যাত্রী
সিত্রাং: ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ব্রহ্মপুত্রের চরে আটকা পড়া ৮০ যাত্রী উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী থানার ব্রহ্মপুত্র নদের তেলিপাড়া নামক স্থানে ডুবোচরে আটকে পড়া নৌযান থেকে ৮০ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ওই যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ –এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওইদিন বিকাল ৫টায় ওই নৌযানের যাত্রী আজগর নামের এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে তারা দুইজন মাঝি, নারী ও শিশুসহ ৮০ জন যাত্রী কুড়িগ্রামের রৌমারি ঘাট থেকে চিলমারীর রমনাঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। পথে রাত ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কবলে পড়েন তারা। এরপর তীব্র স্রোত ও দমকা হাওয়ার তোড়ে তাদের নৌযান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভাসতে ভাসতে একটি ডুবোচরে আটকে যায়। পরে জানতে পারেন চরটির নাম তেলিপাড়া চর।
কলার আরও জানান, বৃষ্টির মধ্যে নারী শিশুসহ ৮০ জন যাত্রী দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে দুর্গম চরে আটকে আছেন। তিনি দ্রুত উদ্ধার সহায়তার জন্য ৯৯৯ এর কাছে অনুরোধ জানান।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল ইমাম হোসেন কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল ইমাম তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নৌ পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং চিলমারী থানায় জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়।
পরবর্তীতে ৯৯৯ ডিস্পাচার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান চিলমারীর উপজেলার ইউএনও এবং চিলমারী রমনাঘাটের বিআইডাব্লিউটিএ’র ইজারাদারকে জানিয়ে উদ্ধারকারী নৌযানের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে রমনাঘাট থেকে একটি উদ্ধারকারী নৌযান চিলমারী থানার উদ্ধারকারী পুলিশ দলসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে রওনা দিয়ে রাত সোয়া দশটায় চরে আটকে পড়া যাত্রীদের কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া উদ্ধার করে নিকটবর্তী নিরাপদ স্থানে নিয়ে রাখে। পরবর্তীতে আবহাওয়া শান্ত হলে ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের রমনাঘাটে পৌঁছে দেয়া হয়।
চিলমারী মডেল থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান ৯৯৯ কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২ বছর আগে