগম আশা করেছিলাম তারচেয়ে তিনগুণ বেশি হয়েছে। সহযোগিতা পেলে আগামীতে আরও বড় পরিসরে এমন আয়োজন করব।
ফেনী প্যাড ক্লিনিকের ভেটেনারি চিকিৎসক ডা. মো. ইব্রাহীম বলেন, প্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষ পোষাপ্রাণীর সম্পর্কে জেনেছে এবং মানুষের মধ্যে বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে। পরে প্রদর্শনীটি আরও বড় আকারে করার পরিকল্পনা রয়েছে। আয়োজনে অংশ নেয়া ২৫টির বেশি বিড়ালের চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: এবার দেখা মিলেছে ৪ পাওয়ালা মোরগের!
ব্যতিক্রম আয়োজনের প্রশংসা করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী আহসান জোবায়ের বলেন, এমন আয়োজন ফেনীর জন্য নতুন একটা মাইলফলক। রাজধানী ঢাকায় বা অন্য কোনো জেলায় এরকম স্বতন্ত্র ও ব্যতিক্রমী আয়োজন হয় বলে আমার জানা নেই। দারুণ এই আয়োজন দেখতে ছোটবোনসহ চলে এসেছি। আশা করি ফেনীতে এমন আয়োজন আরও হবে। আমরা পশু ও প্রাণির প্রতি সদয় হবো। ফেনীর এই আয়োজন সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে।
ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তারান্নুম আক্তার বলেন, প্রদর্শনীতে চারটা বিড়াল নিয়ে এসেছি। এর মধ্যে একটি বিদেশি জাতের। বিড়াল পালনে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে এ শিক্ষার্থী বলেন, শুরুতে পরিবারের সদস্যরাও বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে।
সানজিদ আরেফিন নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মফস্বলে এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রাণিদের প্রতি অহিংস মনোভাব তৈরি হবে। আয়োজনস্থলে অনেক গরম ছিল। এতে বিড়াল নিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। আগামীতে বাইরে আরও বড় জায়গা এমন আয়োজন করলে সাধারণ মানুষও এ বিষয়ে জানতে পারবে।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারীদের ফি ও খরচ প্রসঙ্গে ফারাবি বলেন, সকলের জন্য প্রদর্শনী উম্মুক্ত ছিলো। এখানে ১০ টাকা দামের একটি র্যাফেল বিক্রি করা হয়েছে। এখান থেকে ৬০ শতাংশ ভ্রাম্যমাণ অসুস্থ কুকুর-বিড়ালের চিকিৎসায় খরচ করা হবে।
বাকি ৪০ শতাংশ অনুষ্ঠানের খরচে ব্যবহৃত হবে।
আরও পড়ুন: মানসিক বিকাশে শিশুর সঙ্গে মা-বাবার টেলিভিশন দেখা হতে পারে উপকারী
২ বছর আগে
খানসামায় নারী হত্যায় ব্যতিক্রম প্রতিবাদ!
এক নারীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারসহ বিচারের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার একটি দুর্গাপূজার মণ্ডপে ঢাকঢোল, বাজনা এবং আনন্দ উল্লাসের পরিবর্তে কালো পতাকা উত্তোলন করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীর স্হানীয় অধিবাসীরা।
ঘটনাটি ঘটছে দুই নং ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়ার কুমারপাড়া সার্বজনীন পূজা মণ্ডপে। শনিবার থেকে ৬৪ দিন আগে শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে পিতার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার সময় পথে ধর্ষণসহ হত্যার শিকার হন উপোবালা নামে এক গৃহবধূ।
ওই হত্যার বিচারের দাবিতে ইতোমধ্যে মানবন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন গ্রামবাসীরা। জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ বিচার না পাওয়ায় ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার ষষ্টীর দিনে সকালে মণ্ডপে কালো পতাকা উত্তোলনসহ অবস্হান নিয়ে ব্যতিক্রম ওই প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে একই ঘর থেকে মা ও দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার!
তবে প্রতিমা ছাড়াই ঘোট পূজার মাধ্যমে দেবীর প্রতি করা হয়েছে ভক্তি প্রকাশ প্রার্থনা।
কর্মসূচিতে অংশ নেয়া বাসিন্দা অনন্ত কুমার রায় জানান, উপোবালা হত্যাকাণ্ডের বিচার না পাওয়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা বর্জন করে কালো পতাকা উত্তোলন করে প্রতিবাদী শোক পালন করছেন তারা। যতদিন ওই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার হবে না ততদিন তারা ওই মণ্ডপে ধুমধামসহ কোন ধর্মী উৎসব পালন করবেন না।
শোককে শক্তি রূপে নিতে বাধ্য হয়ে কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
আরেক প্রতিবাদী নৃপেন্দ্র নাথ রায় জানান, উপোবালা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রেক্ষাপটে শারদীয় দুর্গা পূজা আনন্দ উল্লাসে উদযাপনের পরিবর্তে বর্জন করছেন তারা। শিশুসহ বড়রা শরীরের চড়াননি নতুন জামাকাপড়।
উল্লাসের পরিবর্তে মণ্ডপের প্রবেশ পথে ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াও’ শীর্ষক সহিংসতা বিরোধী স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ঝুলিয়ে অবস্হান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
পূজা উদযাপন পরিষদের খানসামা উপজেলা কমিটির সভাপতি ধীমান দাস জানান, উপোবালা হত্যার বিচারের দাবিতে মামলা করেছিল পিতা পক্ষ। মামলাটি পিবিআয়ের তদন্তাধীন রয়েছে। বর্জন কর্মসুচি প্রত্যাহারের লক্ষ্যে বা পরিবারসহ গ্রামবাসীর সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু হত্যার বিচার না পাওয়ায় এবার পূজা পালন হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নদীতে পড়ে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে