জঙ্গি ও কুকি-চিন
আটক জঙ্গি ও কুকি-চিনের ১০ সদস্যকে জেল হাজতে পাঠাল আদালত
বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে আটক সাত জঙ্গি ও তিন কুকি-চিনের সদস্যকে রাঙ্গামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে সাতটার দিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তারের আদালতে তাদেরকে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, যুবক গ্রেপ্তার
কোর্ট পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানায়, সাত জঙ্গি ও তিন কুকি-চিনের সদস্যকে রাঙ্গামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
তবে শুক্রবার তাদের রিমান্ড চাওয়া হয়নি। কয়েকদিন পর আবারও তাদেরকে আদালতে হাজির করা হলে তখন হয়ত রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
এর আগে পার্বত্য জেলা বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলার সীমান্তবর্তী মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর অভিযানে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া' ও কুকি-চিন ন্যাশনাল পার্টির (কেএনএফ) সদস্যদের আটক করা
পরবর্তীতে বিকেলে তাদেরকে র্যাব ও পুলিশের প্রহরায় রাঙ্গামাটিতে আনা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তাদেরকে আদালতে তোলা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
প্রসঙ্গত, র্যাব-৭ ও র্যাব-১৫ সহ অন্যান্য বাহিনীর সহস্রাধিক সদস্য অভিযানে অংশ নেয়। এসময় তাদের অভিযানে গ্রেফতাররা হলেন- সুনামগঞ্জের সৈয়দ মারুফ আহমদ ওরফে মানিক(৩১), পিরোজপুরের ইমরান হোসাইন ওরফে সাওন(৩১), ঝিনাইদহের কাওসার ওরফে শিশির(৪৬), সিলেটের জাহাঙ্গীর আহম্মেদ ওরফে জনু(২৭), বরিশালের মো. ইব্রাহিম ওরফে আলী(১৯), সিলেটের আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে বাপ্পি(২৩), সুনামগঞ্জের রুফু মিয়া(২৬), বান্দরবানের জৌথান স্যাং বম (১৯), স্টিফেন বম(১৯), এবং মাল সম বম (২০)।
অভিযানকালে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে ৯টি বন্দুক, বন্দুকের ৫০ রাউন্ড গুলি, কার্তুজ কেইস ৬২টি, হাত বোমা ছয়টি, কার্তুজ কেইস একটি, কার্তুজ বেল্ট দুইটি, দেশীয় পিস্তল একটি, ওয়াকিটকি সেট একটি, চার্জার তিনটি, কুকিচিং লিখা ১০টি মানচিত্র এবং অস্ত্র গোলা বারুদ তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
‘গ্রেফতাররা র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে যে তাদের অর্থের বিনিময়ে আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর (কেএনএফ) সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার আমির পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিত্তিক সশস্ত্র গ্রুপ কেএনএফের সঙ্গে আগামী বছর পর্যন্ত এলাকায় জঙ্গি প্রশিক্ষণের বিষয়ে একটি চুক্তি করেছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে তিন লাখ টাকা এবং কেএনএফ সদস্যদের খাবারের খরচ বহন করবে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে সড়কে স্বামীর সামনে মাদরাসা শিক্ষিকার মৃত্যু
বোয়ালমারীতে পরকীয়ার জেরে মেয়ের সামনে মাকে কুপিয়ে হত্যা!
২ বছর আগে