টেকনাফ
মিয়ানমারে ফেরার দাবিতে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ
নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পের ২৫টি ক্যাম্পে গো হোম ক্যাম্পেইন বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রোহিঙ্গারা।
রবিবার উখিয়ার ২৩টি ও টেকনাফের দুটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নির্ধারিত স্থানে সকাল ৮টা থেকে মানববন্ধন ও মিছিল শেষে সমাবেশ শুরু হয়। এতে ক্যাম্পের প্রতিটি ব্লকের রোহিঙ্গারা অংশ নেন। মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে অনুরোধ জানান রোহিঙ্গারা। ‘ব্যাক টু হোম’ স্লোগানে এই বিক্ষোভ সমাবেশে নানা বয়সের রোহিঙ্গারা অংশগ্রহণ করেন।
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দুর্বৃত্তের গুলি নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ একই দাবিতে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশের নেতৃত্বে ছিলেন।
তবে, এবারের সমাবেশের একক কোনো আয়োজক কিংবা নেতৃত্ব পর্যায়ের কেউ সামনে না এলেও প্রচারপত্রে আয়োজক হিসেবে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী লেখা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা বলেই ডাকা, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে আরাকানের গ্রামে গ্রামে প্রত্যাবাসন, প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত প্রত্যেক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, বাংলাদেশ, এনজিও, সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা, বার্মার ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন বাতিল, সম্পত্তি ফেরত, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারসহ ইত্যাদি দাবি উত্থাপন করা হয় এই বিক্ষোভে।
আরও পড়ুন: ১৯ দফা দাবিতে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ
উখিয়ার ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমরা নিরাপদ প্রত্যাবাসন চাই এবং আমাদের আশা এবারের সমাবেশটির মাধ্যমে উত্থাপিত রোহিঙ্গাদের যৌক্তিক দাবিগুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্ব পাবে।
রোহিঙ্গা ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কিন মং বলেন, সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে আমাদের দেশ মিয়ানমারে ফিরতে চাই আমরা, সমাবেশে আমরা এই মূল দাবিটাই জানাচ্ছি বিশ্ববাসীর কাছে। বাংলাদেশ সরকার আমাদের আশ্বাস দিয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে, আমরা কৃতজ্ঞ।
অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, রোহিঙ্গারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দাঁড়িয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হয়নি।
ক্যাম্পে আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত ৮ এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসাইন জানান, ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছে। ক্যাম্প এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ৮ এপিবিএনের তৎপরতা সবসময় অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জঘন্য নৃশংসতায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকেরা নির্যাতিত হয়ে জোরপূর্বক বাংলাদেশে বিতাড়িত হয়েছিল, যা ইতিহাসে রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে ভয়াবহ দেশত্যাগ হিসেবে বিবেচিত। নির্যাতিত রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাতদফা দাবি উত্থাপন করেছেন।
আরও পড়ুন: অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আমরা রোহিঙ্গা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
কক্সবাজারে এক কেজির বেশি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ
কক্সবাজারের টেকনাফে বৃহস্পতিবার পৃথক অভিযানে এক কেজি ৫৬ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন (আইস), ১৪৩ বোতল মদ ও ৫০ কেজি সুতোর জাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিবি।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, টহলরত বিজিবি-২ এর একটি দল বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মিয়ানমার থেকে নাফ নদী পেরিয়ে জালিয়ার দ্বীপে আসা দুই চোরাকারবারিকে বাংলাদেশে আসতে দেখে। টহলদল ওই চোরাকারবারিদের দেখা মাত্রই চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত তাদের দিকে অগ্রসর হয়। বিপদ টের পেয়ে চোরাকারবারিরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তাৎক্ষণিক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
পরে নৌকা থেকে পাঁচ কোটি ২৮ লাখ টাকা মূল্যের এক কেজি ৫৬ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ ও ৫০ কেজি জাল জব্দ করে বিজিবি সদস্যরা।
অন্যদিকে কারিঙ্গাঘোনায় পৃথক অভিযানে বৃহস্পতিবার ভোররাতে বিজিবি-টেকনাফ ব্যাটালিয়নের একটি দল ৬-৭ জন চোরাকারবারিকে বস্তা নিয়ে নাফ নদী পার হয়ে নিকটবর্তী একটি গ্রামে আসতে দেখে চ্যালেঞ্জ করে। এসময় চোরাকারবারিরা বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে বিজিবি সদস্যরা বস্তা থেকে দুই লাখ ১৪ হাজার টাকা মূল্যের ১৪৩ বোতল বিষাক্ত মদ জব্দ করে। তবে অভিযানে কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি সদস্যরা।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে বিলুপ্তপ্রায় অজগর উদ্ধার বিজিবি’র
জানুয়ারি থেকে ৩৩৫ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার বিজিবির
কক্সবাজারে সাড়ে ৫ কোটি টাকার আইসসহ রোহিঙ্গা আটক
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে এক দশমিক ছয় কেজি ক্রিস্টাল মেথামফেটামিনসহ (আইস) এক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
আটক শহিদুল ইসলাম (২২) টেকনাফের জাদিমোরা শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা।
বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজিবি টেকনাফের (বিজিবি-২) একটি দল ভোর ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে দেশে পাচারের চেষ্টাকালে পাঁচ কোটি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ক্রিস্টাল মেথসহ শহিদুলকে আটক করে।
আটক ব্যক্তিকে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে প্রতারক চক্রের ২ সদস্য আটক
সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় ফেনসিডিল জব্দ, আটক ২
টেকনাফে মাদক ও মানব পাচারকারী চক্রের ৭ সদস্য আটক
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে মাদক ও মানব পাচারকারী চক্রের সাত সদস্যকে আটকের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- মো. শফি উল্লাহ (৫৫), তার স্ত্রী তৈয়বা বেগম (৪০), ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (১৯), তার স্ত্রী লাকী আক্তার (১৯), মো. পারভেজ (১৬), মো. জালাল (২৬) ও মো. রেদওয়ান (১৯)।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিবি-২।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি-২ এর টেকনাফ ব্যাটালিয়নের দুটি পৃথক অভিযানে সাতজনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৬৮ হাজার ৮০০ প্যাকেট ভেজাল ওরস্যালাইন উদ্ধার
বিজিবি জানায়, আটকদের কাছ থেকে এক কোটি ২৭ লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ৪০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট, ১০ হাজার ৭৮৪ টাকা মূল্যের কিয়াট (মিয়ানমারের মুদ্রা), ৮৮ হাজার টাকা মূল্যের ১৪ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার এবং তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা মাদক চোরাচালান ও মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন দেশে পাচারের কথা স্বীকার করেছে।
জব্দ করা গয়না ও কিয়াট কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ট্রেজারি শাখায় জমা দেয়া হবে। এছাড়া আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
আরও পড়ুন: টেকনাফে শিশু আলো হত্যা মামলায় ৬ জনের ফাঁসি
আহত ব্যক্তিকে আটক: জামলাপুরে ৪ এসআই বরখাস্ত, ২ কনস্টেবল প্রতাহ্যার
টেকনাফে শিশু আলো হত্যা মামলায় ৬ জনের ফাঁসি
কক্সবাজারের টেকনাফে চাঞ্চল্যকর মো. আলী উল্লাহ আলো হত্যা মামলায় ছয় জনের ফাঁসি আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নওগাঁর মো. সুমন আলী (২৬), ঠাকুরগাঁওয়ের ইয়াছিন ওরফে রায়হান (২৯), কুমিল্লার মো. ইয়াকুব (৩৪), টেকনাফের মো. ইসহাক ওরফেকালু (৩১) নজরুল ইসলাম (২৮) ও সৈয়দুল আমিন ওরফে লম্বাইয়া। তাদের মধ্যে সুমন আলী, নজরুল ইসলাম ও সৈয়দুল আমিন পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া এ মামলায় মহিবুল্লাহ (৪৫) ও দিদার মিয়াকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আলাদত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদার বিল এলাকার রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও ফারজানা পারভীন সুইটি'র ৭ বছরের শিশু ছেলে মো. আলী উল্লাহ আলোকে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ'র কর্মচারী মোঃ সুমন আলী বাড়ির সামনের কাচারি ঘরে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার উদ্দেশে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পাখির বাসা দেখানোর কথা বলে আলী উল্লাহকে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ'র কাচারী ঘরের সিলিং উপর তুলে তার হাত পা বেঁধে মুখে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
এ ঘটনায় আলী উল্লাহ আলোর বাবা ২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি পর্যায়ক্রমে টেকনাফ থানার এসআই মাহবুবুর রহমান, এসআই হারুনর রশীদ এবং টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার মজুমদার তদন্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এ চার্জশিটের বিরুদ্ধে বাদী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে নারাজী আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত বাদীর নারাজীর আবেদন গ্রহণ করেন এবং ২০১৪ সালের ৪ মার্চ মামলাটি সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।
২০২০ সালের ২৪ জুলাই কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলাটি চার্জ গঠন করে বিচারকার্য শুরু করেন। মামলায় প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিচারক বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।
পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ৩ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
ট্রিপল মার্ডার: কুষ্টিয়ায় ৩ আসামির আমৃত্যু, ৮ আসামির যাবজ্জীবন
টেকনাফে ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবা জব্দ, রোহিঙ্গা যুবক আটক
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে রবিবার দিবাগত রাতে এক কেজি ছয় গ্রাম ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন (ক্রিস্টাল মেথ) ও ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ২২ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা।
আটক মো. সাকের আলী টেকনাফের বি ব্লকের ২৫ মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত কালু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবা উদ্ধার, মিয়ানমারের ২ নাগরিক আটক
বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিবি-২ এর একটি টহল দল রাত সোয়া ১২টার দিকে টেকনাফের জাদিমোরা ওমর খাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাকেরকে আটক করে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে এক কেজির বেশি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ
এ সময় বিজিবি সদস্যরা তার কাছ থেকে এক কেজি ছয় গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ এবং পাঁচ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ১০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কক্সবাজারে ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার মাদকসহ দুই রোহিঙ্গা আটক
কক্সবাজারে টেকনাফ থেকে বৃহস্পতিবার ছয় কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ১ কেজি চার গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ ও ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার জাদিমোড়া ক্যাম্পের বাসিন্দা আবুল কাশেমের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২৮) ও কক্সবাজারের জাদিমোড়া ক্যাম্পের ফারুক আহমেদের ছেলে সৈয়দ সালাম (৩৮)।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আটক ২, ফেনসিডিল জব্দ
বিজিবি-২ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি-২ এর একটি দল নাফ নদীর তীরে জালিয়ারদ্বীপে অভিযান চালিয়ে মাদকসহ দুজনকে আটক করে।
আরও পড়ুন: বরিশালে রেনু পোনা উদ্ধার, আটক ২৭
এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, মাছ ধরার জাল ও নৌকা জব্দ করেছে বিজিবি।
খালিদ বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
টেকনাফে ৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার মাদক জব্দ
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা এক কেজি ৫০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও ১৪২ ক্যান আন্দামান গোল্ড বিয়ার উদ্ধার করেছে।
জব্দ করা মাদকের মূল্য আনুমানিক পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
সোমবার বিজিবি-২ এর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাবরাং বিওপির অধীনে বিজিবি-২ এর একটি বিশেষ টহল দল রবিবার রাতে নাফ নদীর তীরে টহল দিচ্ছিল। ভোর ৪টার দিকে কেওড়া বাগানে কয়েকজনের পায়ের আওয়াজ শুনে টহল দল কৌশলগত অবস্থান নিয়ে তিনজনকে চ্যালেঞ্জ করে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি থেকে ৩৩৫ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার বিজিবির
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহভাজন চোরাকারবারীরা মাদক ফেলে গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়। পরে টহল দল ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া বস্তা থেকে মাদক উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন
সেনাবাহিনীর (অবসরপ্রাপ্ত) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। আগামী ২৭ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষীর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে মোট ১৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
সাক্ষীরা হলেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্তের প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, চন্দিমা শীল, মাহমুদুল হাসান, জুলিয়ান সেতেরা ও বিআরটিএ’র মোটরযান শাখার পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলার অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন ওসি প্রদীপের
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে গৃহায়ণ ও গণপূর্তের চার প্রকৌশলী ও বিআরটিএর এক কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্তের চার প্রকৌশলী ওসি প্রদীপের পাঁচলাইশ থানার ষোলশহরের সেমিপাকা ঘরগুলো পরিমাপের প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। বিআরটিএর কর্মকর্তা আদালতে দুটি গাড়ির প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এই পাঁচ জনসহ প্রদীপের বিরুদ্ধে মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন আদালত।
গত ২৯ জুন দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দেন। ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির এজাহারে উল্লেখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা: সাবেক ওসি প্রদীপ, লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকিকেও আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
কক্সবাজারে ইজারাদার মোরশেদ হত্যার ঘটনায় আটক ৫
কক্সবাজার সদরে সেচ প্রকল্পের ইজারাদার মোরশেদ আলীকে (৪০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদুল, আব্দুল্লাহ, আব্দুল আজিজ ও নুরুল হক।
র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার ভোর রাত ৪টার দিকে অভিযান চালিয়ে টেকনাফ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে আটক চার, ৫০ হাজারেরও বেশি ইয়াবা জব্দ
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গত ৭ এপ্রিল চেরাংঘর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে সেচ প্রকল্পের ইজারাদার মোরশেদ আলীকে (৪০) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত মাহমুদুল তার সঙ্গীদের নিয়ে মোরশেদের কাছ থেকে সেচ প্রকল্পের দখল নিতে চেয়েছিল যাতে তারা পানি সরবরাহের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিতে পারে। কিন্তু মোরশেদ এতে রাজি হননি।
র্যাবের কর্মকর্তারা জানান, আটক ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মোরশেদ তাদের প্রকল্প হাতে নিতে বাধা ছিল। এ কারণে তারা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত