আচরণ
প্রশাসন একপেশে আচরণ করছে: এ কে আজাদ
আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের বাহিনী দিয়ে ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ফরিদপুরে একটা ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ।
এ ছাড়া পুলিশ প্রশাসনও একপেশে আচরণ করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
নির্বাচনের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী এ কে আজাদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী।
এ কে আজাদ বলেন, বাংলাদেশকে বেকারত্ব ও ক্ষুধামুক্ত করার মিশনে ঈগলের পক্ষে জনসমর্থন দেখে তা নস্যাৎ করার চেষ্টা করছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীম হক ও তার সমর্থকরা। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে বারবার নানা কায়দায় বাধার সৃষ্টি করছেন। এতে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির চক্রান্ত বন্ধ করতে নৌকায় ভোট দিন: ফরিদপুরে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ঈগল সমর্থক নেতা-কর্মীদের হামলা-মামলা, ভয়-ভীতি দেখানো অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটাচ্ছে। এসব ঘটনায় পাঁচটি মামলা এবং ১৪টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরও দুই-একটি ছাড়া তেমন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে উল্লেখ করে এ কে আজাদ বলেন, নির্বাচনের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে আমার নেতা-কর্মীদের বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তারা যাতে বাসায় না থাকেন এই ভয়ও দেখানো হচ্ছে। শামীম হকের গুণ্ডাবাহিনী ও পুলিশ হুমকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে ঈগল সমর্থক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ফরিদপুরে আ. লীগের নেতা-কর্মীদের উপচেপড়া ভিড়
তিনি বলেন, গত রাতেও পুলিশ ঈগল প্রতীকের সমর্থক ও একাধিক নেতা-কর্মী বাসায় হানা দিয়ে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়েছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ করার আহ্বান জানান এ কে আজাদ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
১০ মাস আগে
সিলেটে খারাপ আচরণের জেরে বৃদ্ধ নিহত, আটক ১
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় খারাপ আচরণের জেরে হামলায় এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার চতুল বাজারের লালাখাল রোডের কামারহাটিতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জয়নাল আবেদীন বড়চতুল ইউনিয়নের হারাতৈল উত্তরগ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাজারের ব্যবসায়ী আবুল আহমদকে (৩০) পুলিশ আটক করেছে।
বাজারের ব্যবসায়ী ও নিহতের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিহত জয়নাল আবেদীনের ছেলে ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যান মিশুক চালক সায়েম আহমদ (১৫) একই গ্রামের জিয়াউল হকের পুত্র আবুল আহমদকে মিশুক দিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চতুলবাজার কামারহাটির হৃদয় আর্ট অ্যান্ড কসমেটিকস দোকানে নিয়ে আসেন। এ সময় মিশুক চালক সায়েমের পাশে বসে আবুল আহমদ তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। দোকানের সামনে আসার পর আবুল আহমদ ১০ টাকা ভাড়া দেয়ার জন্য সায়েমকে ৫০০ টাকার নোট দিলে সে ভাংতি নেই জানালে আবুল আহমদ তাকে গালাগালি করেন।
পরে সায়েম আহমদ তার পিতা জয়নাল আবেদীনকে চতুল বাজারে বিষয়টি জানান। জয়নাল আবেদীন আবুল হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাকে ছেলের সঙ্গে খারাপ আচরণের বিষয়টি জানতে চাইলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে আবুল হোসেন ও সঙ্গে থাকা দুই জন এবং জয়নাল আবেদীন ও তার ছেলে সায়েম দেশীয় রুইল, লাঠি-সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে মাথায় গুরুতর আঘাত পায় জয়নাল আবেদীন। সংঘর্ষে আবুল হোসেনও আহত হয়।
আরও পড়ুন: শার্শায় বাসচাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কজেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে মারা যান জয়নাল।
নিহত জয়নাল আবেদীনের পরিবারের সদস্যরা জানান, পরিকল্পিত ভাবে আবুল আহমদ ও সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন মিলে তার প্রতিষ্ঠানের সামনে জয়নাল আবেদীনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি মারা যান।
ঘটনার খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কানাইঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল করিম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ওসি জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত আবুল আহমদকে ওসমানী মেডিকেলে দায়িত্বরত পুলিশ আটক করেছে। ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে সেই আলোকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে রয়েছে। মঙ্গলবার ময়না তদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় দুই শিশুসহ নিহত ৪: পুলিশ
বিজয়নগরে ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
১ বছর আগে
সিজেএম’র সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, পিরোজপুরের পিপিকে হাইকোর্টে তলব
পিরোজপুরের পিপি খান মো. আলাউদ্দিনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পিরোজপুরের মূখ্য বিচারিক হাকিম (সিজেএম) আবু জাফর মো. নোমানের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও তাকে হুমকি দেয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ আজ স্বত:প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দিয়েছেন। পিপিকে আগামী ১৫ নভেম্বর হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে এ বিষয়ে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।এর আগে মূখ্য বিচারিক হাকিম আবু জাফর মো. নোমানকে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিনের হুমকি ও অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
আারও পড়ুন: জামিন চেয়ে হাইকোর্টে মিন্নির আবেদন
আদালত বলেছেন, ‘একজন পিপির দায়িত্ব আদালতের পরিবেশ সুন্দর রাখতে বিচারককে সহযোগিতা করা। কিন্তু তিনি বিচারকের সঙ্গে বেয়াদবি করেছেন। এটা মেনে নেয়া যায় না।’
রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, পিরোজপুরের পিপি বিচারকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে একদিকে যেমন আইনজীবী হিসেবে অপরাধ করেছেন। আবার পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবেও অপরাধ করেছেন। তিনি বার কাউন্সিলের যে আইনজীবীর আচরণ বিধি আছে সে আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন। এখন তার বিরুদ্ধে যদি কনটেম্পট হয়, তাহলে জেল হবে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর পিরোজপুরের মূখ্য বিচারিক হাকিম আবু জাফর মো. নোমান পিপির বিরুদ্ধে খারাপ আচরণের অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দেন।
চিঠিতে তিনি বলেছেন, গত ২৫ জুলাই এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের উপদেষ্টা আসামি মাওলানা মো. হাফিজুর রহমান ছিদ্দীকীর জামিন আবেদনের শুনানি চলছিল। শুনানিকালে দুপুর আড়াইটার দিকে অভিযোগকারী (বাদী) ও আসামি উভয়পক্ষের ২৫/৩০ জন বিজ্ঞ আইনজীবী নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে হট্টগোল সৃষ্টি করে স্বাভাবিক বিচারকার্য, জামিনের দরখাস্ত শুনানিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করলে আমি এজলাসের পরিবেশ স্বাভাবিক করে শুনানি গ্রহণের স্বার্থে ১৫ (পনের) মিনিট মুলতবি দিয়ে এজলাস থেকে নেমে যায়। একই ভাবে আবারও দ্বিতীয় দফায় ১০ মিনিটের মূলতবি দিয়ে নেমে যান। এর পরে না হওয়ায় অভিযোগকারী (বাদী) পক্ষের নিযুক্ত আইনজীবী সাইদুর রহমান টিটো এবং আসামিপক্ষের নিযুক্ত আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন ও শ ম হায়দার আলীদের তাদের পক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী ব্যতীত অন্যান্য আইনজীবীদের কিছু সময়ের জন্য (উল্লেখিত মামলা সমূহের জামিনের দরখাস্ত শুনানির সময়ের জন্য) এজলাসের বাইরে অবস্থান করার অনুরোধ করলে উভয়পক্ষের প্রয়োজনীয় কিছু সংখ্যক আইনজীবী ব্যতীত অন্যান্য আইনজীবীরা কিছু সময়ের জন্য আমার এজলাস কক্ষ ত্যাগ করে বাইরে অবস্থান করেন।
কিন্তু তখন পাবলিক প্রসিকিউটর খান মো. আলাউদ্দিন ও তার সহযোগী কিছু বিজ্ঞ আইনজীবীকে নিয়ে এজলাসে অবস্থান করলে উল্লেখিত মামলা সমূহের নিযুক্ত আইনজীবীরা তাতে আপত্তি করেন। তখন আমি এজলাসের প্রিজাইডিং বিচারক হিসেবে স্বাভাবিক বিচার কার্য পরিচালনার প্রয়োজনে বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর, পিরোজপুর খান মো. আলাউদ্দিনকে অনুরোধ করে বলি আপনি উল্লেখিত মামলা সমূহের বাদী বা আসামি কোনো পক্ষের নিযুক্ত আইনজীবী না এবং উল্লেখিত মামলা সমূহ ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মামলা ও তাতে রাষ্ট্রের কোনো স্বার্থ-সংশ্লিষ্টতা নাই বিধায় আপনি স্বাভাবিক বিচার কার্য পরিচালনায় সহযোগীতার স্বার্থে কিছু সময়ের জন্য এজলাসের বাইরে অবস্থান করেন।
কিন্তু পাবলিক প্রসিকিউটর আমার অনুরোধ উপেক্ষা করে হঠাৎ আমার এজলাসে উচ্চ স্বরে বিভিন্ন মন্দ ভাষায় (ব্যবহৃত ভাষা লেখার অযোগ্য) হুমকি-ধমকি প্রদান করে তার পিপিশিপের কর্তৃত্ব প্রদর্শনের মাধ্যমে আমার বিচার কার্যে (জামিন শুনানিতে) বাধা দেন। তখন পাবলিক প্রসিকিউটর আমাকে এজলাস হতে নেমে যাওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করেন এবং এক পর্যায়ে আমাকে গালমন্দ করে জোরপূর্বক আমার বিচার কার্য সাময়িক বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করে হট্টগোল করে এজলাসে কর্মরত কর্মচারীদের ও বিচারপ্রার্থী জনসাধারণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে প্রধান বিচারপতি এই অভিযোগপত্রটি হাইকোর্টের উপরোক্ত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
আারও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট
২ বছর আগে